শান্তিতে নোবেল পেলেন ইরানের নার্গিস মোহাম্মাদি। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। ইরানে নারীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই ও সবার জন্য মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রচারের জন্য তাকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া হলো।
বিবিসি বলছে, নার্গিস মোহাম্মদি একজন ইরানী
অধিকার কর্মী এবং ডিফেন্ডারস অব হিউম্যান রাইটস সেন্টারের উপপ্রধান। এই সংস্থাটি ইরানের
আরেক নোবেল বিজয়ী শিরিন এবাদি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
২০১১ সাল থেকে মোহাম্মদি বেশ কয়েক দফায়
কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন এবং বর্তমানে ‘প্রোপাগান্ডা
ছড়ানোর’ দায়ে তাকে তেহরানের
কুখ্যাত এভিন কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে।
গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে শান্তিতে নোবেল
পুরস্কার জিতেন বেলারুশের মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি, রুশ মানবাধিকার
সংস্থা মেমোরিয়াল ও ইউক্রেনীয় মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ।
২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জেতেন
ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ। মতপ্রকাশের
স্বাধীনতার জন্য দুঃসাহসিক লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তিনবার শান্তিতে
নোবেল পেয়েছে রেড ক্রস (১৯১৭, ১৯৪৪ ও ১৯৬৩ সালে)। এছাড়া জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা
ইউএনএইচসিআর পেয়েছে দুবার (১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে)।
চলতি বছর ২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৯ অক্টোবর
পর্যন্ত ধাপে ধাপে ঘোষণা করা হচ্ছে নোবেল বিজয়ীদের নাম। গত সোমবার (২ অক্টোবর) চিকিৎসাবিজ্ঞানে,
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) পদার্থে, ৪ অক্টোবর রসায়নে ও বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সাহিত্যে
নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা
করা হলো। দুদিন বিরতি দিয়ে ৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম।
ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডেনের বিজ্ঞানী
আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা
হয়। প্রথম পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে। সেময় পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে
সফল, অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচটি বিষয়ে
পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য
ও শান্তি। যদিও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে।
এ বছর অর্থমূল্য বাড়ছে নোবেল পুরস্কারের।
গতবারের চেয়ে এ বছরের বিজয়ীরা ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা বেশি পেতে চলেছেন। নোবেল ফাউন্ডেশন
জানিয়েছে, ২০২৩ সালে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাড়িয়ে ১ কোটি ১০ লাখ ক্রোনা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।