পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
ইমরান খানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্হা প্রস্তাব উত্থাপন
করেছেন বিরোধীরা। গতকাল সোমবার অনাস্হা প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন বিরোধীদলীয় নেতা
ও পিএমএল-এন এর সভাপতি শাহবাজ শরিফ। আগামী বৃহস্পতিবার অনাস্হা প্রস্তাবের ওপর আলোচনা
ও বিতর্ক শুরু হবে। এরপর ১ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে।
সরকার টিকিয়ে
রাখতে হলে ইমরান খানের ১৭২ জন জাতীয় পরিষদের সদস্যের সমর্থন লাগবে। ইতিমধ্যে তার দলের
কয়েক জন আইনপ্রণেতা অনাস্হা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন। বিরোধীদের
দাবি সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় আইনপ্রণেতার সমর্থন এখন আর ইমরান খানের নেই। এ অবস্হায় ইমরান খানের
সরকারের টিকে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জাতীয় পরিষদে
অধিবেশন শুরুর পর ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি অনাস্হা প্রস্তাব উত্থাপনের ব্যাপারে পার্লামেন্ট
সদস্যদের মতামত জানতে চান। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী ২০ শতাংশ আইনপ্রণেতা সমর্থন
দিলেই প্রস্তাব উত্থাপন করা যায়। এ সময় দেখা যায়, ১৬১ জন আইনপ্রণেতা অনাস্হা প্রস্তাব
উত্থাপনের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন। এরপর প্রস্তাব উত্থাপন করেন শাহবাজ শরিফ।
এদিকে সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন ইমরান খান। পাঞ্জাব প্রদেশে অনাস্হা প্রস্তাবের মুখে পদত্যাগ করেছেন তার দলের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার। ইমরান খানের রাজনৈতিক যোগাযোগ বিষয়ক সহযোগী শাহবাজ গিল এক টুইট বার্তায় বলেন, ক্ষমতাসীন তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি জোটের শরিক দল পিএমএল-কিউ পার্টির পারভেজ এলাহিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেবে। ইতিমধ্যে পিএমএল-কিউ জাতীয় পরিষদে অনাস্হা প্রস্তাবের ক্ষেত্রে সরকারকে সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে।