আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ছয় বছর আজ: দায় নিচ্ছে না বিশ্ব

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের কাঁধে চেপে বসেছে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। প্রত্যাবাসনের প্রতিশ্রুতি ঝুলে থাকায় দিন দিন ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বাড়ছে সহিংসতা, হত্যা, সন্ত্রাস, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের মতো অপরাধ। আধিপত্য ধরে রাখতে সংঘাতে জড়াচ্ছে নানা গ্রুপ, জন্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত না হওয়ায় হু হু করে বাড়ছে আশ্রিতদের সংখ্যাও। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। এমন বাস্তবতায় রোহিঙ্গাদের এ দেশে অনুপ্রেবেশের ছয় বছর পূর্ণ হলো আজ।

আরও পড়ুন: ‘প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভরণপোষণে বাংলাদেশেরঅর্থনীতিতে সৃষ্টি হচ্ছে’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের নির্যাতনে বরাবরই রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশমুখী ছিল। নব্বইয়ের দশক থেকে বিভিন্ন সময়ে কয়েক লাখ নিপীড়িত রোহিঙ্গা এদেশে এসে বসবাস করছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের নজিরবিহীন ঢল নেমেছিল। রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্যাতন শুরু করলে সীমান্ত দিয়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। সব মিলিয়ে এদেশে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়ায়।

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ৯ লাখ ৬২ হাজার ৪১৬ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। তাদের মধ্যে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে ৯ লাখ ৩১ হাজার ৯৬০ এবং ভাসানচরে ৩০ হাজার ৪৫৬ রোহিঙ্গা বাস করছে।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হওয়া জরুরি : ইতো নাওকি

মানবিক কারণে বিপুলসংখ্যক এ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। তবে গত ছয় বছরে বিভিন্ন দেশে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েও একজন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি; বরং দিন দিন তারা বাংলাদেশের ওপর অনেক বড় বোঝা ও সংকট হয়ে চেপে বসেছে। পাশাপাশি বিশ্ব সম্প্রদায়ও রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে।

ইউএনএইচসিআর বলছে, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাংলাদেশিসহ প্রায় ১০ লাখ ৪৭ হাজার মানুষকে সহায়তা করতে মানবিক সংস্থাগুলো এ বছর ৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের আবেদন করেছে। ২০২৩ সালের আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনার জন্য তহবিলে আবেদনের মাত্র ২৮ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছেছে। এর প্রভাব পড়েছে রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তার ওপর। ফলে ক্রমবর্ধমান অপুষ্টি, শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়া, বাল্যবিয়ে, শিশুশ্রম এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও বাড়ছে।

সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালেও রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রাপ্ত তহবিল সহায়তায় বরাবরের মতো সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় কমিশন, জাপান, জাতিসংঘ, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের টেকসই মানবিক সেবা নিশ্চিতে আর্থিক সাহায্য নিশ্চিত এবং তাদের সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবারও রাজনৈতিক সহায়তা চেয়েছে ইউএনএইচসিআর।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে চিঠি

রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল কমে আসার কথা স্বীকার করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গা খরচের পুরোপুরি দায়িত্ব জাতিসংঘের। বাংলাদেশের কোনো দায়িত্ব নেই। এর পরও রোহিঙ্গাদের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যয় করছে বাংলাদেশ সরকার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকারের সর্বোচ্চ গুরুত্ব সত্ত্বেও দ্বিপক্ষীয়, ত্রিপক্ষীয় কোনো তৎপরতাই একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে পারেনি। এমনকি চীনের উদ্যোগে পাইলট প্রকল্পও কবে বাস্তবায়ন হবে, তা নিশ্চিত নয়। এমন দীর্ঘসূত্রতা আন্তর্জাতিক মনোযোগ হারানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

২০১৭ সালে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢেউ নামলে বাংলাদেশ সংকট সমাধানে চীনের ওপর ভরসা করে। কারণ মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের সুসম্পর্ক রয়েছে। সংকট সুরাহায় চীনের মধ্যস্থতায় তিন ধাপ কর্মসূচির আওতায় ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয় এবং ১৯ ডিসেম্বর জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১ হাজার ১৪০ রোহিঙ্গাকে পাইলট প্রত্যাবাসনের জন্য বাছাই ও মিয়ানমার ঘুরিয়ে আনা হয়। এরপর মোখা, বন্যাসহ নানা অজুহাতে পাইলট প্রত্যাবাসনও থেমে আছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ক্যাম্পের মধ্যে প্রত্যাবাসনবিরোধী প্রচারণার কারণে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে চায় না। এ ছাড়া তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের বিষয়টিও তাদের এখান থেকে যেতে প্রলোভনের ফাঁদ হিসেবে কাজ করছে।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পদক্ষেপ কাজে আসেনি

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ সূত্রগুলো জানিয়েছে, তৃতীয় দেশে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের সংখ্যা অত্যন্ত নগন্য। ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মাত্র ৯২০ রোহিঙ্গা তৃতীয় দেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ জন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা গেছে। জাপান মাত্র ৪ জনকে উচ্চ শিক্ষার জন্য নিয়েছে। তা সত্ত্বেও রোহিঙ্গারা মনে করে, তারা এদেশ থেকে উন্নত দেশগুলোতে যাওয়ার সুযোগ পাবে। ২০১২ সালের পর অনেকেই এই আশায় মিয়ানমারে ফেরেনি। এবারও তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে একদিকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে ক্যাম্পের মধ্যে খুন, গ্রুপিং, আধিপত্যের লড়াই, অস্ত্র চোরাচালানের মতো ঘটনা বাড়ছে। এ ছাড়াও অলস দিনযাপন এবং জন্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত না হওয়ায় বেড়েই চলেছে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের আগের ঘরবাড়ি নেই, তবে অন্য ধরনের সুবিধা রয়েছে। সেখানে গিয়ে কিছুদিন না থাকলে সমস্যাগুলো চিহ্নিত হবে না। ফলে রোহিঙ্গাদের পরীক্ষামূলক প্রত্যাবাসনে বাধা হয়ে দাঁড়ানো কারও উচিত নয়। বেশির ভাগ রোহিঙ্গা ফেরত যাওয়ার পক্ষে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ পর্যন্ত বিশ্বনেতাসহ বহির্বিশ্বের প্রতিনিধিদেরও রোহিঙ্গারা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বলেছেন, তারা রাখাইনে ফেরত যেতে চায়। তবে মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাবে প্রত্যাবাসন হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার আলোকে ক্যাম্পের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গণমাধ্যম যতটা সোচ্চার, ততটা তাদের মানবিক সহায়তা ও প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে দেখা যায় না। এটা নিঃসন্দেহে বিশ্ব সম্প্রদায়ের অবহেলা ও স্ববিরোধী আচরণ।

আরও পড়ুন: আট লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ

এদিকে দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকটকে ঘিরে বাংলাদেশ সরকারের চ্যালেঞ্জ ক্রমাগত বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো সক্রিয় সন্ত্রাসী গ্রুপের সংখ্যা বাড়ছে। হত্যা, অপহরণ, সহিংসতা, সন্ত্রাস, মাদক ও অস্ত্র পাচারের পাশাপাশি আধিপত্যের লড়াইয়ের কারণে প্রায়ই সেখানে রক্ত ঝরছে। ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে আড়াই হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) আড়াই হাজার সদস্য দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। এমনকি ভাসানচরের মতো নিরাপদ স্থানেও পারিবারিক দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গা খুনের ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন: ১০টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ টেকনাফে ২ রোহিঙ্গা আটক

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা আশ্রয় দেওয়া মানবিক বাংলাদেশকে সহায়তা করার দায়িত্ব জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের। তারা যেন কোনোক্রমেই রোহিঙ্গা সংকটকে গুরুত্ব কম না দেয়, সেজন্য প্রথাগত কূটনৈতিক যোগাযোগের বাইরে বহুমুখী কূটনৈতিক তাগিদও জোরদার করা জরুরি।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহে সুখবর দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নিজের সর্বোচ্চ শক্তিমত্তা জানান দিচ্ছে সূর্য। ফলে টানা ৩০ দিন ধরে দেশজুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। এর মধ্যেই আগামী ৭২ ঘণ্টা দেশের চার জেলায় ফের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, আগামি ১, ২, এবং ৩ মে খুলনা, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, রংপুরে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। তবে আগামী ৪ ও ৫ মে সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এদিকে যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলা সমূহের উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এ সময় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আরও খবর
আজ ঢাকায় কখন বৃষ্টি হবে

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




ড. ইউনূসের স্থায়ী জামিন হয়নি, মেয়াদ বাড়িয়েছেন ট্রাইব্যুনাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। তবে ওই মামলায় ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আদালত। আগামী ২৩ মে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন পর্যন্ত তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এসময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। এরপর বেলা ১১টায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন ড. ইউনূস।

এর আগে গত ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আজ (১৬ এপ্রিল) দিন ধার্য করেন আদালত। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্য আসে।

এই মামলায় ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।


আরও খবর



রাঙ্গামাটিতে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের উদয়পুর ৯০ ডিগ্রি এলাকায় সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত একটি ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ছয় শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আটজন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হতাহত শ্রমিকদের বাড়ি রংপুর অঞ্চলে। তারা উদয়পুর বাঘাইছড়ি সীমান্ত সড়কের ১৭ কিলোমিটার নামক স্থানে হারিজাপাড়া সেতু নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। কাজ শেষ হওয়ার কারণে বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কর্মস্থল থেকে ফিরছিলেন তারা।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা জানান, স্থানীয়ভাবে খবর নিয়ে যেটা জেনেছি যারা গাড়িতে ছিলেন সবাই সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়জিত শ্রমিক। এই সড়কে অনেক স্থানে উঁচু নিচু পাহাড় আছে। উদয়পুর সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে গাড়ি নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের কাজ শেষে খাগড়াছড়ির দিকে ফেরার পথে একটি ডাম্প ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। গাড়িটিতে মোট ১৭ জন শ্রমিক ছিলেন। যার মধ্যে ৬ শ্রমিক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধার কাজ কঠিন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ব্যাংক ও বাসার নিরাপত্তায় সিএমপির নির্দেশনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে নগর ছেড়ে অনেকে যাচ্ছেন গ্রামে। এসময় ফাঁকা থাকবে বাসা। পাশাপাশি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকছে। আর এই সুযোগই নেয় অপরাধীরা। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় ১২টি নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) স্পিনা রানী প্রামাণিক জানান, বাসার নিরাপত্তায় দরজায় অধিক তালার ব্যবহার করা, নগদ অর্থ বা স্বর্ণালংকার ফাঁকা বাসায় রেখে না যাওয়া, সিসিটিভি ক্যামেরা ও অ্যালার্ম সিস্টেমের মতো প্রতিরোধমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া, আবাসিক এলাকায় রাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা, নতুন নিয়োগ দেওয়া নিরাপত্তাকর্মীদের এনআইডি কার্ড ও ছবি সংরক্ষণ করা, সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি ঘোরাফেরা করলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় থানাকে জানানো ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি সংক্রান্ত কোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুত জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভল্টের নিরাপত্তা জোরদারসহ পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা যাতে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন সে বিষয়টি তদারক করা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরের জন্য নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন কর্মকর্তাকে পালাক্রমে নিয়োজিত রাখা, ব্যাংকের ভল্টের চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরার কাভারেজ নিশ্চিত করা এবং সন্দেহজনক কোনো বিষয় নজরে এলে তা কাছের থানায় জানানো এবং ব্যাংকের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভালোভাবে কাজ করছে কি-না তা নিশ্চিত করা।

ব্যাংক, স্বর্ণের দোকানের ছাদ ছিদ্র করে, সিঁধ কেটে চুরি ও ডাকাতি যাতে না হয়, সে জন্য স্বর্ণের দোকানের ওপরে ও আশপাশের এলাকায় যারা বসবাস করেন, তাদের ওপর বিশেষ নজরদারির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

এ সময় দৃশ্যমান পুলিশিং নিশ্চিত করা এবং প্রতিদিন এলাকা ও স্থান পরিবর্তন করে তল্লাশি চৌকি পরিচালনা করা হবে। একসঙ্গে তিনজন আরোহী নিয়ে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। ট্রাফিক ও অপরাধ বিভাগ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করবে। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের চালকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



জয়পুরহাটে হত্যার ২১ বছর পর ১৯ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের আব্দুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ২১ বছর পর রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে মামলার ১৯ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জজকোর্টের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) উদয় সিংহ রায়।

তিনি বলেন, পাঁচবিবি উপজেলার আব্দুর রহমান হত্যা মামলার রায়ে ১৯ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।


আরও খবর