সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের কাছে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে “মিথ্যা-মানহানিকর” তথ্য প্রচারের অভিযোগে এই মামলা করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে এই মামলার আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
আদালতের সেরেস্তাদার মতিউর রহমান সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, মানি স্যুট মামলাটির গ্রহণযোগ্যতা বিষয় এখনো কোনো শুনানি হয়নি।
মামলার আরজিতে আবদুস সোবহান দাবি করেছেন, গত ১৭ জানুয়ারি সায়েদুল হক ফেসবুকে তার সম্পর্কে মিথ্যা, মানহানিকর তথ্য প্রচার করেন। সায়েদুল হক প্রচার করেন যে তিনি (আবদুস সোবহান) ২০১৪-২০১৫ সালে সংসদ সদস্য হয়ে অর্থ পাচার (মানি লন্ডারিং) করেছেন। সায়েদুল হকের এই বক্তব্য সত্য নয়। তিনি সংসদ সদস্য হয়েছেন ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে। সংসদ সদস্য হওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বাড়ি কেননেনি।
মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, আবদুস সোবহান ১৯৮৫ সালে উচ্চতর শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে লেখাপড়া শেষ করে উচ্চ বেতনে চাকরি করেন। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি মার্কিন পাসপোর্ট সমর্পণ (সারেন্ডার) করেন। তারপর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার কোনো আর্থিক লেনদেন নেই। সংসদ সদস্য হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি কেনার তথ্য বিবাদীর মনগড়া বক্তব্য। বিবাদী আগেও বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মানহানিকর তথ্য প্রচার করেছেন।
আবদুস সোবহান গোলাপের পক্ষে মামলাটি করেন আইনজীবী কামাল হোসেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তার মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। মামলায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।”
মামলার বিবাদী সায়েদুল হক সুমন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মানহানিকর বক্তব্য প্রচারের অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে মানি স্যুট মামলা হওয়ার কথা তিনি শুনেছেন। তিনি আইনগতভাবেই এই মামলা মোকাবিলা করবেন।”
তিনি আরও বলেন, “বাদীকে নিয়ে তিনি কোনো মানহানিকর তথ্য প্রচার করেননি। তাকে নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ‘অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের' তথ্যই তিনি শুধু উল্লেখ করেছেন।”