ইউক্রেনে হামলার চালানোর জেরে রাশিয়ার
ওপরে পশ্চিমা নানা দেশ যেসব নিষোধাজ্ঞা আরোপ করেছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মনে
করছেন, তা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল। ‘তবে সৃষ্টিকর্তাকে
ধন্যবাদ যে সত্যিকার অর্থে সেরকম কিছু ঘটেনি,’ বলেন পুতিন।
খবর বিবিসির
পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন ইউক্রেনের
আকাশসীমার ওপরে প্লেন চলাচল বন্ধ বা ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা দিলে সেটিকে
সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। কেউ যদি এমন করে তবে তাকে শত্রু
হিসেবেই জবাব দেওয়া হবে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স এরোফ্লোটের
একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সফরকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পুতিন বলেন, বর্তমান নেতৃবৃন্দকে বুঝতে
হবে, তারা যে পথে এগোচ্ছেন, সেই পথেই যদি এগোতে থাকেন, তাহলে তারা রাষ্ট্র হিসেবে ইউক্রেনের
ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে ফেলবেন।
রাশিয়াতে মার্শাল ল বা জরুরি অবস্থা ঘোষণা
করা হবে কি-না, এমন ধারণা নাকচ করে দিয়ে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, সামরিক কর্মকাণ্ড রয়েছে
এমন নির্দিষ্ট কোনো জায়গার বাইরে থেকে আগ্রাসনের ঘটনা ঘটলে শুধুমাত্র তখনই এমন পদক্ষেপ
নেওয়া হবে। এমন পরিস্থিতি এখন নেই। আমি আশা করছি এমন কিছু হবে না।
পুতিন মার্শাল ল ঘোষণা করবেন এবং রাশিয়ার
সরকারি কার্যক্রম সেনাবাহিনীর অধীনে চলে যাবে এমন গুজব তৈরি হয়েছে।
দিন দশেক আগে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর
পর পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যার
মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা ‘সুইফট’ থেকে রাশিয়ার
কয়েকটি ব্যাংককে বিচ্ছিন্ন করা, বিদেশে পুতিনের যেসব সম্পদ রয়েছে, সেগুলো জব্দ করা।
এছাড়া বিভিন্ন আন্তঃদেশীয় কোম্পানি রাশিয়াতে
কার্যক্রম বন্ধ অথবা সীমিত করেছে। সর্বশেষ শনিবার স্যামসাং, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভিসা,
মাস্টারকার্ড, পেপ্যাল এবং পোশাক বিক্রেতা কোম্পানি জারা রাশিয়াতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম
স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার অর্থনৈতিক প্রভাব ইতোমধ্যেই
পড়তে শুরু করেছে রাশিয়ার ওপরে। রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের মূল্য পড়ে গেছে। বাধ্য হয়ে
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূদের হার দ্বিগুণ করেছে।