রাজশাহীতে অপহরণকারী চক্রের একটি টর্চারসেলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। গত শুক্রবার দিবাগত রাতের ভোরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি বিশেষ দল, কুইক রেসপন্স টিম (সিআরটি) এবং বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট যৌথভাবে এ অভিযান চালায়। সেখান থেকে রাইফেলসহ বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মহানগরীর হেতেমখাঁ এলাকার আরেফিন আহাদ খান সানি, মোস্তাক আহম্মেদ ওরফে ফাহিম, মো. পারভেজ এবং মেহেরচণ্ডি কড়াইতলা এলাকার সাব্বির সরকার। সানির বাড়ির দোতলায় ছিল এই টর্চারসেল। সেখান থেকে একটি রাইফেল, কয়েকটি চাইনিজ কুড়াল, চাকু, ছুরি ও রামদার মতো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মহানগরীর লক্ষ্মীপুরে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় ডিবি পুলিশের উপকমিশনার মো. আল মামুন জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নওগাঁর নিয়ামতপুর থেকে আসা দেলোয়ার হোসেন নামে এক ফেরিওয়ালাকে শহরের রাজারহাতা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে রিকশায় তুলে ওই টর্চারসেলে নেওয়া হয়। এর পর মারধর করা হয় দেলোয়ার হোসেনকে। দাবি করা হয় দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ। টাকা না দিলে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পর দিন দুপুরে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়ের পর ছেড়ে দেওয়া হয় দেলোয়ারকে।
দেলোয়ার বিষয়টি ডিবি পুলিশকে জানায়। এর পর ডিবি পুলিশ এই টর্চারসেলে অভিযান চালায়। অভিযানে গ্রেপ্তার চারজন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই তারা এভাবে মানুষকে অপহরণ করে টর্চারসেলে নিয়ে যেতেন। তার পর মুক্তিপণ আদায় করতেন।