আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

রাবিতে এক রাতে হলের চার কক্ষে ছাত্রলীগের লঙ্কাকাণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

হলের সিট নিয়ে নেতিবাচক শিরোনামে সারাবছরই আলোচনায় থাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। রুম ওয়ার্ক ও জয় বাংলা ব্লাড সার্ভিসের মত নানা নামে হলের শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করে রাজনৈতিক ভাবে দুর্বল ও মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সিট ছেড়ে চলে যেতে চাপ দেওয়া হয়। কাউকে বের করে দেওয়া হয় জোরপূর্বক।

গতকাল রাতে (২৫ মে) শনিবার মাদার বক্স হলের ৪টি কক্ষে ঘটে লঙ্কাকাণ্ড। প্রথম ব্লকের ৪১৭ নম্বর রুমে এক শিক্ষার্থীকে নামিয়ে নিজকর্মীকে তুলে দেওয়া, ২য় ব্লগের ৩১৯ নম্বর কক্ষে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী, একই ব্লকের ৩২৫ নম্বর ও ৩য় ব্লকের ৩৪৯ নম্বর কক্ষে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত মার্কেটিং বিভাগের দুই আবাসিক শিক্ষার্থীকে ডাবলিং করে থাকার হুমকি দেওয়া হয়। এসব ঘটনা ঘটে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিশকাত হাসানের নেতৃত্বে। তিনি সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিবের অনুসারী।

প্রায় ৭ বছর পর ছাত্রলীগের এই শাখাটির কমিটি ঘোষণা পর ক্যাম্পাসে প্রথম প্রবেশ করে সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব সিট বাণিজ্য বন্ধ করার ঘোষণা দেন।

এসময় রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি সমস্যার নাম সিট বাণিজ্য। আজকে আমি রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দিচ্ছি যদি আমাদের কোনো নেতাকর্মী সিট বাণিজ্যের সাথে নিজেকে যুক্ত করে, তাহলে হয় সে ছাত্রলীগ করবে, নয়তো আমি ছাত্রলীগ করব। আজ থেকে সিট বাণিজ্যের কবর রচনা ঘোষণা করলাম।

কিন্তু নতুন কমিটির সেই বক্তব্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সাময়িক স্বস্তি দিয়েছিল তবে বর্তমানে তার কার্যকারিতা হারিয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। প্রতিনিয়ত হলের সিট দখল, শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দেওয়া ও এক সিটে ডাবলিং করে থাকার হুমকি-ভয় দেখানোর অভিযোগ নৈমিত্তিক ঘটনা।

ভুক্তভোগী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ ও মার্কেটিং বিভাগের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে। এক পর্যায়ে নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, আমরা এখনো হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। আমাদের মাস্টার্সের থিসিস এখনো বাকি আছে। অনেকের নিয়মিত ক্লাস হয়। একাডেমিকভাবে খুব চাপে আছি। এমন অবস্থায় আমাদের ডাবলিং করে থাকতে বলা হয়েছিল। আমরা সাধারণ সম্পাদক গালিব ভাইয়ের সাথে কথা বলে একটা সমাধানে এসেছি। আপাতত আমাদের কক্ষে হয়তো ডাবলিং করে থাকতে হবে না৷ কিন্তু ভয় বা একটা আতঙ্ক-শঙ্কা তো থেকেই যায়। 

এ বিষয়ে হল ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিশকাত হাসান বলেন, আমি ভেবেছিলাম তাদের মাস্টার্স শেষ। তারা শীঘ্রই হল থেকে চলে যাবে। তাই তাদের রুমে কিছু জুনিয়ারদের থাকতে বলেছিলাম। সবার সাথে কথা বলে আমি বুঝতে পেরেছি তারা এখনই হল ছেড়ে যাচ্ছেন না। তাই এখন আর কেউ তাদের রুমে যাবে না।

হলের ১ম ব্লকের ৪১৭ কক্ষের সোহেল আল মাহমুদ নামে এক শিক্ষার্থীকে নামিয়ে আরেক জনকে তুলে দেওয়া হয়। ছাত্রলীগ নেতার অভিযোগ সে অনাবাসিক। তার হল কার্ড নেই।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, তিনি ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে হলের সিটে থাকছেন। অসংখ্যবার প্রাধ্যক্ষ বরাবর অনুরোধ ও আবেদন জমা দিয়েছেন হলের কার্ড করার জন্য। তখন প্রাধ্যক্ষ তাকে কার্ডের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং হলে থাকার মৌখিক অনুমতি দেন। কয়েকদিন আগে ছাত্রলীগ নেতা মিশকাত হাসান তার রুমে এসে দেখেছে কার্ড আছে কিনা এবং বলেছিল দ্রুত করে নিতে। প্রাধ্যক্ষ গত রবিবারে পুনরায় দেখা করতে বললেও শনিবার রাতে তার সিটে আরেকজনকে তুলে দেন হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের এই নেতা। তবে নতুন যাকে সিটে তুলে দেওয়া হয়েছে সেও কাউকে তার হল কার্ড দেখাতে পারেনি।

হল প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করার অধিকার তার আছে কিনা জানতে চাইলে ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতা বলেন, এই বিষয়ে হল প্রভোস্ট আছে। আমার সভাপতি-সেক্রেটারি আছে তাদের জিজ্ঞেস করেন। 

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিবের কাছে একাধিকবার ফোন ও সরাসরি যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে মাদার বক্স হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রোকনুজ্জামান বলেন, এরকম কোন দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়নি। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের দায় হল প্রশাসন নিবে তবে অনাবাসিক শিক্ষার্থীর দায় হল প্রশাসন নিবে না।

সার্বিক বিষয়ে এই হল প্রাধ্যক্ষ আরও বলেন, হলের কোন আবাসিক শিক্ষার্থী আমার কাছে কোন অভিযোগ করেনি। কেউ অভিযোগ না করলে তো আমরা কোন ব্যবস্থা নিতে পারি না। অভিযোগ আসলে আমরা খুব দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করব।


আরও খবর



বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্বশুর-পুত্রবধুর মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্বশুর ও পুত্রবধূর মুত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার ছোট চৌগ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত শ্বশুর আক্কাশ আলী ফকির (৬০) একই এলাকার মৃত আফেজ উদ্দিন ফকিরের ছেলে ও পুত্রবধূ লাকী বেগম মোয়াজ্জেম ফকিরের স্ত্রী।

সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি আবুল কালাম ও এলাকাবাসী জানান, চোট চৌগ্রামের মৎস্য চাষী হামিদুল ইসলাম তারা বাড়ি থেকে মানুষ চলাচলের রাস্তার উপর দিয়ে অবৈধভাবে এ্যালুমিনিয়ামের খোলা তার দিয়ে পুকুরে লাইন টেনে নিয়ে যায়। সকালে লাকী বেগম ওই রাস্তার পাশে গরুর গোবর তোলার সময় ওই তার সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

পরে লাকী বেগমের শ্বশুর বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুত্রবধূকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আরও জানান, এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরেছেন কারাবন্দী ৪৫ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিয়ানমারের জেলে বন্দী থাকা ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। রোববার (৯ জুন) সকালে দেশে ফেরেন তারা। এর আগে শনিবার (৮ জুন) সকালে রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে শহরের জেলে বন্দী এসব নাগরিক মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাদের অধিকাংশই কক্সবাজার, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।

রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে আসা মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে ওই ৪৫ জন দেশে ফিরেছেন।

গত ২৩ এপ্রিল সর্বশেষ ও বৃহত্তম প্রত্যাবর্তনে ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সিতওয়ের কর্মকর্তাগণ রাখাইনের সিতওয়েতে সশরীরে উপস্থিত থেকে এসব নাগরিকদের পরিচয় যাচাই ছাড়াও তাদের জন্য ভ্রমণের অনুমতি প্রদান (ট্রাভেল পারমিট) এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়ায় সমন্বয় করেন।

প্রসঙ্গত, এই দফায় ৪৫ জনসহ গত এক বছরে মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস মোট ২৪৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

নিউজ ট্যাগ: মিয়ানমার

আরও খবর



জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিধসের বিষয়ে কাউন্সিলরদের সতর্কতা দিল চসিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে বুধবার (১৯ জুন) থেকে আগামী ৭২ ঘণ্টায় রয়েছে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। রয়েছে পাহাড়ধস বা ভূমিধসের শঙ্কাও।

তাই পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকি নিয়ে বাস করা বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসতে মাইকিং করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। পাশাপাশি কাউন্সিলরদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দেওয়া হয়েছে নির্দেশনাও।

বুধবার (১৯ জুন) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানান চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন।

আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা অনুসারে, আগামী তিন দিন সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া ওই সতর্ক বার্তায় চট্টগ্রাম বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন বলেন, আবহাওয়া অফিসের সতর্ক বার্তা অনুযায়ী জলোচ্ছ্বাস এবং ভূমিধসের বিষয়ে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাউন্সিলরদের জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া করপোরেশনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশনা প্রদান করেছে চসিক।

নিউজ ট্যাগ: চসিক

আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গে ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তার পানি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী এলাকা সিকিম। সেখানে গত বছরের ভারী বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির স্মৃতি এখনো ফিকে হয়নি। সিকিমের সেই ভয়াবহ বৃষ্টির জন্য পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন জেলায় বর্ষার পানিতে ভেসে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছিল।

পুরোনো স্মৃতিকে মনে করিয়ে ফের সিকিমে ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর পানির স্তর বাড়লো। ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। এতে আতঙ্কে তিস্তা নদীর পারে বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দারা। চলতি বর্ষা মৌসুমে যেভাবে তিস্তা ফুঁসছে তাতে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

নদীর পানি বইছে প্রবল বেগে। ভাঙছে পাড়। ফলে পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চল কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।

লাগাতার বৃষ্টির জন্য বিপর্যয়ের ভ্রুকুটি উত্তরবঙ্গের জেলাজুড়েই। আর গোটা দক্ষিণবঙ্গ অর্থাৎ কলকাতাসহ নদিয়া, দুই চব্বিশ পরগনা, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, জেলাগুলো ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এরই মধ্যে এই সব জেলাতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

চরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়ার দাপট চলবে হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমানসহ বেশ কিছু জেলায়।

তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৪ জুন) দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রসহ ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার ও রোববার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস ঘোরাফেরা করবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস থাকবে।


আরও খবর
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




সুপার এইটের ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলে যা হবে

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে গেলে কীভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ম্যাচের ফল নির্ধারণ করা হবে, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা-আইসিসি। তবে বিশ্বমঞ্চে সুপার এইটের লড়াইয়ের আগে ফের আলোচনায় বেরসিক বৃষ্টি প্রসঙ্গ। গ্রুপ পর্বে বৃষ্টি বাধায় মাঠে গড়ায়নি বেশ কয়েকটি ম্যাচ। পরিত্যক্ত হয়েছিল ম্যাচগুলো। এবার সুপার এইটেও একই শঙ্কা আছে। সেই তালিকায় বাংলাদেশের ম্যাচ তিনটিও আছে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেষ আটের সবগুলো ম্যাচই ওয়েস্ট ইন্ডিজে হবে। তবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে চোখ রাঙাচ্ছে সেখানকার বৈরী আবহাওয়া। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের বার্বাডোজ, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং অ্যান্টিগায় সুপার এইটের ম্যাচগুলো হবে। জুনের বাকি দিনগুলো এই ৪ জায়গাতেই বৃষ্টি সম্ভাবনা আছে।

স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর সূত্র বলছে, ব্রিজটাউনের আকাশ আগামী কয়েকদিন কালো মেঘে ঢাকা থাকবে। শুক্রবার (২১ জুন) অতিবৃষ্টির সম্ভাবনাও আছে। এই ভেন্যুতে ওইদিন ম্যাচ খেলবে ভারত-আফগানিস্তান। আগামী সপ্তাহজুড়ে শেষ আটের বাকি তিন ভেন্যুতেও বৃষ্টির জোর সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে পূর্বাভাস-বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাকুওয়েদার

চলতি বিশ্বকাপে শুধু প্রথম সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে নেই। মূলত আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী ম্যাচটি নির্ধারিত। এই ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে পয়েন্ট টেবিলের ভিত্তিতে ফাইনালিস্ট নির্ধারিত হবে।

এদিকে সুপার এইটের জন্যও কোনো রিজার্ভ ডের ব্যবস্থা নেই। ফলে ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হলে দুই দলই একটি করে পয়েন্ট পাবে। এতে ফের সমীকরণের মারপ্যাঁচে পরতে পারে বিশ্বকাপের ফেবারিট দলগুলো।

অন্যদিকে বৃষ্টি বাগড়ায় খেলায় বিঘ্ন হলে ফল নির্ধারণের জন্য প্রতিটি দলকে ন্যূনতম ৫ ওভার খেলতে হবে। তবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের ক্ষেত্রে তা হবে ১০ ওভার। আর রিজার্ভ ডে নেই এমন ম্যাচে আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনায় ডিএলএস পদ্ধতিতে ফল নির্ধারণ করা হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৯ জুন থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্ব। সুপার এইটে দুই গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সেমিফাইনালে উঠবে। গ্রুপ-১ এর শীর্ষ দল ২ নম্বর গ্রুপের রানার্স-আপ দলের সঙ্গে খেলবে। অন্যদিকে ১ নম্বর গ্রুপের দ্বিতীয় দলের বিপক্ষে খেলবে ২ নম্বর গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরা।

এই পর্বে গ্রুপ-১তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং আফগানিস্তান। এ ছাড়া গ্রুপ-২ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্র সুপার এইটে খেলবে। এর আগে, বেরসিক বৃষ্টি বাগড়ায় গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।

আগামী ২১ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে সুপার এইট পর্ব শুরু করবে বাংলাদেশ। ২২ জুন রাতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। ২৫ জুন সকালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সুপার এইট পর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।


আরও খবর