আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে ভারতের মধ্যস্থতা চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৯ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

৫ বছর আগে সেনা অভিযানের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা দিন দিন হতাশ হয়ে পড়ছে এবং চরমপন্থী জঙ্গি রাজনীতির দিকে ঝুঁকছে। ফলে, হুমকির মুখে পড়ছে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক আর্থসামাজিক পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ও উপমহাদেশের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থেই বিপদগ্রস্ত এই জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে পাঠানো দিন দিন জরুরি হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। কিন্তু মিয়ানমারের তরফ থেকে এ ইস্যুতে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো পদক্ষেপ না আসায় দেশটির সঙ্গে এই বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদী বিষয়ক দ্বিপাক্ষিক জোট জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতের আসামে গেছেন একে আবুল মোমেন। রাজধানী গুয়াহাটিতে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রিত অবস্থায় আছে। তাদের কোনো ভবিষ্যত নেই; তারা রাষ্ট্রহীন এবং হতাশ। নিজেদের এমন অবস্থানের কারণেই জঙ্গিবাদী রাজনীতির প্রতি এক প্রকার ঝোঁক তাদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে এবং সেদিকে ঝুঁকেও পড়ছে তারা। সন্ত্রাসবাদীদের কোনো দেশ নেই। এ কারণে আমাদের ভয় আশ্রিত এই রোহিঙ্গাদের মধ্যে যদি চরমপন্থী ধর্মীয় রাজনীতির উত্থান ঘটে, তাহলে ভয়াবহ অনিশ্চয়তা তৈরি হবে; এতে যে কেবল বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন নয়, বরং ভারতসহ যেসব প্রতিবেশী দেশ রয়েছে, তাদের জন্যও হুমকি তৈরি হবে। এ কারণে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থেই রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পাঠানোর ব্যাপারে মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশগুলোকে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য। এছাড়া মিয়ানমারের বন্ধু রাষ্ট্র হওয়ার সুবাদে দেশটির ওপর প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতাও রয়েছে ভারতের। এ কারণে ভারত ও আসিয়ান দেশগুলোর কাছে আমাদের আন্তরিক চাওয়া হলো এ ব্যাপারে যেন মিয়ানমারের ওপর চাপ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী দেশ মিয়ানমারের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠী হলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বর্মীরা। তবে দেশটিতে বর্মীরা ছাড়াও শতাধিক নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী রয়েছে। এসব জনগোষ্ঠীরই একটি হলো রোহিঙ্গা। কিছু হিন্দু ধর্মাবলম্বী থাকলেও এই জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই মুসলিম। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় এবং বাংলাদেশের সীমান্তের সঙ্গে লাগোয়া প্রদেশ রাখাইনে বাস করেন এই জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষ। একই সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর মধ্যেও অন্যতম রোহিঙ্গা। মিয়ানমারের সংবিধানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নাম উল্লেখ থাকলেও রোহিঙ্গাদের নাম নেই। রাষ্ট্র থেকে কোনো স্বীকৃতি ও সুবিধাও পায় না তারা।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের রাথেডং শহরে বেশ কয়েকটি পুলিশ স্টেশন, সীমান্ত ফাঁড়ি ও সামরিক ঘাঁটিতে একযোগে হামলা চালায় জঙ্গিবাদী সশস্ত্র রোহিঙ্গাগোষ্ঠী রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। এতে অন্তত ৭০ জন নিহত হন। তারপরই রাখাইনজুড়ে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। গ্রামের পর গ্রাম লুটপাট করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, হত্যা-ধর্ষণের শিকার হন হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী পুরুষ। সেনাদের অভিযান থেকে বাঁচতে রাখাইনের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্রোতের মতো আসতে থাকে রোহিঙ্গারা। বর্তমানে টেকনাফের কুতুপালং শিবিরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। গত ৫ বছরে বাংলদেশ বেশ কয়েকবার রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বের সহযোগিতা চেয়েছে, কিন্তু তাতে পরিস্থিতির তেমন অগ্রগতি হয়নি।

তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশ্বাস, যদি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করা যায় তহালে নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ দেশে পাঠানো সম্ভব। এনডিটিভিকে এ সম্পর্কে তিনি বলেন, একবার কোনো জাতিগোষ্ঠীকে বিতাড়িত করার পর ফের গ্রহণ করার ইতিহাস রয়েছে মিয়ানমারের। তাই আমাদের বিশ্বাস, যদি প্রতিবেশি বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে চাপ আসে, সেক্ষেত্রে মিয়ানমার যথাযথ নিরাপত্তা ও সম্মানসহ তাদের নিজেদের দেশের মানুষকে ফিরিয়ে নেবে।

বাংলদেশ ও ভারতের মধ্যে চলমান জেসিসি বৈঠকটি নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আগামী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফরে যাবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সফরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে, সেসবের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে বর্তমান জেসিসি বৈঠক। আগামী ৩০ মে থেকে শুরু হবে এ বৈঠক।


আরও খবর



কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় অন্তঃসত্ত্বা মা ও ছেলের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরে গাছ পড়ে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার ৫ বছর বয়সী সন্তান নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিয়ামতপুর হাজিপাড়া ঘোনারবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রুপ তারা (৪৫) এবং তার ছেলে তাইজুল ইসলাম (৫)।

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার দিবাগত রাত অনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় প্রচণ্ড ঝড় শুরু হলে করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর হাজিপাড়া ঘোনারবাড়ি গ্রামে কৃষক আ. কাইয়ুমের দোচালা টিনের ঘরে একটি গাছ উপড়ে পড়ে। এতে ঘর ভেঙে আ. কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রুপ তারা এবং তার ছোট ছেলে তাইজুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় রুপ তারার মা আহত হয়েছেন।


আরও খবর



১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। এ দফায় ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৪২ টাকা থেকে ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নতুন এ দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

ঘোষণায় জানানো হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে অটো গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা। এর আগে এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিক-মাধ্যমিকে অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

তবে তাপপ্রবাহ না কমায় এ ছুটি বাড়ছে নাকি ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অভিভাবকদের একটি অংশ এবং অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার দাবি তুলেছে। অনেকে আবার আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবছে শিক্ষা প্রশাসন? এমন প্রশ্নের অবশ্য সরাসরি জবাব মেলেনি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া এবং বিকল্প উপায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালানোর কথা জানিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারককারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা।

শিক্ষা প্রশাসন বলছে, তীব্র গরমে ছুটি বাড়ানো কিংবা অনলাইনে ক্লাস নেওয়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী বিদেশ সফরে থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এ নিয়ে আলোচনা করেনি। আলোচনা চললেও প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও।

তবে মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদরাসা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস চালুর বিষয়ে জোর আলোচনা রয়েছে। হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে ক্লাস চালু করতেও মত দিচ্ছেন অনেকে। পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টসহ ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা করতে পারেএমন কাজ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন তারা।

তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে শিশু শিক্ষার্থীরা। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা বা খোলা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত।

তিনি বলেন, ছুটি বাড়ানো, ক্লাস কমিয়ে হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে নেওয়া কিংবা অনলাইনে ক্লাস চালু করাসব বিষয় সামনে রেখেই আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। যে সিদ্ধান্তই আসুক, তা শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক হবে। নেতিবাচক সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।

অন্যদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি আর বাড়ছে না বলেই জানিয়েছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাপপ্রবাহ যদি না কমে, সেক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাস চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে। শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে অ্যাকটিভ (সক্রিয়) রাখার জন্যও শিক্ষকদের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। আলাপ-আলোচনা চলছে। ক্লাস একেবারে বন্ধ রাখার চেয়ে অনলাইন ক্লাস কিংবা বাড়ির কাজ (অ্যাসাইনমেন্ট) দিয়ে শিক্ষার্থীদের কীভাবে পড়ালেখার মধ্যে রাখা যায় সেটা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে কোনো ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




‘মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেত মিল্টন’

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জালিয়াতি ও প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে গ্রেপ্তার চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন বলে জানিয়েছে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। আজ রবিবার (০৫ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, মিল্টন সমাদ্দার সাইকোতে (মানসিক রোগী) আক্রান্ত। তিনি কীভাবে মানবতার ফেরিওয়ালা’ হলেন, তা বোধগম্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, মিল্টন কিন্তু স্বীকার করেছেন, তার অপারেশন থিয়েটারে ব্লেড-ছুরি আছে। এগুলো দিয়েই তিনি অপারেশন করতেন।’

ডিবির হারুন বলেন, তার স্ত্রী মিতু হালদার ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বানাতে কারা সাহায্য করতেন, তার ব্যাংক হিসাবে কারা টাকা পাঠাতেন, কীভাবে তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা’ হলেন, সবকিছুর তদন্ত করা হচ্ছে।’

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

এদিকে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব।’


আরও খবর



গাজায় প্রবেশ করেছে ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসরায়েলি সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী সংস্থা ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দেয়।

এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, উত্তর গাজায় বিমান থেকে মানবিক সহায়তা দেওয় হয়েছে। পাশাপাশি ২২ ট্রাক ত্রাণ উত্তর গাজায় সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এপ্রিলে প্রতিদিন গড়ে ১৬৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল।

তবে ইসরায়েল যে সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। কারণ অবরুদ্ধ এলাকায় প্রতিদিন এক হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক দরকার।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা হামাসের নেই। অর্থাৎ এরকম কোনো ইঙ্গিত তিনি পাননি।

বর্তমানে গাজা উপকূলে সাময়িকভাবে জেটি নির্মাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা কাজ করছে। মূলত গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করতেই এমন জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে।


আরও খবর