দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছান তিনি। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ম্যাক্রোঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
আগেই জানা গিয়েছিল ঢাকায় দুই দিনের সংক্ষিপ্ত সফরকালে বাংলাদেশের জনপ্রিয় গানের দল “জলের গান” এর সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও বাদ্যযন্ত্রী রাহুল আনন্দের ধানমন্ডির বাসার নিজস্ব স্টুডিওতে যাবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার রাতে রাহুল আনন্দের স্টুডিওতে যান ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট। সেখানে রাহুল আনন্দ ছাড়াও আরও তিন শিল্পী আশফিকা রহমান, কামরুজ্জামান স্বাধীন ও আফরোজা সারার সঙ্গে কথা বলেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এ সময় শিল্পীদের গান শোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র দেখেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ রাহুল আনন্দের গান শোনেন। এসময় তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে একতারা বাজানো শেখান রাহুল, যা নিয়ে সেখানে আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এর আগে বিমানবন্দর থেকে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৈশভোজে যোগ দিতে সরাসরি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যান। সেখান থেকে রাহুল আনন্দের বাসায় যান তিনি।
সোমবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবেন ম্যাক্রোঁ। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন। তার এই সফরে বেশকিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হবে বলে জানা গেছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের সোমবার বিকেলে ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন। ৩৩ বছর পর এটাই প্রথম কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর। সর্বশেষ ১৯৯০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মিত্রান্দের বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বিবেচনায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ম্যাক্রোঁর এই সফরের মাধ্যমে ঢাকা ও প্যারিসের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন গতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।