আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

রাতেই গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাতের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অধিদফতর। এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে নাম হবে মিধিলি

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান ও আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ছেন, আজ রাতের মধ্যেই গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এখন পর্যন্ত গতিপথ অনুযায়ী এটি বাংলাদেশের দিকেই আসছে।

শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত অথবা শনিবার ভোরে এটি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তবে খুব বড় মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হবে না বলেই ধারণা তাদের।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলীয় এলাকা, দ্বীপ এবং চরগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। ফলে এসব এলাকায় ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে। একইসাথে ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে রাত ১টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে পূর্ব অথবা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

 তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

নিউজ ট্যাগ: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি

আরও খবর
কমবে বৃষ্টি, বাড়বে শীতের অনুভূতি

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

‘মিগজাউম’ শক্তি হারাচ্ছে, জেঁকে বসবে শীত

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




‘পোলাও না পেলেও ডাল-ভাত খেতে পারছে দরিদ্ররা’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে দরিদ্রের অবস্থাও উন্নত হয়েছে। তাদের বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে। নিরাপদ পানি পাচ্ছে। পোলাও না খেতে পারলেও পাঙাশ মাছ, ভাত-ডাল খেতে পারছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, আমরা কোনো বৈপ্লবিক সরকার নই। তবে মন্দের ভালো আমরা। বৈষম্য বেড়েছে সত্যি। কিন্তু দরিদ্রের অবস্থাও উন্নত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গুলশানের একটি হোটেলে সরকারি গবেষণা সংস্থা বিআইডিএসের তিন দিনের কনফারেন্সের উদ্বোধনী সেশনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান।

প্রথম দিনের সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সুশীল সমাজ ও গ্রামীণ মানুষের আলোচনার বিস্তার ফারাক আমাকে তাড়িত করে। স্থিতিশীলতা ও ধারাবাহিকতা নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয় না। মালোশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ এবং সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থেকে দেশ দুটিকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এখানে কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে স্বৈরাচারী বলা হয়। কিন্তু কীভাবে (নির্বাচিত হয়ে) ক্ষমতায় থাকা হয় তা বলা হয় না।

গ্রামে বসবাসরত দেশের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ আরও উন্নয়ন অর্থাৎ টিউবওয়েল, টয়লেট, ওষুধ ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চায়। নাগরিক সমাজ ও গ্রামীণ ভোটারদের আলোচনায় এমন বিস্তর ফারাক নিয়ে অস্বস্তি বোধ করেন বলেও জানান মন্ত্রী। 

আরও পড়ুন>> সারা দেশে ৩৩৮ ওসিকে বদলির প্রস্তাব অনুমোদন

পশ্চিমাদের শ্রমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন করা আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইউরোপ আমেরিকায় কেন মানুষ কজের জন্য যেতে চাইলে বাধা দেওয়া হবে? কারা সম্পদ লুণ্ঠন করে কাঁটাতার দিয়েছে এসব প্রশ্ন করা উচিত।

চীনের আদৌ পতন হবে কি না এমন প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, বলা হচ্ছে চীনের উত্থান নিচের দিকে পড়ে যাবে। কিন্তু আদৌ কি তাই হবে? কারণ আমরা ৯০-এর দশক থেকে উত্তর কোরিয়ার কথা শুনে আসছি। তারা নাকি খেতে পায় না। কিন্তু আমরা দেখছি তারা তো খেয়ে পড়ে ভালোই আছে।

গণতন্ত্র, ন্যায্যতা ও স্বাধীনতাকে বাই প্রোডাক্ট উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মূল বিষয় হলো লাইফ। আমরা যদি উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে পারি তাহলে ওসব এমনিতেই এসে পড়বে।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




আগামীকাল ইসির সঙ্গে বৈঠকে বসছে ইইউ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল। নির্বাচন কমিশনে এ যৌথসভায় সংস্থাটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২২ নভেম্বর ই-মেইলে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৩টায় যৌথসভায় বসতে সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনাররা মাঠপর্যায়ে সফররত থাকায় ইইউয়ের চাহিদামতো সময় না দিয়ে বুধবার বিকেল ৩টায় সময় দিয়েছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা পাঁচ সদস্যের একটি পর্যবেক্ষক টিম পাঠাবে, এতে দুজন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট থাকবে। এদিকে নির্বাচন দেখতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার ৮৭ জন পর্যবেক্ষক ইতোমধ্যে আবেদন জানিয়েছে।

এ ছাড়া ৩৮টি দেশ ও চারটি সংস্থার ১১৪ জন পর্যবেক্ষককে ভোট দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসি। বিদেশি এসব পর্যবেক্ষককে নিরাপত্তা, আবাসন সেবাসহ সার্বিক প্রস্তুতির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সঙ্গে মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে সভা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিমান মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টরা এ বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তাই শুধু নয়, যারা নিজ খরচে আসবেন; তারা কোন হোটেলে থাকবেন, কোন এলাকায় পর্যবেক্ষণে যাবেন এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সব মিলিয়ে কমপ্লিট সিদ্ধান্ত নিতে এ সভা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচন কমিশনের যে বৈদেশিক পর্যবেক্ষক নীতিমালা আছে, তা অনুসরণ করে যারা নিজ খরচে পর্যবেক্ষণ করতে চান তাদের আগমন এবং ইসি থেকে যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সেই আমন্ত্রিত মেহমানদের কীভাবে একটি নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া।

ইসির প্রস্তুতির বিষয়ে সচিব বলেন, বিদেশি মেহমানদের জন্য বিমানবন্দরে একটা হেল্প ডেস্ক করা হবে যাতে সহজেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে নির্ধারিত হোটেলে যেতে পারেন। সেখানেও একটা হেল্প ডেস্ক করে দেওয়া হবে সেখান থেকে তারা যেন নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য নিতে পারেন। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়েছে। হঠাৎ অসুস্থ হলে স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, যেসব বিদেশি পর্যবেক্ষক নিজেদের খরচে আসবেন তারা ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। আর ইসির আমন্ত্রিতরা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে নিজ খরচে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সংখ্যা ৭ ডিসেম্বরের পর এবং আমন্ত্রিত অতিথি কতজন আসছেন তা ১৬ ডিসেম্বরের পর জানা যাবে।

সচিব জানান, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আবেদন পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে নীতিমালা অনুযায়ী যাদের অনাপত্তি থাকবে, তাদের অনুমোদন দেবে কমিশন।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




এলপিজির দাম আবারও বাড়লো

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি গ্যাসের দাম ১ হাজার ৩৮১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম রোববার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকর হবে।

বিকেলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো. নরুল আমিন এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ মূল্য ঘোষণা করেন। এসময় বিইআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত মাসে ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৩৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়াও ভোক্তাপর্যায়ে বোতলজাতকৃত ৫.৫ কেজি এলপিজির দাম ৬৪৪ টাকা, ১২.৫ কেজি ১ হাজার ৪৬৩ টাকা, ১৫ কেজি ১ হাজার ৭৫৫ টাকা, ১৬ কেজি ১ হাজার ৮৭২ টাকা, ১৮ কেজি ২ হাজার ১০৭ টাকা, ২০ কেজি ২ হাজার ৩৪০ টাকা, ২২ কেজি ২ হাজার ৫৭৫ টাকা, ২৫ কেজি ২ হাজার ৯২৬ টাকা, ৩০ কেজি ৩ হাজার ৫৫১ টাকা, ৩৩ কেজি ৩ হাজার ৮৬২ টাকা, ৩৫ কেজি ৪ হাজার ৯৬ টাকা এবং ৪৫ কেজির বেতলজাতকৃত এলপিজির দাম ৫ হাজার ২৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজিতে ১১৭ টাকা ২ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে। এছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজিতে ১১৩ টাকা ২০ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে। আর ভোক্তাপর্যায়ে অটোগ্যাসের দাম মূসকসহ প্রতি লিটারে ৬৪ টাকা ৪৩ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে।


আরও খবর



মনোনয়নপত্র কেনা অধিকাংশ তারকা বসন্তের কোকিল : জায়েদ খান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image
আমরা যারা আওয়ামী লীগের খারাপ সময়ে পাশে ছিলাম, আমাদের মনোনয়নপত্র নেওয়া উচিত। কিন্তু দেখেন যারা মনোনয়নপত্র কিনেছেন তারা অধিকাংশই বসন্তের কোকিল।

আওয়ামী লীগের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন শোবিজের একঝাঁক তারকা। সেই ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন রুবেল, মাহিয়া মাহি, শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী, শাকিল খান, সিদ্দিকুর রহমান, গায়ক এসডি রুবেল, অভিনেত্রী সিমলাসহ অনেকে।

এদিকে শোবিজ তারকাদের মনোনয়ন ফরম কেনার হিড়িক দেখে জায়েদ খান বললেন, যারা মনোনয়নপত্র কিনেছেন তারা অধিকাংশই বসন্তের কোকিল।

মনোনয়নপত্র কেনার খবর শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন কেনার দৌড়ে দেখা যায়নি জায়েদ খানকে। মনোনয়নপত্র না কেনা প্রসঙ্গে ঢাকাই সিনেমার এ নায়ক বলেন, ইচ্ছে করেই আমি মনোনয়নপত্র কিনিনি। আমার হাতে এখন দেশ-বিদেশের অনেক কাজ। আপাতত এই কাজগুলো নিয়েই ব্যস্ত। কারণ দুই কাজ একসঙ্গে হয় না। আর আমাকে সংসদ সদস্য হিসেবে বিবেচনা করলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এমনিতেই আসবে। তিনি যখন মনে করবেন আমি তখন মনোনয়নপত্র কিনব। যারা রাজপথে সক্রিয় ছিল। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে পাশে ছিল তাদেরই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা চিন্তা করা উচিত। এবারের মনোনয়ন কেনা অনেক শিল্পীই দলের দুঃসময়ে পাশে ছিল না।

নিজেকে আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মী দাবি করে এ চিত্রনায়ক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম। রাজপথে থেকে মার খেয়েছি। রুবেল ভাই, সোহেল রানা ভাইও রাজপথের লোক। আমরা হলাম আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মী। তারা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে রাজপথে ছিলেন। আমি মনে করি, আমরা যারা আওয়ামী লীগের খারাপ সময়ে পাশে ছিলাম, আমাদের মনোনয়নপত্র নেওয়া উচিত। কিন্তু দেখেন যারা মনোনয়নপত্র কিনেছেন তারা অধিকাংশই বসন্তের কোকিল।


আরও খবর



যতদিন চোরাগোপ্তা হামলা থাকবে ততদিন গ্রেফতার চলবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যতদিন চোরাগোপ্তা হামলা থাকবে, ততদিন গ্রেফতার অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতারা যেভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করে, বিএনপি নেতারাও পালিয়ে গিয়ে সেইভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করছে। এখন দাবি উঠেছে প্রত্যেকটি সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার। তাই এ ধরনের চোরাগোপ্তা হামলা চলবে যতদিন, ততদিন গ্রেফতার অভিযান চলবে। সোমবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বিএনপির অবরোধের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২৮ তারিখ কিছু করতে না পেরে এখন গার্মেন্টসের অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। শ্রমিক সংগঠনের যারা পরিচয় দিচ্ছে ওরা কেউ শ্রমিক না। আমাদের সরকার ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি করে সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এক লাফে ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি। ওদের কোনো কোনো সংগঠন দাবি করেছে ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। আরে বেটা, বিসিএস পাশ করে যখন জয়েন করে তখন বেতন পায় ২২ হাজার টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার পর এতগুলো পরীক্ষা দিয়ে যখন চাকরি শুরু করে বেতন শুরু হয় ২২ হাজার টাকায়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে ব্যাংকে যখন চাকরি শুরু হয় তখন পায় ২০ হাজার টাকা করে। তাই আগে ইন্ডাস্ট্রি বাঁচাতে হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে। ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করা হয়েছিল, হাসপাতালে হামলা করা হয়েছিল, অ্যাম্বুলেন্সসহ গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, সাপকে যেভাবে পিটিয়ে মারে তার চেয়ে জঘন্য কায়দায় একজন পুলিশকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। একজন সাংবাদিককে মাটিতে ফেলে যেভাবে সাপ পেটানোর মত পেটানো হয়েছে, সেটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড হতে পারে না।

হাছান মাহমুদ বলেন, সেদিন ৩২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছিলেন। তারা আমাদের দলের নারী কর্মীদের কাপড় ধরে টানাটানি করেছিল। এরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চেয়েও জঘন্য। পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী মানুষকে হত্যা করেছে, কিন্তু মানুষকে জীবন্ত মারেনি। কিন্তু এরা হেলপার ঘুমিয়ে আছে, সেই গাড়িতে আগুন ধরিয়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, রুহুল কবির রিজভী সাহেব গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। যেভাবে আল-কায়েদার প্রধান গোপন থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করতো, এখন রিজভী সাহেবও ঠিক আল কায়েদার মত গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। অবরোধের নামে গাড়ি পোড়াতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ হচ্ছে তাদের কর্মসূচি।

তিনি বলেন, অনেকে প্রশ্ন রেখেছেন, রিজভী সাহেব গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি দিচ্ছেন এবং গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে তারপরও কেন তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না? এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ দেশে মানুষের মধ্যে শান্তি, স্থিতিশীল পরিবেশ রাখার জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থা নিয়েছি। সারাদেশে আমাদেরও নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছে।


আরও খবর
রবিবার হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে না বিএনপি

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩