আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

রাজধানীতে প্রথম দিন যথাসময়ে বন্ধ বিপণিবিতান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী মূল্যবৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর সারা দেশে দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপণিবিতান খোলা না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যা আজ সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে। প্রথম দিন রাজধানীর বড় বড় শপিং মল ও বিপণিবিতানগুলো যথা সময়ে বন্ধ হলেও ফুটপাতে আগের মতোই বেচাকেনা করতে দেখা গেছে।

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, এলিফেন্ট রোড, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, মৌচাক মালিবাগ, রামপুরা এবং বাড্ডা এলাকায় শপিং মল ও বড় বড় মার্কেট বন্ধ দেখা গেছে। কিন্তু এসব মার্কেটের সামনের সব ফুটপাতে আগের মতোই পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর সারা দেশে দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপণিবিতান খোলা না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

 


আরও খবর



হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন বলে অভিমত দিয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)-এর এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিএজি কার্যালয়ের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং দেশব্যাপী তিনদিনের (১২-১৪ মে) বিশেষ সেবা কার্যক্রম উপলক্ষে শনিবার (১১ মে) এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সিএজি কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।

অর্থমন্ত্রী বলেন, নিয়ত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আন্তর্জাতিক মানের অডিট সম্পাদনের প্রচলিত কমপ্লায়েন্স ও ফিন্যান্সিয়াল অডিটের পাশাপাশি পারফরমেন্স অডিট, আইটি অডিট এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন। এরই মধ্যে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় হিসাবের আধুনিক কাঠামো প্রণীত হয়েছে। হালনাগাদ আর্থিক উপযোজন হিসাব প্রণয়নের মাধ্যমে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, অডিট কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হলে সরকারের আর্থিক সম্পদের দক্ষ ও ফলপ্রসূ ব্যবহার সুনিশ্চিত হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মানসম্পন্ন এবং রিয়েল টাইম অডিট সম্পন্ন করতে সিএজির সার্ভিস সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অর্থ মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

তিনি বলেন, অডিট ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এনে অডিট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে, সময়ের সঙ্গে এর উৎকর্ষতা নিশ্চিত করে যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে। নিরীক্ষক ও নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগের পুরাতন পদ্ধতি বদলে দিয়ে এরই মধ্যে অনলাইন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রায় চার কোটির অধিক অডিট রিপোর্ট নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আদায় হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে উদ্বেগের বিষয়, প্রায় ২৩৫টি অডিট রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে কিন্তু আলোচনা হয়নি।

অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা অটোমেশন করেছি। এখন পেনশন গ্রহণকারীরা ঘরে বসেই পেনশনের টাকা পাচ্ছেন। আমাদের বিভিন্ন খরচের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে সিএজি ভূমিকা রয়েছে।

সিএজি নূরুল ইসলাম বলেন, এখন কোনো পেনশন পেতে ব্যাংকে যেতে হয় না। ঘরে বসেই পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছি। দক্ষ বাজেট ব্যবস্থাপনা আমরা চালু করেছি। রোববার (১২ মে) থেকে আমরা ৩ দিনের বিশেষ সেবা কার্যক্রম চালু করছি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদের ৫ বছরে (২০১৯ থেকে ২০২৩) মোট ৮১টি অডিট রিপোর্ট রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে গত ৫ বছরে ৮১৪টি অডিট আপত্তি আলোচিত হয়েছে। এসময়ে অডিটের সুপারিশ অনুযায়ী অডিট প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ১৭টি অডিট অধিদপ্তর লক্ষাধিক অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করেছে।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ মে পর্যন্ত ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৫০ হাজার ৪৬৫ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৫১২ জন। আর অভিযোগ জমা পড়েছে ৪ হাজার ৯১টি।

এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেন ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭১৫ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেন ২১ লাখ ৯৪ হাজার ৫০ জন। আর অভিযোগ জমা পড়ে ৯ হাজার ১২৫টি। ২০২১-২২ অর্থবছরে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেন ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেন ৮ লাখ ১৫ হাজার ৭১৫ জন। অভিযোগ জমা পড়ে ১৬ হাজার ৯৯৬টি। তার আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেন ২৮ হাজার ৭১২ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৩ জন। আর অভিযোগ জমা পড়েছে ৯ হাজার ৮৯০টি।

এ হিসাবে শেষ চার অর্থবছরে সিএজির ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ৭ লাখ ১৬ হাজার ১১৩ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ৫১ লাখ ৮৬ হাজার ২৮০ জন। আর অভিযোগ জমা পড়েছে ৪০ হাজার ১০২টি।


আরও খবর



দুই যুগ পর এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শহীদুল ইসলাম, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

চেষ্টা আর ইচ্ছে শক্তি থাকলে বয়স কোন ব্যাপার না সেটার প্রমাণ করে দিলেন সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার আঃ শহীদ মজুমদার। ৩৮ বছর বয়সে তিনি এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৪.৫৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

আব্দুস শহীদ মজুমদার উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিবের পুত্র। এছাড়া তিনি সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক।

আজ সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার নিজস্ব আইডিত থেকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, দুই যুগ পর এস এস সি পরীক্ষা পাস করি। জিপিএ ৪.৫৪ পেয়েছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

আব্দুস শহীদ মজুমদারের সাথে প্রতিবেদকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে ১৯৯৪ সালে ৮ম শ্রেণি পাশ করার পর পড়াশোনা ছেড়ে দেই এরপর থেকেই মনের মধ্যে একটা ইচ্ছাশক্তি কাজ করছিল যে এসএসসি পাস করতে হবে। সেই ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দুই বছর আগে নেত্রকোনা রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হই। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়ে বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি।


আরও খবর



রাজনীতি ছাড়ার কারণ জানালেন মিমি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গতবার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। শুধু প্রার্থী নয়, জয়ীও হয়েছিলেন। তবে পাঁচ বছরের মধ্যেই তিনি রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এমনকি এ বছর তিনি লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন না। তার জায়গায় এবার যাদবপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন সায়নী ঘোষ।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে দলের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন মিমি। এখন তার ধ্যান, জ্ঞান সব কিছুই অভিনয়। ক্যারিয়ারে আবারও ভালো করে মন দিতে চান। আর তার মাঝেই রাজনীতি ছাড়ার প্রসঙ্গে এটা কী বলে বসলেন তিনি!

একটি পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজনীতি ছাড়ার প্রসঙ্গে বলেন, 'পিস অব মাইন্ড ফিরে পেয়েছি।' কিন্তু কেন এমনটা মনে করেন মিমি সেটা খোলাসা করলেন না।

টালিউডের স্বজনপোষণ প্রসঙ্গে মিমি বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে একটা গ্রুপ আছে, যারা ঠিক করে কারা ভালো আর কারা খারাপ। বলিউডে স্বজনপোষণ নিয়ে খুল্লামখুল্লা কথা হয়। করণ জোহর যদি ঠিক করেন তিনি কোনো স্টার কিডকে লঞ্চ করবেন তা হলে করেই ছাড়বেন। কিন্তু এখানে মিষ্টির ছুরি সব। কিছুই খোলাখুলি হয় না। সবাই পেছনে নিন্দা করে। একে ওকে বলে যে কাকে ছবিতে নেবে আর কাকে নয়।

মিমিকে আগামীতে আলাপ ছবিতে দেখা যাবে। এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন প্রেমেন্দু বিকাশ চাকি। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে আবির চট্টোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তীকে। থাকবেন স্বস্তিকা দত্ত, কিঞ্জল নন্দা, দেবপ্রিয় মুখোপাধ্যায়, তন্বী লাহা রায়। আগামী ২৬ এপ্রিল বড় পর্দায় আসছে আলাপ।

নিউজ ট্যাগ: মিমি চক্রবর্তী

আরও খবর



অনুমতি না নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ নয়: মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অনুমতি না নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন স্ত্রী। তবে তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট। স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি অবান্তর বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।

মামলার এজহার থেকে জানা গেছে, স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিকবার অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্কের অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্ত হন ওই নারী। কখনও আবার মিলনের আগে তার অনুমতি নেওয়া হয়নি। এজন্য স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে এফআইআর করেছিলেন তিনি। আদালত সেই এফআইআর খারিজ করে দিয়েছে।

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি গুরপাল সিংহ অহলুওয়ালিয়ার বেঞ্চ জানিয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে কোনো প্রকার অস্বাভাবিক যৌনতা ধর্ষণ হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুমতি সংক্রান্ত বিষয়টি অবাস্তব। কারণ মহিলার বয়স ১৫ বছরের নীচে নয় এবং বৈবাহিক ধর্ষণ ভারতীয় আইনে এখনও স্বীকৃত নয়।

আদালতের পর্যবেক্ষণের বলা হয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের সংশোধিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ১৫ বলছরের ঊর্ধ্ব স্ত্রীর সঙ্গে তার স্বামীর কোনো প্রকার যৌন সম্পর্ক ধর্ষণ নয়। এ ক্ষেত্রে তাই স্ত্রীর সম্মতির বিষয়টি বিবেচ্য হয় না। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী, স্বামী তার আইনত বৈধ স্ত্রীর সঙ্গে এক ছাদের নীচে থাকলে অস্বাভাবিক যৌনতা দোষের নয়। তাই এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই।

আদালত আরও জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬বি ধারা অনুযায়ী একটি ক্ষেত্রেই স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন স্ত্রী। যদি আইনত বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও স্বামী এবং স্ত্রী আলাদা থাকেন, তবেই ওই অভিযোগ বৈধ হতে পারে।


আরও খবর



হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন।

শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। হাসপাতালটির কাস্টমার কেয়ার থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আকবর খান রনো হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ২টায় মারা যান। তিনি টাইপ-২ রেসপিরেটরি ফেইলিউর নামক শ্বাসতন্ত্রীয় রোগে ভুগছিলেন। সাধারণত এই রোগে ফুসফুসের অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা কমে যায়।

এদিকে পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সদস্যরা দেশের বাইরে থাকায় মরদেহ সোমবার পর্যন্ত শমরিতা হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে। স্বজনরা দেশে ফিরলে শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নেওয়া হবে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের মরদেহ। এরপর বাবা-মায়ের কবরের পাশে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে হায়দার আকবর খান রনোকে।

হায়দার আকবর খান রনো ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে।

উল্লেখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেতা হায়দার আকবর খান রনো একাধিক বইয়ের লেখক। মার্ক্সবাদী এই তাত্ত্বিক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।


আরও খবর