আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

রাজাপুরে স্কুল শিক্ষার্থী শাহারিয়ার হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাঈম, রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠির রাজাপুরে শাহরিয়া ইসলাম তাওহীদ নামে চতুর্থ শ্রেণির এক শিশু স্কুল ছাত্রকে হত্যার বিচার ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ-মানববন্ধন করেছে তার স্বজন, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা।

বোরবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে রাজাপুর-ভান্ডারিয়া মহাসড়কের উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর বলাই বাড়ি নামক এলাকায় ঘন্টাব্যাপি এ বিক্ষোভ-মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে স্বজন, এলাকাবাসী ও ওই এলাকার শিক্ষার্থী বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রায় এক হাজার মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত শাহারিয়ার মা তানিয়া বেগম, বাবা মিলন হাওলাদার, মামা তমাল হোসেব বাবু, মিলনসহ স্থানীয়রা।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর স্কুল ছুটির পরে বাসায় ফেরেনি শাহারিয়ার।

মাসুদ তালুকদার নামের এক ব্যাক্তি বেলডিং ঘর নির্মাণ করেন। সেখানে বিকেলে ট্রলি চালক জাহাঙ্গীর ও সহকারী সাইফুল বালি নিয়ে আসার সময় আমার ছেলে শাহারিয়ারকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দেয় পরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে প্রথমে নির্মাণাধীন ওই ভবনে তাকে লুকিয়ে রাখে এবং পরে গুমের উদ্দেশ্যে মরদেহ বাড়ির পাশের তাফালবাড়ির খালের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। এরপরে রক্তাক্ত অবস্থা মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। রোববার সকালে ওই ভবনের একটি কক্ষে রাজমিস্ত্রী নজরুল ইসলামের কোদাল এবং কনহিতে রক্তমাখা পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে রাজমিস্ত্রী পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় ৫ দিন অতিবাহিত হলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করা হয়।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে এবং তদন্ত চলমান রয়েছে, জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও খবর
পিরোজপুর মুক্ত দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

পিরোজপুর মুক্ত দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




বিএসএমএমইউ এর প্যাথলজি বিভাগের টেস্ট দেশ সেরা : উপাচার্য

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

রোগীদের ভোগান্তি কমাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্যাথলজি বিভাগে পরীক্ষার জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে (৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্হিবিভাগ-২ এর শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। একই সঙ্গে নব কলেবরে প্যাথলজি বিভাগের নতুন নামফলক, লোগো উদ্বোধন, অনলাইন রিপোর্ট প্রদান, প্যাথলজি ল্যাবসমূহ পুনর্বিন্যাস এবং ক্যান্সার মলিকুলার ল্যাবের শুভ উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্যাথলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ জিল্লুর রহমান বিভাগটির সামগ্রিক কার্যক্রম তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, নানান সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে প্যাথলজি বিভাগ যে সেবা দিয়ে যাচ্ছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। বিভাগটিতে কর্মরত সকলেই নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সারাদেশের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের টেস্টের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অনেক। এ বিভাগের টেস্টের রেজাল্ট দেশ সেরা।

অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো এখানকার ছাত্রদের হাতে কলমে ভালভাবে শিক্ষা প্রদান করা। এখানকার রেসিডেন্টদের যদি ভাল করে শিক্ষা দেওয়া যায় তবে দেশের মানুষের উপকার হবে। তাই শিক্ষকদের অনুরোধ করব, আপনারা যেভাবে পরিশ্রম করছেন তা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নিত্যনতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে তাদের দক্ষ বিশেষজ্ঞ হিসেবে করে গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ( প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, বেসিক সাইন্স প্যারা ক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, প্যাথলজি বিভাগের ভিসিটিং অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ কামালসহ বিভাগের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট, কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয় চলতি বছর (২০২৩) প্যাথলজি বিভাগে ৩৮ হাজার ৭শ২৯ জন রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা সংক্রান্ত সেবা প্রদান করেছে। এই বিভাগে রেসিডেন্ট চিকিৎসকগণ গুরুত্বপূর্ণ ৭টি থিসিস সম্পন্ন করেছেন, ৫ টি থিসিস চলমান রয়েছে এবং জনগুরুত্বপূর্ণ ১৭টি প্রকাশনা সম্পাদিত হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: বিএসএমএমইউ

আরও খবর
দেশের বাজারে হামদর্দের নতুন ওষুধ

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হারতে জিতল ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ট্রাভিস হেডকে রেখে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী দলের সকলেই দেশে ফিরে গেছেন। ভারতের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ তাই অস্ট্রেলিয়ার জন্য কঠিনই হওয়ার কথা ছিল। হয়েছেও তাই। শেষ ম্যাচে জয়ের প্রান্তে গিয়েও ৬ রানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শেষ করেছে ৪-১ ব্যবধানে। 

রোববার বেঙ্গালুরুর এম চিন্নেশ্বরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে ভারত। দুই ওপেনার জশস্বী জয়সাওয়াল (১৫ বলে ২১ রান) ও ঋতুরাজ গাইকোয়াড় (১২ বলে ১০ রান) শুরু পেলেও এগিয়ে নিতে পারেননি। তিনে নামা শ্রেয়াস আয়ার খেলেন ৩৭ বলে ৫৩ রানের দারুণ ইনিংস। পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকান এই ব্যাটার।

তবে চারে নামা সূর্যকুমার যাদব (৫) ও পাঁচে নামা রিংকু সিং (৬) ব্যর্থ হন। উইকেটরক্ষক জিতেশ শর্মা ১৬ বলে ২৪ রান করে ও অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল ২১ বলে ৩১ রান করে ৮ উইকেট হারানো দলকে ১৬০ রানের পুঁজি এনে দেন।

আরও পড়ুন>> ইতিহাস গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল বাংলাদেশ

জবাব দিতে নেমে অজি ওপেনার জস ফিলিপস (৪) শুরুতে ফিরে যান। তবে বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি করা ট্রাভিস হেড ১৮ বলে ২৮ রানের ঝড় দেখান। তিনে নামা বেন ম্যাকডরমিট ৩৬ বলে পাঁচ ছক্কার শটে খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস। পরে ১৫ বলে ২২ রান করা  ম্যাথু ওয়েড দলকে জয়ে পথে তুলে নেন। তবে শেষ টানতে পারেননি তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ৩২ রান দরকার ছিল। ১৮তম ওভারে ১৫ রান নিয়ে ম্যাচ সহজ করে ফেলেন ওয়েড। শেষ ১২ বলে দরকার ছিল ১৭ রান। যা শেষ ওভারে ১০ রানে এসে দাঁড়ায়। কিন্তু ওয়েড শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট হওয়ায় ওই রান নিতে পারেনি অজিরা।


আরও খবর
বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত দ্বিতীয় দিনের খেলা

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ছাড় দিতেও প্রস্তুত, আগুন ছেড়ে নির্বাচনে আসুন: মেয়র তাপস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপিকে উদ্দেশ্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাস করে সরকার হটানো যাবে না। আপনারা নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের জন্য সরকার প্রস্তুত রয়েছে। আমরা চাই বিভিন্ন রকমের ছাড় দিয়ে হলেও বিএনপিসহ সবাই নির্বাচনে আসুক। আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস থেকে বিরত থাকুক। নির্বাচনের মাধ্যমই সরকার গঠন হবে। জনগণ কাকে চায় নির্বাচনের মাধ্যমে সেটি প্রমাণ হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ভর্তুকিমূল্যে পণ্য বিক্রি ও স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল ইসলাম, ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মামুন রশিদ শুভ্র প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস করে সরকার হটানো যাবে না। এতে জনগণ পুড়বে, সে আগুনে আপনারাও পুড়বেন। সরকার গঠন করতে হলে সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিকভাবে সঠিক সময়ে নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার গঠন হবে।

তিনি বলেন, এখন দ্রব্যমূল্যের বাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধ্বংস করা হচ্ছে। এ সিন্ডিকেট একসময় আলুর দাম বাড়াচ্ছে, একসময় লবণ, একসময় পেঁয়াজ তো একসময় তেলের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আমরা তো আলু রপ্তানি করি, তাহলে কীভাবে আলুর সংকট পড়ে, কীভাবে আলুর দাম বেশি। একটাই কারণ কুচক্রি মহল রয়েছে, তারা আলু, ডিম, চাল বা তেলের বাজার কারসাজি করছে।

বাণিজ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে মেয়র বলেন, আজ সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। আমরা তো টিসিবির মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষকে খাবার দিতে পারছি। মধ্যম আয়ের মানুষকে দিতে পারছি না। মধ্যম আয়ের মানুষের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আপনি সিন্ডিকেটকে এমনভাবে ধরবেন যাতে তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। তাদের মাথায় বাড়ি দিয়ে বাজার সিন্ডিকেটকে ধরেন, না হলে আমাদের অর্জন সব বৃথা চলে যাবে। কোনো অর্জনই কাজে আসবে না।


আরও খবর
রবিবার হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে না বিএনপি

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




সরকারের শেষ একনেক বৈঠকে ৪৪ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্তমান সরকারের শেষ একনেক বৈঠকে ৪৪টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩০ হাজার ১২৩ কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ১ হাজার ৬৩৯ টাকা ব্যয় করা হবে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঢাকার শেরেবাংলা নগর এলাকায় পার্ক নির্মাণ প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হলেও সেটি অনুমোদন পায়নি। প্রধানমন্ত্রী এটিকে পরে দেখে দেবেন বলে জানিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মোটেও অরিড নই। আমরা নিজভূমে নিজ আইনে পথ চলছি। কাজেই আমাদের কোনো সমস্যা নেই, চিন্তাও নেই।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, একেএম ফজলুল হক, আব্দুল বাকি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে- ঢাকার শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকায় বহুতল সরকারি অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প; ঢাকাস্থ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ১২৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প; চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুন:খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে লক্ষীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার সংযোগকারী সড়ক যথাযথ মানে উন্নতীকরণ প্রকল্প; ইলিয়টগঞ্জ-মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর-বাঞ্চারামপুর জেলা মহাসড়কটি যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প; রাজউক পূর্বাচল ৩০০ ফুট মহাসড়ক হতে মাদানী এভিনিউ সিলেট মহাসড়ক পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; সাতক্ষীরা-সখিপুর-কালীগঞ্জ মহাসড়ক এবং কালীগঞ্জ-শ্যামনগর-ভেটখালী মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প; চার লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক (এন-১) (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) এর চার বছরের জন্য পারফরম্যান্স-বেইজড অপারেশন ও দৃঢকরণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প; গাবতলী সিটি পল্লীতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ক্লিনারবাসীদের জন্য বহুতলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; বর্ধিত ঢাকা পানি সরবরাহ রেজিলিয়েন্স প্রকল্প; ঢাকা স্যানিটেশন উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভিন্ন রাস্তা উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প; বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (আরএমইউ) স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; মুগদা মেডিকেল কলেজের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্প; সাপোর্টিং ইপ্লিমেন্টেশন অব দ্যা মাদার এন্ড চাইল্ড বেনিফিট প্রোগ্রাম প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন এবং আনুষঙ্গিক কাজ বাস্তবায়ন প্রকল্প; আইসিটি শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণের জন্য নেকটারের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রকল্প; উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিস হেলথ প্রিভেনটিভ সার্ভিসেস প্রজেক্ট। যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-১ দূর্যোগ ঝঁকি অর্থায়ন (কম্পোনেন্ট ৩) প্রকল্প; মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ এর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প; যশোর রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা প্রকল্প; সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা ও নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা রক্ষা প্রকল্প; সমগ্র দেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্ব) প্রকল্প; প্রাণী সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভিবাজার (প্রথম পর্যায়) প্রকল্প; মেহেরপুর সদরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণায় সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প; পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এবং মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।

মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব: ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া শুধু মেয়াদ বেড়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প।

অবগতির ৫ প্রকল্প: এসব প্রকল্প ৫০ কোটি টাকার কম ব্যয় হওয়ায় পরিকল্পনামন্ত্রী নিজেই অনুমোদন দিয়েছেন। সেগুলো একনেকে অবহিত করা হয়।

প্রকল্পগুলো হলো- স্মার্ট কৃষি কার্ড ও ডিজিটাল কৃষি (পাইলট) অসমাপ্ত রেখে সমাপ্তকরণ প্রকল্প; তাঁতীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে চলতি মূলধন সরবরাহ ও তাঁতের আধুনিকায়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; জামদানি ভিলেজ স্থাপন প্রকল্প; বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের আওতায় ৫টি বেসিক সেন্টারে ৫টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, একটি ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট এবং ২টি মার্কেট প্রমোশন সেন্টার স্থাপন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প এবং গোলেজা খাতুন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও থেরাপি সেন্টার নির্মাণ, গোপীনাথপুর, পীরগঞ্জ, রংপুর প্রকল্প।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




আজ লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

আজ (৪ ডিসেম্বর) লক্ষ্মীপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন ভোরে লক্ষ্মীপুর শহরের বাগবাড়িস্থ মিলেশিয়াদের প্রধান ঘাঁটি আক্রমণ করে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে।

এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল গুলি বর্ষণের মুখে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় ওই ঘাঁটির দুই শতাধিক রাজকার ও হানাদার সদস্য। এটাই ছিল লক্ষ্মীপুরে হানাদার বিরোধী মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ প্রতিরোধ।

লক্ষ্মীপুরের প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কমান্ডার রফিকুল ইসলাম মাষ্টারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ১ ডিসেম্বর মিলেশিয়াদের বাগবাড়ী ক্যাম্প অনেক দূর থেকে ঘেরাও শুরু করে। প্রবল গুলি বর্ষণ করতে করতে উক্ত ঘাঁটির রাজাকার ও হানাদারদের অবরুদ্ধ রেখে ৩ ডিসেম্বর ঘাঁটির খুব কাছাকাছি ঘিরে ফেলে। মুক্তিযোদ্ধাদের শাড়াঁশি আক্রমণের মুখে অসহায় হয়ে যায় তারা। ৪ ডিসেম্বর ভোরে হানাদাররা আত্মসমর্পণ শেষে লক্ষ্মীপুর ছেড়ে চলে যায়। এদিকে ৯ মাসে লক্ষ্মীপুরের রনাঙ্গণের ৩৭টি সম্মূখ্যযুদ্ধে অংশ নেন। এতে ৩৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

বীর শহীদরা হলেন- মনসুর আহমেদ, রবীন্দ্র কুমার সাহা, আলী আজম, লোকমান মিয়া, জয়নাল আবেদিন, মোহাম্মদ হোসেন, আবদুল বাকির, জহিরুল ইসলাম, আহাম্মদ উল্লাহ, আবদুল মতিন, মাজহারুল মনির সবুজ, চাঁদ মিয়া, নায়েক আবুল হাশেম, মো: মোস্তফা মিয়া, নুর মোহাম্মদ, রুহুল আমিন, আবুল খায়ের, আবদুল হাই, মমিন উল্যা, আবু ছায়েদ, আব্দুল হালিম বাসু, এসএম কামাল, মিরাজ উল্ল্যা, মোঃ আতিক উলাহ, মো. মোস্তফা, ইসমাইল মিয়া, আবদুল্লাহ, আবুল খায়ের ভুতা, সাহাদুলা মেম্বার, আবুল কালাম, মোস্তাফিজুর রহমান, বেনু মজুমদার, আলী মোহাম্মদ, শহীদ নজরুল ইসলাম ও আবদুল রশিদ। তবে জেলায় মোট শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১১৪।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পুরো সময় জুড়ে লক্ষ্মীপুর জেলায় বর্বর পাকিস্থানি হানাদার ও এদেশীয় রাজাকার বাহিনীর হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষত বিক্ষত ছিল। অপরদিকে, মুক্তিযোদ্ধাদের অপ্রতিরোধ্য গেরিলা যুদ্ধ তাদের জন্য আতঙ্কের কারণ ছিলো। ৪ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে লক্ষ্মীপুর হানাদার ও রাজাকার মুক্ত হয়।

লক্ষ্মীপুর শহরের মাদাম ব্রীজ, বাগবাড়ি গণকবর, দালাল বাজার গালর্স হাই স্কুল, মডেল হাই স্কুল, মদিন উল্যা চৌধুরী (বটু চৌধুরী) বাড়ি, পিয়ারাপুর বাজার, মান্দারী মসজিদ ও প্রতাপগঞ্জ হাই স্কুল, রায়পুর আলীয়া মাদ্রাসা, এল.এম. হাই স্কুল ও ডাকাতিয়া নদীর ঘাট, রামগতির চর কলাকোপা মাদরাসা, ওয়াপদা বিল্ডিং, আলেকজান্ডার সিড গোডাউন, কমলনগরের হাজিরহাট মসজিদ, করইতলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন গোডাউন, রামগঞ্জ গোডাউন এলাকা, রামগঞ্জ সরকারী হাই স্কুল, জিন্নাহ হল (জিয়া মার্কেট) ও ডাক বাংলো ছিলো হানাদার ও রাজাকার ক্যাপ এবং গণহত্যার স্থান।

এদিকে, স্বাধীনতা যুদ্ধের ৯ মাসে লক্ষ্মীপুর-বেগমগঞ্জ সড়কে প্রতাপগঞ্জ হাই স্কুল, মান্দারী মসজিদ, মাদাম ঘাট ও বাগবাড়ি, লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কে দালাল বাজার, কাজীর দিঘীর পাড়, কাফিলাতলী, পানপাড়া, মিরগঞ্জ, পদ্মা বাজার, মঠের পুল এবং রামগঞ্জের হাই স্কুল সড়ক ও আঙ্গারপাড়া, লক্ষ্মীপুর- রামগতি সড়কে চর কলাকোপার দক্ষিণে জমিদার হাট সংলগ্ন উত্তরে, করুণানগর, হাজির হাট আলেকজান্ডার এবং রামগতি থানা ও ওয়াপদা বিল্ডিং এলাকা, রায়পুর আলীয়া মাদ্রাসা ও এল.এল হাই স্কুল এলাকায় অধিকাংশ যুদ্ধ সংগঠিত হয়। এ সময় হাজার হাজার নিরীহ মানুষ এবং ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এছাড়া মুক্তিবাহিনীর হাতে শত শত হানাদার ও রাজাকার নিহত হয়।

 বিভিন্ন ইতিহাস এবং মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া তথ্য মতে, যুদ্ধের নয় মাস লক্ষ্মীপুর শহরের বাগবাড়িস্থ বিশাল সারের গুদামটি ছিল মিলেশিয়াদের প্রধান ঘাঁটি। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী স্থানীয় বাঙ্গালীদের ধরে এনে এখানে অমানুষিক নির্যাতন করা হতো। শেষে এদেরকে সন্নিকটস্থ রহমতখালী খালের উপর মাদামব্রীজে ফায়ার করে হত্যা করে খালে ভাসিয়ে দেয়া হতো লাশ। বাগবাড়ির এই জায়গাটিকে বলা হয় টর্চার সেল। যুদ্ধশেষে এই টর্চার সেল লাগোয়া গণকবর স্থাপিত হলেও সংরক্ষণ করা হয়নি মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত মাদাম ব্রীজ এলাকা। ভগ্নদশা নিয়ে পরিত্যাক্ত মাদাম ব্রীজটি মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতনের ক্ষত চিহৃ ও স্মৃতি নিয়ে আজও কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এ স্থানটি সংরক্ষণ করা হয়নি।

সূত্র আরও জানায়, নভেম্বরের শেষের দিকে রায়পুর আলীয়া মাদরাসায় হানাদারদের ক্যাম্প আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা। কমান্ডার হাবিলদার আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা এখানে হানাদারদের সাথে সম্মুখ্য যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম বাসু শহীদ হন।

শহীদ আব্দুল হালিম বাসুর নিজ এলাকা সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের প্রধান সড়কটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়। বিজয়র নগর এলাকায় তাঁর নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাসু বাজার

১৯৭১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ২ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এ কে এম আলী হায়দারের নেতৃত্বে তৎকালীন বৃহত্তর নোয়াখালীর বাঁধের হাট এলাকার রাজগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধারা হানাদারদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন মাজহারুল মনির সবুজ। তাঁর নামানুসারে নিজ এলাকা ভবানীগঞ্জের পিয়ারাপুরে শহীদ মাযহারুল মনির সুবজ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।


আরও খবর
পিরোজপুর মুক্ত দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

পিরোজপুর মুক্ত দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩