রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রধান ফটকের সামনে আন্দোলনকারীদের দেওয়া গাছের গুড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে
রাজশাহী-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে ছোটখাটো যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার (১৩ মার্চ)
সকাল থেকে ক্যাম্পাসে কোনো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি।
জানা গেছে,
সোমবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
তবে রোববার রাত ৮টায় শিক্ষার্থীরা রাজশাহী রেলস্টেশন সংলগ্ন চারুকলা অনুষদের কাছে রেললাইনে
অগ্নিসংযোগ করে। এরপর থেকে ঢাকার সঙ্গে রাজশাহীর রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা
রাত ১২টার পর সরে গেলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শিক্ষার্থীরা
জানান, শনিবার বিকেলে বগুড়া থেকে মোহাম্মদ বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের
সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। এ সময় বাসে সিটে বসাকে
কেন্দ্র করে গাড়ির ড্রাইভার শরিফুল ও সুপারভাইজার রিপনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আকাশের।
পরে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট এসে আবারও সুপারভাইজারের সঙ্গে ঝামেলা বাধে।
তখন স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে
ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এরপর সন্ধ্যায় ৬টার দিকে স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী আহত হন।