আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে জনগণকে জিম্মি করে অতি লাভ ও লোভে ব্যবসা না করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি অবৈধভাবে পণ্য মজুতদারিতা, সংরক্ষণ এবং যেকোনও সিন্ডিকেট গঠন থেকেও বিরত থাকতে হবে।’ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে তার দফতরে ব্রিফিংকালে ব্যবসায়ীদের প্রতি এই আহ্বান জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের
বলেন, বাজারে যেকোনও ধরনের জনস্বার্থবিরোধী সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব শেখ হাসিনা মেনে নেয়নি,
নেবে না এবং প্রশ্রয়ও দেবে না। যেসব ব্যবসায়ী রমজান মাসকে টার্গেট করে জনস্বার্থবিরোধী
এবং বাজার অস্থিতিশীল করার কাজ করেন, তাদের সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি সংযম হওয়ার আহ্বান
জানান তিনি।
পরিবর্তিত বিশ্ব
পরিস্থিতিতে এক দেশের ঘটনাপ্রবাহ অন্য দেশে প্রভাব ফেলে। রাশিয়া, ইউক্রেন সংকটে আন্তর্জাতিক
বাজারে কয়েকটি পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বিশ্বব্যাপী। তারই অংশ
হিসেবে বাংলাদেশের বাজারেও কয়েকটি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন,
আশার কথা হলো, শেখ হাসিনার সরকার জনগণের অসুবিধা সৃষ্টি করে এমন বিষয়ে কখনও নীরব থাকেনি,
থাকবেও না। জনগণের জীবনমান সুরক্ষায় গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। এরই মাঝে বাজারে
স্থিতিশীলতা আনতে টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি জোরদার করা
হয়েছে। এ ব্যবস্থা জনস্বার্থে আরও সম্প্রসারণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক বলেন, রমজানে কোনও পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি নেই এবং ঘাটতি হবে না। পর্যাপ্ত
পণ্য মজুত থাকার পরও কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজান এবং বিশেষ বিশেষ সময়ে কৃত্রিম
সংকট তৈরি করে। এসব অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে সরকার সোচ্চার বলেও জানান তিনি।
সেতুমন্ত্রী
বলেন, রমজান মাসে কোনও অসাধু চক্রের কারসাজি সফল হতে দেওয়া হবে না। সুযোগ দেওয়া হবে
না কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্যবৃদ্ধির অপচেষ্টাকেও। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। বাজার ব্যবস্থায় মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী
নিজেই বাজার পরিস্থিতি মনিটর করছেন বলে জানান কাদের।