আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি: কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, অঙ্গীকার ও শপথ সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আমরা এক কথায় বলতে পারি, সংগ্রাম, সাফল্য ও সংস্কৃতির বর্ণিল প্রতিভাসের নাম আওয়ামী লীগ। দুটি পর্বে আমাদের এই সংগ্রাম, আন্দোলন, অর্জন উন্নয়নকে যদি ভাগ করি একটি অংশে স্বাধীনতা। স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নেতা কেন্দ্রাতীত শক্তি হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পলাশীতে যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল ১৯৪৯ সালে সে সূর্য আবার উদিত হয়েছিল। উদিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, অঙ্গীকার ও শপথকে সামনে রেখে।

তিনি বলেন, জনগণের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়ে প্রতিরোধের দাবানল ছড়িয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমরা মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গাই। আমরা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়াই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সংগ্রাম, আন্দোলন মুক্তি সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার হাতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এর পর একাত্তরের ৭ মার্চ যা বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম স্বাধীনতা বিজয়ী আমরা হয়েছি কিন্তু আমাদের মুক্তির স্বপ্ন তখনো বাস্তবায়িত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তির যে সংগ্রাম তা ব্যাহত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে জিয়াউর রহমান নিঃশেষ করে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শ সব কিছুই আঘাতে আঘাতে জর্জরিত। ঐতিহাসিক ৭ জুন ছিল না, ৭ মার্চ ছিল না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিষিদ্ধ। জয়বাংলা ছিল নিষিদ্ধ। তখন মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ঘুরে বেড়াতো বুক ফুলিয়ে জিয়াউর রহমানের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে। কারাগারে চার নেতার হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়ার পরে এরশাদ, এরশাদের পর বেগম খালেদা জিয়া একুশ বছর ধরে আমরা অন্ধকারে ছিলাম। একুশ বছর ধরে আমাদের গণতন্ত্র ছিল নির্বাসনে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বিজয়ের নায়ক, স্বাধীনতার স্থপতিকে বাদ দিয়ে উদযাপন করা হতো।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার ছয় বছর পর শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অন্ধকারে আশার আলো হয়ে এসেছিল। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। তিনি এসেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনরুত্থান হয়েছে। গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল স্বাধীনতার আদর্শের প্রত্যাবর্তন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অর্জন বাংলাদেশের জন্য সারা পৃথিবীতে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বব্যাংককে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন আমরাও পারি। আমাদের সামর্থ্যের প্রতীক, আমাদের সক্ষমতার প্রতীক এই পদ্মা সেতু নিজের টাকায় করেছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পায়রা সমুদ্রবন্দর, মাতারবারি গভীর সমুদ্র বন্দর, স্যাটেলাইট, ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যা, ছিটমহল সমস্যার সমাধান এসব অর্জন বঙ্গবন্ধুর কন্যার।

আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরে অর্জন কী, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের অর্জনের কথা আমরা বলবো না। ৭৫ বছরে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে, আমরা আমাদের রক্তের মূল্যে অর্জিত বিজয়কে সুসংহত করবো। আমাদের চলার পথে প্রধান বাধা বিএনপি, মুক্তিযুদ্ধের নামে এরা ভাওতাবাজি করে। আমাদের সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী শক্তি আমাদের অভিন্ন শত্রু। এই অভিন্ন শত্রু বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আমাদের আজকে শপথ এই অভিন্ন শক্তিকে পরাজিত করতে হবে। পরাভূত করতে হবে। আমাদের বিজয়কে আমরা সুসংহত করবো। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার অভিমুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করবো।

প্রধানমন্ত্রীর দিল্লির সফর নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা নিয়ে এসেছেন সেটা নিয়ে এখনো বিশ্লেষণ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে যাননি। বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে এখানে যা বলার দরকার কোনো কিছু বলতে সংকোচ করেননি। ভুলে যাননি।


আরও খবর



একাদশে ভর্তি: প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ রোববার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রথম ধাপের আবেদন প্রক্রিয়া গত ১৩ জুন শেষ হয়েছে। এ ধাপে আবেদন করেছেন সাড়ে ১৩ লাখের বেশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। আর প্রথম ধাপে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ফল রোববার (২৩ জুন) রাত ৮টায় প্রকাশ করা হবে। তারপর শিক্ষার্থীরা জানতে পারবেন, কোন কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (২১ জুন) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্র ও একাদশে ভর্তি আবেদনের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, ২৩ জুন রাতে প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ হবে।  তারপর ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী যথাক্রমে সব শেষ হবে।

একাদশে ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিশ্চায়ন করতে হবে। নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে শূন্য আসনে ৩০ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত। তারপর ৪ জুলাই দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হবে। দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতদের চারদিন ধরে নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া চলবে।

এরপর আগামী ৯ ও ১০ জুলাই শূন্য আসন অনুযায়ী শুরু হবে তৃতীয় ধাপের আবেদন। এ ধাপের ফল আগামী ১২ জুলাই, রাত ৮টায় প্রকাশ করা হবে।

এভাবে তিন ধাপে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবেদনের পর ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন শেষ হলে আগামী ১৫ জুলাই থেকে শুরু হবে ভর্তি প্রক্রিয়া। যা আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে। আর ভর্তি কার্যক্রম শেষে সারাদেশে একযোগে আগামী ৩০ জুলাই শুরু হবে ক্লাস।


আরও খবর



প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ইবি কর্মকর্তাদের মানববন্ধন

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সর্বজনীন পেনশনের 'প্রত্যয় স্কিমে'র প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আওয়াতামুক্ত রাখার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা।

সোমবার (৩ জন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবনের সামনে বটতলায় প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

এসময় উপস্থিত কর্মকর্তারা বলন, প্রত্যয় স্কিম অনুযায়ী একজন কর্মকর্তা মারা গেলে তার নমিনি ৭৫ বছর পর্যন্ত ভাতা পাবে, যা বর্তমানে চালু থাকবে না। একজন সচিব ঠিকই অবসরের পর ভাতা পাবে কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে এই সুবিধা থাকবে না। এমনই বিভিন্ন অসঙ্গতিপূর্ণ বৈষম্যমূলক এই সিস্টেম বাতিল করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রত্যয় স্কিমের আওতামুক্ত রাখতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, এটি একটি ষড়যন্ত্র। প্রধানমন্ত্রী যখন সর্বজনীন পেনশন ঘোষণা করেন তখন এই প্রত্যয় স্কিম অন্তর্ভুক্ত ছিলো না। ২০১৫ সালে ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে শিক্ষকদের অবনমন করা হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্রের ফলেই এটি হয়েছে। আমরা আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং অনতিবিলম্বে এ বৈষম্যমূলক স্কিমের আওতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মুক্ত রাখতে আহবান জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত ১৩ই মার্চ ২০২৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বর্তমান পেনশন ব্যবস্থা থেকে বের করে সর্বজনীন পেনশন স্কিম এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০২৪ সালের পহেলা জুলাই থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে যারা যোগদান করবেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সার্বজনীন পেনশনের সর্বশেষ স্কিমের আওতাভুক্ত করতে হবে। ফলে আগামী ১ জুলাই এবং তৎপরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকে সরানো হচ্ছে মতিউরকে

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক ও আবগারি) ও ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মতিউর রহমানকে সোনালী ব্যাংককের পরিচালক পদ থেকে সরানো হচ্ছে।

আজ রোববার বেলা ১১টায় সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে মতিউর রহমান উপস্থিত থাকছেন না। চলতি সপ্তাহের মধ্যে তাকে পরিচালক পদ থেকে অপসারণও করা হতে পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও সোনালী ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে সোনালী ব্যাংককে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মতিউর রহমান যেন পর্ষদে উপস্থিত না হন। ব্যাংকও মতিউর রহমানকে উপস্থিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে এবং তিনিও তা মেনে নিয়েছেন।

এবার কোরবানির ঈদে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে মতিউর রহমানের ছেলে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে উঠে আসে। এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, মতিউর রহমান কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি। পাশাপাশি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক। ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিন বছরের জন্য তাকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। তখন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ছিলেন শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ; পুনর্নিয়োগ না পাওয়ায় তিনি গত মাসে অবসরে গেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বর্তমানে আছেন বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব এ বি এম রুহুল আজাদ, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক দৌলতুন্নাহার খানম, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোল্লা আবদুল ওয়াদুদ ও সনদপ্রাপ্ত হিসাববিদ (সিএ) প্রতিষ্ঠান বসু ব্যানার্জি নাথ অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা অংশীদার গোপাল চন্দ্র ঘোষ।

তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের মানমর্যাদা রক্ষায় মতিউর রহমানকে পরিচালক পদ থেকে অপসারণ করা হতে পারে। আজ রোববার থেকেই এ প্রক্রিয়া শুরু হবে।


আরও খবর



অ্যালকোহল পানে প্রতিবছর প্রাণ হারান ২৬ লাখ মানুষ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

বিশ্বে অ্যালকোহল পানের কারণে প্রতিবছর ২৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। যদিও গত কয়েক বছরে মৃত্যুর হার কিছুটা কমেছে। তবে এখনো এটি অগ্রহণযোগ্য রকম বেশি। মঙ্গলবার (২৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

অ্যালকোহল ও স্বাস্থ্য বিষয়ে ডব্লিউএইচওর সর্বশেষ এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর প্রতি ২০টি মৃত্যুর ঘটনার প্রায় একটির জন্য দায়ী অ্যালকোহল। এসব মৃত্যুর ঘটনার পেছনে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, অ্যালকোহলসংশ্লিষ্ট নৃশংসতা, নির্যাতন, নানা রোগ ও অসুস্থতার মতো বিষয় রয়েছে।

ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে অ্যালকোহল পানের কারণে ২৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা বিশ্বে ওই বছর মোট মৃত্যুর ঘটনার প্রায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। আর মারা যাওয়া এসব ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় তিনচতুর্থাংশই ছিলেন পুরুষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান মানুষের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। এর ফলে দুঃখজনকভাবে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। অথচ এসব মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য।

এদিকে ২০১০ সালের পর থেকে বিশ্বে অ্যালকোহল পান ও অ্যালকোহল পানজনিত ক্ষতি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে অ্যালকোহল পানের কারণে স্বাস্থ্য ও সমাজের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা এখনো অগ্রহণযোগ্য রকম বেশি বলে মনে করেন ডব্লিউএইচও প্রধান। তিনি বলেন, বিশেষ করে তরুণেরা বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

২০১৯ সালে অ্যালকোহল পান মৃত্যুর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি (১৩ শতাংশ) মারা গেছেন ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী মানুষ। অ্যালকোহল পানের কারণে লিভার সিরোসিস ও ক্যানসারের মতো গুরুতর অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। ২০১৯ সালে অ্যালকোহল পানে প্রাণ হারানো মানুষের মধ্যে প্রায় ১৬ লাখের মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক ব্যাধি। তাদের মধ্যে চার লাখ ৭৪ হাজার জন হৃদ্‌রোগ, চার লাখ ১০ হাজার ক্যানসার এবং ৭ লাখ ২৪ হাজার জন আঘাতের কারণে মারা গেছেন। এছাড়া অ্যালকোহলের যথেচ্ছ ব্যবহারে মানুষের যক্ষ্মা, এইচআইভি ও নিউমোনিয়ার মতো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত  হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মাথাপিছু অ্যালকোহল পানের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ইউরোপের দেশগুলোতে; যা গড়ে ৯ দশমিক ২ লিটার। এরপরই রয়েছে আমেরিকার দেশগুলো। সেখানে মাথাপিছু অ্যালকোহল পানের গড়ে ৭ দশমিক ৫ লিটার। সবচেয়ে কম অ্যালকোহল পান করা হয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোতে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে ঝুটের গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে ঝুটের গোডাউনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর সিটি গেট এলাকার ওই গোডাউনে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ জানান, বেলা ১১টার দিকে নগরীর সিটি গেট এলাকার ওই ঝুটের গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।


আরও খবর