সাভারে আবারো একটি আবাসিক এলাকায় অনুমোদনহীন গ্যাস রিফিল কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সকল কারখানাগুলোতে গোপনে বড় সিলিন্ডার বোতল থেকে ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস সরবরাহ করে বাজারজাত করে আসছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (১৩ মে) সকাল ১০ টার দিকে আশুলিয়া থানার জামগড়া তেঁতুলতলা এলাকার বিল্লালের কারখানায় এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরনের ঘটনায় চার জনকে গুরুতর আহত অবস্থা উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। এঘটনায় ওই বাড়িটি পুরোপুরি ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আবাসিক এলাকা হওয়ায় বর্তমানে সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন>> অন্ধ পরিবারটির পাশে দাড়ালেন ভাষা সৈনিক দবিরুলের পুত্র
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কারখানায় বিল্লাল নামের এক অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্যাসের খালি সিলিন্ডার সংগ্রহ করতেন। পরে ৪৫ লিটার গ্যাসের বড় সিলিন্ডার থেকে খালি সিলিন্ডারে বালু ও পানি ভরিয়ে গ্যাস রিফিল করতেন। প্রতিদিনের মত আজ সকালে গ্যাস রিফিল করছিলেন ওই ব্যবসায়ী। এ সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ হলে নিমিষেই চারদিকে আগুন ধরে যায়। ধারণা করা হচ্ছে এই আগুনে দগ্ধ চারজন কারখানারই শ্রমিক। আহাতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. ওয়ালি উল্লাহ জানান, সকাল ৯ টা ৫৫ মিনিটের দিকে টিনসেড গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় চার জনের দগ্ধের খবর পেয়েছি। আমরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই তাদের হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী বলছেন, ঘন ঘন গ্যাস কারখানা বিস্ফোরণের ঘটনায় আশুলিয়া জুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। অতি দ্রুত যেন প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনুমোদনহীন এ সকল গ্যাস রিফিল কারখানা বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। অন্যথায় আবাসিক এলাকায় মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের এসকল অনুমোদনহীন গ্যাসের কারখানা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাবে। সাধারণ মানুষের জান মালের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পতিত হবে।
এ ব্যাপারে অবৈধ গ্যাস রিফিল কারখানার মালিক বিল্লালের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।
বিষ্ফোরণের খবর পেয়ে আশুলিয়া থানায় এস আই মাসুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, এ ঘটনার পর থেকে জমির মালিক ও কারখানা মালিক পলাতক রয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।