আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

প্রান্তিক মানুষের সেবায় অগ্রণী ‘দুয়ার’ ব্যাংকিং

প্রকাশিত:সোমবার ২১ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বেশির ভাগ ব্যাংক যখন শহরমুখী তখন দুয়ার ব্যাংকিং নামে এজেন্টভিত্তিক সেবায় প্রান্তিক মানুষের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে অবদান রেখে চলছে অগ্রণী ব্যাংক।

বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ধারণা প্রথম নিয়ে আসে অগ্রণী ব্যাংক। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের সঙ্গে যৌথ প্রকল্পে ২০১০ সালে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালু করা হয়। ২০১১ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি এজেন্ট ব্যাংকিং করার নির্দেশনা আসে। রাষ্ট্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রথম ও একমাত্র অগ্রণী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে গেছে। আমানত রাখা, ঋণ বিতরণ ও প্রবাস আয়  আনার পাশাপাশি তারা স্কুল ব্যাংকিং চালু করেছে।

গ্রামগঞ্জে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ভাতাও বিতরণ করছে এজেন্টরা। সব মিলিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং চাঙ্গা হওয়ার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ গ্রামীণ অর্থনীতিও চাঙ্গা হচ্ছে।

বর্তমানে ৪০০ এজেন্টের মাধ্যমে দেশব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করছে অগ্রণী ব্যাংক। নিকটবর্তী শাখার তত্ত্বাবধানে নতুন হিসাব খোলা থেকে শুরু করে টাকা জমা দেওয়া, বিদ্যুৎ বিল জমাসহ প্রায় প্রয়োজনীয় সব আর্থিক সেবা পাওয়া যাচ্ছে।

সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে তাদের কমিউনিটির উদ্যোক্তার মাধ্যমে প্রচলিত ব্যাংকের প্রায় সব সুবিধা নিশ্চিত করছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংকের এই অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সব আর্থিক সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এই উদ্যোগের মাধ্যমে। তাইতো নাম অগ্রণী দুয়ার ব্যাংকিং।

এজেন্ট ব্যাংকিং প্রসঙ্গে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস-উল-ইসলাম বলেন, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ধারণা প্রথম নিয়ে আসে অগ্রণী ব্যাংক। ২০১০ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্বনামধন্য অধ্যাপকের সঙ্গে এক প্রকল্পের অংশ হিসেবে। সেটা ছিল কনসেপচুয়াল। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা আসে এজেন্ট ব্যাংকিং নিয়ে।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আরো ২০০টি এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করার অনুমতি পেয়েছে অগ্রণী ব্যাংক, যেগুলো এ বছরের মধ্যেই বাস্তবায়ন হবে।

বর্তমানে সব এজেন্ট ব্যাংকিং ইউনিটে সঞ্চয়ী, চলতি, ডিপিএস, এফডিআর এবং স্কুল ব্যাংকিং, ভাতা হিসাবসহ সব ধরনের হিসাব খোলা, গোপন পিনে বিদেশি রেমিট্যান্সের টাকা তোলা যায়, বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল দেওয়া এবং বাস টিকিট কেনা যায়।

নতুন হিসাব খুললে প্রত্যেক গ্রাহক চাইলে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের জন্য এটিএম কার্ড নিতে পারেন, যার মাধ্যমে যেকোনো ব্যাংকের বুথ থেকে লেনদেন করা যায় খুব অল্প খরচে। সম্প্রতি এসব এজেন্ট পয়েন্ট থেকে শুরু হয়েছে ঋণ বিতরণও।


আরও খবর



সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শকের স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলো অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে বেনজীর আহমেদের নানা অর্থ-সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। অথচ, গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর
বাবর আলীর এভারেস্ট জয়

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




ভারতীয় মশলায় ক্যানসারের উপাদান, বিক্রি নিষিদ্ধ করল নেপাল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেসের গুঁড়া মশলা আমদানি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নেপাল। ভারতীয় এই মশলায় ক্যানসার-সৃষ্টিকারী উপাদানের উচ্চ-মাত্রার উপস্থিতির খবরে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।

এর আগে ক্ষতিকর জীবাণুর কারণে ভারতীয় মশলার বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ নিয়েছিল হংকং ও সিঙ্গাপুর। ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় মশলা ব্র্যান্ড এভারেস্ট এবং এমডিএইচ-এর পণ্য আমদানি, ব্যবহার এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে নেপালের খাদ্য প্রযুক্তি ও গুণমান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। ভারতীয় এই দুই কোম্পানির মশলায় ক্যানসার-সৃষ্টিকারী উপাদান ইথিলিন অক্সাইডের মাত্রার স্তরও নেপাল পরীক্ষা করছে বলে দেশটির এক কর্মকর্তা এএনআইকে নিশ্চিত করেছেন।

মূলত এই দুটি ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোতে উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড পাওয়ার খবরে নেপাল এটিকে নিষিদ্ধ করে।

নেপালের খাদ্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মুখপাত্র মোহন কৃষ্ণ মহারজান এএনআইকে জানিয়েছেন, নেপালে এভারেস্ট এবং এমডিএইচ ব্র্যান্ডের মশলা আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মশলায় ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতির খবরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ আগেই আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল এবং এখন আমরা বাজারে এই মশলার বিক্রিও নিষিদ্ধ করেছি।

তিনি আরও বলেন, এই দুটি বিশেষ ব্র্যান্ডের মশলায় রাসায়নিকের উপস্থিতি কতটা তা জানতে পরীক্ষা চলছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। হংকং এবং সিঙ্গাপুর ইতোমধ্যেই এটি নিষিদ্ধ করেছে, তাদের পদক্ষেপের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত মাসে তরকারিতে ব্যবহার করা এমডিএইচের তিন ধরনের গুঁড়া মশলা ও এভারেস্টের গুঁড়া মশলার বিক্রি স্থগিত করে হংকং। সিঙ্গাপুরও তাদের বাজার থেকে এভারেস্টের গুঁড়া মশলা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে রান্নার কাজে এসব মশলা ব্যবহার না করার পরামর্শও দেওয়া হয়।

হংকং ও সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভারতীয় ওই দুই কোম্পানির গুঁড়া মশলায় উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড রয়েছে। যা মানুষের খাওয়ার জন্য অনুপযোগী। আর দীর্ঘসময় ধরে ইথিলিন অক্সাইডের ব্যবহারে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এরপরই ভারতীয় কোম্পানির মশলা পণ্যে ক্যানসার-সৃষ্টিকারী রাসায়নিকের উপস্থিতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। এফডিএর ভারতীয় মসলা পণ্যের কথিত দূষণের পর্যালোচনার প্রতিবেদন সর্বপ্রথম প্রকাশ করে রয়টার্স।

ভারতে এই দুই কোম্পানির গুঁড়া মশলা ব্যাপক জনপ্রিয় এবং ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকাতেও রপ্তানি করা হয়। ভারতের মশলার বাজারের অন্যতম বৃহৎ দুই কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেস।

দেশটির বাজার গবেষণা সংস্থা জিওন মার্কেট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে এই দুই কোম্পানি ১০ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মশলা বিক্রি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি ২০২২-২৩ সালে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মশলা রপ্তানি করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের মশলা বোর্ড।

ভারতীয় মশলার অন্যতম জনপ্রিয় কোম্পানি এভারেস্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চন ও শাহরুখ খান। ১৯৩০-এর দশকে যাত্রা শুরু করা এমডিএইচ জনপ্রিয়তা পায় তাদের বিজ্ঞাপন ও প্যাকেজিংয়ের কারণে।

প্যাকেটের গায়ে কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা ধরমপাল গুলাতির মোটা গোঁফ আর মাথায় পাগড়ির ছবি জুড়ে দেওয়া হয়। ভারতে ‌স্পাইস কিং বা মশলা রাজা হিসেবে পরিচিত ধরমপাল গুলাতি ২০২০ সালে মারা যান।

নিউজ ট্যাগ: ভারতীয় মশলা

আরও খবর



আরসার আস্তানায় অভিযান, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গ্রেনেডসহ গ্রেফতার ২

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন গহিন পাহাড়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) আস্তানায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অভিযান চলছে। তবে এরই মধ্যে আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট শেল উদ্ধারসহ আরসার দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) ভোররাত থেকে উখিয়ার গহিন পাহাড়ে লাল পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয়।

র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পে হেড মাঝিসহ কয়েক রোহিঙ্গাকে গুলি ও গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটছে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব ক্যাম্পে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। তারই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়ার ক্যাম্পসংলগ্ন গহিন পাহাড়ে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার আস্তানা অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ২টা থেকে অভিযান শুরু হয় এবং পুরো লাল পাহাড় ঘিরে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এরপর র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

এ পর্যন্ত একটি আস্তানা থেকে দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট সেল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলমান রয়েছে বলে জানায় র‌্যাবের ওই অধিনায়ক।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: প্রচারণায় জমজমাট জৈন্তাপুর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, মাইকিং আর বাড়িতে বাড়িতে কুশল বিনিময়ের মধ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী তৎপরতা।

জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্ধন্দিতায় থাকলেও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমদ ও হোসেন আহমদ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

তাই এ পদে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী (আনারস), আমেরিকা প্রবাসী আওয়ামী লীগনেতা আবদুল গাফফার চৌধুরী খসরু (কাপ-পিরিচ), ইসমাইল আলী আশিক (দোয়াত কলম) প্রতিক নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভোটারদের মতে, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতিকের ইসমাইল আলী আশিকের নাম তেমন আলোচিত না হলেও ফ্রন্টলাইনে রয়েছেন আনারস প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী। তার সাথে আলোচনায় আছেন কাপ পিরিচ প্রতিকের প্রার্থী আমেরিকা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল গাফফার চৌধুরী খসরু।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে কথা হয় ভোটারদের সাথেও। আলুবাগানের রিসোর্ট ব্যবসায়ী রাজু আহমদ, আসামপাড়া মানিক চৌধুরী হরিপুরের বাসিন্দা শামসুদ্দিন বলেন, এবারের নির্বাচনে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন আনারস প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী। কারণ, তিনি জনগণের জন্য মাঠেঘাঠে সবসময় তাকে পাওয়া যায়। তাই আমরা আসন্ন নির্বাচনে তাকে আনারস প্রতিকে ভোট দিবো।

ছাতারখাই দরবস্ত এলাকার আব্দুস ছালাম বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমি আবদুল গাফফার চৌধুরী খসরু ভাইকে কাপ পিরিচ প্রতিকে ভোট দিবো। বিপদে-আপদে আমরা তাকে পাশে পাই।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অপরাপর প্রার্থীদের মতো বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমদ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়ায় শুরু থেকেই প্রচারণায় নজর কাড়ছেন  লিয়াকত আলী। ইতিমধ্যে তার আনারস প্রতিকের পক্ষে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। নির্বাচনে দল মনোনীত প্রার্থী বা প্রতিক না থাকলেও দলের পরীক্ষিত কর্মি এম লিয়াকত আলীর পক্ষে প্রকাশ্যে ও আড়ালে কাজ করছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



পাইকগাছায় বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

পাইকগাছায় বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস উপলক্ষে পরিবেশবাদী সংগঠন বনবিবির উদ্যেগে নতুন বাজারস্থ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান।

পাখির আবাসস্থলকে নিরাপদ রাখা ও বিচরণস্থল সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়ে প্রতিবছর সারা বিশ্বে দিবসটি পালন করা হয়। পাখি সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা বাড়াতে ২০০৬ সাল থেকে পরিযায়ী পাখি দিবসটি পালন শুরু হয়েছে। প্রতি বছর মে ও অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শনিবার বিশ্ব পাখি দিবস পালিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমান বিশ্বে ব্যাপকভাবে বৃক্ষ নিধন ও শিল্প-কলকারখানা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পাখিদের আবাসস্থল প্রায় ধ্বংসের মুখে পড়েছে। এজন্য পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় পাখি সংরক্ষণ করা একান্ত প্রয়োজন। অনুষ্ঠান শেষে পাখির বাসার জন্য এলাকার বিভিন্ন গাছে মাটির পাত্র, কাঠ ও টিনের তৈরি বাসা গাছে বেধে দেওয়া হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কবি রোজী সিদ্দিকী, গৌতম ভদ্র। বক্তৃতা করেন, শাহিনুর রহমান, দিবাশিষ সাধু, অর্থী সরকার, তৃষা বিশ্বাস, মনিরা আহম্মেদ, লিনজা আক্তার মিথিলা, মিতু সেন,তৃষা বিশ্বাস, শাহিনুর রহমান,পূষ্পিতা শীল জ্যতি প্রমুখ।

এম জালাল উদ্দীন, পাইকগাছা


আরও খবর