আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

রামেকে করোনা ইউনিটে আরও ১২ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বুধবার (৩০ জুন) ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিন মঙ্গলবার (২৯ জুন) সর্বোচ্চ রেকর্ড ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেএই হাসপাতালে।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের মধ্যে এই ১২ জনের মারা যান। এ নিয়ে চলতি মাসের ৩০ দিনে (১ জুন সকাল ৮টা থেকে ৩০ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ৩৫৫ জন। এর আগে ২৪ জুন এ হাসপাতালে সর্বোচ্চ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী  জানান, মৃত ১২ জনের মধ্যে ৫ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। আর অপর ৭ জন ভর্তি ছিলেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রাজশাহী জেলার ৮ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ২ জন ও নাটোর জেলার ১ জন, নওগাঁ জেলার ১ জন রোগী রয়েছেন।

বয়স বিবেচনায় মৃতদের ষাটোর্ধ্ব ৪ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪০ এর মধ্যে ১ জন রয়েছেন। তবে ৩০ বছরের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়নি আজ। রাজশাহীর দুটি পিসিআর ল্যাব গত মঙ্গলবার মোট ৬৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ২৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা শনাক্তের হার রাজশাহী জেলায় বেড়ে আবারও ৩২ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশে উঠেছে। এছাড়া নওগাঁ জেলায়ও করোনা শনাক্তের হার বেড়ে ৪৭ দশমিক ৭৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

রামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ ও করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৬৩ জন। এর মধ্যে রাজশাহী জেলারই রয়েছেন ৪৩ জন। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৮ জন, নাটোর জেলার ৪ জন, নওগাঁ জেলার ৬ জন, পাবনা জেলার ২ জন রোগী আছেন। বুধবার (৩০ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত এ হাসপাতালে ভর্তি আছেন মোট ৪৬০ জন রোগী। অথচ হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পরও রয়েছে ৪০৫টি। গত ২৭ জুন রামেক হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন যুক্ত করে এই ওয়ার্ডটিও কোভিড ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হয়েছে। এই ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যা রয়েছে ৪৮টি। আগে হাসাপাতালের ডেডিকেটেড শয্যা সংখ্যা ছিল ৩৫৭টি। এর সাথে ৪৮টি শয্যা বেড়ে ৪০৫টি দাঁড়িয়েছে। এর পরও ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন। ৪০৫ জনের বাইরের রোগীরা হাসপাতালের মেঝেতে এবং ওয়ার্ডের বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বর্তমানে রামেক হাসপাতালে ৪ নম্বর ওয়ার্ডটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযোজনের কাজ চলছে। এখানে ৪৫টি শয্যা রয়েছে। এটি হবে করোনা ইউনিটের সর্বশেষ সংযোজন। কারণ এরপর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আর কোনো ওয়ার্ড নতুন করে করোনা ইউনিটে সংযুক্ত করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র তাপমাত্রায় থাকে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই একে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। এই গরমে সবাইকেই থাকতে হবে সতর্ক। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে সব ধরনের ঝুঁকি। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে সচেতন ও সতর্ক থাকার বিকল্প নেই। সেজন্য নিজে জানার পাশাপাশি অপরকেও এর লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে জানানো জরুরি। কারও হিট স্ট্রোক হয়েছে মনে হলে তাকে দ্রুত কিছু সেবা দিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

শ্বাস এবং সঞ্চালন পর্যবেক্ষণ : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস এবং সঞ্চালনের উপর কড়া নজর রাখুন। যদি তিনি অজ্ঞান হয়ে যান বা শ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দেন, তবে অবিলম্বে সিপিআর শুরু করুন এবং জরুরি চিকিৎসা সহায়তা না পাওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যান। সেজন্য আপনাকে সিপিআর জেনে রাখতে হবে। এটি অনেক জরুরি অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে।

ঠান্ডা পানীয় পান : হিট স্ট্রোকের প্রভাব এড়াতে ঠান্ডা পানি বা ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় পান করাতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় বা খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা কিছু খেলে তা কাঁপুনির কারণ হতে পারে, যা শরীরের তাপ উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ভেজা কাপড় বা আইস প্যাক : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাবে। এমন অবস্থায় তার শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য শীতল ও ভেজা কাপড় বা আইস প্যাক ব্যবহার করুন। আক্রান্ত ব্যক্তির মাথা, ঘাড়, বগল এবং কুঁচকির দিকে এটি বেশি ব্যবহার করুন। কারণ এসব স্থান শরীরের প্রধান তাপ-বিনিময় অঞ্চল।

শীতল ও ছায়াযুক্ত পরিবেশে রাখুন : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত রোদ থেকে সরিয়ে শীতল ও ছায়াযুক্ত পরিবেশে নিয়ে যান। সবচেয়ে ভালো হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নিয়ে যেতে পারলে। এমন পরিবেশ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।

পোশাক ঢিলে করে দিন : এই গরমে ভারী বা আঁটসাঁট পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন। অন্যদেরও একই পরামর্শ দিন। যতটা সম্ভব হালকা ও প্রশান্তিদায়ক রং বেছে নিন। এই গরমে কালো রঙের পোশাক পরা এড়িয়ে চলুন। আবার কেউ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে মনে হলে তার পরনের পোশাক ঢিলে করে দিন।


আরও খবর



দেশের বাজারে ফের কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৯৯ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হ‌চ্ছে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে চল‌তি এপ্রিল মাসের ৬, ৮ ও ১৮ তারিখ সোনার দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বাড়ানো হয়েছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস। এরপর দুদফায় ভরিতে ৩১৩৮ ও ২০৯৯ টাকা কমানোর ঘোষণা দিলো বাজুস।

সোনার ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৪ এপ্রিল বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৩ হাজার ৪২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম হবে ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা।

সোনার দাম কমানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।


আরও খবর



স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিশাল পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সোমবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় তারা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাপ্ত হয়।

এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হাতে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা, ব্যানার ও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ও অন্যান্য ইউনিট থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন।

মিছিলে ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড, স্বৈরাচার নিপাত যাক-ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, উই ওয়ান্ট জাস্টিস-জয় জয় ফিলিস্তিন, ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে। ধ্বংস করছে পুরো গাজাকে। আমরা সাধারণ মানুষ হিসেবে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ইসরাইল যে গণহত্যা চাচিয়েছে তার নিন্দা জানাই এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় তাদের শাস্তি জানাই।

এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে একযোগে বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ।


আরও খবর



গরমে যে নিয়মে ডিম খেলে শরীর সুস্থ থাকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গরমে শরীর না ঘামলেও অনুভূত হচ্ছে অসহনীয় তাপ; যেন শরীর জ্বালাপোড়া করে পুড়ে যাচ্ছে! অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। গরমে শরীর সুস্থ রাখা জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে গরমে চিকিৎসকেরা হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । মাংসও ঘন ঘন খেতে বারণ করেন। পরিমাণেও রাশ টানার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বরং সবজি দিয়ে পাতলা মাছের ঝোল কিংবা ডাল খেতে বলেন। তবে ডিমের বিষয়টি আলাদা।

ডিম শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। চনমনে রাখে। প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। তাই বলে গরমে ইচ্ছেমতো ডিম খেয়ে যাওয়া কি ঠিক? পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে ডিম খাওয়া যাবে না, এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। ডিম খেলে হজমের গোলমাল হওয়ার কোনও কারণ নেই। ভাল করে সেদ্ধ করে নিলে সালমোনেলা ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণেরও ভয় নেই। গরমের সঙ্গে ডিমের কোনও বিরোধ নেই।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের জন্য চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। বেশিরভাগ পুষ্টিকর উপাদান প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো ডিম। যেমন- ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ্। এছাড়াও ডিমে আছে লুটেইন ও যিয়াস্যানথিন নাম দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা বৃদ্ধ বয়সে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে ডিম খেলে যে ক্ষতির কোনও কারণ নেই কিন্তু কী খাচ্ছি, তার চেয়েও কতটা খাচ্ছি, সে দিকে নজর রাখা জরুরি। গরমে ডিম খাওয়ার পরিমাণে কতটা রাশ টানা জরুরি? আসলে পরিমাণটা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত কিংবা অক্লান্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাদের পর্যাপ্ত প্রোটিন খাওয়া জরুরি সে ক্ষেত্রে। সেই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে দিনে দু-তিনটি ডিম খান অনেকেই। কিন্তু অনেকের আবার শারীরিক পরিশ্রম কম। শরীরচর্চাও করেন না। সে ক্ষেত্রে দিনে একটির বেশি ডিম না খাওয়াই ভাল। বয়স, উচ্চতা, শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণ এবং আরও বেশ কয়েকটি বিষয় জড়িয়ে থাকে ডিম খাওয়ার সঙ্গে।

গরমে হালকা খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে, গরমের খাদ্যতালিকায় রাখতেই পারেন ডিমকে। ডিম হল সুপারফুড। পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রোটিন, ভিটামিন ডি, বি, জিংক ও ক্যালসিয়ামে ভরপুর ডিম।

স্বাস্থ্যে একাধিক উপকারিতা প্রদান করে ডিম। এমনকি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখে। হজমের সমস্যা না থাকলে প্রতিদিনই ডিম খাওয়া যায়। কিন্তু একটার বেশি ডিম খেলে এই গরমে কি শারীরিক সমস্যা বাড়বে?

অনেকের ধারণা, গরমকালে ডিম খাওয়া উচিত নয়, এতে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। এটা শুধু ধারণা মাত্র। ডিমের মধ্যে ভালো কোলেস্টেরল রয়েছে, যা আদতে হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু গরমে ভারী খাবার একটু এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

এমনকি পেট গরম হতে পারে ভেবে অনেকে ডিম খাওয়াও কমিয়ে দিয়েছেন। গরমে ডিম খাওয়া মানা নয়। তবে পরিমাণের দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। গরমে দিনে দুটির বেশি ডিম খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কারও হজমশক্তি খুব ভাল হলেও বেশি ডিম খাওয়া ঠিক হবে না। ডিম দিয়ে কী বানাচ্ছেন সেটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। ডিম দিয়ে অনেক মুখরোচক খাবার তৈরি করা যায়। জেনে নিন গরমে যে নিয়মে ডিম খেলে শরীর সুস্থ থাকে

ডিম সেদ্ধ করুন এমন ভাবে, যাতে ডিমের সাদাটি সিদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অথচ কুসুমটি নরম তুলতুলে থাকে। এই ভাবে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই ভাবে সেদ্ধ করলে ডিমের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক জীবাণুও মরে যায়। টোস্ট আর ডিম পোচ জুটির বাঙালি বাড়িতেও কম জনপ্রিয়তা নেই। এই গরমে ডিম খেতে হলে পোচ বানিয়ে খাওয়াই ভাল। পেটের গোলমাল হওয়ার ভয় নেই। শরীরও শক্তি পায়। শারীরিক কোনও অস্বস্তি হয় না।

অনেকেই হাফ বয়েল ডিমে আঁশটে গন্ধ পান। তাদের জন্য পুরো সেদ্ধ ডিমই সেরা। মিনিট পাঁচেক পানিতে ফুটিয়ে নিলেই ডিম সিদ্ধ তৈরি। চটজলদি খাবার হিসাবে ডিম সেদ্ধর বিকল্প নেই। লবণ আর মরিচ দিয়েই খেয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়াও সেদ্ধ ডিম দিয়ে বানাতে পারেন এগ সালাদ কিংবা এগ স্যান্ডউইচ।

গরমকালে ডিম খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। এতে মুখরোচক খাবার খাওয়া থেকেও দূরে থাকতে পারবেন। এতে সহজেই ওজন কমবে। আর দেহে পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ হবে। তাই স্বাস্থ্যের কোনও গন্ডগোল না থাকলে প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারেন।


আরও খবর



আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল: বাইডেন প্রশাসন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে গাজায় হামলার ক্ষেত্রে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে বাইডেন প্রশাসন। স্থানীয় সময় শুক্রবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়। কংগ্রেসে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া পর এমন তথ্য সামনে এসেছে।

হোয়াইট হাউসের নির্দেশিত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্র ইসরায়েল কীভাবে ব্যবহার করেছে। যদিও ওই প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানের তীরষ্কার করা হয়। তবে এটা স্পষ্ট করে বলা হয়নি যে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজায় হামলার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে কি-না।

এতে আরও বলা হয়, গাজায় হামলার ক্ষেত্রে ইসরায়েল সেনাবাহিনীকে হামাসের বিরুদ্ধে একটি কঠিন সামরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইসরায়েল যেভাবে আশস্ত করেছে এজন্য তাদের আরও অস্ত্র পাঠানো যেতে পারে।

আরও বলা হয়, সামরিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য হামাস যেভাবে বেসরকারি অবকাঠামোতে হামলা এবং মানব ঢলকে যেভাবে ব্যবহার করেছে তাতে বৈধ প্রক্রিয়ায় স্থলভাগে নির্দিষ্ট বস্তুকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো কঠিন ছিল।

এদিকে সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জো বাইডেন বলেছেন, ওই বোমার আঘাতে এবং অন্যভাবে গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন। ইসরাইলের প্রতিরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়বদ্ধ। তাই তারা আয়রন ডোম রকেট ইন্টারসেপটার দেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র একটা বিভাজনরেখাও তৈরি করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইসরাইল যদি রাফাতে আক্রমণ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে না।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই সময়ে তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।

এ হামলার প্রতিবাদে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। কিন্তু হামলায় দেশটি কোনো নিয়মের তোয়াক্কা করেনি। ফলে ৩৪ হাজারের বেশি নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।


আরও খবর