অনিয়মের অভিযোগ এনে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী
কুমিল্লা ব্রাহ্মনপাড়া থানার বড়ধুশিয়া গ্রামের
মৃত আবু তাহের ভূঁইয়ার ছেলে ছফিউল্লাহ ভূঁইয়া বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এতে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি কুমিল্লা ব্রাহ্মনপাড়া
উপজেলার বড়ধুশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী পদে খণ্ডকালীন নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘ প্রায়
দুই বছর দক্ষতার সঙ্গে চাকরি করে আসছিলেন। বড়ধুশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও অন্যরা
তাকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চাকরি এমপিভুক্ত করবেন বলে আশ্বাস দেন।
গত ১৩ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার আগে তার
কাছে নিয়োগ বোর্ডের কয়েকজন সদস্য টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ
করেন।
নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক আহাম্মদ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মো. হুমায়ন কবির
ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. হোসেন ভূঁইয়ার সমন্বয়ে নিয়োগ বোর্ড গঠন করেন।
অফিস সহায়ক, আয়া ও নৈশপ্রহরী হিসেবে যাদের
নিয়োগ দিয়েছেন, তাদের কাছ থেকে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. হোসেনের মাধ্যমে আট লাখ
টাকা ঘুসের বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ করেন নিয়োগবঞ্চিত ছফিউল্লাহ ভূঁইয়া।
তার অভিযোগ, যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে,
আমরা সবাই একসঙ্গে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। লিখিত পরীক্ষায় এমন
ব্যক্তিকে পাশ দেখানো হয়েছে, যে ব্যক্তি নিজের নাম ছাড়া অন্য কিছু লিখতে পারে না।
এ নিয়ে এলাকার লোকজন বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের
জমির মালিক ও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তার বাবা মৃত আবু তাহের।
এ ব্যাপারে বড়ধুশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক শেখ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আমি অসুস্থ। ঢাকা হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি
আছি। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
অভিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হোসেন
ভূঁইয়ার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি এবং তার মোবাইল নাম্বারটিও বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. দৌলত জামান ভূঁইয়া
বলেন, আমরাই ছফিউল্লাহ ভূঁইয়াকে দুই বছর আগে নিয়োগ দিয়েছিলাম, বর্তমানে নিয়োগ পরীক্ষা
সঠিক হয়েছে, টাকা লেনদেনের বিষয়টি আমি জানি
না।