রাজশাহী প্রকৌশল
ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) নয় শিক্ষক-কর্মকর্তাকে চিঠির মধ্যে কাফনের কাপড়
পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে কাফনের কাপড়ের দুটি টুকরো পাঠানো হয়েছে। চিঠির প্রেরকের
ঠিকানায় লেখা রয়েছে ‘সচেতন নাগরিক সমাজ, রাজশাহী’। এছাড়া একটি মোবাইল নম্বরও দেওয়া আছে।
তবে মোবাইল নম্বরটি কার তা জানা যায়নি। এরপর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই
শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর)
সকালে এমন চিঠি পাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রুয়েটের রেজিস্ট্রার
প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেন।
হুমকি পাওয়া শিক্ষক-কর্মকর্তারা
হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি
ড. ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ড. রবিউল আওয়াল, সহসভাপতি ড. জগলুল শাহাদাত, ছাত্রকল্যাণ
দপ্তরের উপপরিচালক মামুনুর রশীদ, কম্পট্রোলার নাজিম উদ্দীন আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী
হারুন অর রশিদ, সেকশন অফিসার রাইসুল ইসলাম রোজ ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল
ইসলাস শেখ।
রুয়েটের সহকারী
প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, রাজশাহীর কোনো এক পোস্ট অফিস থেকে কয়েকজনের নামে রুয়েট
পোস্ট অফিসে চিঠি আসে। সকালে ডাকপিয়ন তা বিতরণ করেন। খাম খুলে সবাই দুই টুকরো কাফনের
কাপড় পান। চিঠি পাওয়ার পরে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে রুয়েট
শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি ড. জগলুল শাহাদাত বলেন, আমি দুপুরের পরে একটি চিঠি পাই। চিঠি
নিয়ে রেজিস্টার অফিসে গিয়ে দেখি আমার মতো অনেকেই এমন চিঠি পেয়েছেন। পরে পুলিশ সেখানে
আসে। এটা নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
শিক্ষক সমিতির
সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, শুদ্ধাচার কৌশলের আওতায় একটি কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে
যারা যারা অনুপস্থিত ছিলেন তাদের নিয়মমতো অফিস করার জন্য আমরা ফোন করি। তবে একজন বিষয়টি
মেনে নেননি। তিনি সবার সামনে আমাকে গালিগালাজ করেন। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এই চিঠি আসতে
পারে বলে আমার ধারণা।
মতিহার থানা পুলিশের
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
জিডি করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।