ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রতিনিধি :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একেরপর এক শিক্ষক, কর্মকর্তাকে হুমকি ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। জানা গেছে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার ছাত্রজীবনে মতাদর্শ নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকে আলোচনা সমালোচনা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হচ্ছে। অনেকে দাবী করছেন ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রদলের সক্রিয় সংগঠক ছিলেন।
তৎকালীন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনের একান্ত ঘনিষ্ট সহচর এবং ডিসিশন মেকার ও ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯৯৫ সালে বেলালের সুপারিশে অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামে যোগ দেন। শাপলা ফোরামের যে সকল শিক্ষক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করে না তাদের মধ্যে অর্থনীতি বিভাগের বাসদ মতাদর্শের অধ্যাপক মূঈদ রহমান ও আলমগীর হোসেন ভূইয়া অন্যতম। অধ্যাপক মূঈদ রহমান তাঁর মতাদর্শে অনঢ় থাকলেও ২০১৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর অধ্যাপক আলমগীর বঙ্গবন্ধু পরিষদে যোগ দিয়েই ইবি'র ট্রেজারার পদ বাগিয়ে নিতে দৌড়ঝাপ শুরু করেন। তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতারা এই অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে মুখ খুলতে শুরু করেন। তাঁর আবাসিক হল সাদ্দাম হোসেন হলের তখনকার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রত্যয়নপত্রে অধ্যাপক ভূঁইয়ার ছাত্রদল সংশ্লিষ্টতার বিষদ বর্ননা তুলে ধরেন। যা দৈনিক পরিক্রমায় ৯ নভেম্বর,২০২০ প্রকাশিত অনুসন্ধানী রিপোর্ট সাথে মিলে যায়। ঐ সংবাদে অধ্যাপক আলমগীর বক্তব্য দিতে রাজী হননি। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রত্যয়নপত্র সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে এখন পর্যন্ত তিনি কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। তবে তাঁর বিভাগের ছাত্র মিজানুর রহমান লালন একেরপর এক শিক্ষক কর্মকর্তাকে ফোনে ও মেসেঞ্জারে হুমকি ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে হুমকিপ্রাপ্ত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ফেডারেশনের মহাসচিব ও ইবি কর্মকর্তা মীর মোর্শেদুর রহমান বলেন, "অধ্যাপক আলমগীর তার বিভাগের ছাত্র লেলিয়ে দিয়ে যেভাবে আরেফিন স্যার, আনোয়ার স্যার, আমান ভাই ও আমার সাথে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে তা ন্যাক্কার জনক। সে শিক্ষক কর্মকর্তাদের বিষয়ে কথা বলার কে? তাঁরা স্বীকার না করলে সেটা তাঁদের ব্যাপার। অধ্যাপক আলমগীর কেন ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বঙ্গবন্ধু পরিষদে যোগ দেননি তা তিনি বলুক। তার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ উঠেছে তা তিনি খণ্ডন করুক। আমি এখানকার ছাত্র ছিলাম। কাজেই আমি সব জানি। হুমকি ধামকি দিয়ে মুখ বন্ধ করা যাবে না।"
এ বিষয়ে ইবি ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান লালনকে বার বার ফোন করা হলে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।