আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সময় এখন ক্যাম্পিংয়ের

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ তাঁবুবাসে যায় শীতকালে। কারণটাও খুব স্বাভাবিক, অন্য সময় আমাদের আবহাওয়ায় ক্যাম্পিং করা বেশ কঠিন। গরমে ও বৃষ্টিতে অনেকেই ক্যাম্পিংকে ঝামেলা মনে করেন। শীতের সময় দেশের অনেক পর্যটনের জায়গাগুলোতে মারাত্মক ভিড় থাকে। শীতকালে ক্যাম্পিং করতে গেলে কিছু জিনিসপত্র অতিরিক্ত লাগে, যেটা বছরের অন্য সময় লাগে না।

আবার সব ধরনের ক্যাম্পিংয়ে কিছু জিনিসপত্র লাগবেই। শীতকালের ক্যাম্পিংয়ে যেগুলো থাকা লাগবে, সেগুলো নিয়ে রইলো কিছু তথ্য।

ভালো মানের তাঁবু : ক্যাম্পিংয়ের সবচেয়ে জরুরি জিনিস হচ্ছে ভালো মানের তাঁবু। সাধারণ মানের তাঁবু পানি নিরোধক ক্ষমতা থাকে না। ফলে শিশিরেই তাঁবু ভিজে যায়। যেটা আপনাকে খুব বিপদে ফেলতে পারে। এ ছাড়া তাঁবু কজনের, সেটাও দেখে নেবেন।

লম্বা পথ যদি আপনাকে তাঁবু বহন করে ট্রেকিং করে ক্যাম্পিংয়ে যেতে হয়, সেক্ষেত্রে আল্ট্রালাইট তাঁবু জরুরি। গাড়ি বা লঞ্চে গেলে সারাক্ষণ তাঁবু বহন করা লাগে না, সেক্ষেত্রে তাঁবু একটু বড়/ভারী হলে তেমন কোনো সমস্যা নেই। মানভেদে তাঁবুর দাম ২ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকা হতে পারে। এ ছাড়া ভাড়া নিতে হলে প্রতি রাত ২০০-৩০০ টাকায় পাবেন।

ইনস্যুলেটেড ম্যাট্রেস : অনেকেই ধারণা করতে পারেন না রাতের বেলা তাঁবুর নিচের দিক থেকে কী ধরনের ঠান্ডা উঠতে পারে। এ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আপনার সঙ্গে একটি ইনস্যুলেটেড ম্যাট্রেস থাকতে হবে। তাঁবু ফেলার পর এই ম্যাট্রেস তাঁবুতে বিছিয়ে তার ওপর ঘুমাতে হবে। খরচ পড়বে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। একবার ব্যবহারের জন্য হার্ডওয়্যারের দোকান থেকে নিজের শরীরের মাপে একটা ইনস্যুলেটেড ম্যাট্রেস কিনে সেটা সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে ১৫০-২০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।

স্লিপিং ব্যাগ ও পিলো : এই আবহাওয়ায় ক্যাম্পিংয়ের জন্য স্লিপিং ব্যাগ অত্যন্ত জরুরি। এ ছাড়া ক্যাম্পিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ইনফ্লেটেবল পিলোও নিতে পারেন। মানভেদে স্লিপিং ব্যাগ ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা হতে পারে। আর পিলো পাওয়া যাবে ৩০০-৫০০ টাকায়।

পাওয়ার ব্যাংক : ভ্রমণে এখন পাওয়ার ব্যাংক অপরিহার্য একটা জিনিস হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাতে মোবাইল চার্জ দেওয়া, ইউএসবি লাইট ব্যবহার করা, ক্যামের ব্যাটারি চার্জ করাসহ সব কাজেই পাওয়ার ব্যাংক লাগবে।

পানি ও শুকনো খাবার : সাধারণত ক্যাম্পিংয়ের জায়গায় খাবারের কিছুই পাওয়া যায় না। তাই সঙ্গে বিশুদ্ধ পানি ও কিছু শুকনো খাবার যেমন- বিস্কিট, চকলেট, মুড়ি রাখতে পারেন।

হ্যামক : ক্যাম্পিংয়ে গেলে সঙ্গে একটা হ্যামক রাখতে পারেন। ক্যাম্পসাইটে গাছে হ্যামক ঝুলিয়ে চমৎকার সময় পার করা যায়। অবশ্য যেখানে ক্যাম্পিং করবেন, সেখানে হ্যামক ঝোলানোর মতো জায়গা থাকতে হবে।

ব্যাকপ্যাক : সবকিছু বহনের জন্য ভালো বড় ব্যাকপ্যাক নিতে হবে। ব্যাকপ্যাকে প্রয়োজনীয় জামা-কাপড়ও নেবেন। সাধারণত ব্যাকপ্যাকের বাইরের অংশে তাঁবু রাখার মতো বেল্ট থাকে, সেখানে তা ঝুলিয়ে নিতে পারবেন।

টার্প : ছোট করে ভাঁজ করে রাখা যায়, ওয়াটারপ্রুফ এ রকম একটি টার্প থাকলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। টার্প বিছিয়ে তার ওপর তাঁবু খাটালে শিশির ও পানিতে তাঁবুর নিচের অংশে কাদামাটি লাগবে না।


আরও খবর



ড্রোন উড়িয়ে কেএনএফের সন্ত্রাসীদের খুঁজছে পুলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের কয়েকটি ব্যাংকসহ কয়েক জায়গায় হামলার পর গহিন পাহাড়ে আত্মগোপনে চলে গেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা। তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করছে পুলিশ।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তিন দিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে কেএনএফ। বৃহস্পতিবার রাতে থানচি বাজার ও থানার তিন দিক থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে তারা থানা দখলের চেষ্টা করে। এ সময় আমরা পাল্টা গুলি চালালে তারা পালিয়ে যায়। কেএনএফ সদস্যরা এখন থানার দেড় কিলোমিটারের মধ্যে আত্মগোপনে রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্যে নিশ্চিত হয়েছি। তারা আবারও আক্রমণ করতে পারে। সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে আমরাও প্রস্তুত রয়েছি।

গত ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাইরে বের হচ্ছেন না। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে থানচি এলাকায়।

পাহাড়ি এক ব্যবসায়ী বলেন, কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা কী চায় আমরা বুঝতে পারছি না। জীবনে প্রথম ব্যবসা করতে গিয়ে চাঁদা দিতে হয়েছে। এভাবে চললে ব্যবসায় ধস নামবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এরপর শুক্রবার সকালে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



বগুড়ায় বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, নিহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বগুড়ার এরুলিয়ায় বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ জন। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নওগাঁ-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের এরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান।

নিহত তিন জন বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মী। তারা হলেন, ওই সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাইম (৫৫), আব্দুল হান্নান (৪৪) ও চেইন মাস্টার আলগীর হোসেন (৪২)। নিহতদের মরদেহ শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহরা শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। 

প্রত্যক্ষদর্শী আবুল কালাম জানান, বিকট শব্দের পর প্রাইভেটকারের এক যাত্রী সড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে কাছে গিয়ে প্রাইভেটকারের ভেতরে নিহত আরও দুই জনকে দেখতে পাই। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে।

এই বিষয়ে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, আজ সকালে প্রাইভেটকারটি নওগাঁর দিকে যাচ্ছিলো। এরুলিয়াতে পৌঁছে কারটি সামনে থাকা একটি ট্রাককে অতিক্রম করতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। পরে গাড়ি কেটে নিহতদের মরদেহ বের করা হয়।

তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

নিউজ ট্যাগ: বগুড়া

আরও খবর



চুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

বাসচাপায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করল প্রশাসন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, গত ২২ এপ্রিল মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে আজ ২৫ এপ্রিল উপাচার্য মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ছাত্রদেরকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদেরকে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ত্যাগের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ক্যাম্পাস থেকে শহর গমনাগমন করবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাস্তায় একটি বাসে আগুনও দেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চুয়েট শিক্ষার্থী বলেন, এই সিদ্ধান্ত ছাত্রছাত্রীদের দমানোর জন্য নেওয়া হয়েছে। আন্দোলন বন্ধ করার জন্য কেউ হল ছাড়বে না, সবাই ক্যম্পাসে অবস্থান করবে।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন ও একজন আহত হন। নিহতরা হলেন- চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও একই বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেন। এ ঘটনায় আহত জাকারিয়া হিমু পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় ১০ দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা টানা চতুর্থদিন আন্দোলন করছেন। গাছ ও বেরিকেড দিয়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করছেন তারা।


আরও খবর



উদ্বোধনের ৫ মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে চালু হয়নি ট্রেন

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উদ্বোধনের ৫ মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে ট্রেন চালু হয়নি। কবে নাগাদ ট্রেন চলাচল শুরু হবে তা এখনও অনিশ্চিত। ৮টি স্টেশন ও রেল ক্রসিংসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য জায়গায় এখনও জনবল নিযুক্ত করা হয়নি। এ অবস্থায় যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারছেন না প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই রুটে ট্রেন চালুর অপেক্ষায় রয়েছে মোংলা ও খুলনার ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করে। এরপর ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে ভার্চুয়ালি খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। কিন্তু এরপর ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি।   

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, এই রেলপথে ৮টি স্টেশন নির্মাণ করা হলেও সবগুলোতে এখনও আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম দেয়া হয়নি। রেল স্টেশন ও রেল ক্রসিংগুলোতে নিযুক্ত করা হয়নি কোনো জনবল। এছাড়া মোট কতটি ট্রেন চলবে, ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া এখনও নির্ধারণ হয়নি।

খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম জানান, উদ্বোধনের সময় কিছু ফিনিশিং কাজ বাকি ছিল। সেগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে এখনও জনবল নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। এই রুটে পণ্য পরিবহনকে প্রাধান্য দেয়া হবে, সেই সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনও চলবে।

খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, খুলনা-মোংলা রেল লাইন এখন যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত। ঈদের পরে ট্রেন চলাচল শুরু করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। এই রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ভারতীয় দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টুবরো এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। ভারতের ঋণ সহায়তায় এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।

এই রেলপথে রূপসা নদীর উপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ৯টি স্থানে ভেইকেল আন্ডারপাস-ভিইউপি (রেল লাইনের নিচ দিয়ে যাওয়ার রাস্তা) নির্মাণ করা হয়েছে। ভিইউপি এর কারণে ট্রেন চলাচলের সময় রেল ক্রসিংগুলোতে যানবাহন আটকা পড়বে না। এছাড়া দুর্ঘটনারও ঝুঁকি থাকবে না। এই রেলপথে স্টেশন রয়েছে ৮টি। সেগুলো হলো ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, দ্বিগরাজ, কাটাখালি, চুলকাঠি, বাঘা ও মোংলা।

খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, আমরা চাই দ্রুত এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হোক। ট্রেন চালু হলে মোংলার সঙ্গে রেলপথে যাতায়াত সুবিধার পাশাপাশি আরও গতিশীল হবে মোংলা বন্দর। পর্যটকরাও খুলনা থেকে ট্রেনে করে সুন্দরবনে যেতে পারবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতুর পর রেল সংযোগ মোংলা বন্দরের জন্য একটা আশীর্বাদ। এখন নদী ও সড়কপথে পণ্য বন্দরে আনা-নেয়া করা যায়। তবে রেলের মাধ্যমে কন্টেইনার পরিবহন সবচেয়ে সাশ্রয়ী একটা মাধ্যম। মোংলার সঙ্গে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের কন্টেইনার পরিবহন সহজ হবে। কমলাপুর আইসিডি ও ঢাকা থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য কন্টেইনারে মোংলা বন্দরে আনা-নেয়া সহজ হবে। মোংলা বন্দরে জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পাবে।


আরও খবর



রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে অটল বুয়েট শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরিবেশ ছাত্র রাজনীতিবিহীন অবস্থায়ই সর্বোচ্চ নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব বলে দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, নিজেদের দাবিতে তারা অনড় রয়েছেন। তাদের পক্ষ থেকে বুয়েটের উপাচার্যকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১ এপ্রিল) বিকালে বুয়েটের এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন।

হাইকোর্টের বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তি স্থগিতাদেশের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমরা বুয়েটের শিক্ষার্থীরা দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান ও আস্থা রাখি। বুয়েট ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বহিরাগত রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আগমন এবং শোডাউনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালার লঙ্ঘন বলে মনে করে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

তারা বলেন, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের পর ৯ অক্টোবর গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন যে অনেক প্রতিষ্ঠানেই তো সংগঠন করা নিষিদ্ধ আছে, বুয়েট যদি মনে করে তারা সেটা নিষিদ্ধ করে দিতে পারে।

সব শিক্ষার্থীর মতামত বিচার বিভাগে তুলে ধরতে বুয়েট প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি না থাকার আমাদের যে দাবি তার যৌক্তিকতা নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং অটল। যেই ছাত্ররাজনীতি র‌্যাগিং কালচারকে প্রশ্রয় দেয়, ক্ষমতার অপব্যবহারের পথ খুলে দেয়, যার বলি হতে হয় নিরীহ ছাত্রদের তা আমাদের জন্য ভালো কিছু কখনোই বয়ে আনেনি, আনবেও না। ছাত্র রাজনীতিবিহীন বুয়েটের পরিবেশ ছিল সর্বোচ্চ নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব। মৌলবাদী শক্তিকেও আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দিতে পারি।

রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের আকাঙ্ক্ষা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূরণ করতে উপাচার্যের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা আমাদের ভিসি স্যারের ওপর আস্থা রাখি। আমরা শিক্ষার্থীরা আমাদের ভিসি স্যারকে এই আর্জি জানাচ্ছি, তিনি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে নিয়ে আপামর বুয়েট শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের যে আকাঙ্ক্ষা তা সব আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাতে পূরণ করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ নিহত হন। এর প্রতিবাদে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। এরপর ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার ২০১৯ সালের বুয়েটের ওই বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।


আরও খবর