৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচনকে সামনে
রেখে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা হয়েছে। দলটির নতুন
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার গহর আলী খান। এছাড়া দলটির সাধারণ সম্পাদকের
দায়িত্ব পেয়েছেন ওমর আইয়ুব খান।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের সদ্য
সাবেক প্রধান ইমরান খান তাদের এ পদে মনোনীত করেন। শনিবার পিটিআইয়ের কয়েকটি পদে ভোটাভুটি
হয়। এরপর পিটিআইয়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়াজুল্লাহ নিয়াজি জানান, ব্যারিস্টার
গহর আলী খান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
একইসঙ্গে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে আলী
আমিন এবং পাঞ্জাব প্রদেশে ইয়াসমিন রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিটিআইয়ের সভাপতি নির্বাচিত
হয়েছেন।
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর পেশোয়ারে সাংবাদিকদের
সঙ্গে আলাপকালে ব্যারিস্টার গহর আলী বলেন, তিনি ইমরান খানের প্রতিনিধি হিসেবে চেয়ারম্যানের
দায়িত্ব নেবেন।
তিনি বলেন, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
যতদিন আমি এখানে আছি, ইমরান খানের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করব যিনি তার নীতিগত সংগ্রামের
কারণে জেলে আছেন।
আরও পড়ুন>> স্যাটেলাইট আটকালে যুদ্ধ বাধিয়ে দেবে উত্তর কোরিয়া
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন,
দলীয় নেতৃত্ব অনেক মামলার মুখোমুখি হলেও আদালত থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।
এখনও দলের অনেক নেতা আন্ডারগ্রাউন্ড বা কারাগারে রয়েছেন।
২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা
ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রির পদ হারানোর পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করা
হয়। ইমরানের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব মামলা করা হয়েছে যাতে নির্বাচনে তিনি
প্রার্থী হতে না পারেন। তোশাখানা (রাষ্ট্রীয় উপহার) দুর্নীতি মামলায় ইমরানের তিন বছরের
কারাদণ্ড হয়। এ মামলায় বর্তমানে সাজা স্থগিত রয়েছে। তবে কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁসের
মামলায় ইমরান কারাগারে আছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৩ অক্টোবর
রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে ইমরানকে। তোশাখানা দুর্নীতি
মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তিন বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করলেও মুক্তি পাননি তিনি। এ মামলায়
তাঁকে কারাগারে রাখা হয়েছে।
গত বছর ইসলামাবাদে একটি গোপন নথি পাঠিয়েছিলেন
ওয়াশিংটনের পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সেটি প্রকাশ করে
রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার আইন লঙ্ঘন করেছেন। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পিটিআই দাবি করছে, নথিতে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত
করতে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি রয়েছে। একই মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকেও
আসামি করা হয়েছে।