আন্দামান সাগর
থেকে উদ্ধার করা ৮১ রোহিঙ্গাকে ভূখণ্ডে ঢুকতে দেবে না ভারত। তাদের কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে
রাখা হয়েছে।
ইঞ্জিন বিকল হওয়ায়
কয়েকদিন ধরে সাগরে বেসে বেড়াচ্ছিল রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাটি। ভারতীয় কোস্ট গার্ডের
দুটি জাহাজ তাদের উদ্ধার করেছে। তবে নৌকার আট যাত্রী মারা গেছেন। একজন নিখোঁজ।
ভারতের সংশ্লিষ্ট
এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়া
যেতে আগ্রহী ওই রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি নৌকা গত ১১ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার থেকে রওনা হয়েছিল।
তাদের সেই নৌকাটি বিকল হয়ে যায়। সেটি মেরামত করে বা অন্য একটি নৌযানে করে তাদের বাংলাদেশে
পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ
ওই রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করতে এই অঞ্চলের সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।
এর প্রতিক্রিয়ায়
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ
যথেষ্ট করেছে। এবার অন্য দেশগুলো তাদের দায়িত্ব নিক।
ভারতের পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ভারত ওই রোহিঙ্গাদের দেশে রাখতে
চায় না। বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চায়।
তিনি জানিয়েছেন,
'নৌকার ৪৭ জন যাত্রীর কাছে ইউনাইটেড নেশন, হাই কমিশনার ফর রিফিউজিস (ইউএনএইচসিআর)-এর
পরিচয়পত্র ছিল। তাতে লেখা, তারা মিয়ানমার থেকে ছিন্নমূল হয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশের
সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা চলছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ তার আন্তর্জাতিক দায়দ্ধতার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। এর
আগে অন্য দেশের সুমদ্রসীমায় যখন রোহিঙ্গারা অসহায় অবস্থায় ভাসছিল, তখন বাংলাদেশ সরকার
অন্য দেশের সুমদ্রসীমানা থেকে তাদের উদ্ধার করেছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো
বলা হয়, সমুদ্রবিষয়ক জাতিসংঘের আইন অনুযায়ী, যে দেশের সমুদ্রসীমায় এ ধরনের জাহাজ ভাসমানভাবে
অবস্থান করবে, সেটি উদ্ধার করার দায়িত্ব ওই দেশের। ওই দেশগুলোর উচিত তাদের যে আন্তর্জাতিক
দায়বদ্ধতা আছে, সেটি যেন তারা পূরণ করে।