বিরাট কোহলি,
কেএল রাহুল নাকি অর্শদীপ সিং। বুধবার বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের
ম্যাচ জেতাতে ভারতের কোন ক্রিকেটার মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন, তা নিয়ে তর্ক চলতেই পারে।
কিন্তু প্রথম একাদশে না থেকেও নিশ্চুপভাবে একজন যে কাজ করে গেলেন তা মন জিতে নিয়েছে
সকলের। তিনি রঘু রাঘবেন্দ্র। ভারতীয় দলের থ্রো ডাউন বিশেষজ্ঞ। কী করেছেন তিনি?
বুধবার বাংলাদেশের
ইনিংসের সপ্তম ওভারের পর হঠাৎই বৃষ্টি নামে। প্রায় ৫০ মিনিট পরে বৃষ্টি থামলে আম্পায়াররা
দ্রুত খেলা শুরু করার চেষ্টা করেন। সুপার সপার চালিয়ে ভেজা মাঠ শুকানোর চেষ্টা করা
হলেও পুরোপুরি তা সম্ভব হয়নি। ফলে ফিল্ডিং করতে গিয়ে পিছলে পড়ে ভারতীয় ক্রিকেটারদের
বড় চোট পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
এই সময় ‘মূল কাজটি’ করেন রঘু। এমনিতে ম্যাচ চলাকালীন বোলারদের
টুকটাক নির্দেশ দেওয়া ছাড়া সেভাবে কোনও কাজ থাকে না তার। কিন্তু বুধবার পরিস্থিতি
অন্য রকম থাকায় হাতে একটি ব্রাশ নিয়ে বাউন্ডারির ধারে দাঁড়িয়ে যান তিনি। ভেজা মাঠে
ক্রিকেটারদের জুতার তলায় কাদা ঢুকে যাচ্ছিল। কাদা জমে থাকলে জুতা ভারি হয়ে যাওয়ার কারণে
ক্রিকেটারদের দৌড়াতে অসুবিধা হতে পারে। সেটা মাথায় রেখেই ব্রাশ দিয়ে রাহুল, কোহলিদের
জুতা পরিষ্কার করে দিচ্ছিলেন রঘু। ফলে ফিল্ডাররা অনায়াসে ও সাবলীলভাবে মাঠে দৌড়াতে
পারছিলেন।
জুতার তলায় কাদা
জমে গেলে দৌড়াতে কতটা অসুবিধা হতে পারে সেটা বোঝা যায় বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাসকে
দেখে। তিনি দুই রান নিতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান। দূর থেকে রাহুলের ছোড়া থ্রো গিয়ে
উইকেট ভেঙে দেয়। ওই একটা আউট ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বদলে দেয়। অন্যদিকে, রঘুর বুদ্ধিতে
ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন সূর্যকুমার, অর্শদীপ, হার্ডিক পান্ডিয়ারা।