আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

‘শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় না আসলে সকল উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৪ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলে দেশে প্রতিনিয়ত উন্নয়ন হচ্ছে। যদি তিনি আবার ক্ষমতায় না আসেন দেশের সকল উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান। গতকাল দুপুরে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার চরচরিয়া দাস পাড়া রাস্তা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি  এ কথা বলেন।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতিকে উর্ধে রেখে আমি জেলা পরিষদের সকল কাজ সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছি। এই কাজগুলো শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই করতে পেরেছি। তিনি বলেন, আমি জেলা পরিষদের মাধ্যমে ঢাকা জেলায় শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছি।

তিনি উপস্থিত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা আপনাদের কাছে কিছুই চাই না। শুধু মাত্র একটা ভোট চাই। জাতীয় নির্বাচন সন্নিকটে তাই আপনাদের প্রতি অনুরোধ সবাই মিলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও সরকার প্রধান করবেন।

দিন ব্যাপী মাহবুবুর রহমান উপজেলার যন্ত্রাইল, নয়নশ্রী, বক্সনগর, চুড়াইন, আগলা ইউনিয়নে এক কোটি সতের লক্ষ টাকা উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা পরিষদের প্রকৌশলী আব্দুল রাজ্জাক, সহকারী প্রকৌশলী মোতালেব হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা, যন্ত্রাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মনিরুজ্জামান তুহিন, আগলা ইউপি চেয়ারম্যান শিরিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শাহবুদ্দিন, হাবিবুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, নবাবগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন খান, সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক স¤পাদক মো. পলাশ, আইয়ুব চৌধুরী, গাজী শাকিলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



জামায়াতের আমিরসহ ৭২ জনের বিচার শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর রামপুরা থানায় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমানসহ ৭২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলাটির আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হলো।

রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুল হক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে ২৭ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

বিচার শুরু হওয়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী সদস্য মো. ইজ্জত উল্লাহ ও ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর জামায়াতের ডাকা হরতালে রাজধানীর রামপুরা আবুল হোটেলের সামনে গাড়ি ভাঙচুর, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশের কর্তব্য কজে বাধা দেওয়া হয়।এ ঘটনায় রামপুরা থানার এসআই আব্দুল হক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

২০১৩ সালের ১৮ মে জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমানসহ ৭২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন রামপুরা থানার এসআই ইমরুল ফরহাদ।


আরও খবর
জামিন পেলেন না মির্জা ফখরুল

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




পিরোজপুর-১ আসনের নৌকা প্রার্থীর কর্মীদের জীবননাশের হুমকি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রাহাত (পিরোজপুর)

Image

নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে নৌকা মার্কার প্রার্থীর কর্মীদের জীবননাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগে পিরোজপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের বিরুদ্ধে তদন্তে সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

আজ সোমবার দুপুরে অভিযোগকারি ইন্দুরকানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামনের কাছ থেকে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম‌্যান, বিচারক (যুগ্ম জেলা জজ) বেগম রুবাইয়া আমেনা স্বাক্ষ‌্য প্রমান গ্রহণ করেন।

মোহাম্মদ মনিরুজজ্জামানের অভিযোগ পত্র থেকে জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর পিরোজপুর -১ আসনের সংসদ সদস‌্য শ ম রেজাউল করিমের সাথে নাজিরপুর বাসভবনের উদ্দেশ‌্যে রওয়ানা করলে পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক তাকে মোবাইল করে গালিগালাজ ও শহরের সোহরাওয়ার্দী কলেজ অতিক্রম করতে দেয়া হবে না হুমকি দেয়। শ ম রেজাউল করিমের বাসায় যাওয়ার চেষ্টা করলে এর পরিনাম ভালো হবে না বলেও উল্লেখ করেন।

তার মোবাইল রাখার ৫ মিনিট পর আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী আউয়াল মনিরুজ্জামানকে ফোন করে শ ম রেজাউল করিমের নামে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন।

এসময় এ কে এম এ আউয়াল নৌকা প্রার্থীর কর্মী মনিরুজ্জামানকে বলেন, ইন্দুরকানী কলেজ অতিক্রমের চেষ্টা করলে হাত পা কেটে চোখ উপরে ফেলা হবে এবং জীবন শেষ করে দেয়া হবে।  এসময় তিনি আরও বলেন, সাইদ মহুরী, নাসির সেপাই, মিজান মেম্বর, সানজিদ মুহুরি ও খসরু খলিফাকে পাঠাচ্ছি। তোকে তুলে এনে আমার আদালতে বিচার করবো। এ কথা বলে তিনি মোবাইল কেটে দেন। 

কিচ্ছুক্ষণ পর ওই সন্ত্রাসী বাহিনী মোটরসাইকেল বহর নিয়ে আমার বাড়িতে হানা দেয় এবং এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে। এসময় এলাকায় চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি জানতে পেরে মনিরুজ্জামান তার সাথে থাকা ইন্দুরকানী উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল লতিফ হাওলাদার, ইউসুফ আলী শেখ ও অন‌্যান‌্যদের সহায়তায় বিকল্প রাস্তা দিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান। বিষয়টি ইন্দুরকানী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জিডি করার জন‌্য আবেদন জমা দিলেও তা নথিভুক্ত করেন নি।

ইন্দুরকানী থানার ওসি কামরুজ্জামান খান বলেন, থানায় অভিযোগ এসেছে। কিন্তু তারা  নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ দিয়েছে।


আরও খবর
বাহাউদ্দিন নাছিমকে শোকজ

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




বেসিকের বাচ্চুর বসুন্ধরার ১৩৮ কাঠা জমি ক্রোকের নির্দেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু ও তার পরিবারের চার সদস্যের ১৩৮ কাঠা জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৫ নভেম্বরের) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ নির্দেশ দেন।

বাচ্চুসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুদকের করা একটি মামলায় ১৩৮ কাঠা জমি ক্রোকের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা। ওই আবেদন শুনানি শেষে আদালত ক্রোকের নির্দেশ দেন।

বাচ্চুর পরিবারের অন্য সদস্যরা হলেন, বাচ্চুর স্ত্রী শিরিন আক্তার, ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না, ছেলে শেখ সাবিদ হাই অনিক ও মেয়ে শেখ রাফা হাই।

দুদকের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ২০১২ সালে শেখ আবদুল হাই বাচ্চু দুই প্লটের মালিক হন। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার আই ব্লকের ৭১৯ ও ৭২০ নম্বরধারী প্লটের আয়তন ২২৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। ৩৩ শতাংশে ১ বিঘা হিসাবে প্লট দুটির আয়তন ৬ দশমিক ৯ বিঘা, অর্থাৎ প্রায় ৭ বিঘা। ২০ কাঠায় ১ বিঘা হিসাবে পুরো সম্পত্তির পরিমাণ ১৩৮ কাঠা। এসব জমির মূল্য ২৭৬ কোটি টাকা প্রায়।

তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেন, আবদুল হাই বাচ্চু এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বেশ কিছু মামলা রয়েছে। ওই মামলা থাকা অবস্থায় তাদের নামীয় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জমি সম্প্রতি বিক্রির চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। ওই সম্পত্তি যাতে বিক্রি করতে না পারেন, সে কারণে ক্রোক করা দরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আদেশের কপি জেলা প্রশাসক ও ঢাকা জেলা রেজিস্টারকে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 


আরও খবর
জামিন পেলেন না মির্জা ফখরুল

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




আগামীকাল বরিশাল হানাদার মুক্তদিবস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল পাক হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত করা হয়েছিল বরিশাল। সেদিন হাজার হাজার মানুষের মুখে জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল বরিশালের আকাশ-বাতাশ।

এরআগে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইট এর মাধ্যমে পাকিস্তানি বর্বরবাহিনী শুরু করা গণহত্যার খবর বরিশালে টেলিফোনে আসে। ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধারা তৎকালীন পুলিশ সুপার ফখরুল ইসলামের কাছ থেকে চাবি নিয়ে বরিশাল পুলিশ লাইনের অস্ত্রাগার ভেঙ্গে গুলি, রাইফেল নিয়ে যায়। ঐদিন মেজর জলিলকে উজিরপুরের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়। সকালে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে পরিস্থিতি মোকাবেলায় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক নুরুল ইসলাম মঞ্জুকে বেসামরিক প্রধান এবং মেজর এম.এ জলিলকে সামরিক প্রধান করে নগরীর বগুরারোডের বরিশাল সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দক্ষিণাঞ্চলীয় স্বাধীন বাংলা সরকারের সচিবালয়।

এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করা হতো। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, অর্ন্তভুক্তি ও ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণের ব্যবস্থা করা হতো। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করা হতো। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, অর্ন্তভুক্তি ও ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণের ব্যবস্থা করা হতো ।

১৮ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদাররা আকাশ পথে বরিশালে প্রথমে হামলা চালায়। পরে ২৫ এপ্রিল জল, স্থল ও আকাশ পথে দ্বিতীয় দফা আক্রমণ হয়। হানাদার বাহিনী স্থল পথে বরিশাল আসার পথে গৌরনদীতে এবং নৌ পথে গানবোট যোগে প্রবেশের চেষ্টাকালে শহরতলী তালতলীর জুনাহারে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পরে।

কিন্তু উভয় স্থানে ভারী অস্ত্রের সামনে পিছু হটতে বাধ্য হয় মুক্তিযোদ্ধারা। আর হানাদারবাহিনী চালায় হত্যাযজ্ঞ। পাকিস্তানি বাহিনী প্রথমে অশ্বিনী কুমার হলে অবস্থানের পর জিলা স্কুলে এবং সর্বশেষে ওয়াপদায় (বর্তমান আঞ্চলিক পানি উন্নয়ন বোর্ডের কম্পাউন্ড) তাদের হেড কোয়ার্টার গড়ে তোলে। এখানে বাংকার খুঁড়ে,ভারী অস্ত্রের সমাবেশ ঘটায় তারা। এখানেই তৈরি করা হয় নির্যাতন কক্ষ।

৯ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর এম.এ জলিল ক্যাপ্টেন শাহজাহানকে বরিশাল সাব সেক্টরের দায়িত্ব দিয়ে বরিশাল পাঠান। এ সময় তার নতুন নামকরণ করা হয় ক্যাপ্টেন ওমর। উজিরপুরের বরাকোঠা দরগাহবাড়ি প্রাইমারী স্কুলে তিনি প্রতিষ্টিত করেন বরিশাল সাব সেক্টর কমান্ডের হেড কোর্য়াটার।

নভেম্বর মাস থেকে মুক্তিযোদ্ধারা থানাগুলোতে আক্রমণ চালাতে শুরু করে। বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এ সব যুদ্ধে বেশ কিছু সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হলেও পাকিস্তানি বাহিনী কার্যত থানাগুলোতে বন্দী হয়ে পড়ে।

৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে হঠাৎ করে বরিশালে কারফিউ ঘোষণায় মানুষ আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ে। কারফিউ ঘোষণা হলেও সেনাটহল ছিলো না। অথচ অন্যদিনগুলোতে সব সময়ের জন্য রাস্তায় সেনা, পুলিশ এবং রাজাকারদের টহল থাকত। সড়ক পথ চারদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় পাক হানাদাররা পালানোর পথ হিসেবে জল পথকে বেছে নেয়।

৮ ডিসেম্বর ভোররাতের মধ্যে তারা বরিশাল ত্যাগ করে। সে পথেও পাকিস্থানী বাহিনী ও তাদের দোষররা নিজেদের রক্ষা করতে পারেনি। ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলায় মুলাদীর কদমতলা নদীতে লঞ্চ, চাঁদপুরের মেঘনা মোহনায় কিউ জাহাজসহ গানবোট ও কার্গো ধ্বংস হয়েছিল।

৮ ডিসেম্বর প্রথমে সুলতান মাষ্টার মুক্ত বরিশাল শহরে প্রবেশ করে কোতয়ালী থানা দখল করেন। এভাবে একে একে বরিশাল শহরের বিভিন্ন স্থাপনা দখলে নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। এর পর উড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা। এদিকে পাকিস্তানি আর্মি পলায়নে জয় বাংলা ধ্বনিতে হাজার হাজার জনতা রাজপথে নেমে পড়ার মধ্যদিয়ে বরিশাল মুক্ত হলেও বরিশালের গৌরনদী পাকহানাদার মুক্ত হয় ২২ ডিসেম্বর।

বরিশাল মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা, আলোচনা সভা ও র‌্যালি।


আরও খবর
ভালুকা মুক্ত দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

আজ লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




মহেশপুরে খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বৈচিত্রপূর্ণ ছয়টি ঋতুর দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। শরৎ ঋতুকে বিদায় দিয়ে হেমন্তকে বরণ করেছে প্রকৃতি। এক একটি ঋতুর রয়েছে এক একটি বৈশিষ্ট্য। ঋতু বৈচিত্রে এখন রাতের শেষে কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা।

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে খেজুর রস সংগ্রের জন্য গাছিরা খেজুর গাছ কাটার কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাক ডাকা ভোরে রস সংগ্রহ ও সন্ধায় চলছে গাছ পরিচর্যার কার্যক্রম। এবার কিছুটা আগেই সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশপুরের প্রান্তিক জনপদের গ্রামে গ্রামে সকালের শিশিরের সঙ্গে অনুভূত হচ্ছে মৃদু শীত। আর মাত্র কয়েক দিন পর রস সংগ্রহ করে রস থেকে নালি গুড় তৈরির পর্ব শুরু হয়ে চলবে প্রায় মাঘ মাস পর্যন্ত। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রের প্রস্তুতি উপজেলার প্রতিটি গ্রামে চোখে পড়ছে।

খেজুর রস ও গুড়ের জন্য সীমান্তবর্তী এই উপজেলার এক সময় খ্যাতি ছিল। সুঘ্রান নলের গুড় উপজেলার নির্দিষ্ট কয়েকটি গ্রাম ছাড়া পাওয়া যায় না। তা আবার চাহিদা তুলনায় অত্যন্ত কম। তার পরও যে রস, গুড় ও পাটারী তৈরি হয় তা দিয়ে শীত মৌসুমে রীতিমত কাড়াকাড়ি শুরু হয়। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড়। কিছুদিন আগেও বিভিন্ন এলাকার ক্ষেতের আইলে, রাস্তার দুই ধারে ও ঝোপ-ঝাড়ে ছিল অসংখ্য খেজুর গাছ। কোন পরিচর্যা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠতো এসব খেজুর গাছ।

প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত রস দিয়ে তৈরি করা হতো সুস্বাদু খেজুর গুড়। কিন্তু মানুষের সচেতনতা ও রক্ষণাবেক্ষরণর অভাবে পরিবেশ বান্ধব খেজুর গাছ আর তেমন চোখে পড়ে না। অপরদিকে ইট ভাটার রাহু গ্রাসে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার বেশি হওয়ার কারনে যে পরিমান গাছ চোখে পড়ে তা নির্বিচারে নিধন করায় দিনদিন খেজুর গাছ কমছেই। এখনও শীতকালে শহর থেকে মানুষ দলে দলে ছুটে আসে গ্রাম বাংলার খেজুর রস খেতে। এক সময় সন্ধ্যাকালীন সময়ে গ্রামীন পরিবেশটা খেজুর রসে মধুর হয়ে উঠতো। রস আহরণকারী গাছিদের প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যেত সে সময়।

রস জ্বালিয়ে পাতলা ঝোল, দানা গুড় ও পাটালী তৈরি করতেন। যার সাদ ও ঘ্রাণ ছিল সম্পূর্ন ভিন্ন। এখন অবশ্যই সে কথা নতুন প্রজন্মের কাছে রুপ কথা মনে হলেও বাস্তব। যত বেশি শীত পরড়ে ততবেশি মিষ্টি রস দেবে খেজুর গাছ। এ গাছ ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত রস দেয়। এটাই তার বৈশিষ্ট্য। শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস, গুড়, পিঠা, পুলি ও পায়েস খাওয়ার পালা। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন কালের বির্বতনসহ বন বিভাগের নজরদারী না থাকায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ এখন বিলুপ্তির পথে।

উপজেলার গোপালপুর গ্রামের গাছি মনির উদ্দীন ও ফরজ আলী বলেন, এবছর একটু আগে ভাগেই গাছ ঝোড়া বা কাটা শুরু করেছি। কয়েক দিনের মধ্যেই রস সংগ্রহের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। তারা আরও বলেন ভাটার কারণে অনেক খেজুর গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এখন তেমন একটা বেশি খেজুর গাছ না থাকায় গাছিরাও খেজুর রস সংগ্রহের জন্য তেমন আগ্রহ দেখান না।

এব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই খেজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। গাছিদের খেজুর গাছ কাটার কাজটি শিল্প আর দক্ষতায় ভরা। ডাল কেটে গাছের শুভ্র বক বের করার মধ্যে রয়েছে কৌশল, রয়েছে ধৈর্য আর অপেক্ষার পালা। এ জন্য শীত মৌসুম আসার সাথে সাথে গাছিদের কদর বেড়ে যায় জানান তিনি।

শামীম খান জনী (মহেশপুর) ঝিনাইদহ

নিউজ ট্যাগ: খেজুর রস

আরও খবর