আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সরস্বতী পূজা: শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততায় সিলেটের মৃৎশিল্পীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

জ্ঞান বিদ্যা সংগীতের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর পূজা বাকী আর মাত্র কয়েক মূহুর্তের। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে বিদ্যার দেবীর পূজা। তাই সিলেটসহ  দেশের প্রতিটি পূজা মন্ডপে চলছে শেষ প্রস্তুতি। শিল্পীর নিপুণ হাতের ছুয়ায় রঙ তুলির আঁচড়ে রুপ পাচ্ছেন দেবী সরস্বতী।

হিন্দু ধর্মানুসারীদের বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি আনন্দঘন দিন হচ্ছে সরস্বতী পূজা। প্রতি বছর মাঘ মাসের শুল্ক পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে দেবী সরস্বতীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সনাতন ধর্ম মতে ঈশ্বরের বিদ্যা, সঙ্গীত, শিল্পকলা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী প্রজ্ঞাশক্তিরূপ দেবী মাতা সরস্বতী। ঈশ্বর সকল ধরনের শক্তির উৎস। হিন্দু দর্শনমতে তিনি যখন জ্ঞানদাতা হিসেবে কাজ করেন তখন তাকে মাতৃরূপে পূজা করা হয়।

মা যেমন স্নেহবাৎসল্যে, সোহাগে শিশুকে জন্মের পর থেকে আধোআধো বুলির মাধ্যমে পৃথিবীর জ্ঞান প্রথম তার শিশুকে প্রদান করেন তেমনি ঈশ্বর মাতৃরূপেই আমাদের জ্ঞান দান করেন। যিঁনি মানুষের অন্তরে মহান জ্ঞানসমুদ্রকে প্রকাশ করেন এবং মেধা ও মননকে দীপ্তি দান করেন। বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যায় অধ্যয়নরত বিদ্যার্থীরা এই পূজা স্বতঃস্ফূর্তভাবে করে থাকেন। মাতা সরস্বতী জ্ঞানদায়িনী অর্থাৎ কল্যাণ ও শান্তি বিধায়িনী, তিনি বরদা এবং জাগতিক মোহ ধ্বংসকারী। ব্রহ্ম এক ও অদ্বিতীয়। কিন্তু তিনি বহুরূপে বিরাজমান। ব্রহ্মের লক্ষণ দুটি- স্বরূপলক্ষণ ও তটস্থলক্ষণ। স্বরূপলক্ষণে তিনি স্বগুণ, সাকার, সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়কার্যের অধিকর্তা, তিনি এই নিখিল বিশ্বের প্রভু, তিনিই ঈশ্বর, তিনিই জ্ঞানময়।

সরজমিনে দেখা যায়, সিলেট নগরীর দাড়িয়া পাড়ার প্রতিমা শিল্পীরা শেষ মূহুর্তের কাজে ব্যস্ততম সময় পার করছেন। রঙ দিয়ে মনের মতো করে সাজিয়ে তুলছেন দেবীকে।

প্রতিমা শিল্পী শংকর পাল জানান, এবার সব কিছুর দাম বেশি থাকায় মূর্তির দাম একটু বেশি। এবার সিলেটে অনেক পূজা মন্ডপ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা শেষ মূহুর্তে কাজ করছি। আশাকরি সঠিক সময়ে মূর্তি পৌঁছে দিতে পারবো।

এদিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেলর পাশে মহামায়া সেন্টারে কাব্যহিত সংঘে গিয়ে দেখা যায় স্টেইজ ও পেন্ডেলর কাজে ব্যস্ততম সময় পার করছেন সংঘের পূজারী বৃন্দ।

কাব্যহিত সংঘের আলোকসজ্জা সম্পাদক সানি শর্মা বলেন, বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতী। সনাতন ধর্মাবম্বীদের মতে দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতিক। বিদ্যা, বানী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসে পঞ্চম তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি আনন্দঘন দিন হচ্ছে সরস্বতী পূজা।

তিনি বলেন, পূজার আর মাত্র তিনদিন বাকি। আমরা এবার নতুন কিছু নিয়ে আসতে যাচ্ছি। সবার সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণায় আশাকরি এগিয়ে যাব। আমাদের সংঘে সবাইকে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

নগরীর লামাবাজার এলাকায় মহেশ্বরী সংঘের কৃষান সেন বলেন, আমরা পেন্ডেল ও স্টেইজের কাজ করে যাচ্ছি। সুন্দর ভাবে জ্ঞান বিদ্যা ও সংগীতের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা সরস্বতীর পূজা করতে চাই। ইতিমধ্যে আমাদের কাজ শেষের দিকে। সবাইকে নিমন্ত্রণ যানাচ্ছি পূজা মন্ডপে আসার জন্য।


আরও খবর



শেখ হাসিনাসহ সাকিব-সুমন-ফেরদৌসের নামে হত্যা মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবার জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচিত-সমালোচিত সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবং সাবেক সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে আদাবর থানায় মামলাটি রুজু হয়। আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই মামলার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেন। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছুড়ে। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ আগস্ট মারা যান।

নিউজ ট্যাগ: হত্যা মামলা

আরও খবর



২৩ মাসে রপ্তানি ২৬ বিলিয়ন ডলার বেশি দেখানো হয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বড় ধরনের গড়মিল দেখা দিয়েছে প্রকৃত রপ্তানির সঙ্গে সরকারি সংস্থা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেওয়া তথ্যে। গত ২৩ মাসে সংস্থাটি রপ্তানি বেশি দেখিয়েছে ২৬ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকৃত রপ্তানির তথ্য প্রকাশের পর এটি প্রকাশ্যে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রকৃত রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেছে।

এতে দেখা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এর আগের অর্থবছরের তুলনায় রপ্তানি ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ কমে ৪০ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।

ইপিবি সর্বশেষ গত মে মাস পর্যন্ত রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করে। সংস্থাটি ২৩ মাসে রপ্তানি দেখিয়েছিল ১০৭ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার, যদিও প্রকৃতপক্ষে রপ্তানি হয় ৮০ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার। ২৩ মাসে রপ্তানি বেশি দেখানো হয় ২৬ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার।

আইএমএফের চাপে বাংলাদেশ ব্যাংক গত এপ্রিলে মাসভিত্তিক প্রকৃত রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করতে শুরু করে। এরপরই ইপিবির তথ্যে বড় ধরনের গড়মিল ধরা পড়ে। এরপর থেকে রপ্তানি তথ্য প্রকাশ বন্ধ রেখেছে ইপিবি। সাধারণত প্রতি মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী সপ্তাহে তথ্য প্রকাশ করে সংস্থাটি। কিন্তু চলতি আগস্ট মাস শেষ হতে চললেও এখন পর্যন্ত জুনের তথ্য প্রকাশ করেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৪ হাজার ৮১ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রকৃত রপ্তানি ছিল ৪ হাজার ৩৩৬ কোটি ডলার। সেই হিসাবে গত অর্থবছর ২৫৫ কোটি ডলার বা ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ কমেছে রপ্তানি।

২০২২-২৩ অর্থবছরে ইপিবি রপ্তানি দেখিয়েছিল ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যের সঙ্গে মেলালে দেখা যায়, রপ্তানি ১২ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার বেশি দেখিয়েছে সংস্থাটি।

গত অর্থবছরের মে পর্যন্ত ইপিবি রপ্তানি দেখিয়েছিল ৫ হাজার ১৫৪ কোটি ডলার। কিন্তু প্রকৃত তথ্য বলছে, ওই মাস পর্যন্ত রপ্তানি হয় ৩ হাজার ৭৩৪ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের ১১ মাসে বেশি দেখানো হয়েছে ১৪ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এতদিন একই রপ্তানি একাধিকবার হিসাব করা হয়। এ ছাড়া শিপমেন্ট বাতিল হলেও তা রপ্তানির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। এভাবে রপ্তানি বেশি দেখানো হচ্ছিল বিভিন্ন পন্থায়। এর পর বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের সব হিসাব ওলট-পালট হয়ে গেছে।

এদিকে রপ্তানির প্রকৃত তথ্য প্রকাশের পর দেখা গেছে, গত অর্থবছর ২২ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি ছিল। যদিও গত মার্চ পর্যন্ত মাত্র ৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি দেখানো হয়েছিল। প্রকৃত তথ্যের ভিত্তিতে হিসাব করে দেখা গেছে, গত অর্থবছর চলতি হিসাবে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। গত মার্চ পর্যন্ত যেখানে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত দেখানো হয় ৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। আর্থিক হিসাবে আসলে ৪ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত হয়েছে। গত মার্চ পর্যন্ত যেখানে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি দেখানো হয় ৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অবশ্য সামগ্রিক ঘাটতির হিসাবে তেমন কোনো হেরফের হয়নি। গত অর্থবছর এ ক্ষেত্রে ৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি হয়েছে।


আরও খবর
কোনো রকমে বাড়লো সূচক, কমেছে লেনদেন

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাম্প্রতিক প্রত্যেকটি ঘটনার ছাপ এখনো টাটকা: সোহানা সাবা

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই দলটির সমর্থক শিল্পীরা চাপের মধ্যে রয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে অনেক শিল্পীকে। গুণী অভিনেত্রী সোহানা সাবা আওয়ামী লীগের হয়ে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। সম্প্রতি ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে সাবা জানিয়েছেন, সে দেশে কাজের সুযোগ পেলে তিনি অবশ্যই করবেন।

ছাত্র আন্দোলন, বন্যা ও দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সোহানা সাবা বলেন, আমরা সংবেদনশীল মানুষ। ভালো-মন্দ, সব কিছু আমাদের একটু বেশিই ছুঁয়ে যায়। ভালো কিছু ঘটলে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ি। খারাপ কিছু ঘটলে ততটাই মানসিক বিপর্যয় নেমে আসে। আমরা এখন সেই অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। সাম্প্রতিক প্রত্যেকটি ঘটনার ছাপ এখনো টাটকা। মানসিক ক্ষত শুকায়নি।

ভারতে কাজ করা প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, আমরা চাইলেই আপনাদের দেশে কাজ করতে যেতে পারি। বাকি রইলো ভিসা সমস্যা। সেটা আগেও ছিল। আসলে, আমরাই এখনো মানসিক দিক থেকে তৈরি নই।

সাবার ভাষ্য তিনি ভারতীয় সিনেমার ভক্ত। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলির সিনেমার অন্ধ ভক্ত। বিসর্জন, বিজয়া, অর্ধাঙ্গিনী তার প্রিয় সিনেমা। কৌশিকের সিনেমায় অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তিনি।

২০০৪ সালে প্রয়াত অভিনেত্রী ও নির্মাতা কবরীর আয়না সিনেমা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন সোহানা সাবা। খেলাঘর, চন্দ্রগ্রহণ, প্রিয়তমেষু, বৃহন্নলাষড়রিপু সিনেমায় কাজ করে অভিনয় প্রতিভার জানান দিয়েছেন তিনি। তার অভিনীত টেলিভিশন নাটকও দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: সোহানা সাবা

আরও খবর
জনগণের কাছে দেশটা কারাগার : আফজাল হোসেন

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পটুয়াখালীতে আগুনে পুড়ে ছাই দুই ব্যবসায়ীর দোকান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালীতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে দুই ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এতে তাদের প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী প্রণব চন্দ্র রায় এ ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

জানাগেছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার রাত সাড়ে বারোটায় দিকে সদর উপজেলার ভূড়িয়া ইউনিয়নের ভায়লা বাজারে আকস্মিক আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় শ্রী গুরু ফার্মেসী এবং রবিউল স্টোরের সব মালামাল। যাতে ঐ দুই ব্যবসায়ীর প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে তাদের।

শ্রী গুরু ফার্মেসীর মালিক ভুক্তভোগী প্রণব চন্দ্র রায় বলেন, রবিবার রাত নয়টার সময় আমার ফার্মেসীর ভেতরে মটরসাইকেল রেখে বাসায় যাই। পরে রাত সাড়ে বারোটার সময় স্থানীয় লোকজনের মুখে জানি আমার দোকানে আগুন লাগছে। এসময় দোকানের সামনে এসে দেখি ভেতরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। আগুনের তীব্রতা এতোটাই বেশি ছিলো যে রাস্তার উপর দাড়িয়ে পানি দিতে হয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে আগুনে পুড়ে সব ছাই হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, দোকানের যে জমি রয়েছে সেটা আমাদের জমি। বেশ কয়েক বছর ধরেই মানুষের চিকিৎসা দিয়ে আসছি। তবে কিভাবে আগুন লাগলো আর কারাই বা লাগালো কিছুই বুঝতে পারছি না। দোকানের মধ্যে থাকা ঔষধ, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, নগদ প্রায় ৬ লক্ষ টাকা এবং বাসার কিছু স্বর্ণালংঙ্কার ছিলো যার কিছুই পাওয়া যায়নি। এক আগুন আমার সব কেড়ে নিলো।

মুদি মনোহারী দোকানী রবিউল স্টোরের মালিক সিদ্দিক হাওলাদার বলেন, জীবনের সবটুকু সঞ্চয় ছিলো এই দোকানকে ঘিড়ে কিন্তু আগুন সবকিছু কেড়ে নিলো। এখন আর পরিবার নিয়ে চলার মত উপায় নাই। আল্লায় এর চাইতে আমারে নিয়ে গেলে ভাল হতো।

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি তদন্ত মোঃ আসাদ জানান, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: পটুয়াখালী

আরও খবর



সবজির দাম স্থিতিশীল, চড়া ডিম মুরগির বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর কাঁচাবাজারে কমলো বেশ কয়েকটি সবজির দাম। সবজির দাম কমার তালিকায় রয়েছে কাঁচা মরিচ, বেগুন, টমেটো এবং পেঁপে। অপরদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে চড়া দামে বাজারে ডিম ও মুরগি বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া, মতিঝিল, হাতিরপুলসহ অন্য বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা জানান, শাক-সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে। কারওয়ান বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, সরবরাহ বাড়ায় কয়েকটি সবজির দাম সামান্য কমেছে। তবে বেশিরভাগের দামই আছে অপরিবর্তিত।

বাজারে প্রতি কেজি করলা ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, বেগুন ৮০-১০০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, কচুরমুখী ৫০-৬০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বরবটি ৬০ টাকা, লতি ৫০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, কহি ৫০ টাকা ও গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া বাজারভেদে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকায়। আর প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা।

ক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম আগের সপ্তাহের চেয়ে তুলনামূলক কমই আছে। তবে চড়া আলু, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দাম। সাদিক নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম মাত্রাতিরিক্ত। এসব পণ্যের দাম কমাতে সরকারকে নজর দিতে হবে।

তবে বাজারে চড়া ডিম ও মুরগির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৭৫ টাকা, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৪০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এ ছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।

অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়।

বাজারে মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকা, আর সাদা ডিম ১৫০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, ইলিশ ছাড়া কেজিতে ২০-৪০ টাকা বেড়ে গেছে সব ধরনের মাছের দাম। বাজারে প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৩৮০ টাকায়, পাঙাশ ২০০-২২০ টাকায়, কৈ ২৪০-২৮০ টাকায়, শিং প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি ৫০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাছের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যায় বেশকিছু অঞ্চলে চাষিদের মাছ ভেসে গেছে। ফলে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম কিছুটা বাড়তি।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান।


আরও খবর