আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ইউক্রেন যুদ্ধ:

‘রুশ সেনারা আমাকে ধর্ষণ করেছে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কয়েকদিন আগে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে সরে গেছে রুশ সেনারা; কিন্তু রাজধানীতে অবস্থানের সময় যেসব কাণ্ডকীর্তি তারা করেছে, সেসবের ফলে সৃষ্ট আতঙ্ক থেকে সম্ভবত কোনো দিনই মুক্তি ঘটবে না কিয়েভ ও তার আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের। কিয়েভ ও তার আশপাশের এলাকায় রুশ বাহিনীর ধর্ষণের শিকার কয়েকজন নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে বিবিসি। হতভাগ্য সেই নারীরা বিবিসিকে অকপটে বলেছেন তাদের সেই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা।বিবিসির এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে প্রথমেই এসেছে আন্না (ছদ্মনাম) নামের ৫০ বছর বয়সী এক নারীর ধর্ষণের বিবরণ। কিয়েভ থেকে ৭০ কিলোমিটার (৪৫ মাইল) পশ্চিমে একটি গ্রামীণ এলাকায় স্বামীসহ বসবাস করেন আন্না। গত ৭ মার্চ তার বাড়িতে জোর এক রুশ সেনা ঢুকে পড়ে। সে সময় স্বামীসহ বাড়িতেই ছিলেন তিনি।

বিবিসিকে আন্না বলেন, আমার দিকে বন্দুক তাক করে সে (রুশ সেনা) আমাকে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে নিয়ে যায়, সেটি তখন ফাঁকা ছিল। সেখানে গিয়ে সে আমাকে কাপড় খোলার নির্দেশ দেয় এবং বলে আমি যদি তার কথা না মানি সেক্ষেত্রে সে আমাকে গুলি করবে। আমি প্রাণ বাঁচাতে তার নির্দেশ পালন করার পরই সে আমাকে ধর্ষণ করা শুরু করল।  ধর্ষণকারী ওই সেনা ছিল তরুণ ও কৃশকায় এক চেচেন যোদ্ধা। সে যখন আন্নাকে ধর্ষণ করছিল, সে সমম আরও চারজন রুশ সেনা সেই বাড়িতে ঢোকে। নতুন চারজনকে দেখার পর আমার মনে হয়েছিল, আজই আমার জীবনের শেষ দিন। তবে তারা আমাকে ধর্ষণের জন্য নয়, বরং ধর্ষণকারী ওই সেনাকে নিয়ে যেতে এসেছিল।

আন্না বলেন, ধর্ষণকারী ওই সেনা চলে যাওয়ার পর কোনোমতে বাড়িতে ফিরে আসেন আন্না এবং দেখেন— ঘরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন তার স্বামী। রুশ সেনারা তার পেটে গুলি করেছে। আমাকে বাঁচানোর জন্য সে ছুটে আসছিল, সে সময়ই তাকে গুলি করা হয়। তারপর আমরা এক প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিই। চতুর্দিকে যুদ্ধ চলার কারণে আমি তাকে (স্বামী) হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারিনি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় দু’দিন পর সে মারা যায়।’

বিবিসিকে নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া এই ভয়াবহ ঘটনার বিবরণ যখন দিচ্ছিলেন, সেসময় অঝোরে কাঁদছিলেন আন্না। মৃত স্বামীকে বাড়ির পেছনের উঠোনে কবর দেওয়া হয় এবং বিবিসি প্রতিবেদককে সেই কবর দেখিয়েছেন তিনি। বাড়িতে টাকা-পয়সা যা ছিল, সেসব রুশ সেনারা নিয়ে গেছে বলেও বিবিসিকে জানিয়েছেন তিনি।

আন্না বলেন আমরা যখন প্রতিবেশীর বাড়িতে অবস্থান করছিলাম, সে সময় ওই রুশ সেনারা আমাদের বাড়িতে ছিল এবং তারা চলে যাওয়ার পর বাড়ি ফিরে আমি মাদক ও ভায়েগ্রা পেয়েছি। আগ্রাসনকারী রুশ সেনাদের অধিকাংশেই খুনী, ধর্ষণকারী ও লুটেরা। সামান্য কয়েকজন হয়তো স্বাভাবিক।’

যে এলাকায় আন্না থাকেন, সেখানেই আরও একটি রক্তহিম করা ভয়াবহ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে এবং সেটিও ঘটিয়েছিল আন্নাকে ধর্ষণকারী ওই চেচেন যোদ্ধা। ৪০ বছর বয়স্ক ওই নারীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করা হয়। নিজ বাসভবন থেকে ওই নারীকে জোর করে পার্শ্ববর্তী আরেকটি বাড়িতে নিয়ে যায় সেই চেচেন যোদ্ধা এবং সেই বাড়ির শয়নকক্ষে ওই নারীকে ধর্ষণের পর তার গলা কেটে দেয়। পরে ওই নারীকে কবর দেন আরেক দল রুশ সেনা।

কবর দেওয়ার পর ওই বাড়ির শয়নকক্ষের ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় লিপস্টিক দিয়ে সংক্ষিপ্ত নোট লিখে যান রুশ সেনারা। সেই নোটে লেখা ছিল, অপরিচিত কারো হাতে নির্যাতিত ও নিহত এই নারীকে কবর দিয়েছে রুশ সেনারা।’

কবর দেওয়ার সময় নিহত সেই নারীর এক প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলেছিল রুশ সেনারা। ওকসানা নামের সেই প্রতিবেশী বিবিসিকে বলেন, তারা (রুশ সেনা) আমাকে বলেছিল যে সে (নিহত নারী) ধর্ষণের শিকার হয়েছে এবং তার গলা কেটে দেওয়া হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে। যে ঘরে তাকে হত্যা করা হয়েছে, সেখানে প্রচুর রক্ত ছিল বলে জানিয়েছে রুশ সেনারা।’

নিহত ওই নারীকে তার বাড়ির বাগানে কবরস্থ করা হয়। কবর দেওয়ার একদিন পর স্থানীয় পুলিশ ওই বাড়িতে আসে এবং কবর খুড়ে কফিন থেকে যে মরদেহ উদ্ধার হয়, সেটি ছিল নগ্ন ও গলা ও ঘাড়ে ছিল দীর্ঘ ও গভীর কাটার ক্ষত। ইউক্রেন পুলিশের কিয়েভ শাখার প্রধান অ্যান্দ্রি নেবিতভ বিবিসিকে আরও একটি ধর্ষণের ঘটনা বলেন। এই ঘটনাটি কিয়েভ পুলিশ তদন্ত করছে বলেও উল্লেখ করেছেন নেবিতভ।

নেবিতভ বলেন, গত ৯ মার্চ কিয়েভ থেকে ৫০ কিলোমিটার পশ্চিমের একটি গ্রামের এক বাড়িতে  কয়েকজন রুশ সেনা ঢোকে। ওই বাড়িতে তরুণ এক দম্পতি তাদের একমাত্র শিশুপুত্রকে নিয়ে থাকতেন। বাড়িতে ঢোকার পর প্রথমেই তারা ওই নারীর স্বামীকে উঠোনেই গুলি করে হত্যা করে। তারপর তার শিশুপুত্রকে একটি ঘরে বন্দি করে ওই নারীকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে দুই জন সেনা। এ সময় তারা হুমকি দিয়ছিল— যদি ওই নারী বাধা দেন, সেক্ষেত্রে তার শিশুপুত্রকেও হত্যা করা হবে। সন্তানের জীবন বাঁচাতে ওই নারী আর সেনাদের বাধা দেননি। ধর্ষণের পর চলে যাওয়ার সময় সেনারা ওই বাড়িটি জ্বালিয়ে দিয়ে যায় এবং তাদের পোষ্য কুকুরটিকেও হত্যা করে।’

রুশ সেনারা চলে যাওয়ার পর ওই নারী তার শিশুপুত্রকে নিয়ে ওই গ্রাম থেকে পালিয়ে যান এবং পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ ইতোমধ্যে তার অভিযোগ রেকর্ড করেছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন নেবিতভ। হতভাগ্য ওই নারীর স্বামীকে প্রতিবেশীরা কবর দিয়েছেন। বিবিসিকে নেবিতভ বলেন, আমরা ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়েছিলাম। তার বাড়ির পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ দেখলাম, চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ওই পরিবারের ব্যবহার্য বিভিন্ন জিনিস…খুবই হৃদয়বিদারক দৃশ্য।’

ইউক্রেনের মানবাধিকার বিষয়ক সর্বোচ্চ সরকারি কর্মকর্তা ল্যুদমিলা দেনিসোভা বিবিসিকে জানান, অভিযানরত রুশ সেনারা নিয়মিত ইউক্রেনের নারীদের ধর্ষণ করছেন এবং এই ঘটনাগুলো তারা লিপিবদ্ধ করছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিবিসিকে ইউক্রেন সংলগ্ন বুচা শহরে রুশ সেনাদের একটি দলবদ্ধ ধর্ষণের বিবরণ দেন তিনি। ল্যুদমিলা বলেন, রুশ বাহিনী যখন কিয়েভের আশপাশে অবস্থান করছিল, সে সময় বুচা শহরের একটি বাড়ির বেসমেন্টে ২৫ জন কিশোরী-তরুণীকে টানা কয়েকদিন ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে বেশ কয়েকজন রুশ সেনা। এই কিশোরী-তরুণীদের সবার বয়স ১৪ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে এবং তাদের মধ্যে ৯ জন ইতোমধ্যে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। ধর্ষণের আগে ও পরে রুশ সেনারা ওই কিশোরী-তরুণীদের বলত যে, তারা তাদের এমন মাত্রার ধর্ষণ করবে যে, ভবিষ্যতে কোনো পুরুষের সঙ্গে মেলামেশার কথা চিন্তা করলেও আতঙ্ক বোধ করবে ওই মেয়েরা।’

ল্যুদমিলা আরও বলেন, ২৫ বছর বয়সী এক নারী আমাদের জানিয়েছেন, তার সামনে খোলা সড়কের ওপর তার ১৬ বছর বয়সী বোনকে ধর্ষণ করেছে কয়েকজন রুশ সেনা। এবং ধর্ষণের পর ওই রুশ সেনারা চিৎকার করে বলেছে— প্রত্যেক নাৎসী যৌনকর্মীর জন্য এই পরিণতি অপেক্ষা করছে।’

তবে এখন পর্যন্ত যত নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তার খুব অল্পই লিপিবদ্ধ করা সম্ভব হয়েছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন ল্যুদমিলা। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে এই সব ঘটনা লিপিবদ্ধ করার কাজটি আমাদের জন্য খুবই কঠিন। কারণ, সবাই যে তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ এই ঘটনার বিবরণ জানাতে চান— ব্যাপারটি এমন নয়। এছাড়া ধর্ষণের শিকার অধিকাংশ নারীই বর্তমানে মানসিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন। তাই আমরা তাদের সাক্ষ্য আপাতত নিতে পারছি না।’

তবে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের সরকার চায়— জাতিসংঘে এ বিষয়ে একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হোক এবং ইউক্রেনে ধর্ষণসহ বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করা হোক।

আন্না নামের সেই নারী, যাকে দিয়ে শুরু হয়েছিল বিবিসির এই প্রতিবেদন— ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্দেশে একটি বার্তা দিয়েছেন। বিবিসির মাধ্যমে তিনি পুতিনের উদ্দেশে বলেছেন, আমি পুতিনের কাছে জানতে চাই, কেমন এমন হচ্ছে? আমি বুঝি না, আমরা তো আর এখন গুহামানবের যুগে বসবাস করছি না, তাহলে কেন তিনি (পুতিন) আলোচনা করছে না? কেন তিনি ইউক্রেন দখল ও এখানকার মানুষকে হত্যার অভিযান শুরু করেছেন?

নিউজ ট্যাগ: ইউক্রেন

আরও খবর



সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত, আহত ১১

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

Image

সাতক্ষীরার তালায় ট্রাক উলটে ২ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১১ জন। শনিবার (১৮ মে) সকাল ৬টার দিকে খুলনা-পাইকগাছা সড়কের হরিশচন্দ্রকাটী সরদারবাড়ী বটতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।

নিহতরা হলেন, কয়রা উপজেলার বামিয়া ইউনিয়নের বগা গ্রামের তালেব গাজীর ছেলে সাইদুল গাজী (৩৮) ও মহারাজপুর ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামের তোফাজ্জেল সরদারের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩০)।

কয়রা এলাকার শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম জানান, কয়রা থেকে ১৩ জন শ্রমিক গোপালগঞ্জ এলাকায় ধান কাটতে গিয়েছিল। মজুরি হিসাবে তারা ২০ থেকে ৩০ মণ ধান পায়। ধান নিয়ে ট্রাকে করে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় সাইদুর ও মনি নিহত হয়।

স্থানীয়রা জানান, সড়কের দুই ধারের রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য খুঁড়ে রাখার কারণে মূলত এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

তালা থানার ওসি মো. মমিরুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুইজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে এবং ট্রাকটি আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ভিজলেন মেয়র আতিক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বৈশাখের গরমে অতিষ্ঠ নগরজীবন। প্রকৃতি পুড়ছে বৈশাখের দাবদাহে। তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অসহনীয় গরমে বিমর্ষ প্রাণ প্রকৃতি। এ অবস্থায় বায়ুদূষণ ও তীব্র তাপপ্রবাহ কমাতে নিজেদের আওতাধীন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি ছেটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। পাশাপাশি ২৫০টি ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে পথচারীদের পানি পান করাচ্ছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণি সড়কে সাজিয়ে রাখা হয় ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের গাড়ি। পাশাপাশি খাবার পানির বিশেষ ভ্যান গাড়িও রাখা হয়। সেখানে আসবেন মেয়র, কার্যক্রমগুলো করবেন পরিদর্শন, দেবেন নির্দেশনা।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসলেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। এদিকে এমন সব স্প্রে ক্যানন এবং ব্রাউজারের গাড়ি দেখে আশপাশের এলাকার শিশু কিশোররা আগেই জোড় হয়েছিল সেখানে। মেয়রের আসা দেখে চালিয়ে দেওয়া হলো স্প্রে ক্যানন। চারিদিকে ঝর্ণার মত ছিটতে থাকলো পানি। এ পানিতে হইহুল্লোড় করে ভিজতে শুরু করলো উপস্থিত শিশু কিশোররা। যা দেখে মেয়র আতিকও যুক্ত হলেন শিশু কিশোরদের সঙ্গে, নিজেকে ভিজিয়ে নিলেন তিনিও।

পরে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা স্প্রে করতে পারে। এটি বায়ুদূষণ রোধের পাশাপাশি তাপ কমাতেও ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি প্রতি ওয়ার্ডে ৩ টি বিশেষ ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থার ভ্যান।


আরও খবর



রাজধানীর যেসব স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২২টি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সারুলিয়ায় স্থায়ী মার্কেটের পাশাপাশি ১১টি অস্থায়ী হাটের আয়োজন করবে। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) গাবতলীতে স্থায়ী হাট ব্যবহারের পাশাপাশি ৯টি অস্থায়ী হাট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ১১টি হাটের ইজারা দেওয়া এবং অফিসিয়াল মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে সমন্বয় করার ক্ষমতা রাখে।

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম জানান, প্রাথমিকভাবে ৯টি হাট স্থাপনের জন্য ইজারা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও হাট বাতিল বা সংযোজনের অধিকার কর্তৃপক্ষের রয়েছে।

ডিএসসিসির যেসব জায়গায় হাট বসতে যাচ্ছে

যাত্রাবাড়ী দনিয়া কলেজ, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ এবং সেকশন ১ ও ২ এর নিকটবর্তী খোলা জায়গা।

আমুলিয়া মডেল টাউন, রহমতগঞ্জ ক্লাব, শ্যামপুর কদমতলী ট্রাকস্ট্যান্ড, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার, ইনস্টিটিউট লেদার টেকনোলজি কলেজ, পোস্তগোলা খোলা মাঠ, মেরাদিয়া বাজার এবং কমলাপুর স্টেডিয়াম-সংলগ্ন স্থান। এ ছাড়াও বিশ্ব রোডের কাছে লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবের পাশের একটি অঞ্চলে হাট বসবে।

ডিএনসিসির আওতায় হাটের জন্য প্রস্তাবিত স্থানগুলো হলো

ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-সংলগ্ন খোলা জায়গা, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া ব্যাপারীপাড়া রহমান নগর আবাসিক প্রকল্প এলাকা এবং খিলক্ষেতের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্তুল চেকপোস্ট।

ভাটারার সুতিভোলা খালের কাছের খোলা জায়গা, উত্তরার ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের কাওলা শিয়ালডাঙ্গা, বউবাজার এলাকা এবং বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, এল, এম, এন।

এ ছাড়াও মিরপুর সেকশন-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং ওপেন স্পেস) এবং মোহাম্মদপুরের বসিলায় ৪০ ফুট রাস্তার পাশের খোলা জায়গায়ও হাট বসানো হবে।

ইজারা মূল্য নির্ধারণ এবং প্রবিধান

দুই সিটি করপোরেশনই ইজারার মাধ্যমে ভাড়ার দাম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এ বছর ডিএনসিসির আওতাধীন উত্তরার বউবাজার এলাকার হাটের জন্য সবচেয়ে বেশি ভাড়া এবং কাঁচকুড়া এলাকার জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে। সীমান্তবিষয়ক সমস্যা থাকায় একটি সমন্বিত কিন্তু স্বতন্ত্রভাবে আফতাবনগর হাটের জন্য পৃথক ইজারা নোটিশ জারি করেছে ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসি।


আরও খবর



ঢাকাস্থ বরিশাল বিভাগীয় আইনজীবী কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকাস্থ বরিশালের আইনজীবীদের বৃহত্তম সংগঠন বরিশাল বিভাগীয় আইনজীবী কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গঠনতন্ত্রের ১২ ধারা অনুযায়ী উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এমপি, অ্যাডভোকেট মো. শাহাজাদা ২০২৪-২০২৭ তিন বছরের জন্য ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরি কমিটির অনুমোদন করেন।

কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক মো. মাগফুর রহমান শেখ ও সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খানকে।

এছাড়া কমিটির অন্যান্যরা হলেন সহ সভাপতি সৈয়দ মাহবুব হোসেন, এ কে এম আক্তার হোসেন, মোসাম্মৎ সুরাইয়া বেগম, জাকির হোসেন সরদার, মো. নাসির উদ্দিন, এম এ হালিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল হাওলাদার, মো. আসাদুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ মো. আল-আমিন রিজভী, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. আল আমিন, মো. আল-কুদরত এ্যাপোলো, পারভেজ হোসেন, শফিকুল ইসলাম মিজান, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদুর হমান বাদল,  সৈয়দ বশির হোসেন চৌধুরী, মো. সাইদুর রহমান মাঈনুল,  নাসরিন হেনা, শ্যামল কুমার রায়, এম, মান্নান (মান্না), আইন সম্পাদক ব্যারিষ্টার শেখ তানভীর করিম রাসেল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা উম্মে ছালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার সানিয়ান রহমান, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সরদার মো. খলিলুর রহমান, সমাজ সেবা সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব, আবাসন সম্পাদক মো. জাফর আহম্মেদ, তথ্য সম্পাদক মো. মশিউর রহমান, শিক্ষা সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস, ক্রিড়া সম্পাদক সৈয়দ ইউনুস আলী রবি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নার্গিস পারভীন এলিজা, প্রচার সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল (বাচ্চু), দপ্তর সম্পাদক  মো. রুবেল আল মামুন, নির্বাহী সদস্য মো. নুরুল ইমান বাবুল, মো. হুমায়ুন কবির, মো. আকবর হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মোসা. মৌসুমী আক্তার, ফাতিমা আক্তার, মো. মাজহারুল আনোয়ার উজ্জ্বল, এরশাদুল কাওছার, হাফিজ আল মামুন, হাবিবা আক্তার, মাহবুবা জুই, মেহেদী মিলন, নুরুল ইসলাম সজিব এবং ৬ জেলার সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর



ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিসহ এক ডজনেরও বেশি সংস্থা, ব্যক্তি এবং জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে অবৈধ বাণিজ্য থাকা এবং ড্রোন সরবরাহের কারণে ওই তিনটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে যেসব ড্রোন পেয়েছে তা গোপনে বিক্রিতে সহায়তা করেছে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কোম্পানিগুলো। ইরানের এ বাণিজ্যিক কাজকে সামনে থেকে সমর্থন দিয়েছে ইরানি কোম্পানি সাহারা থান্ডার। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

এ কোম্পানিগুলো হলো জেন শিপিং, পোর্ট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং সি আর্ট শিপ ম্যানেজমেন্ট (ওপিসি) প্রাইভেট লিমিটেড। সাহারা থান্ডার ইরানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আর্মড ফোর্সেস লজিস্টিকসের পক্ষ থেকে চীন, রাশিয়াসহ একাধিক দেশে ইরানি পণ্য বিক্রয় এবং চালান করে থাকে।

চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তিনশত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ড্রোন প্রযুক্তি ও উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানিকে লক্ষ্য করে ১৯ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৩ এপ্রিল ইসরাইলে হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে, ইরানের এমন ইউএভি বা ড্রোন উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৬ ব্যক্তি ও দুটি সংস্থাকে লক্ষ্য করে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।


আরও খবর