দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জে করা রিট আবেদনের ওপর আদেশের জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। শুনানিতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ আদালতের উদ্দেশে বলেন, তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেসময় রাতে ভোট হয়েছে। হাইকোর্ট এসময় বলে, ‘রাতে যে ভোট হয়েছে তার প্রমাণ দিন। এ নিয়ে কোনো মামলা কি হয়েছে? কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া কারও কথার ভিত্তিতে আদালত অভিযোগ আমলে নিতে পারে না।’
গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ হাইকোর্টে এ রিট আবেদনটি করেন। রিট আবেদনের পক্ষে ইউনূস আলী আকন্দ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
আরও পড়ুন>> আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সচিব ও আইজি প্রিজন্স
শুনানিকালে রিট আবেদনকারী বলেন, নির্বাচন কমিশনের যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়াই নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে। সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদের বরাতে বলেন, নির্বাচন করতে এখন থেকে আরও পাঁচ মাস সময় আছে। এছাড়া ১২৩ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনের দৈব দুর্বিপাকের কারণে নির্ধারিত সময়ের পরেও নির্বাচন করা যায়। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার ছোট করার কথা থাকলেও সেটি হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি। সব দল নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
শুনানির একপর্যায়ে রিটকারী বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন সংসদ সদস্য হয়েছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি অংশ নিয়েছিলাম। তখন রাতে ভোট হয়েছে। হাইকোর্ট এ সময় বলে, ‘রাতে যে ভোট হয়েছে এর কি কোনো প্রমাণ আছে?’ আইনজীবী বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে এসেছে। অনেকেই বলেছেন। আদালত বলেন, ‘বাইরে অনেকেই অনেক কথা বলেন। রাতের ভোটের কারণে আপানারা কি কোনো মামলা করেছেন। আপনারা সাক্ষীর মাধ্যমে প্রমাণ করে দেখান যে রাতে ভোট হয়েছে। মিডিয়া বা রাজনীতিবিদরা কি বললেন তাতে আদালত অভিযোগ নিতে পারে না।’
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘নির্বাচনী তফসিল ঘোষণায় আইন ও সংবিধানের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। নির্বাচন কমিশন সংবিধানের বিধান মেনেই তফসিল দিয়েছে। এই রিট আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।’