আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সংবিধান সংরক্ষণ করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সংবিধানকে সংরক্ষণ করা বিচার বিভাগের সবার পবিত্র দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। 

তিনি বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধ আমাদের শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্মিত করা হয়েছে। আমি ও আমার সহকর্মীরা এখানে এসেছি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, এ দেশের সংবিধান তৈরি হয়েছে। এ সংবিধানকে সংরক্ষণ করা আমি ও আমার সহকর্মীদের প্রত্যেকের পবিত্র দায়িত্ব। আমরা সেভাবেই শপথ নিয়েছি। এ শপথ বলিয়ান থাকার জন্য আবারও আসলাম স্মৃতিসৌধে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। পরে তিনি স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে সই করেন ও নিজের মন্তব্য লেখেন। 

মন্তব্যে তিনি লেখেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলার স্বাধীনতার আন্দোলনে শাহাদতবরণকারী সব শহীদদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী ৩০ লাখ শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। শ্রদ্ধা জানাই দুই লক্ষাধিক মা-বোনের প্রতি। জাতীয় স্মৃতিসৌধে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করছি যে, মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতিগুলো আমি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে ও ব্যক্তি জীবনে দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করবো। বীর শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ও এর সুপ্রিম কোর্ট। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে আমি ও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের পক্ষ থেকে সব শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলবো না। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

এর আগে সকাল ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। 

গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।


আরও খবর



ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ভারত সফরে গেছেন। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত (ডি ওয়াই) চন্দ্রচূড়ের আমন্ত্রণে তিনি এ সফরে গেলেন। এসময় তিনি আন্তর্জাতিক একটি সেমিনারে যোগ দিবেন।

রোববার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান বিজি-৩৯৭ এর একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ভারত সফর শেষে আগামী ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিমান বিজি-৩৯৮ এর বিশেষ ফ্লাইটে বিকাল ৫টা ১৮ মিনিটে দেশে ফিরবেন প্রধান বিচারপতি।

ভারত সফরে তার সঙ্গী হবেন প্রধান বিচারপতির স্ত্রীসহ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।

বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. মশিয়ার রহমান এবং মাননীয় প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব হাসান মো. আরিফুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রধান বিচারপতির অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি থাকবেন বোরহান উদ্দিন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতের বিচারক।


আরও খবর



সাকিব ও তামিম দলে না থাকায় ভীষণ খুশি নিউজিল্যান্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চোটের কারণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে নেই সাকিব আল হাসান। তামিম ইকবাল এখনও মাঠে নামার জন্য ফিট নন। মূলত টেস্টে দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়মিত তিনি। সর্বশেষ এ বছরের এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিলেন তামিম। এর মধ্যে অভিজ্ঞ পেসার তাসকিন আহমেদও চোটে ভুগছেন।

এদের ছাড়াই মঙ্গলবার থেকে কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। তাতে চ্যালেঞ্জ যতটা না স্বাগতিকদের, খুশি ততটা নিউজিল্যান্ড। গতকাল সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে কিউই ব্যাটিং কোচ লুক রনকির কথায় তেমন আভাসই মিলেছে।

আরও পড়ুন>> বিসিবি প্রধানের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছেন তামিম

সাকিব-তাসকিনদের অভিজ্ঞতা, তাদের ২২ গজের পারফরম্যান্স মনে করিয়ে দিয়ে রনকি বলেন, অবশ্যই তারা (সাকিব, তামিম, তাসকিন) অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তারা অনেক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে, এটা বাংলাদেশের জন্য দারুণ ব্যাপার। তাদের না থাকাটা বাংলাদেশের জন্য খানিকটা হতাশাজনক। কিন্তু আমাদের দিক থেকে দেখলে তারা থাকলে যে চ্যালেঞ্জ দিত, সেটা এখন পেতে হবে না। এটা আমাদের জন্য ভালো ব্যাপার।

সাকিবের অভাবটা হয়তো ভালোভাবে টের পাবে বাংলাদেশ। যেমনটা কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও বলেছেন। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্যান্সের পাল্লাটাও বেশ ভারী। এখন পর্যন্ত ৬৬ টেস্টে ৪ হাজার ৪৫৪ রান করেছেন তিনি। বল হাতে নিয়েছেন ২৩৩ উইকেট। সে ক্ষেত্রে সাকিব থাকলে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাবনাটা আরও ভালো থাকত। তা ছাড়া নিউজিল্যান্ডের সঙ্গেও টেস্টে তাঁর রেকর্ড মন্দ নয়। ৮ ম্যাচে ৬৩.১৮ গড়ে ৭৬৩ রান করেছেন সাকিব। নিয়েছেন ২৬ উইকটে। এমন কেউ না থাকলে কিউইদের তো খুশি হওয়ারই কথা।


আরও খবর
তীরে এসে তরি ডোবাল বাংলাদেশ

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




ভয়ংকর ক্ষুধা সংকটের মুখে গাজা: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফের লড়াই শুরু হওয়ায় গাজা ভয়ংকর ক্ষুধা সংকটে পড়তে পারে বলে জানালো জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম।

সাতদিন ধরে যুদ্ধবিরতি ছিল। তখন গাজায় কিছু ত্রাণসামগ্রী ঢুকেছে। তা বিতরণ করার নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। কিছু মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডাব্লিউএফপি) জানিয়েছে, দুঃখের বিষয় হলো, এই বিষয়ে যতটা এগোনো জরুরি ছিল, তা হয়নি।

তারা জানিয়েছে, নতুন করে লড়াই শুরু হওয়ার ফলে ত্রাণ বিতরণ করা যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে কর্মীদের জীবন বিপন্ন হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, এর ফলে বেসামরিক সাধারণ মানুষ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। গাজায় ২০ লাখ মানুষের বেঁচে থাকার সম্বল হলো এই ত্রাণের খাদ্যশস্য।

ডাব্লিউপিএফ বলেছে, আমাদের কর্মীদের জন্য গাজা ভূখণ্ডে নিরাপদ, বাধাহীন ও দীর্ঘকালীন যাতায়াতের ব্যবস্থা চাই। তাহলেই তারা মানুষের কাছে জীবনদায়ী ত্রাণ পৌঁছে দিতে পারবে। একমাত্র দীর্ঘস্থায়ী শান্তি হলেই এই মানবিক বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব। ডাব্লিউপিএফ তাই দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি চায় এবং সমস্যার একটি রাজনৈতিক সমাধান চায়।

যারা মুক্তি পেয়েছেন এবং যারা এখনো হামাসের হাতে বন্দি, তাদের ও তাদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। গত দুই মাসের মধ্যে এটাই প্রথম বৈঠক। এই বৈঠকে যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল। 

আরও পড়ুন>> ফিলিপাইনে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৭

নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, আমি এমন কাহিনী শুনেছি, যাতে আমার মন ভেঙে গেছে। আমি ক্ষুধা ও তৃষ্ণার, শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের কাহিনী শুনেছি। যৌন নির্যাতন ও ভয়ংকর ধর্ষণের কথাও শুনেছি। মুক্তি পাওয়া পণবন্দিরা এই কাহিনী শুনিয়েছেন।

ইসরায়েলের মিডিয়া জানিয়েছে, এই বৈঠকে যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল এবং শেষের দিকে প্রায় অর্ধেক মানুষ বৈঠক ছেড়ে চলে যান।

দানি মিরানের মেয়ে এখনো হামাসের হাতে বন্দি। তিনি ইসরায়েলের টেলিভিশনে বলেছেন, আমি বৈঠকে কী হয়েছে তা বিস্তারে বলব না। শুধু এইটুকু জানাব, পুরোটা ছিল কুৎসিত, অপমানকর এবং অগোছালো।

তিনি বলেছেন, সরকার দাবি করছে, তারাই সবকিছু করেছে। কিন্তু হামাস নেতা ইহাইয়াল সিনওয়ার আসলে আমাদের মানুষদের ফেরত দিয়েছেন। যখন সরকার দাবি করছে, তাদের নির্দেশে সবকিছু হয়েছে, তখন আমরা রাগ সামলাতে পারিনি। ওরা একটাও নির্দেশ দিতে পারেনি।

জেনিফারের পার্টনার অ্যান্ড্রে এখনো বন্দি। তিনি জানিয়েছেন, বৈঠক ছিল রীতিমতো উত্তেজক। অনেকেই সেখানে চিৎকার করেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল আক্রমণ করে হামাস ভয়ংকর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। বিশ্ব এটাকে উপেক্ষা করতে পারে না। সব সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীদের এই যৌন নির্যাতনের নিন্দা করতে হবে।

বাইডেন বলেছেন, হামাস ইসরায়েলের মেয়েদের উপর অত্যাচার করেছে, তারপর হত্যা করেছে। এটা মেনে নেয়া যায় না। যারা বেঁচে ফিরেছেন, তারা এই ভয়ংকর কাহিনী আমাদের জানাচ্ছেন।


আরও খবর



সন্ত্রাসীদের তালিকা করে গ্রেফতারের নির্দেশ ইসির

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের পদক্ষেপ নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশনা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ৩০০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে রোববার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে আরও আছে-সব শ্রেণির ভোটার যাতে অবাধ ও নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তার নিশ্চয়তা বিধানে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও স্থানীয় আস্থাভাজন কর্মীদের সঙ্গে সত্বর একটি এবং প্রয়োজনবোধে একাধিক বৈঠকের ব্যবস্থা করতে হবে।

আলোচনার মাধ্যমে আইন ও বিধিগত দিক উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করতে হবে। কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তা অবিলম্বে তদন্ত করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

নির্দেশনায় আরও আছে, নির্বাচনি এলাকার সব স্তরের ভোটারদের এবং বিশেষ করে নারী ভোটারদের নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে গৃহীত কার্যকলাপ সম্পর্কে যেন সব শ্রেণির ভোটার আগে থেকে অবহিত হতে পারেন তা উপযুক্ত প্রচারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাতে হবে।

আরও পড়ুন>> আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেন সাবেক ইসি সচিব ড. সাদিক

ইসি বলছে, ভোটকেন্দ্র এবং ভোটকক্ষের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ সব বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে পরিচালনা জোরদার করতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরি করে চাঁদাবাজ, মাস্তান ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে মোতায়েনসহ চিহ্নিত গোলযোগপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে বেশি সংখ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও আছে, অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বা তাদের সমর্থকরা যাতে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলেন এবং কোনো তিক্ত, উসকানিমূলক ও ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে এমন কার্যকলাপ বা বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন সে ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থ, পেশিশক্তি অথবা স্থানীয় ক্ষমতায় কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত না করতে পারেন এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য যেন বজায় রাখা হয় তার নিশ্চয়তা বিধানে সংশ্লিষ্ট সব মহলের সহযোগিতা কামনা করতে হবে। প্রয়োজনবোধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।


আরও খবর



‘ইনোভেশন এবং ইন্টিগ্রিটি থাকলে যেকোন তরুণ উদ্যোক্তা সফল হবে’

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিসিসিআই) চট্টগ্রামে তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রিনিউরশীপ নেটওয়ার্ক (জিইএন) বাংলাদেশর সাথে কফি উইথ চেম্বার শীর্ষক মতবিনিময়ের আয়োজন করে।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়ে প্রধান অতিথি হিসেবে চিটাগাং চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ উপস্থিত ছিলেন।

এতে তথ্যচিত্রের মাধ্যমে জিইএনর সামগ্রিক কর্মকান্ড এবং গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রিনিউরশীপ সপ্তাহ-২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করেন জিইএন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম হাসান রিপন।

এসময় চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, প্রাক্তন পরিচালকদ্বয় মোঃ ইফতেখার ফয়সাল ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম), দেশ আইটির প্রফেসর রেজাউল করিম, তরুণ উদ্যোক্তা সৌমেন কানুনগো, প্রান্তিক গ্রুপের পরিচালক রাশিদ সরোয়ারসহ তরুণ উদ্যোক্তাগণ বক্তব্য রাখেন।

চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, জাতিসংঘের দেওয়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণে একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন তরুণ উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে সম্মানের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করতে হলে তরুণ উদ্যোক্তাদের যথাযথ ভূমিকাই এখন সময়ের দাবি। সীমিত সম্পদ দিয়েও যে ঘনবসতিপূর্ণ একটা ছোট্ট দেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা যায়, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে তা প্রমাণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মকে চাকরির পিছে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহিত করছেন। এজন্য আইসিটি ইনকিউবেটর এবং আইসিটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে তরুণ প্রজন্মকে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন সরকার।

তিনি বলেন, আগামী গ্লোবাল ইকোনমি বে অব বেঙ্গলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এতে ভারত-চায়না ইতোমধ্যে বৃহৎ অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত হচ্ছে যার অংশীদার হচ্ছি আমরাও। বাংলাদেশের যে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড রয়েছে তাদেরকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে  পারলে ১৭ কোটির মানুষের এদেশ থেকে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান তৈরী হবে। এজন্য তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনার জন্য জিইএনসহ সকল প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

জিইএন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম হাসান রিপন বলেন, তরুণ উদ্যোক্তাদের শুরু থেকেই অনেক বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে হয়। ইনোভেশন এবং ইন্টিগ্রিটি থাকলে যেকোন তরুণ উদ্যোক্তা সফল হয়ে উঠবে। আর তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে মনোভিত্তিক আগ্রহ জাগিয়ে তোলার জন্য ইকোসিস্টেম তৈরি করে নতুন ব্যবসা উদ্ভাবন ও বিকশিত করতে কাজ করছে জিইএন বাংলাদেশ। তিনি বলেন, জাপান, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে সাড়ে চার কোটি দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে। এক্ষেত্রে এসব দক্ষ জনশক্তির যোগান দিতে ভারত ও বাংলাদেশের যথেষ্ট ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড রয়েছে। তাই বাংলাদেশের তরুণ যুবকদের নিয়ে চিটাগাং চেম্বারের তরুণ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে একটি নেটওয়ার্ক হাব এবং রিসার্চ ইনোভেশন সেন্টার করার আহবান জানান তিনি।

সভায় বক্তারা তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য পলিসি নির্ধারণের পাশাপাশি নতুন ব্যবসায়িক উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা, কারিগরি প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও তরুণ নেতৃত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে ক্যাপাসিটি ডেভেলাপমেন্ট ও কানেক্টিভিটি তৈরীর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।


আরও খবর