চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ও
জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সাপমারা খালের বাশেঁর সাঁকো। সেতু না
থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য, যাতায়াত, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ নানা ক্ষেত্রে ভোগান্তি পোহাতে
হয় অর্ধলক্ষ মানুষকে। এসব মানুষ জীবনযাপনের
মৌলিক সূচকে পিছিয়ে আছেন।
স্থানীরা জানান, দীর্ঘ চারযুগ ধরে দু’পারের মানুষের
দাবি সাঁকোটি সেতু করার। নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা সেতুর স্বপ্ন দেখায়, নির্বাচনের
পর খবর থাকেনা। তাই অনেকেই এটাকে নির্বাচনী ওয়াদার সাঁকোও বলে। স্থানীয়রা স্ব-উদ্যোগে
এটি মেরামত করলেও অধিক মানুষের যাতায়াত ও জোয়ারের পানির তোড়ে সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে ভেঙে যায়। ফলে এলাকার নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের
জন্য সাঁকোটি পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাঁকোর দাড়িয়ে থাকা
বাঁশগুলোও ফেটে গেছে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে বাশেঁর সাকোঁ
পার হতে হয়।সাপমারা খালের উপর সেতু নির্মাণ হলে ওই দুইটি ইউনিয়নের মানুষ যাতায়াতের
পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও এগিয়ে যাবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগীদের জন্যও সহজ
হবে যাতায়াত। স্থানীয় কৃষিপণ্য ও ধোপাজান মহালের বালু-পাথর সড়কপথে দেশের নানা প্রান্তে
সহজে পরিবহন সম্ভব হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে গন্তব্যে যেতে পারবেন তারা
জানা যায়, রায়পুর ও জুঁইদন্ডী দুই ইউনিয়নের
বাসিন্দাদের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম এই সাঁকোটি। জোয়ারের পানির আঘাতে সাঁকোটির অবস্থা
নাজুক। এই সাঁকো দিয়ে দুই ইউনিয়নের নারী, শিশু ও বৃদ্ধ ছাড়াও রায়পুরের বহু শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য জুঁইদন্ডী
জে কে এস উচ্চ বিদ্যালয় ও আনোয়ারুল উলূম মাদ্রাসায় যায়। তাছাড়া দুই ইউনিয়নের লোকজন
এই সাঁকো দিয়ে আনোয়ারা সদর ও চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করে।
সরেঙ্গার বাসিন্ধা বৃদ্ধ মাহাবুব আলী(৬০)
ক্ষোভের সাথে বলেন, “ছবি বওত তুইল্ল, আর ন তুইল্ল, আঁরা সেতু
ন পায়, এহন আঁরা বাঁশ ভাঙি পরি মরিলি তই ছবি তুইল্ল, সরকার পদ্মা সেতু আর টানেল গরিত
পাইল্লি আঁরার মাত্র ৩০ মিটার সেতু কা গরির ন পারের”।
আনোয়ারা উপজেলা প্রকৌশলী তছলিমা জাহান
বলেন, ভাঙা সাঁকোটি জরুরী মেরামতের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা
নেব। খালের ওপর ৬৫ মিটার পাকা সেতুর জন্য নতুন করে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। মাননীয় ভুমি
মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি মহোদয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সেতু নির্মাণে
বরাদ্ধের জন্য “ডিও লেটার”ও দিয়েছে। এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
অনুমোদন এলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করব।