আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

পথে বসেছে জয়পুরহাটে এমটিএফই’র বিনিয়োগকারীরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ আগস্ট 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ আগস্ট 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

অফিসে সাজ-সজ্জার অভাব ছিল না। নতুনদের অভ্যর্থনায় দেওয়া হতো ক্রেস্ট, রজনীগন্ধার স্টিক, ফুলের তোরা, গলায় মালা, টি-শার্ট। নামি-দামি রেস্তোরাঁয় খাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। এসবই ছিল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য। সভা-সেমিনারে অতিথি ছিল এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। আর সিইওদের চমকপ্রদ বক্তব্যে ছিল লোভনীয় অফার। সবকিছু শুনে অফার মিস করতে চাননি অনেকেই। অফার লুফে নিয়ে বিনিয়োগ করেছিলেন তারা।

তবে কয়েকমাস যেতেই লুফে নেওয়া অফারের ব্যক্তিদের মাথায় হাত। নিজের নামে করা অ্যাকাউন্টে জমানো টাকা শূন্য, এমনটি সাজ-সজ্জার সেই অফিসেও তালা। নেই সিইওদের খোঁজ। মুহূর্তেই বিনিয়োগকারীদের খোয়া গেছে কোটি কোটি টাকা। বলছিলাম কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া অনলাইনভিত্তিক এমটিএফই অ্যাপের কথা। উচ্চ মুনাফার লোভে এখানে বিনিয়োগ করেছিলেন জয়পুরহাটের স্বল্প শিক্ষিত, বেকার ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। মুনাফাতো দূরের কথা, তারা নিজেদের বিনিয়োগ করা টাকাও হারিয়েছেন।

জানা গেছে, মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ গ্রুপ অর্থাৎ এমটিএফই একটি অ্যাপ। শুয়ে-বসে কাজ করলেই অ্যাকাউন্টে আসবে ডলার। আর এতে বিনিয়োগ করতে হবে। যে যত বেশি বিনিয়োগ করবে, তার তত ডলার আসবে। এক কথায় বিনিয়োগ করলেই মিলবে উচ্চ মুনাফা। এমনই অফার দিয়েছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানটির সিইওরা। তাদের টার্গেট ছিল স্বল্প শিক্ষিত, বেকার ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। আর সেই টার্গেট কাজেও এসেছে।

জয়পুরহাট জেলার প্রায় দেড় হাজার বিভিন্ন পেশার মানুষ এতে টাকা বিনিয়োগ করেন। কেউ এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে, কেউ জমি বন্ধক রেখে, ব্যাংক ঋণ নিয়ে, গরু-ছাগল কিংবা সোনা-গহনাও বিক্রি করে অ্যাপটিতে বিনিয়োগ করেন। সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা থেকে ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগকারী ছিল। উচ্চ মুনাফার পাওয়ার আশায় ১১ কোটির বেশি টাকা খোয়া গেছে বিনিয়োগকারীদের।

এমটিএফইতে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সৌখিন। তিনি জয়পুরহাট শহরের দেওয়ানপাড়ায় থাকেন। সৌখিন বলেন, সাদ আলম চৌধুরী নামে একজন সিইও ছিলেন। তিনিই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের অফার ছিল টাকা বিনিয়োগ করলে বসে বসে মুনাফা পাওয়া যাবে। ৫০ হাজার টাকায় প্রতি সপ্তাহে ৬ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। আমি দুইটি আইডিতে ৪০২ ডলার বিনিয়োগ করেছিলাম। এরপর অ্যাপে ঢুকে এআই রোবট অন করে দেই। সাত দিন পর ৪০ ডলার জমা হয়েছিল। প্রথমে ৫ হাজার ৮০০ টাকা তুলেছি। কিন্তু এরপর আর কোনো টাকা তুলতে পারিনি। তাদেরকে বললে বলে সাইট আপডেট হচ্ছে। এই বলতে বলতে আমার বিনিয়োগ করা সব টাকায় শেষ। গতকাল (সোমবার) থেকে আর অ্যাপে ঢোকা যাচ্ছে না।

জয়পুরহাটের সিইও পদে কয়েকজন ছিলেন। তাদের মধ্যে সাদ আলম চৌধুরী নামে একজন প্রধান ভূমিকা রাখেন। প্রতারণার অভিযোগ এনে সাদ আলমের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট থানায় অভিযোগ করেছেন বিনিয়োগকারী ইমন হোসেন। গত ২০ আগস্ট রাতে তিনি অভিযোগটি করেন। ইমন হোসেন শহরের দেওয়ানপাড়ার বাসিন্দা।

তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, জয়পুরহাট শহরের ইরাক নগরের বাসিন্দা সাদ আলম চৌধুরী সবুজনগরে এমটিএফইর অফিস খোলেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সরাসরি সভা-সেমিনারে ডেকে নিয়ে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ার কেনার নামে ইমনের কাছ থেকে ৬৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এখন অফিস তালাবদ্ধ রয়েছে আর সাদ আলম চৌধুরী পলাতক রয়েছেন। ওই অভিযোগে আরও চার জন ভুক্তভোগীর নাম রয়েছে। তাদের কাছ থেকে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। ইমন হোসেন বলেন, আমার মতো অনেকেই এমটিএফই অ্যাপে প্রতারিত হয়েছেন। সাদ আলম চৌধুরী আমাকে অ্যাপে বিনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এখন তো সব শেষ। আমরা চাই প্রশাসন এই প্রতারকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসুক।

লোকলজ্জায় মোটা অঙ্কের বিনিয়োগকারীরা কেউই প্রকাশ্যে আসতে চাচ্ছেন না। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, এমটিএফই অ্যাপে সিইও ছিলেন সাদ আলম চৌধুরী। তাছাড়া সাদের বাবা সহিদুল আলম, তামান্না আক্তার সুরভী, সুমন খন্দকার, আল হোসেন রাব্বী, শাহিনুর, মঈনুল খন্দকার, মোশারফ হোসেন সিইও হিসেবে ছিলেন। তারা সভা-সেমিনার করে এমটিএফই অ্যাপে বিনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করেন। এসব সভা-সেমিনারে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা থাকতেন। তাদের কারণে তারা আস্থা পেয়ে বিনিয়োগ করেছিলেন। প্রতারিত হবেন তা কখনো ভাবেননি বিনিয়োগকারীরা।

এ ব্যাপারে জানতে সাদ আলমের মোবাইলে ফোন করে তার বন্ধ পাওয়া যায়। ২২আগষ্ট মঙ্গলবার   দুপুর জয়পুরহাট শহরের ইরাক নগর মহল্লায় সাদ আলম চৌধুরীদের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মা রেজিয়া সুলতানা বলেন, আমার তিন সন্তানের মধ্যে সাদ আলম চৌধুরী সবার ছোট। সে কলেজে অর্নাস করছে। পড়াশোনার পাশাপাশি আউট সোর্সিংয়ের কাজ করতো। এক সপ্তাহ আগে বাড়ি থেকে চলে গেছে। তার স্বামীও বাড়িতে নেই। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। তার ছেলে সাদ আলম চৌধুরী কারও সঙ্গে প্রতারণা করেনি বলে দাবি করেন তিনি।

জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর কাজ করছে। আমাদের বিভিন্ন এজেন্সি কাজ করছে । খুব অল্প সময়ে অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ট্যাগ: জয়পুরহাট

আরও খবর



শাশুড়ির করা পর্নোগ্রাফি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জাবি শিক্ষিকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে মানহানির অভিযোগে শাশুড়ির করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভাষা কোর্সের খন্ডকালীন শিক্ষিকা গুলশান আরা। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজের আদালত আস সামছ জগলুল হোসেন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করার মতো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

গুলশান আরার আইনজীবী আল মামুন রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুধুমাত্র হারিয়ে যাওয়া সিমের (মোবাইল সিম) কারণে এই মিথ্যা অভিযোগের মামলায় উনি (গুলশান আরা) ফেঁসে যান। শ্বশুরবাড়ির পরিকল্পিত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় উনাকে ফাঁসানো হয়েছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন, কিন্তু কোনো ফরেনসিক রিপোর্ট প্রদান করেননি। আমরা আদালতে তার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, একটি ফেসবুক আইডি থেকে ২০২২ সালের ৯ মে বাদীর মেয়ের (আসামির ননদ) নগ্ন ছবি বাদীর মেয়ের বান্ধবীর মেসেঞ্জারে পাঠানো হয়। এডিট করে এ নগ্ন ছবি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি বাদীর। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ওই ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারীর হুমকি দেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলো ছড়িয়ে দেবেন।

পরে বাদী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ফেসবুক আইডিটি তার পুত্রবধূ গুলশান আরার। পরে তিনি এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

২০২৩ সালের ৩০ মে মামলাটি তদন্ত করে গুলশান আরাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল পারভেজ।


আরও খবর



বিজ্ঞান জাদুঘর ট্রাস্টি বোর্ডসভা: ৫০ প্রতিষ্ঠানকে ৬৫ লাখ টাকা অনুদান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের আওতাধীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়ন ট্রাস্টি বোর্ডের এক সভা বুধবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব ও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী সভা সঞ্চালনা করেন। সভায় দেশের ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক বিজ্ঞান ক্লাবের জন্য ৬৫ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

বোর্ডের সভাপতি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, গত ১৫ বছর যাবৎ বর্তমান সরকার মানুষের কল্যাণে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করছে। ট্রাস্টি বোর্ডের অনুদানের মাধ্যমে সরকার প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিজ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ করছে। বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল, তা বাস্তবায়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তথ্য প্রযুক্তির সুবাদে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এখন সারা পৃথিবী অবলোকন করছে।

এছাড়া বিজ্ঞান জাদুঘরের মিউজিয়াম বাস ও মুভি বাসের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিজ্ঞান সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মানুষ তৈরি করা কঠিন কাজ। মানষিকতার পরিবর্তন ও সততা ছাড়া কোন জাতি এগোতে পারেনা। বিজ্ঞানের ব্যবহারিক শিক্ষার অংশ হিসেবে প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য এ অনুদান প্রদান করা হয়।


আরও খবর



নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি হতে পারে এ সপ্তাহেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় একের পর এক যুদ্ধাপরাধ ও মানবিকতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে নেদার‌ল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি। সম্ভাব্য সেই পরোয়ানা এড়াতে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে বলেও এনবিসিকে বলেছেন ওই সরকারি কর্মকর্তা।

এ প্রসঙ্গে আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে এনবিসির সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, সত্যিই চলতি সপ্তাহে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও অন্যান্য ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হচ্ছে কিনা।

জবাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক মুখপাত্র বলেছেন, আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে একটি মুক্ত ও অবাধ তদন্ত পরিচালনা করছি। এই কাজের সুবিধার্থে যে কোনো পদক্ষেপ আমাদের নিতে হতে পারে; কিন্তু যেহেতু এটি তদন্তাধীন বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে এখনই বিস্তারিত কিছু বলার সুযোগ নেই।

২০১৪ সালে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ২০১৭ সালে তার তদন্ত শুরু করেছিল আইসিসি। পরে করেনা মহামারির কারণে তদন্তে বাধা পড়ে। মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পরও তা আর শুরু হয়নি।

কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও তার জেরে গাজায় অভিযান শুরুর পর সেই তদন্ত ফের পুনরুজ্জীবিত করে আইসিসি। গত ডিসেম্বরে গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত ঘুরে গেছেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। সেই সফরে পুরনো সেই তদন্ত ফের শুরুর তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, এবারের তদন্ত হবে গতিশীল, কঠোর এবং পুরোপুরি সাক্ষ্যপ্রমাণ নির্ভর।

ইসরায়েল কিংবা যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের কোনোটিই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দেয় না। আইসিসি যদি সত্যিই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহু কিংবা ইয়োয়াভ গ্যালান্তের গ্রেপ্তার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

তবে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়। তাই পরোয়ানা জারি হলে ইউরোপের দেশগুলোসহ বিশ্বের অনেক দেশেই সফর বন্ধ করতে হবে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও আইডিএফের সামরিক কর্মকর্তাদের। কারণ পরোয়ানা বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত সেসব দেশে গেলে গ্রেপ্তার হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে তাদের।


আরও খবর



বাংলা নববর্ষ উদযাপন : হামলা-নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত র‍্যাব

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ উদযাপন ঘিরে কোনো হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন।

তিনি বলেন, যে কোনো নাশকতা বা হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে র‍্যাবের স্পেশাল কমান্ডো টিম। এছাড়া সাদা পোশাকে টহল ও নজরদারির মাধ্যমে নাশকতামূলক যে কোনো কার্যক্রমসহ প্রতিরোধ করা হবে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজধানীর রমনা বটমূলের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, সবাই যেন উৎসব সুষ্ঠুভাবে উদযাপন করতে পারেন সে জন্য র‍্যাবসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজধানীসহ সারাদেশে সর্বদা সজাগ রয়েছে।

র‍্যাব বলেন, পহেলা বৈশাখ কেন্দ্র করে প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও র‍্যাব সারাদেশ ব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষে না হওয়া পর্যন্ত র‍্যাবের ব্যাটালিয়নগুলো নিজ নিজ এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও টহল জোরদার করেছে। নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর টিএসসি শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতিরঝিল, রমনা বটমূল, পূর্বাচল ৩০০ ফিটসহ যেসব এলাকায় মানুষ যাবে সেখানে পেট্রলসহ সুইপিং করা হবে। আমাদের গোয়েন্দা টিম সার্বিক নজরদাবি অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, ভার্চুয়াল জগতে যে কোনো ধরনের গুজব বা উসকামূলক তথ্য ছড়িয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য র‍্যাব সাইবার জগতে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে ইভটিজিং বা উত্যক্ত করার ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ উত্যক্তের শিকার হলে র‍্যাব সদস্যদের জানাবেন। আমরা যথাযথ আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করবো। র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে কঠোরভাবে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: বাংলা নববর্ষ

আরও খবর



সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে নিহত ৩, আহত ৫

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালে বার্দিং করার সময় তাসরিফ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে তার আঘাতে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নৌপুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ভোলাগামী তাশরিফ-৪ লঞ্চের ধাক্কায় ৩ জন যাত্রী নিহত ও ৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। লঞ্চটি ঘাটে বেঁধে রাখা ছিল, হঠাৎ রশি ছিঁড়ে যাত্রীদের ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর