শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতারোধে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এই জন্য দেশের একলক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই লক্ষ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মাছের পোনা অবমুক্ত ও নদীভাঙনের শিকার ৫২৫ জন ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, মোবাইলফোনের গেম আসক্তি এবং করোনা পরিস্থিতিও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে এই থেকে পরিত্রাণের জন্য পাঠ্যক্রমে বাড়তি পড়াশোনার চাপও কমিয়ে দিয়ে যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা চালু হচ্ছে। আশা করছি, এতে পরিস্থিতির অবশ্যই উন্নতি ঘটবে। এই ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে অভিভাবকদের ভূমিকা রয়েছে।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোই হ্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগে মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুস ছাত্তার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ মহীউদ্দিন, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারী, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল, মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মাছের পোনা অবমুক্ত করা ছাড়াও হাইমচরের চারটি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় মেঘনায় ভাঙনের শিকার ৫২৫টি পরিবারকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করে মোট ৬৫ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।