মাদকসহ গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে থাকা অভিনেত্রী
পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার এবং তার অনেক অনৈতিক কাজের সহযোগী জুনায়েদ করিম জিমির বিরুদ্ধে
মাদকের আইনে একটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে বনানী থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা
হয়।
বনানী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) নুরে আজম মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, রাতে ডিবির ইন্সপেক্টর উদয়
কুমার মণ্ডল বাদী হয়ে জিমির বিরুদ্ধে মাদকের ওই মামলাটি করেন। ডিবি মামলাটির তদন্ত
করবে।
শুক্রবার রাত নয়টার দিকে রাজধানীর গুলশান
থেকে জিমিকে গ্রেপ্তার করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে মহানগর
গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
জিমিকে গ্রেপ্তারের আগে একই দিন বিকালে
রাজধানীর পান্থপথ থেকে আটক হন চলচ্চিত্র নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। পরে গোয়েন্দা কার্যালয়ে
নেয়া হয় তাকে। সেখানে চার ঘণ্টার মতো জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় চয়নিকাকে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের
পর রিমান্ডে থাকা পরীমনি জিজ্ঞাসাবাদে তার বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জিমির সম্পৃক্ততার
কথা জানান। এজন্য তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরীমনির অন্ধকার জগতে জড়িয়ে পড়ার পেছনে
অন্যতম সাহায্যকারী এই জিমি। যাকে নিয়ে রাত-বিরাতে বিভিন্ন ক্লাবের পার্টিতে পরীমনিকে
অংশ নিতে দেখা গেছে। জিমি পরীমনির সঙ্গে সঙ্গী হয়ে অনেক দেশ ঘুরতে যেতেন। তার সঙ্গে
বিত্তবানরা থাকত। বিনিময়ে জিমি তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করতো। পরীমনির
এই অন্ধকার জগতে জড়িয়ে পড়ার পেছনে অন্যতম সাহায্যকারী তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি।
মডেলিং ও সিনেমায় অভিনয় করার পাশাপাশি পরীমনি বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে সেখানে ব্যবসায়ীদের দাওয়াত দিয়ে টাকা নিতেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেশে-বিদেশে ঘুরতে গিয়ে একজনের মাধ্যমে আরেকজনের পরিচয় হতো। একই পন্থায় তাদের কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন।