আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

রাবানের সুস্বাদু আনারসের খ্যাতি দেশজুড়ে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নাসিম আজাদ, পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

Image

স্বাদ ও গুণগত মানের দিক থেকে সারাদেশে খ্যাতি কুড়াচ্ছে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের রাবানের আনারস। নরসিংদীতে একটি প্রবাদ আছে, 'রাবানের আনারস রসে টস টস'। আনারস উৎপাদনের দিক থেকে পলাশের রাবান বাংলাদেশের প্রসিদ্ধতম স্থান হিসেবে ব্যাপক পরিচিত।

উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকায় আনারসের আবাদ করা হয়। আবহাওয়ার দিক থেকে এই এলাকার মাটি আনারস চাষের উপযোগী হওয়ায় বাড়ির আঙ্গিনাসহ অনাবাদি জমি বা টেক-টেঙ্গর গুলোতেও আনারসের চাষ করতে দেখা যাচ্ছে। এ এলাকার কৃষকদের প্রধান অর্থকরী ফসল হচ্ছে আনারস। আনারস অন্যতম প্রধান রসালো, সুস্বাদু ও সুমিষ্ট ফল। এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকা নির্বাহ ও অর্থকরী ফসল হচ্ছে একমাত্র আনারস চাষ। প্রায় ১৫০ বছর আগে ঘোড়াশালে দেশীয় জাতের আনারসের চাষ হত। যার ইতিমধ্যে বিলুপ্তি ঘটেছে।

বর্তমানে যে আনারসের চাষাবাদ করা হচ্ছে তাও প্রায় ৫০ বছর আগে সিলেট থেকেই পলাশের রাবানে আসে। উপজেলার ঘোড়াশাল ও রাবান আনারস চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ৫০ বছরে এ জাতটি এখানে ব্যাপক সফলতা লাভ করে এবং এর ব্যাপক প্রসার ঘটে। ঘোড়াশাল ও রাবানে চাষকৃত সিলেটের এ প্রজাতির আনারসের জাতটি জলডুগি আনারস নামে সর্বমহলে পরিচিতি লাভ করে। এর বৈজ্ঞানিক নাম হল 'হ্যানিকুইন'। আর এ জাতের আনারসের ফলন টেঙ্গর এলাকার জমিততে ভালো হয়। জৈষ্ঠ্যমাসের শুরুতেই কিছু কিছু বাগানে পাকতে শুরু করে যা ভরপুর পাকে জৈষ্ঠ্যমাসের শেষের দিকে। বাজারে এর চাহিদা খুবই বেশি। আবার কিছু কিছু বাগানে সবেমাত্র আনারসের ফলন এসেছে, যা আরও দুমাস পর পাকতে শুরু করবে।

উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রাবান, কুড়াইতলী, বিলপাড়, কাটাবের, বরিবাড়ি, সানের বাড়ি, দড়িহাওলা পাড়া, উত্তরচন্দন, বরাব, ধলাদিয়া, গোবরিয়াপাড়া, লেবুপাড়া, সাতটিকা ও টেঙ্গর পাড়া। অপরদিকে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ভাগদী, রাজাব, খাওগাইর, চামড়াবসহ কয়েকটি স্থানে আনারসের চাষ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৪৫ হেক্টর জমিতে আনারসের আবাদ করা হয়েছে। যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৫০০ মেঃটন।

রাবানের আনারস চাষী সমিরন রায় ১০ বিঘা জমিতে ও মধু ভৌমিক ১২ বিঘা জমিতে আনারস চাষ করেছেন। তাদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তারা প্রায় ৩২ বছর যাবৎ আনারসের চাষ করে আসছে। তারা জানায়, প্রতি বিঘা জমিতে আনারস চাষে ২০ হাজার টাকা খরচ হলে আনারসের ফলন ভাল হলে প্রতি বিঘার আনারস বিক্রি হয় প্রায় ৭০/৮০ হাজার টাকা। এতে দেখা যায় লাভ হয় বহু গুণ। বেশির ভাগ আনারস চাষি আনারস চাষ করে বহু সম্পদের মালিক হয়েছেন।

রাবানের আনারস চাষ দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। আনারসের ফলন ভাল হলে প্রতি বছর আনারসে পলাশ উপজেলায় আয় হয় প্রায় ১২ কোটি টাকা। প্রতি একর জমিতে প্রায় ১৮ হাজার আনারসের চারা রোপণ করা হয়। উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে রাবানে পর্যাপ্ত পরিমাণ আনারস উৎপন্ন হয়।

কৃষকরা জানায়, আনারস পচনশীল ফল হিসেবে এর সংরক্ষণ ব্যবস্থা থাকা দরকার। আনারস সংরক্ষণের জন্য পলাশে কোন হিমাগার আজও পর্যন্ত তৈরি হয়নি। কৃষকরা আনারস সংরক্ষণের জন্য একটি হিমাগার স্থাপনের জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান। রাবানে আনারস চাষে চাষীদের মনোবল রয়েছে পর্যাপ্ত। আধুনিক সভ্যতার যুগে এখনও পলাশের এলাকায় সনাতন পদ্ধতির মাধ্যমেই আনারসের চাষ হচ্ছে।

আনারস চাষীরা জানায়, আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আনারস চাষ করলে আরও অধিক ফলন হত এবং দেশও অর্থনৈতিকভাবে আরও লাভবান হত।

এব্যাপারে পলাশ উপজেলা কৃষি অফিসার আয়েশা বক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এবছর সেচ ও বৃষ্টির অভাবে আনারস একটু দেরিতে হয়েছে। মাঠ পরিদর্শনের মাধ্যমে আনারস চাষিদের আনারস চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকি। পোকামাকড়ের আক্রমণ ও বিভিন্ন রোগবালাই প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষনিক পরিদর্শন করে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বর্তমান সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বসত বাড়ির আঙ্গিনা ও অনাবাদি জমিতে আনারস চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করছি।

নিউজ ট্যাগ: রাবানের আনারস

আরও খবর



মালিতে যাত্রীবাহী নৌকা ও সেনাঘাঁটিতে হামলা, নিহত ৬৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মালিতে যাত্রীবাহী নৌকা ও সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় ৬৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৫ জন সেনা সদস্য ও ৪৯ জন বেসামরিক নাগরিক। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জঙ্গিরা উত্তর-পূর্ব মালির একটি নদীতে নৌকায় হামলা চালিয়ে অন্তত ৪৯ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে বলে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে। পাশাপাশি একটি সেনা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ১৫ জন সৈন্যকে হত্যা করেছে। হামলার সময় প্রায় ৫০ জন জঙ্গিও মারা গেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় দেশটির সরকার তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে।

আরও পড়ুন>> পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সাথে জঙ্গিগোষ্ঠীর সংঘর্ষ, নিহত ১৬

গত এক দশকে মালির মধ্যাঞ্চল, উত্তর বুরকিনা ফাসো এবং পশ্চিম নাইজারের সীমান্ত অঞ্চল আল-কায়েদা এবং আইএসআইএলের (আইএসআইএস) সঙ্গে যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। এর আগে, গত ২০ আগস্ট দেশটির বান্দিয়াগারা শহরের কাছে ইয়ারু এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ২১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।


আরও খবর



মৌলভীবাজারে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুজন।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই ইউনিয়নের শাহপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

আরও পড়ুন>> মামার বাসা থেকে ফেরার পথে কিশোরীকে ধর্ষণ: আটক যুবক

নিহত ব্যক্তিরা হলেন, টিলাগাঁও ইউনিয়নের লহরাজপুর গ্রামের করিম উল্লাহ সরকারের ছেলে লিয়াকত সরকার (৬০) ও একই ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের মৃত ছিটু মিয়ার ছেলে সিএনজিচালক মহরম মিয়া (৬০)।

আহত ব্যক্তিরা হলেন, টিলাগাঁও ইউনিয়নের বাগৃহাল গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ছয়ফুল (৪২) ও আশ্রয়গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে কামরান মিয়া (৩৪)।

স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতে শাহপুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এ সময় সিএনজি চালকসহ দুজন ঘটনাস্থলে নিহত হন ও দুজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের হাসপাতালে পাঠান। 

আরও পড়ুন>> আনোয়ারায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাত, নিহত ১

ওসি মো. আব্দুছ ছালেক জানান, রোববার রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, শিশুসহ গুলিবিদ্ধ ৬

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে শিশুসহ ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের বকুলতলার শোলারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাতক্ষণিকভাবে আহতদের নামপরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা আলী হোসেন গ্রুপ ও সুরুজ মেম্বার গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পথচারী শিশুসহ ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়। আহতরা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস কবির বলেন, আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ৬ জনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


আরও খবর



বাড়িতে খরগোশ পালন করবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কৃষি ডেস্ক

Image

খরগোশ তৃণভোজী শান্ত ও নিরীহ স্বভাবের প্রাণি। এখনো বাংলাদেশে খরগোশ পালন ব্যাপক আকারে হয়ে ওঠেনি। তবে বাণিজ্যিকভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খরগোশ পালন অনেক লাভজনক। তার আগে জেনে নিতে হবে খরগোশ পালনের নিয়ম-কানুন।

যেখানে পাবেন: ঢাকার কাঁটাবন, মিরপুর, কাপ্তান বাজারসহ বিভিন্ন পশু-পাখি ও অ্যাকুরিয়ামের দোকানে পাওয়া যায়। ঢাকার বাইরে গাজীপুরের টঙ্গী মার্কেট, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়ও পাওয়া যায়। এছাড়া চট্টগ্রাম, সিলেট, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, নেত্রকোণাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে কিনতে পাওয়া যায়।

পালনের সুবিধা:

১. দ্রুত বর্ধনশীল প্রাণি।

২. একসাথে ২-৮টি বাচ্চা প্রসব করে।

৩. একমাস পরপর বাচ্চা প্রসব করে।

৪. খাদ্য দক্ষতা অপেক্ষাকৃত ভালো।

৫. মাংস উৎপাদনে পোল্ট্রির পরেই খরগোশের অবস্থান।

৬. কম জায়গায় কম খাবারে পালন করা যায়।

৭. কম খরচে বেশি উৎপাদন সম্ভব।

৮. খরগোশের মাংস বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন।

৯. রান্না ঘরের উচ্ছিষ্ট, ঘাস ও লতা-পাতা এর খাবার।

১০. পারিবারিক শ্রমের সফল ব্যবহার করা সম্ভব।

১২. হোটেল, রেস্তোরাঁ বা ভোজসভায় এর মাংসের অনেক কদর।

যেভাবে পালন করবেন: বাড়ির ছাদ, আঙিনা বা বারান্দায় ছোট আকারের শেড তৈরি করে খরগোশ পালন করা যায়-

লিটার পদ্ধতি: কমসংখ্যক খরগোশ পালনের জন্য এ পদ্ধতি উপযোগী। এর জন্য মেঝে কংক্রিটের হওয়া উচিত। খরগোশ মাটি খুঁড়ে গর্ত বানায়। লিটার পদ্ধতিতে মেঝের ওপর ৪-৫ ইঞ্চি পুরু করে তুষ, কাঠের ছিলকা অথবা ধানের খড় ছড়িয়ে দিতে হবে। এ পদ্ধতিতে খরগোশ পালন করতে হলে একসাথে ৩০টির বেশি খরগোশ পালন করা ঠিক নয়। পুরুষ খরগোশ আলাদা ঘরে রাখতে হবে। কারণ খরগোশ সামলানো খুব কঠিন। শুধু প্রজননের জন্য পুরুষ খরগোশকে স্ত্রী খরগোশের কাছে ১০-১৫ মিনিট ছেড়ে দেওয়া হয়।

খাঁচা পদ্ধতি: বাণিজ্যিকভাবে খরগোশ পালনের জন্য খাঁচা পদ্ধতি বিশেষ জনপ্রিয়। সে ক্ষেত্রে খাঁচার জন্য লোহার পাত দিয়ে তৈরি ৩-৪ তাকবিশিষ্ট খাঁচা বেশি উপযোগী। খরগোশের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রেখে প্রতিটি তাকে খোপ তৈরি করতে হবে।

প্রয়োজনীয় জায়গা:

ক. একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ খরগোশের জন্য ৪ বর্গফুট জায়গা দরকার।

খ. পূর্ণবয়স্ক মা খরগোশের জন্য দরকার ৬ বর্গফুট (প্রসূতি ঘরসহ)।

গ. বাচ্চা খরগোশের জন্য ১.৫ বর্গফুট দরকার।

খরগোশের খাবার: কচি ঘাস, লতা-পাতা, গাজর, মুলা, শস্যদানা, মিষ্টি আলু, শসা, খড়কুটো, তরকারির ফেলনা অংশ, গম, ভুসি, কুড়া, খৈল, সয়াবিন, দুধ, পাউরুটি, ছোলা নিত্যদিনের খাবার। ঘাস ও শাক সবসময় শুকনা বা ঝকঝকে অবস্থায় দিতে হবে। ভেজানো গম বা ছোলা অল্প সেদ্ধ করে এর সাথে ভুসি মিশিয়ে দিলে ভালো হয়।

নিউজ ট্যাগ: খরগোশ পালন

আরও খবর
মুরগির দাম কমলেও সবজির মূল্য অপরিবর্তিত

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বিএসএমএমইউয়ে ইনস্টিটিউশনাল রিভিউ বোর্ডের প্রশিক্ষণ শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অর্থায়নে ও বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের সহযোগীতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইনস্টিটিউশনাল রিভিউ বোর্ডের (আইআরবি) সদস্য রিভিউয়ারদের বিস্তৃত গবেষণার লক্ষ্যে ৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।

সোমবার বেলা সাড়ে দশটায় (১৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে ‘‘ট্রেইনিং অন আইআরবি ম্যানেজমেন্ট এন্ড রিসার্চ রিভিউ’’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান ও সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের প্রয়োজনে জন সম্পৃক্ত গবেষণা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এতে করে দেশের মানুষ উপকৃত হবেন।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন গবেষণা বান্ধব। ভিসি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর গবেষণাখাতে বাজেট বরাদ্দ ৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩২ কোটি টাকায় উন্নীত করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সমন্বিত গবেষণায় অংশগ্রহণ করতে গবেষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। এতে ইতিবাচক ফল পেয়েছেন বলে জানান বিএসএমএমইউ ভিসি।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, প্রোভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালা সঞ্চলনা করেন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ড্রোক্রাইনোলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহাজাদা সেলিম।

নিউজ ট্যাগ: বিএসএমএমইউ

আরও খবর
ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩৫৭

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে এই প্রথম ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩