আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশে লাগবে এনআইডি বা পাসপোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর জরুরি প্রয়োজনে প্রবেশ করতে হলেও জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট সঙ্গে রাখতে হবে।

আজ সোমবার এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মশিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিনা প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ না করার জন্য বলা হলো। জরুরি প্রয়োজনে কেউ প্রবেশ করলে স্ব স্ব জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট সাথে রাখার জন্য বলা গেল।

এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্ধারিত স্টিকার ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, ঢাকা মহানগর আদালতের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশও ছিল। তাই সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তা করে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনায় এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।


আরও খবর
জামিন পেলেন না মির্জা ফখরুল

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ঠাকুরগাঁওয়ে বিরল প্রজাতির নীলগাই উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়ন থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় একটি নীলগাই আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ওই ইউনিয়নের ফকিরভিটা এলাকায় থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির এই প্রাণিটিকে আটক করেন তারা।

আটক নীলগাইটি কান্তিভিটা ক্যাম্পে বিজিবির হেফাজতে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিজিবি'র ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী।

বিজিবি ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, দুপুরে ঠাকুরগাঁও বিজিবির ৫০ ব্যাটালিয়নের কান্তিভিটা ক্যাম্পের শালাডাঙ্গা এলাকায় ভারতীয় একটি বন্যপ্রাণি নীলগাই দেখতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে কান্তিভিটা ক্যাম্পের বিজিবির একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পরে জানতে পারেন নীলগাইটি ধনতলা ইউনিয়নের মোরলপাড়া এলাকার দিকে অগ্রসর হয়েছে। পরবর্তীতে ধনতলা বিওপিকে অবগত করা হলে টহলরত বিজিবির একটি দল স্থানীয়দের সাথে নিয়ে নীলগাইটিকে খোঁজাখুজি করেন। ঘন্টা খানেক খোজাখুজির পর পাড়িয়া ইউনিয়নের ফকিরভিটা এলাকা থেকে নীলগাইটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন বিজিবি ও এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী জানান, নীলগাইটি ওই এলাকা থেকে নিয়ে আসার পর বন বিভাগে হস্তান্তর করা হবে। যার প্রক্রিয়া চলছে।


আরও খবর
পিরোজপুর মুক্ত দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

পিরোজপুর মুক্ত দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিরোধের একমাত্র সমাধান ‘দ্বিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’: জো বাইডেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিরোধের একমাত্র সমাধান দ্বিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইসরাইল যদি গাজা দখল করে সেটি হবে বড় ভুল বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন তিনি।

বাইডেন আরও বলেন, হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তির জন্য তিনি তার ক্ষমতার সবকিছুই করছেন। তবে তার মানে সেখানে মার্কিন সৈন্য পাঠানো নয়। জিম্মি মুক্তি ইস্যুতে তিনি ক্রমাগত কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন। আরব নিউজ।

চলতি সপ্তাহে বাইডেন বলেছিলেন, জিম্মিদের উদ্দেশে তার বার্তা হলো, সেখানে থাকুন, আমরা আসছি। এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি যা বোঝাতে চেয়েছিলাম তা হলো আমি আপনাদের মুক্ত করতে ক্ষমতার সবকিছুই ব্যবহার করছি। আপনাদের সহায়তা করতে আর-আপনাদের মুক্ত করতে আসছি। তবে আমি সেখানে সেনা পাঠাতে চাই না। আমি সামরিক বাহিনীর কথা বলিনি।


আরও খবর



নির্বাচনের আগে সংবাদমাধ্যমের ওপর রাশিয়ার বিধিনিষেধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নির্বাচনের আগে সংবাদমাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ সংক্রান্ত একটি আইনের পরিবর্তন অনুমোদন দিয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

আগামী বছরের মার্চে রাশিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে দেশটিতে সংবাদমাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধসংক্রান্ত একটি আইন সংশোধন করা হয়েছে।

আসন্ন এ নির্বাচনে পুতিন প্রার্থিতার ঘোষণা এখনও দেননি। তিনি দেশটিতে গত ২৪ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি আগামী বছরের নির্বাচনে প্রার্থিতার মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো ক্ষমতায় আসবেন।

পুতিন জানিয়েছেন, তিনি এখনো প্রার্থিতার ঘোষণা দেননি। নির্বাচনের তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হলে তারপর তিনি নিজের সিদ্ধান্ত জানাবেন।

সংশোধিত আইনানুসারে, দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অধিবেশনে কেবল নিবন্ধিত গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতে পারবেন। ফলে অনিবন্ধিত ও ফ্রিল্যান্সার বা স্বাধীন সাংবাদিকরা এ অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এছাড়া সংশোধনীতে সামরিক ঘাঁটি বা সামরিক আইনের অধীনে থাকা এলাকাগুলোতে নির্বাচন কমিশনের কার্যকলাপের খবর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় খবর প্রচারে আঞ্চলিক ও সামরিক কর্তৃপক্ষগুলোর কাছ থেকে আগাম ছাড়পত্র নিতে হবে।

নতুন সংশোধনী অনুসারে, ব্লকড উৎস বা নিষিদ্ধ ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত কোনো প্রচারণামূলক কন্টেন্ট প্রচার করতে পারবে না গণমাধ্যম। এমনকি দেশটিতে বিরোধীদের ওপর কঠোর দমননীতি এবং তথ্যপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


আরও খবর



এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৭৪৭ জন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ৩০০টি আসনে ২ হাজার ৭১১টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে। এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে ৭৪৭টি। এছাড়া ৩২টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ১ হাজার ৯৬৬টি।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এই তথ্য জানান।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনে মোট মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে ৩০৩টি। পাঁচটি আসনে তাদের দুজন করে প্রার্থী রয়েছে। অপরদিকে জাতীয় সংসদে বিরোধীদল জাতীয় পার্টি ২৮৬টি আসনে ৩০৪টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। ১৮টি আসনে তাদের দুজন করে প্রার্থী রয়েছে।

অন্যান্য দলের মধ্যে জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল) ২১৮টি, তৃণমূল বিএনপি ১৫১টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি ১৪২টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ১১৬টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (মশাল) ৯১টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ৮২টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি) ৭৪টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফোরাম-বিএনএফ (টেলিভিশন) ৫৫টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ৪৯টি, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন-বিটিএফ (ফুলের মালা) ৪৭টি, ইসলামী ঐক্যজোট ৪৫টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) ৩৯টি, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট (মোমবাতি) ৩৭টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (গামছা) ৩৪টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ি) ৩৩টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।

এছাড়াও গণফ্রন্ট (মাছ) ২৫টি, জাতীয় পার্টি-জেপি (বাইসাইকেল) ২০টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি) ১৮টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল) ১৩টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ) ১৩টি, গণতন্ত্রী পার্টি (কবুতর) ১২টি, গণফোরাম (উদীয়মান সূর্য) ৯টি, সাম্যবাদী দল (চাকা) ছয়টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ম্যাপ (কুঁড়েঘর) ছয়টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল (হাত পাঞ্জা) পাঁচটি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন) দুটি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (খেজুর গাছ) একটি, খিলাফত মজলিস (রিকশা) একটি এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল একটি করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।

এদিকে বিএনপিসহ (ধানের শীষ) নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন (হাতপাখা), সিপিবি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি (কোদাল), খিলাফত মজলিস (দেওয়াল ঘড়ি), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (সিংহ), ইনসানীয়ত বিপ্লব বাংলাদেশ (আপেল), বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (মোটরগাড়ি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (গরুর গাড়ি) এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল আর্মি পার্টি বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী) নির্বাচনের অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




ইসরায়েলে যেভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তায় এত ধস আগে কখনো নামেনি। ১৪ নভেম্বর একটি জরিপে দেখা গেছে, ইসরায়েলের ইহুদিদের মধ্যে তাঁর জনসমর্থন মাত্র ৪ শতাংশের মতো। এমন পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর বিরোধী, এমনকি তাঁর ঐতিহাসিক মিত্ররাও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাত শেষে তাঁর পদত্যাগ চাইছেন।

 ইসরায়েলের কোনো প্রধানমন্ত্রীই নেতানিয়াহুর মতো এমন নড়বড়ে অবস্থায় পড়েননি বলে মনে করেন ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিশেষজ্ঞ খালেদ এলগিনদি। তিনি বলেন, নেতানিয়াহুর আমলে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গোয়েন্দা ব্যর্থতার মুখে পড়েছে ইসরায়েল। এতে করে রাজনৈতিক জীবনে যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অবশ্য আগে থেকেই সমালোচনার মুখে ছিলেন নেতানিয়াহু। গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনে জিতে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থী সরকার গঠন করেন তিনি। এরপর দেশটির বিচারব্যবস্থায় সংস্কারের চেষ্টা করে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, এরপরও ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর যেটুকু সমর্থন ছিল, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর তার প্রায় সবই হারিয়েছেন তিনি।

জিম্মিদের উদ্ধারে ব্যর্থতা

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যায় নিয়ে যান হামাস সদস্যরা। এসব ঘটনার জন্য ইসরায়েলের ৯৪ শতাংশ মানুষ নেতানিয়াহু সরকারকে অন্তত আংশিক দায়ী করছেন।

হামাসের সঙ্গে সংঘাত শুরুর কয়েক দিন পরই ইসরায়েলের জনগণের বড় একটি অংশ মনে করত, সংঘাত শেষে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত। নেতানিয়াহুকে নিয়ে তাদের এই অসন্তোষ পরে বেড়েছে বৈকি কমেনি। বেশির ভাগ সমালোচনা হয়েছে হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্ত করার ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুর আগ্রহের ঘাটতি নিয়ে।

গত শুক্রবার এমন দুই জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েল। এর আগে কাতারসহ কয়েকটি দেশের মধ্যস্থতায় আরও চার জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। তবে সাময়িক যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বেশিসংখ্যক জিম্মিকে মুক্ত করার হামাসের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। বলেছেন, সব জিম্মিকে মুক্তি দিলেই কেবল গাজায় হামলা বন্ধের বিষয়টি ভাববেন তিনি।

গাজায় হামলার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুকেই সমর্থন দিয়ে আসছেন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিশেষজ্ঞ জাচারি লকম্যান বলেন, ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তবে বাইডেন প্রশাসনের ধৈর্য একসময় শেষ হয়ে যেতে পারে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, ইউরোপসহ অন্যান্য অঞ্চলেও যুদ্ধবিরতির পক্ষে জনসমর্থন বাড়ছে।

দলের ভেতর অসন্তোষ

নেতানিয়াহু হয়তো এখন বাইডেনের সমর্থন পাচ্ছেন, তবে তাঁর নিজের ঘাঁটিই নড়বড়ে হয়ে পড়ছে। ইসরায়েলের নেতিভত শহরে নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টিসমর্থিত মেয়র ইয়েহিয়েল জোহার সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেন, সংঘাত শেষের পর লিকুদ পার্টির ভেতরে বড় একটি দল থাকবে, যারা বতর্মান পরিস্থিতি বদলে দেবে।

নেতানিয়াহুকে নিয়ে লিকুদ পার্টির মধ্যে অসন্তোষ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অনেকেই দল ছেড়ে যাচ্ছেন। এমনই একজন দলের সদোত নেগেভ আঞ্চলিক কাউন্সিলের প্রধান তামির ইদান। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সময় তিনি লিকুদ পার্টির সদস্য কার্ড ছিঁড়ে ফেলেছেন।

ইসরায়েলের গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে ইসরায়েল হাইয়োম নামে ডানপন্থী একটি সংবাদপত্র প্রায়ই নেতানিয়াহুকে সমর্থন দিয়ে থাকে। সেই সংবাদপত্রও লিখেছে, এই ব্যর্থতার দায় আপনাকে (নেতানিয়াহু) নিতে হবে এবং এটি আপনি অন্য কারও ওপর চাপাতে পারবেন না।

এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র কট্টর ডানপন্থীদের সমর্থনেই নেতানিয়াহু সরকার টিকে আছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তারা নেতানিয়াহুকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে তারা গাজা পরিস্থিতির দিকে সবার দৃষ্টি থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে পশ্চিম তীরে অভিযান চালাচ্ছে।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিশেষজ্ঞ খালেদ এলগিনদি বলেন, নেতানিয়াহু তাঁর রাজনৈতিক জীবন বাঁচাতে লড়াই করছেন। সবার নজর গাজার দিকে। এই সুযোগে জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ও অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচের মতো কট্টর ডানপন্থীরা পশ্চিম তীরে যা খুশি তা-ই করতে পারছেন। সেখানে বসতি স্থাপনকারীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে। একই কাজ করছে ইসরায়েলি বাহিনী। খুব কম মানুষের নজর সেখানে রয়েছে। তাই কট্টর ডানপন্থীরা পশ্চিম তীরে তাঁদের লক্ষ্য বাস্তবায়নের সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন।

তবে এখানেও ফাটল দেখা দিচ্ছে। গত শুক্রবার গাজায় প্রতিদিন দুই ট্রাক জ্বালানি প্রবেশের অনুমোদন দেয় নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন সরকারের মন্ত্রিসভা। যদিও এই জ্বালানি গাজার ২৩ লাখ মানুষের জন্য খুবই সামান্য বলে মনে করা হচ্ছে। এরপরও ইসরায়েল সরকারের এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন বেন-গভির ও স্মোত্রিচ।

শিকারে প্রস্তুত বিরোধীরা

ইসরায়েলে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন নেতানিয়াহু। এ সময় তাঁর অনেক শত্রু তৈরি হয়েছে। নেতানিয়াহুকে শিকারে একপ্রকার মুখিয়ে রয়েছেন তাঁরা। এমনই একজন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গাৎস। নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা যতই কমছে, ততই উত্থান হচ্ছে তাঁর।

গাৎস বর্তমানে নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। নেতানিয়াহু হামাসের হামলার দায় ইসরায়েলি গোয়েন্দা ও সামরিক বাহিনীর ওপর চাপালে, তাঁর কড়া সমালোচনা করেন গাৎস। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিশেষজ্ঞ জাচারি লকম্যানের মতে, ইসরায়েলে দীর্ঘদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদ দখলের স্বপ্ন দেখছেন গাৎস।

লকম্যানের ভাষায়, ইসরায়েলের রাজনীতির কেন্দ্রে গাৎস নিজেকে এমন একজন নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন, যিনি ডান, বাম ও মধ্যপন্থীদের এক ছাতার নিচে আনতে পারবেন। আর নেতানিয়াহুর মতো অনেক বোঝাই তাঁকে বইতে হচ্ছে না। যেমন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা রয়েছে, যা গাৎসের নেই।

১৪ নভেম্বরের এক জরিপে অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, নেতানিয়াহু, নাকি গাৎসকাকে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেশি যোগ্য মনে করেন? দেখা যায়, জরিপে নেতানিয়াহুর চেয়ে ২২ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন গাৎস। তবে তিনি নেতানিয়াহুকে সরাতে পারবেন কি না, তা এখনই সুর্নিদিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ, হামাসের হামলার পর তিনি নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছেন। নেতানিয়াহুর অনেক সমালোচক এই কাজ করেননি।

নেতানিয়াহুর আরেকজন বিরোধী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ। গত বুধবার তিনি দাবি তুলেছেন নেতানিয়াহুকে সরিয়ে লিকুদ পার্টির অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার। খালেদ এলগিনদি বলেন, আগে সংঘাত শেষের পর নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছিল। তবে এখন সংঘাতের সমাপ্তির আগেই তাঁর পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছে।

তবে রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার ইতিহাস আছে নেতানিয়াহুর। গত বছরের নির্বাচনে এ দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। দুর্নীতির অভিযোগ ঘাড়ে নিয়েও নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। খালেদ এলগিনদি বলেন, আমার মনে হয় না রাজনৈতিকভাবে বর্তমান পরিস্থিতি সামলে উঠতে পারবেন নেতানিয়াহ। হামাসের হামলা ও জিম্মিদের নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এমনকি ৭ অক্টোবরের আগে থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তা কমছে। এরপরও এসব সমস্যা সামাল দেওয়ার কৌশল যদি কারও জানা থাকে, তিনি শুধু নেতানিয়াহুই।


আরও খবর