আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

সর্বজনীন পেনশনের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের প্রাপ্তবয়স্ক সব মানুষকে পেনশনের আওতায় আনতে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধনের দিন থেকেই ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি নাগরিকরা চারটি স্কিমের মাধ্যমে এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। সর্বজনীন পেনশনে টাকা রেখে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৩০ গুণ থেকে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৩১ গুণ পর্যন্ত অর্থ পেনশন হিসেবে পাবেন বেসরকারি খাতের কর্মচারী বা প্রবাসীরা। অতি দরিদ্রদের পেনশন স্কিমের অর্ধেক টাকা সরকার বহন করবে।

প্রথমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সিদের জন্য পেনশন চালুর ঘোষণা দিলেও সরকার পরে বয়সের বিষয়টি শিথিল করে ৫০ পার হওয়া ব্যক্তিদেরও এর আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আজীবন বা ন্যূনতম ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত পেনশন সুবিধা পেতে কমপক্ষে ১০ বছর নির্দিষ্ট হারে চাঁদা পরিশোধ করতে হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর চাঁদার হার এবং স্কিম পরিবর্তন করার সুযোগ থাকবে।

উদ্বোধনের দিনেই অনলাইনে পেনশন কর্মসূচিতে চাঁদা দিয়ে অন্তর্ভুক্তি প্রদর্শনের আয়োজন করতে আট জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে তাদের মডেল পেনশনার প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে, গোপালগঞ্জ, সিলেট, রংপুর, পাবনা, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ, রাঙামাটি ও বরগুনা। পেনশন কর্তৃপক্ষ একই ধরনের চিঠি দিয়েছে কুয়ালালামপুর ও জেদ্দায় থাকা বাংলাদেশ মিশনে।

সংশ্লিষ্টরা আরও জানিয়েছেন, ঘরে বসেই পেনশন কর্মসূচির আওতায় চাঁদা দেওয়া যাবে। এজন্য একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। যারা সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসতে চান, আগে তাদের নিবন্ধন করতে হবে। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি সব নাগরিক তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় যোগ দিতে পারবেন। যেসব প্রবাসী বাংলাদেশির এনআইডি নেই, তারা বৈধ পাসপোর্টের ভিত্তিতে ব্যাংকিং চ্যানেল, অনুমোদিত মোবাইল আর্থিক পরিষেবা এবং এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা দিয়ে কর্মসূচিতে যুক্ত হতে পারবেন। নিবন্ধনের পর একটি নম্বর পাওয়া যাবে, যা দিয়ে সব সময় চাঁদা পরিশোধসহ সব কাজ করা যাবে। গ্রামীণ পর্যায়ে নিবন্ধন করতে সহযোগিতা করবে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় নগদ টাকায় কোনো লেনদেন হবে না। সব কাজ হবে অনলাইনে।

পেনশন স্কিমে জমা করা অর্থের ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে নেওয়া হবে। পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করে কর রেয়াত পাওয়া যাবে এবং মাসিক পেনশন বাবদ পাওয়া অর্থও করমুক্ত থাকবে। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগেই মারা গেলে তার জমা করা অর্থ মুনাফাসহ তার নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা কার্যকর হলে ধীরে ধীরে বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীর সংখ্যা কমিয়ে আনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। কারণ সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতায় দেশের বয়স্ক মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে।

একই সঙ্গে সরকারি পেনশন ব্যবস্থা সরকারি রাজস্বের উৎস হিসেবে কাজ করবে। কারণ সরকার প্রাথমিক ১০ বছরের জন্য একটি প্রিমিয়াম পাবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো পেনশন দেওয়া হবে না। এ ছাড়া প্রবাসীদের ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম বৈদেশিক মুদ্রায় নেওয়া হবে এবং পেনশন স্থানীয় মুদ্রায় দেওয়া হবে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে। পেনশনভোগীদের প্রাপ্ত পেনশন সুবিধা প্রদানে সরকারের বাড়তি কোনো অর্থের প্রয়োজন হবে না। পেনশনভোগীদের দেওয়া চাঁদার ওপর বার্ষিক ৮ শতাংশ হারে সুদ ধরেই এ অর্থের জোগান দেওয়া সম্ভব। আর সরকার পেনশন তহবিলের এ অর্থ লাভজনক বিভিন্ন উদ্যোগে বিনিয়োগ করবে।

আপাতত সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ পেনশন কর্মসূচির বাইরে থাকবেন। এ ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত নাগরিকদের এ ব্যবস্থায় রাখা হবে না। সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধাভোগী তার সুবিধা সমর্পণ করে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।

সর্বজনীন পেনশনের বিভিন্ন স্কিম: বেসরকারি কর্মচারীরা মাসিক ২ হাজার, ৩ হাজার ও ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে প্রগতি স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন। চাঁদার ৫০ শতাংশ কর্মীরা এবং বাকি ৫০ শতাংশ কোম্পানি পরিশোধ করতে পারবে। প্রবাসীদের জন্য প্রবাস স্কিমে মাসিক চাঁদা ধরা হয়েছে ৫ হাজার, সাড়ে ৭ হাজার এবং ১০ হাজার টাকা। বিদেশ থেকে এ স্কিমে যোগদানের পর ৬০ বছর বয়সের আগেই কেউ দেশে ফিরলে তারা দেশীয় মুদ্রায় চাঁদা পরিশোধ করতে পারবেন অথবা স্কিম পরিবর্তন করতে পারবেন। পেনশন স্কিমের মেয়াদ শেষে স্থানীয় মুদ্রায় পেনশন দেওয়া হবে। অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য সুরক্ষা নামে স্কিম থাকছে। কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতিসহ সব ধরনের অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিরা এ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। এ স্কিমে মাসিক চাঁদার পরিমাণ ১ হাজার, ২ হাজার, ৩ হাজার ও ৫ হাজার টাকা। অতি দরিদ্রদের জন্য করা হয়েছে সমতা স্কিম। এ স্কিমে চাঁদার পরিমাণ মাসে ১ হাজার টাকা। এর মধ্যে গ্রাহক প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দেবেন। বাকি ৫০০ টাকা সরকার পরিশোধ করবে। খানা আয় ও ব্যয় জরিপ অনুযায়ী অতিদরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: সর্বজনীন পেনশন

আরও খবর



কুষ্টিয়ায় গ্যাস লাইট বিস্ফোরণে ঝলসে যাওয়া কিশোরের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ায় গ্যাস লাইট বিস্ফোরণে ঝলসে যাওয়ার দুই সপ্তাহ পর সাজিদ (১৬) নামের এক কিশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালের দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজিদ মৃত্যুবরণ করে।

মৃত সাজিদ কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক আব্দুর রহিম লাল্টুর ছেলে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল গ্যাস লাইট বিস্ফোরণে ওই কিশোরের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মকভাবে পুড়ে গুরুতর আহত হয় । পরে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।


আরও খবর



সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা: আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বাড়িঘর, মন্দির, দোকানপাটে হামলা ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর। বুধবার (৮ মে) রাতে কয়েক দফায় কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচনে বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে হামলা ও মারপিট করেছে। এতে মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত হয়েছে অন্তত দশজন।

ভুক্তভোগীরা জানান, গতকাল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিন। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটে শাহিন পরাজিত হলে ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলার মানিকহাট, সাগরকান্দি ও সাতবাড়িয়া সহ কয়েকটি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশত বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালায় আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা। মারপিটে গুরুত্বর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন আহমদপুর দক্ষিণচর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন খান, আলম, রানী বেগমসহ বেশ কয়েকজন। সাগরকান্দি ইউনিয়নে বীরেন্দ্রনাথ কুন্ডুর পারিবারিক মন্দিরেও ভাঙচুর করেছে হামলাকারীরা।

সাতবাড়ীয়া ভাটপাড়া এলাকার সাব্বির বলেন, আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের নির্বাচন শেষে রাতে বাড়ি এসে ভাত খাচ্ছিলাম এর মধ্যে মটর সাইকেলের সমর্থক ওহাবের লোকজন অস্ত্রসস্ত্রসহ দলবল নিয়ে আমাদের ঘর-বাড়িতে হামলা চালায় এবং ঘর বাড়ি ভাংচুর করাসহ ঘরে থাকা নগদ টাকা পয়সা স্বর্ণলঙ্কার লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা। এখন জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি।

মানিকহাট ইউনিয়নের ক্ষেতুপাড়া এলাকার আরিফা খাতুন বলেন,  শাহীন হেরে যাওয়ায় রাতের আধারে মটর সাইকেলের সমর্থক ওহাবের লোকজন আমাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে এবং ঘরে থাকা পিঁয়াজ বিক্রির নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা।

হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শাহীনুজ্জামান। শাহীনুজ্জামান বলেন, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের নানা ঘটনা থাকলেও সার্বিকভাবে জনগণের রায়কে আমি মেনে নিয়েছি। নির্বাচন নিয়ে আমি কোন অভিযোগ করিনি। আমার প্রত্যাশা ছিলো নতুন উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে আমরা এলাকার উন্নয়নে একসাথে কাজ করবো। কিন্তু গতরাত থেকেই তারা যা শুরু করেছে তা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নৃশংসতাকেও হার মানায়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই ও দোষীদের শাস্তির দাবি করছি। একই সাথে জনগণের জান মালের নিরপত্তা দিতে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

হামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বিজয়ী চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব। নেতাকর্মীদের শান্ত থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

সুজানগর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃংখলা বাহিনী সহিংসতা প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে। এলাকায় নিরপত্তা বাড়ানো হয়েছে। হামলা মারপিটের ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।


আরও খবর



বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অুনসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, তারা রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিকে বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয় প্রার্থী হওয়া নিয়ে আইনে কোনো বাধা নেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়দের প্রার্থী হওয়া নিয়ে আইনে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমির হল রুমে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

আনিছুর রহমান বলেন, আইনে বলা আছে যিনি প্রাপ্তবয়ষ্ক, যিনি ভোটে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন এমন যে কেউই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আমরা জেনেছি অনেক স্থানে এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয় প্রার্থী হয়েছেন। তবে গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী আমরা কোথাও কোনো সমস্যা দেখছি না। তবে যেসব উপজেলায় সমস্যা সৃষ্টি হবে, আমাদের কাছে আইন আছে, আমরা ভোট স্থগিত রাখতে পারি। আইন অমান্য করলে প্রার্থিতা বাতিল করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশি ভোটার উপস্থিতি আশা করছে নির্বাচন কমিশন। সেজন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কঠোর হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন খান প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় ইসি আনিছুর রহমান কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনেন। এরপর তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

প্রসঙ্গত, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রার্থী হতে দলীয়ভাবে নিষেধ করা হয়েছে। দলীয় কোন্দল নিরসন এবং নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কেউ যাতে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট না করে- সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



চেলসিকে হারিয়ে ফের এফএ কাপের ফাইনালে সিটি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চ্যাম্পিয়নস লিগ ধরে রাখার স্বপ্ন ভেঙে গেলেও ম্যানচেস্টার সিটির সামনে এখন লিগ শিরোপা ও এফ এ কাপের ট্রফি জয়ের সুবর্ণ সুযোগ। সে পথে একধাপ এগিয়ে গেল পেপ গার্দিওলার দল।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ওয়েম্বলিতে চেলসিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার এফএ কাপের ফাইনালে উঠলো সিটিজেনসরা।

ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে একমাত্র গোলটি আসে সিটির বার্নান্দো সিলভার পা থেকে। এর আগে, একাধিক গোলে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি সিটি।

অন্যদিকে চেলসি প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা পেতে ব্যর্থ হয়।

প্রথমার্ধে বলের দখলে এগিয়ে থেকেও লক্ষ্যে কোনো শটই নিতে পারেনি সিটি। অন্যদিকে চেলসির লক্ষ্যে শট ছিল তিনটি।

ম্যাচের ২৯তম মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ হারান নিকোলাস জ্যাকসন। সিটির গোলকিপার ওর্তেগাকে একা পেয়েও সুযোগ নষ্ট করেন সেনেগালের এই স্ট্রাইকার।

গত বছর এফএ কাপের ট্রফি জিতেছিল ম্যান সিটি। এ নিয়ে তৃতীয়বার টানা দুই বছর ফাইনালে উঠল ইংলিশ জায়ান্টরা। আগের দুটি ছিল ১৯৩৩-৩৪ ও ১৯৫৫-৫৬ সালে। ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিপক্ষ নির্ধারণ হবে রোববার (২১ এপ্রিল)। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-কোভেন্ট্রি সিটির মধ্যে জয়ী দল খেলবে ফাইনালে তাদের বিপক্ষে খেলবে।


আরও খবর