বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র কারণে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল উত্তাল হয়ে পড়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজারে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনো মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আজ সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভায় এ প্রস্তুতির কথা জানান জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান। তিনি জানান উপকুলের সব সাইক্লোন শেল্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকুলে মাইকিং করা হয়েছে।
সাগরে মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে উপকুলে নিরাপদ স্থানে সরে আসতে বলা হয়েছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন ২ শতাধিক পর্যটক।
জাহাজ মালিকদের সংগঠন স্কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর জানান, বুধবার ৩টি জাহাজে করে ৫১৯ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যান। তার মধ্যে দুই শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে অবস্থান করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জাহাজ চলাচল শুরু হবে, তখন সেন্টমার্টিনে থাকা পর্যটককে ফিরিয়ে আনা হবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ ইমরান উদ্দিন জানান, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গভীর সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এতে কক্সবাজারসহ দেশের সবক’টি সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দূরবর্তী সাগরে অবস্থান করছে।