আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

রাখাইনের বুচিডংয়ে জান্তা ও আরাকান আর্মির ব্যাপক সংঘর্ষ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুচিডংয়ে জান্তা ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অনেক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, শুক্রবার ভোর থেকে রাখাইনের রাজ্যের বুচিডংয়ের ফুমালি গ্রামে ওই সংঘর্ষ বাধে। ওই গ্রামটি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত।

সংঘর্ষে অনেক রোহিঙ্গা হতাহত হয়েছে। সেখানে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ৫৫১ লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের (এলআইবি ৫৫১) সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আরাকান আর্মি ফুমালি গ্রামে আশ্রয় নেয়। সে সময় মিয়ানমার বাহিনী ওই গ্রাম লক্ষ্য করে আর্টিলারি গানসহ ভারী অস্ত্রের গোলা ছুড়তে থাকে।

সংঘর্ষে শতাধিক রোহিঙ্গা হতাহত হয়েছে। আহত রোহিঙ্গাদের বুচিডং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাখাইনের সূত্রগুলো জানায়, রোহিঙ্গারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র যাওয়ার চেষ্টা করছে।

অনেকে বাংলাদেশে আসার চেষ্টাও করছে। ২০১৭ সালে নিপীড়নের সময় রাখাইনের বুচিডং থেকে অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয়ের খোঁজে বাংলাদেশে এসেছিল।

রাখাইন থেকে নির্বাসিত গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের মাধ্যমে পরিচালিত সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সচিত্র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিতুয়েতে সংঘাতের আশঙ্কায় অনেক বাসিন্দা রাখাইন রাজ্য ছেড়ে মিয়ানমারের সাবেক রাজধানী ইয়াংগুনে আশ্রয় নিচ্ছে। এয়ারলাইনস সেবা সংস্থাগুলো বলছে, আগামী মার্চের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সব এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। কয়েক মাস ধরে সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে মিয়ানমারের জান্তা একের পর এক এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে।

জান্তা অনুগত সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রাখাইনে লড়াই করছে আরাকান আর্মি নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। গত বুধবার আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগর পকতাওয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এরপর সেখানে আবারও নিয়ন্ত্রণ নিতে জান্তা অনুগত সামরিক বাহিনী বোমা বর্ষণ ও লড়াই করছে।

মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার বাংলাদেশ অংশের লোকজন জানায়, গত সোমবার থেকে পশ্চিম রাখাইনে শুরু হওয়া গোলাগুলিতে সীমান্তের এপারে  তমব্রু এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে। সীমান্ত এলাকা থেকেই বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে গোলাগুলির প্রভাব এপারে থাকাটা স্বাভাবিক। তবে বিজিবি, গ্রাম পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা সতর্ক রয়েছেন। ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিজিবি সব সময় সতর্ক আছে। তিনি বলেন, সীমান্তে বসবাসরত গ্রামবাসীকে নিরাপদে রাখতে বিজিবি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তারা রাত-দিন কাজ করছে।


আরও খবর



তেলের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভোজ্যতেলের স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ ছিল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এরইমধ্যে এর মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন মিল মালিকরা। তবে তেলের দাম বাড়িয়ে আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে এ কথা জানান তিনি। ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ। উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেলের স্থানীয় উৎপাদনে ও আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ৫ শতাংশ কমায় এনবিআর। ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ শেষ হওয়ায় তেলের দাম আগের অবস্থায় নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন মিল মালিকরা।

এর জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, তেলে ৫ শতাংশ ডিউটি কমিয়েছিলাম, এতে ভোক্তা পর্যায়ে ১০ টাকা কমেছিল তেলের দাম। সেই ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। আমাদের ট্যারিফ কমিশন এটা নিয়ে কাজ করছে। দেখা হচ্ছে মিলাররা কী দামে তেলের কাঁচামাল আনছেন তার দাম কেমন পড়ছে ইত্যাদি বিষয়ে। তবে তেলের দাম পূর্বের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই এটা বলতে পারি।

তেলের দাম বাড়াতে গতকাল সোমবার বাণিজ্যসচিবকে চিঠি দেন মিল মালিকরা। সেখানে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিঠির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চিঠিও আমি এখনো পায়নি, যদি পাঠিয়ে থাকেন অফিসে যেয়ে দেখতে হবে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোটি টাকার মাদকের পার্সেল, আটক ৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের বৈদেশিক ডাক শাখায় আসা একটি পার্সেলে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল যুক্ত কুশ, কেনাবিনয়েড চকলেট ও কেনাবিস কেক জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো উত্তর কার্যালয়।

এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনজন মাদক কারবারিকে আটক করেছে ডিএনসি।

সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএনসির সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের বৈদেশিক ডাক শাখায় একটি পার্সেল আসে। পার্সেলে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণে টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল যুক্ত কুশ, কেনাবিনয়েড চকলেট ও কেনাবিস কেক জব্দ করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী সেগুনবাগিচা ডিএনসি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ঢাকার কাছে ঘুরতে পারেন যেসব জায়গায়

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

নববর্ষসহ ঈদের ছুটিটা এবার বেশ লম্বা। এদিকে ছুটিতে রাজধানীর অধিকাংশ মানুষই গ্রামে ছুটেন। তবে যারা রাজধানীতে ঈদ উদযাপন করবেন ও ছুটি কাটাবেন তার চাইলে ঢাকার আশপাশেই ঘুরে বেড়াতে পারেন কয়েকটি জনপ্রিয় স্পটে। ঈদের ছুটিতে পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দল বেঁধে ঘুরে আসতে পারেন এসব স্পটে। চলুন কয়েকটি স্পটের কথা জেনে নেয়া যাক।

সোনারগাঁ জাদুঘর : বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনটি সোনারগাঁ জাদুঘর হিসেবেই পরিচিত। রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এর অবস্থান। এক সময় মসলিনের জন্য বিখ্যাত ছিল সোনারগাঁ। মসলিনের বিকল্প জামদানি শাড়ি সরাসরি তৈরি করতে দেখা যাবে কারুপল্লীর ভেতরে। এখানে দেখার মতো রয়েছে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন জাদুঘর ও ফাউন্ডেশন চত্বর। লেকঘেরা ফাউন্ডেশন চত্বরে রয়েছে কারুপল্লী, নৌকা ভ্রমণ ও টিকিট কেটে মাছ ধরার সুযোগ।

বার ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈসা খাঁ দীর্ঘদিন সোনারগাঁ শাসন করেছেন। সোনারগাঁয়ের চারদিকে নদী দিয়ে ঘেরা ছিল বলে সহজে সোনারগাঁকে কোনো শত্রু আক্রমণ করতে পারতো না। ১৯৭৫ সালে এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর। কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। আর বিদেশি পর্যটকদের জন্য ১০০ টাকা।

জিন্দা পার্ক : কম সময়ে ও কম খরচে ঘোরার জন্য যেতে পারেন পূর্বাচল হাইওয়ের কাছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত জিন্দা পার্কে। সারাদিন সবুজের মধ্যে ঘোরাঘুরি করে ফিরে আসতে পারেন কিংবা থেকে যেতে পারেন রাতেও। খাওয়া দাওয়ার জন্য পার্কের ভেতরেই আছে রেস্টুরেন্ট।

জল জঙ্গলের কাব্য : জল জঙ্গলের কাব্য গাজীপুর জেলার পুবাইলে অবস্থিত। নগর জীবন থেকে বের হয়ে খোলামেলা গ্রামীণ পরিবেশ উপভোগ করতে চাইলে জায়গাটি আদর্শ। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকেলের নাস্তা ও রাতের খাবারসহ সব সুবিধা পেয়ে যাবেন এখানে।

ড্রিম হলিডে পার্ক : ড্রিম হলিডে পার্ক ঢাকার পাশেই নরসিংদীতে অবস্থিত একটি থিম পার্ক। পরিবার পরিজনদের নিয়ে সারাদিন হৈচৈ আর আনন্দে মাতামাতি করতে অথবা পিকনিক করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গাটি থেকে। রাতে থাকার জন্যও রয়েছে রিসোর্টের সুব্যবস্থা।

পানাম নগরী : বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ের পানাম নগরী বীর ঈশা খাঁর সময়কালে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। সোনারগাঁয়ের রাজকার্য পরিচালিত হতো পানাম নগরী থেকে। বর্তমানে যে পানাম দাঁড়িয়ে আছে তার অবকাঠামো ব্রিটিশ আমলের। প্রাচীন পানাম চাপা পড়ে আছে আধুনিক পানামের নিচে।  এখানে গড়ে উঠেছিল অসংখ্য অট্টালিকা, মসজিদ, মন্দির, মঠ, ঠাকুরঘর, গোসলখানা, নাচ ঘর, খাজাঞ্চিখানা, টাকশাল, দরবার কক্ষ, প্রশস্ত দেয়াল, ভোজনালয়, বিচারালয়, প্রমোদ কুঞ্জ ইত্যাদি।

পানাম নগরীতে দেখা যায় চারশ বছরের পুরনো মঠ-বাড়ি। এর পশ্চিমে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্য কুঠি নীলকুঠি রয়েছে। আছে পোদ্দার বাড়ি, কাশিনাথের বাড়ি, সোনারগাঁয়ের একমাত্র আর্টগ্যালারিসহ নানা প্রাচীন ভবন। পানামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পঙ্খিরাজ খাল। শেরশাহ আমলে নির্মিত সোনারগাঁ থেকে সিন্ধু পর্যন্ত ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড-ট্রাংক রোডের কিছু অস্তিত্ব পানামে আজো দৃষ্ট হয় বলে হাল আমলে তা পাকা করা হয়।

বাংলার তাজমহল : ২০০৮ সালে সোনারগাঁয়ের মতো অজপাড়া গায়ে ভারতের আগ্রার তাজমহলের আদলে নির্মিত বাংলার তাজমহলর ফটক সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্থানে বসানো টাইলস, বিদেশি ডায়মন্ড ও পাথর, গম্বুজের ওপরে ব্রোঞ্জের তৈরি চাঁদ-তারায় আরও দৃষ্টিনন্দন বাংলার তাজমহল। প্রবেশ মূল্য রাখা হয় মাত্র ৫০ টাকা।


আরও খবর



গাজা উপকূলে বন্দর নির্মাণের ছবি প্রকাশ করল আমেরিকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড গত সপ্তাহে গাজার উপকূলে নির্মাণ শুরু করা অস্থায়ী সামুদ্রিক বন্দরের প্রথম ছবি প্রকাশ করেছে। মে মাসের শুরুতে চালু হলে ছিটমহলে মানবিক সহায়তার প্রবাহ দ্রুত করার লক্ষ্যে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্চ মাসে বন্দর নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এর আগে, সাহায্য কর্মকর্তারা গাজার ওভারল্যান্ড রুটে ত্রাণ সরবরাহ সহজ করার জন্য ইসরাইলকে অনুরোধ করেছিলেন।

বন্দরটি গাজা শহরের ঠিক দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। যুদ্ধের সময় গাজাকে দ্বিখণ্ডিত করতে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী নির্মিত রাস্তার সামান্য উত্তরে এটি।

মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সোমবার রয়টার্সকে জানান, বন্দরটি নির্মাণের খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা চলতি বছরের শুরুর দিকের প্রাথমিক অনুমানের দ্বিগুণ।


আরও খবর



গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৪

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার একটি শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এতে চার শিশুসহ অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে বোমা হামলা চালালে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বর্বর এই হামলার শিকার বাড়িটি ছিল আবু ইউসুফ পরিবারের।

এর আগে, গত মাসেও গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে ১৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। নিহতদের সবাই ছিল নারী ও শিশু।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।


আরও খবর