আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যান

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়েছেন দুই মার্কিন কংগ্রেসম‍্যান ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির এড কেইস ও রিপাবলিকান পার্টির রিচার্ড ম্যাকরমিক।

আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা। এ সময় বিমানবন্দর থেকে নেমে দুই কংগ্রেসম‍্যান কক্সবাজার শহরে অবস্থিত ইন্টার সেকশন কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি) কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘণ্টাব‍্যাপী বৈঠক করেন। এরপর তারা উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা দেন।

জানা গেছে, দুই কংগ্রেসম‍্যান রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় বরাদ্দ খতিয়ে দেখাসহ সামগ্রিক আর্থিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন।

উল্লেখ্য, দুই কংগ্রেসম‍্যান কেইস ও ম্যাকরমিক যুক্তরাষ্ট্রের রোহিঙ্গাদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে গঠিত আর্থিক তহবিলসংক্রান্ত কমিটির সদস্য।


আরও খবর



পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএসএফের গুলিতে নিহত আবুল কালাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত অপির উদ্দিনের ছেলে।

বিজিবি, পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে কয়েকজন গরু পারাপারকারী রাখালসহ শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পকেট সীমান্তের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলারের ওপারে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় গরু আনতে যান। এ সময় বিএসএফের ডোরাডাবরী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা চোরাকারবারিদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুরুতর আহত হলে সঙ্গীয়রা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঝালংগী ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েব সুবেদার নুরুল আমিন বলেন, বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। থানা পুলিশ পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে।’

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।’

নিহতের মা মমতা বেগম বলেন, কালাম এখনও বিয়া করে নাই। এবার বিয়া করার কথা ছিল। কিন্তু কী অপরাধের জন্য বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করল? আমি এ হত্যার বিচার চাই।’

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সাইদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক আবুল কালাম ডাকুকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা পাটগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা করা হবে।’


আরও খবর



চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে লাইটার জাহাজের ধাক্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

তীব্র বাতাস আর জোয়ারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চট্টগ্রামে কালুরঘাট সেতুতে জাহাজের ধাক্কার লাগার ঘটনা ঘটেছে। এমভি সামুদা-১ নামে ঐ লাইটার জাহাজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটায় বলে জানায় চট্টগ্রাম নৌ থানা পুলিশ।

খবর পেয়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে এবং নৌ পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

চট্টগ্রাম নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ বলেন, কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত একটি ডক ইয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল জাহাজ এমভি সামুদা-১। নদীর মধ্যে বাঁক ঘুরানোর সময় তীব্র বাতাস আর জোয়ারের কারণে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং বাতাসের তোড়ে ভাসতে ভাসতে কালুরঘাট সেতুতে এসে ধাক্কা খায়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, আমরা সেতুটি পরিদর্শন করে দেখছি। কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩০ সালে নির্মাণ করা হয় কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু। পরে ১৯৬২ সালে ওই সেতুর উপর দিয়েই সড়ক পথের যান চলাচল শুরু হয়। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেললাইন চালুর আগে সেতুটিতে সংস্কার কাজ শুরু হয়। এখনো সংস্কার কাজ চলছে। বর্তমানে কম গতিতে ট্রেন চলাচল করলেও সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে এই সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। পরে ২০১১ সালে সেতুটিকে চুয়েটের একদল গবেষক আরও একবার ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে।


আরও খবর



বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট শেষ হয়েছে। এবার সবার নজরে দ্বিতীয় দফার ভোট। আর তার আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রচার প্রচারণার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ এসেছিলেন পশ্চিম বঙ্গে।

এদিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থান চষিয়ে বেরোনোর পর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এক সভাতে ভাষণ দেন অমিত শাহ। ভাষণে উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া শরণার্থীদের নাগরিকত্ব বিষয়টি।

দিনাজপুরের ভাষণে অমিত শাহ এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার আমরা এই বাংলা থেকে কাটমানির কালচার বন্ধ করে দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়বো। সিএএ কার্যকর হবে। সিএএ ও এনআরসি বন্ধ করতে পারবে না মমতাদি।’

অমিত শাহ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে চাইছেন না। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছেন না। আমি কথা দিচ্ছি, সব হিন্দু শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’

সামনেই লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা। ভোটের প্রচারে এসে ফের টার্গেটের কথা শোনালেন তিনি। পশ্চিম বঙ্গে বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা ৪২টি সিটের মধ্যে তিরিশটির বেশি আসন জয়।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদিজি সারাদেশের গরিব মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ১২ কোটির বেশি শৌচালয় বানানো হয়েছে। ৪ কোটির বেশি মানুষ নিজের বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প এখানে আসতে দেন না।’

পশ্চিম বাংলার মা-বোনরা বিজেপির হাতে সুরক্ষিত থাকবেন বলে আশা করেন অমিত শাহ। দুর্নীতি ইস্যুতেও ফের একবার শাহের মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ। বলেন, তৃণমূলের এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৫১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। তৃণমূলের যে নেতারা দশ বছর আগে ঝুপড়ি থাকত, সাইকেলে ঘুরত, তাদের এখন চারতলা বাড়ি।’

শেষে পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে চাইলেন ভোটের প্রতিশ্রুতি। এদিকে ঠিক একদিন আগেই করণদিঘিতে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও খবর



সুন্দর বাচ্চার মা হতে চান নোরা ফাতেহি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ক্যারিয়ারের লম্বা সময়ে একাধিক মানুষের সঙ্গে নাম জড়ালেও কোনো সিরিয়াস সম্পর্কে দেখা যায়নি বলিউডের বেলি ডান্স কুইন হিসেবে বর্তমানে পরিচিত নোরা ফাতেহিকে।

২০১৪ সালে রোর: টাইগার্স অফ দ্য সুন্দরবনস দিয়ে তার অভিনয়ে ডেবিউ। এরপর বেশিরভাগ ছবিতেই কাজ করেন আইটেম ডান্সার হিসেবে। মাঝে ভূজ: দ্য় প্রাইড অফ ইন্ডিয়া, স্ট্রিট ডান্সারে তাকে অভিনেয় করতে দেখা গিয়েছিল। এছাড়াও নোরাকে দেখা যায় একাধিক রিয়েলিটি শোতে বিচারকের আসনে।

অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হিসেবে সফল হলেও, বিয়ে করতে চান তিনি। কানেক্ট এফএম কানাডার সঙ্গে একটি সাক্ষাতকারের সময় নোরা তার সঙ্গী পছন্দের সময় কোন জিনিসে গুরুত্ব দেন, তা বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন।

অভিনেত্রী বলেন, আমি এমন একজন মানুষকে খুঁজছি যে ঈশ্বরকে ভয় করে এবং যার লালন-পালন খুব ভালো হয়েছে। এর পরে অর্থ এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা আসে

নোরা নিজের কথায় আরও যোগ করেন, আমার এমন একজন দরকার যে ভিতর থেকে সত্যিই ভালো, কারণ বর্তমানে চারপাশে খারাপ লোকের সংখ্যাই বেশি। যারা সুবিধাবাদী এবং আপনাকে ব্যবহার করে। মিথ্যাবাদীও আছে। কিছু লোক বছরের পর বছর আপনার সঙ্গে থাকবে এবং কিন্তু আপনাকে চাইবে না। তারা আপনার টাকা, আপনার জনপ্রিয়তা বা আপনার নেটওয়ার্ক চাইবে। চারপাশে সত্যিই অদ্ভুত মানুষ আছে। ভালো মনের কাউকে পেলে আমি খুশি হব।

নোরা জানান, পাঁচ বছর আগে থেকে তার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল উচ্চতা এবং চেহারার মতো শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ওপর নজর দিয়ে নিজের জন্য জীবনসঙ্গী খোঁজা। গত কয়েক বছরের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তার ভাবনাচিন্তা বদলেছে। তাকে তার অগ্রাধিকার পুনর্বিবেচনা করতে প্ররোচিত করেছে।

এই সাক্ষাৎকারে দেখতে সুন্দর কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা প্রশ্ন করা হলে, নোরার থেকে জবাব আসে, এত কিছুর পরে আসলে সুন্দর চেহারা আসে। আমি বলতে চাইছি, আমার ভালো জেনেটিক্স দরকার কারণ আমি সুন্দর বাচ্চা পেতে চাই।

নোরা অভিনেতা অঙ্গদ বেদী এবং কোরিওগ্রাফার টেরেন্স লুইসের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন বলে শোনা যেত একসময়।মাঝে আর্থিক প্রতারণার মামলায় নাম জড়িয়েছিল নোরার। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তার লিঙ্কআপ পেয়ে একাধিকবার জেরা করে ইডি।

নিউজ ট্যাগ: নোরা ফাতেহি

আরও খবর



যুদ্ধজাহাজের পাহারায় দুবাইয়ের পথে ২৩ নাবিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে মুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিপণ দেওয়ার পর নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এখন দুবাইয়ের  আল হারমিয়া বন্দরের দিকে রওনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় একাধিক যুদ্ধজাহাজের পাহারায় রয়েছে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি। দুবাই পৌঁছানোর পর জাহাজের দায়িত্ব নেবে নতুন নাবিক দল। দুবাই পৌঁছাতে নাবিকদের আরও পাঁচদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া নাবিক মো. শামসুদ্দিন।

শামসুদ্দিনের বোন জামাই বদরুল হক বলেন, শামসুদ্দিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব নাবিক সুস্থ আছে। এখন এমভি আব্দুল্লাহর পাশাপাশি একাধিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। শামসুদ্দিন জানিয়েছে, দুবাই পৌঁছাতে আরও পাঁচদিন লাগতে পারে।

আরেক নাবিক হোসেন মো. সাজ্জাদের ভাই মো. মোশাররফ  বলেন,  আমি শুনেছি দুবাই আসার পর নতুন নাবিকেরা জাহাজের দায়িত্ব নেবে। জিম্মি ২৩ নাবিক সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরবেন। সে (নাবিক সাজ্জাদ) আম্মাকে বলেছে, জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের জন্য দোয়া করতে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর