আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

শঙ্কা উড়িয়ে ২ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা বাংলাদেশের

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলঙ্কাকে অল্পতেই আটকে রেখে কাজটা আগেই সহজ করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ছোট এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও বেশ চাপে ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপে শূভসূচনা করলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

শনিবার (৮ জুন) ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানের সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ২ উইকেট এবং ১ ওভার হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দুই ওভারে ১৩ রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আক্রমণে আসেন তাসকিন। তার ওভারের প্রথম দুই বলেই চার হাঁকান কুশল মেন্ডিস। তবে টাইগার এই পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে ফাঁদে পড়েন তিনি। ইনসাইড-এজে শেষ পর্যন্ত প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ওপেনার। এতে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে সাকিবের ওপর চড়াও হয়েছিলেন নিশাঙ্কা। চারটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। পাঁচ ওভার শেষে ৮ বাউন্ডারির বিপরীতে একটি ছক্কা হাঁকায় লঙ্কানরা।

এরপর আক্রমণে এসেই কামিন্দু মেন্ডিস ফেরান মোস্তাফিজ। মিড-অফে তানজিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার।

বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারিতে বাংলাদেশকে রীতিমত দুশ্চিন্তায় রেখেছিলেন নিশাঙ্কা। তবে মোস্তাফিজ ঝলকে শেষ পর্যন্ত তাকে ফেরায় বাংলাদেশ। ১ ছক্কা ও ৭ চারে ফিফটির কাছাকাছি গিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।

এরপর দলীয় ১০০ পেরোনোর পরই রিশাদকে স্লগ সুইপ করতে চেয়েছিলেন আসালাঙ্কা। তবে যুতসই ছিল না। এতে স্কয়ার লেগে সাকিবের হাতে ধরা পড়েন তিনি। বিশ্বমঞ্চে এটিই রিশাদের প্রথম উইকেট।

ঠিক পরের বলেই নিজের দ্বিতীয় শিকার পেয়েছেন রিশাদ। এবার আউটসাইড-এজড হন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তবে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।

এক ওভার পরেই রিশাদের ফ্লাইট আর টার্নে পরাস্ত হন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। এতে ১৭তম ওভারে এসে ষষ্ঠ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।

এরপর তাসকিনের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে কাট করতে চেয়েছিলে দাসুন শানাকা। তবে ঠিকঠাক মতো টাইমিং না হওয়ায় প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে।

শেষ দিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বমঞ্চে তানজিম সাকিবের অভিষেক উইকেটে ১২৪ রানেই থামে লঙ্কানরা।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে ১২ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড ২০ গ্রাম, প্রাণ গেল তিনজনের

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে মাত্র ১২ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ২০ গ্রাম। এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত তিনজন।

আজ শনিবার ভোরে এই ঝড়ো বৃষ্টি হয়। এতে পাড়িয়া ইউনিয়নের তিলকড়া, শালডাঙ্গা, বঙ্গভিটা, লোহাড়া, বামুনিয়াসহ ১২টি গ্রাম এবং বড়বাড়ী ইউনিয়নের বেলহাড়া, বেলবাড়ী, বটের হাট, হরিপুরসহ ৮টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকান।

ঝড়ের কবলে পড়ে দুই নারী এবং জমে থাকা পানিতে ডুবে মারা গেছে আড়াই বছরের এক শিশু। তারা হলেন উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের শালডাঙ্গা গ্রামের পইনুল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), একই গ্রামের দবিরুল ইসলামের স্ত্রী জাহেদা বেগম (৫০) এবং একই উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের লালাপুর নয়াপাড়া গ্রামের নাজমুল ইসলামের ছেলে নাঈয়ুম।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফছানা কাওছার বলেন, ঝড়ে এলাকায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। সেটি নির্ধারণে কাজ করছেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা।

ঝড়ে তিনজন নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন। এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর



মাধ্যমিক ও কারিগরি শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে ২৪৫০ কোটি টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৫৫ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৪৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা এবং কারিগরির জন্য ১১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত বছর শিক্ষায় বরাদ্দ ছিল ৫৩ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। সে হিসেবে নতুন অর্থবছরে ২ হাজার ৪৫০ কোটি বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে প্রস্তাবিত বাজেটে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তব্যে বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৫৫ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি। যা চলমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৫৩ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির হার ৭১ দশমিক ৮২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ হতে বিজ্ঞান ভিত্তিক যুগোপযোগী ও বাস্তবমুখী নতুন শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ সৃজনের লক্ষ্যে দেশের ১৬০টির অধিক বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান সরঞ্জামাদি এবং ৩০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিগত কয়েক বছরে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০ সালে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ছিল মাত্র ১ শতাংশ যা ২০২২ সালে ১৮.১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৩টি নতুন মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে এবং ৪৯৫টি মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম স্থাপন করা হয়েছে।


আরও খবর



রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

অ্যাফেয়ার্স এক্সিবিশন অ্যান্ড মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের আয়োজনে রাজধানী ঢাকাতে দুই দিনব্যাপী স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো’ চলবে ৭ ও ৮ জুন। ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে এই মেলায় একই ছাদের নিচে আসবে ভারতের ৩০টিরও বেশি শ্রেষ্ঠ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।

এর আগে, ৪-৫ জুন চট্টগ্রামের দ্য পেনিনসুলা চিটাগংয়ে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামে দুই দিন এই মেলায় ছিল শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে মেলায়। সন্ধ্যা পর্যন্তও ছিল প্রায় একই রকম।

ঢাকার আয়োজন শেষে খুলনার সিটি ইনে ১০ জুন এবং রাজশাহীর গ্র্যান্ড রিভারভিউ হোটেলে ১২ জুন এই মেলা আয়োজিত হবে। ভারতের শীর্ষ সারির কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির দুয়ার খুলে দিতে চার বিভাগীয় শহরে আয়োজিত হচ্ছে এ মেলা।

এই মেলা শিক্ষার্থীদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে অনস্পট আবেদন করার এবং মেধার ভিত্তিতে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি পাওয়ার অনন্য সুযোগ করে দেবে।

স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো এক ছাদের নিচে ভারতের নেতৃস্থানীয় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দুই শতাধিক কোর্স অফার করবে, যার অনেকগুলো NAAC-স্বীকৃত এবং NIRF ও QS-রেটপ্রাপ্ত। এসব কোর্সের মধ্যে আছে প্রচলিত জনপ্রিয় কোর্স যেমন- ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল, সায়েন্স, ফার্মেসি, ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। পাশাপাশি আছে নতুন যুগের কোর্স যেমন AI, ML, রোবটিক্স, ক্লাউড-কম্পিউটিং, AR, VR এবং আরও অনেক কিছু।

এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও এডমিশন টিম আগ্রহী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরবেন, পরামর্শ জানাবেন এবং তাদের শিক্ষা ও পেশাগত ভবিষ্যতের জন্য সঠিক পথ বাছাইয়ে দিক-নির্দেশনা দেবেন।

অনুষ্ঠানস্থলে পেশাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতারাও উপস্থিত থাকবেন। তারা, শিক্ষার্থীদের সঠিক কোর্স বাছাইয়ে নির্দেশনা দেবেন এবং ভর্তি বিষয়ে পরিপূর্ণ ও সঠিক তথ্য জানাবেন। মেলায় অনস্পট মূল্যায়ন ও আবেদনের ফলে ভর্তি কার্যক্রম হবে দ্রুত ও সহজ।

অ্যাফেয়ার্স স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো-২০২৪ আয়োজনে অনেক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান উপস্থিত থাকবে। যেমন- বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি বারাণসী, ভেল্লোর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (ভিআইটি), এসআরএম ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চেন্নাই, কলিঙ্গা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি, (কেআইআইটি) ইউনিভার্সিটি হিসেবে বিবেচিত ভুবনেশ্বর, লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি পাঞ্জাব, অ্যামিটি ইউনিভার্সিটি, এনআইটিটিই (ইউনিভার্সিটি হিসেবে বিবেচিত) মাঙ্গলুরু, সপ্তগিরি এনপিএস ইউনিভার্সিটি বেঙ্গালুরু, অ্যালায়েন্স ইউনিভার্সিটি বেঙ্গালুরু, আইইএম-ইউইএম গ্রুপ কলকাতা।

অ্যাফেয়ার্স এক্সিবিশন অ্যান্ড মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্জীব বোলিয়া বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ভারতে বিদ্যমান বিশাল ও বিবিধ উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সহজলভ্য করা। প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করতে অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত স্টাডি ইন ইন্ডিয়া শুধুমাত্র একটি প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে না। এই মেলা শিক্ষার্থীদের অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ শিক্ষা, একাডেমিক অংশীদারত্ব এবং ভারতে ও বিদেশে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সক্ষম করে তুলবে। আমাদের লক্ষ্য হলো সঠিক উৎস থেকে সব নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদান করে ভর্তি প্রক্রিয়াটিকে সহজ ও স্বচ্ছ করা।

ভারতে উচ্চশিক্ষার সেরা সুযোগগুলো এক ছাদের নিচে খুঁজে দেখতে স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপোতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এমনকি কর্মরত পেশাজীবীরাও অংশ নিতে পারবেন। আবেদন করুন এবং পেয়ে যান চমকপ্রদ বৃত্তি। মেলায় প্রবেশ মূল্য ফ্রি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা নিবন্ধন করতে পারেনএখানে https://studyinindiaexpo.com/bangladesh/ studyinindiaexpo.com


আরও খবর



সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটেছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং মুষলধারে বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে। ভয়াবহ রূপ নিয়েছে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদী। পাউবোর তথ্য মতে মঙ্গলবার (১৮ জুন) নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ছাতক পৌরশহরের বাগবাড়ী, মন্ডলীভোগ, হাসপাতাল রোড, তাঁতিকোন, বৌলা, চরেরবন্দ, মোগলপাড়া, ঢাকাইয়া বাড়ি, লেবারপাড়া, পাটনীড়া, কুমনা, শ্যামপাড়াসহ আবাসিক এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার বসবাসরত মানুষজন। ইতোমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষের জন্য শুকনো খাবারসহ প্রাথমিক সব ব্যবস্থা রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।

ছাতকসহ পার্শ্ববর্তী কোম্পানীগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যেই ছাতকের বহু গ্রামীণ সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।

ছাতক পৌর এলাকার বাসিন্দা মাসুদ আমান বলেন, ২২ এর বন্যার চেয়ে ভয়ানক রুপ নিচ্ছে এবারে বন্যা। আমরা ছেলে-মেয়ে নিয়ে বিপাকে আছি। আমার ২ মেয়ের কেউ সাঁতার জানে না। কী হবে এখনো জানি না।

বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা জামি আহমেদ বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিরাপদেই আছি। কিন্তু আমাদের গবাদি পশু নিয়ে পড়েছি বিপাকে। আমাদের মতো তারাও না খেয়ে আছে।

ছাতক উপজেলার গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দুর্বিসহ অবস্থায় দিন পার করছে। উপজেলার ইছামতি-ছনবাড়ীবাজার, শিমুলতলা-মুক্তিরগাঁও সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়ক, ছাতক-জাউয়া, ছাতক-সুনামগঞ্জ, ছাতক-দোয়ারাবাজার  সড়কের বিভিন্ন নিচু অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া ছাতক পৌরসভারসহ নোয়ারাই, ছাতক সদর, কালারুকা, উত্তর খুরমা, চরমহল্লা, জাউয়া, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও, ছৈলা-আফজলাবাদ, দক্ষিণ খুরমা, ভাতগাঁও, দোলারবাজার ও সিংচাপইড় ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি ও গ্রামীণ কাঁচা সড়ক। পাহাড়ি ঢলের স্রোতের ধাক্কায় ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবতী নীজগাঁও, রতনপুর, বাগানবাড়ি, নোয়াকোট, ধনীটিলা, ছনবাড়ী, দারোগাখালী সড়ক সহ নব নির্মিত ৮-১০টি কাঁচা সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় দেশের সাথে ছাতকের সড়ক যাগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতসহ প্রাথমিক সব ধরনের প্রস্তুতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। বন্যার্তদের সহায়তায় সকলকে মানবীয় কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।


আরও খবর



সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রাকৃতিক সম্পদের ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৫ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৪’ পালন করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও অদূরদর্শী কর্মকাণ্ডের বিরূপ প্রভাবে সৃষ্ট পরিবেশ ও প্রতিবেশগত অবক্ষয় রোধ এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ দিবসটির পালন তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে এখন আটশ কোটিরও বেশি মানুষ বসবাস করছে। সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে এ বিশাল জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান চাহিদার যোগান দিতে গিয়ে দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে ভূমির ব্যবহার। ভূমি সম্পদের অপরিমিত ও অপরিণামদর্শী ব্যবহারে বিশ্বজুড়ে ভূমির অবক্ষয় তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে ইউনাইটেড নেশন্স কনভেনশন টু ডিজার্টিফিকেন্স (ইউএনসিসিডি) বিশ্বব্যাপী টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ২০৩০ সালের মধ্যে ল্যান্ড ডিগ্রিডেশন নিউট্রালিটি (এলডিএন) অর্জনের রূপরেখা প্রদান করেছে।

তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত ভূমি অবক্ষয় নিরপেক্ষতা বা এলডিএন অর্জন করা সম্ভব না হলে ২০৪৫ সালের মধ্যে পৃথিবীব্যাপী ১৩৫ মিলিয়ন মানুষ খরার কারণে উদ্বাস্তু হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরদিকে, জলবায়ু পরিবর্তন ও এর অভিঘাত আমাদের জন্য চরম বাস্তবতা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী মরুময়তা ও খরার প্রবণতা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হচ্ছে, যার কারণে টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। কাজেই, বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এবছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা।’ যা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং সময়োপযোগী হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বময় ভূমির অবক্ষয় রোধ, মরুকরণ ও খরার প্রভাব প্রশমনের লক্ষ্যে সরকার জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ইউএনসিসিডিতে বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে এ সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন রিপোর্ট দাখিল করে যাচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাকশন প্রোগ্রাম (ন্যাপ) টু কমব্যাট ডির্জাটিফিকেশন, ল্যান্ড ডিগ্রেডিটিশন অ্যান্ড ড্রট ২০১৫-২০২৪ প্রণয়ন করা হয়েছে।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্রতিবেশের টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা আরো বৃদ্ধি পাবে বলেও দৃঢ় আশাবাদ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর