আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

স্বাধীনতার পর থেকে কে কত বাজেট দিয়েছেন?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিসংগ্রামের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে লাল-সবুজের মানচিত্র পায় বাংলাদেশ। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে প্রথম জাতীয় বাজেট উপস্থাপিত হয় ১৯৭২ সালের ৩০ জুন। সেদিন ৭৮৬ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন)  দেশের ৫২তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪তম বাজেট পেশ করা হবে। এবার বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।

আরও পড়ুন: অর্থনীতি প্রাণবন্ত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। দেশের প্রথম বাজেট থেকে স্বাধীনতার ৫১ বছর পর এসে বর্তমানে সেই বাজেটের আকার বেড়েছে বহুগুণ। অর্থনৈতিকভাবে দেশ এগিয়েছে অনেক দূর।

কোন বাজেটের আকার কত?

১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরে তাজউদ্দীন আহমদ ৯৯৫ কোটি টাকা ও ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরে তাজউদ্দীন আহমদ ১০৮৪.৩৭ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এরদোয়ানের ফোন

১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে ড. আজিজুর রহমান ১ হাজার ৫৪৯.১৯ কোটি টাকা, ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছরে জিয়াউর রহমান ১ হাজার ৯৮৯.৮৭ কোটি টাকা, ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছরে জিয়াউর রহমান ২ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা ও ১৯৭৮-৭৯ অর্থবছরে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ২ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন।

১৯৭৯-৮০ অর্থবছরে ড. এম এন হুদা ৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা, ১৯৮০-৮১ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা, ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ৪ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। ১৯৮২-৮৩ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা ও ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ৫ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন।

১৯৮৪-৮৫ অর্থবছরে এম সাইদুজ্জামান ৬ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা, ১৯৮৫-৮৬ অর্থবছরে এম সাইদুজ্জামান ৭ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা, ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে এম সাইদুজ্জামান ৮ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা ও ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরে এম সাইদুজ্জামান ৮৫২৭ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন।

১৯৮৮-৮৯ অর্থবছরে মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১০ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা; ১৯৮৯-৯০ অর্থবছরে ড. ওয়াহিদুল হক ১২ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা ও ১৯৯০-৯১ অর্থবছরে মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। ১৯৯১-৯২ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ১৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা, ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ১৭ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা, ১৯৯৩-৯৪ এম সাইফুর রহমান ১৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা, ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ২০ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা ও ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ২৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: এবার শিক্ষা সনদ পোড়ালেন ছাত্রলীগ নেতা

১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে এসএএমএস কিবরিয়া ২৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা, ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে এসএএমএস কিবরিয়া ২৭ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে এসএএমএস কিবরিয়া ২৯ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা, ১৯৯৯-০০ অর্থবছরে এসএএমএস কিবরিয়া ৩৪ হাজার ২৫২ কোটি টাকা, ২০০০-০১ এসএএমএস কিবরিয়া ৩৮ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা ও ২০০১-০২ অর্থবছরে এসএএমএস কিবরিয়া ৪২ হাজার ৩০৬ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। ২০০২-০৩ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ৪৪ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, ২০০৪-০৫ এম সাইফুর রহমান ৫৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা, ২০০৫-০৬ এম সাইফুর রহমান ৬১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা ও ২০০৬-০৭ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ৬৯৭৪০ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন।

২০০৭-০৮ অর্থবছরে এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন।

২০০৯-১০ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা, ২০১০-১১ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা, ২০১১-১২ আবুল মাল আবদুল মুহিত ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ৪ লাখ ২৭০ কোটি টাকা ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন।

২০১৯-২০ অর্থবছরে আ হ ম মুস্তফা কামাল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে আ হ ম মুস্তফা কামাল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। আসন্ন অর্থবছরে আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।


আরও খবর



বিশেষ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৩ বগি লাইনচ্যুত, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেনের (ঈদ স্পেশাল) ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় এ লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ওই বিশেষ ট্রেনটি রওনা দেয়। সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় বিকটশব্দে ওই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

চট্টগ্রামে উদ্ধারকারী ট্রেনকে খবর দেওয়া হয়েছে। ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেরামতের কাজ শেষ করলেই ওই রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে জানান ওই স্টোশন কর্মকতা।


আরও খবর



পাইকগাছায় নতুন রাস্তা হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে খুশির আমেজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

পাইকগাছায় দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পরে নতুন একটি বিকল্প রাস্তা হওয়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে।

শনিবার সরজমিন ঘুরে ও প্রাপ্ত সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী গড়ুইখালী ইউনিয়নের ফকিরাবাদ গ্রামে অত্র ইউনিয়নের ইউপি পরিষদ অবস্থিত। এদিকে ইউপি পরিষদের পিছনে দান কৃত জায়গায় একটি কবরস্থান রয়েছে। এছাড়াও উক্ত কবরস্থানের পার্শ্বে প্রায় ত্রিশটা পরিবারের বসবাস। এমতাবস্থায় উক্ত পরিবারগুলোর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম উল্লেখিত কবরস্থানের রাস্তা। সেকারণে এলাকাবাসী অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম (কেরু) বরাবর একটি বিকল্প রাস্তার জন্য গন সাক্ষরিত দরখাস্ত করেন।

চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সালাম কেরু গণসাক্ষরিত দরখাস্ত বিবেচনা ও জনস্বার্থে বিকল্প একটি রাস্তা করার পরিকল্পনা করেন। তারই ফলশ্রুতিতে গত বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সালাম কেরু, ইউপি সদস্য বৃন্দ ও স্থানীয় এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ পার্শ্ব দিয়ে ৮ ফুট চওড়া ও ৪শ ফুট লম্বা একটি বিকল্প রাস্তার উদ্বোধন করেন। রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে।

এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান গাউসুল করিম সরদার, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য শিউলি মনি, ইউপি সদস্য সরত চন্দ্র মন্ডল, আঃ মমিন গাজী সহ স্থানীয় সচেতন মহল।

উক্ত বিকল্প রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সালাম কেরু'র প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ জানিয়েছেন।

এম জালাল উদ্দীন, পাইকগাছা প্রতিনিধি

নিউজ ট্যাগ: পাইকগাছা

আরও খবর



এক দিনের ব্যবধানে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে আরেক দফা বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম। এক দিনের ব্যবধানে ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৬ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের ৯৪ হাজার ৭৭০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৮ হাজার ৯৬৫ টাকা। যা ৭ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছিল।

চলতি বছর এ নিয়ে ৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।


আরও খবর



নিউইয়র্কে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের বাফেলোতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।

নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যানা যায়নি। এছাড়াও কী কারণে তাদেরকে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হলো সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।

প্রশাসনের বরাত দিয়ে মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, হান্ড্রেট জেনার স্ট্রিটে দুই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে এমন খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। এই ঘটনায় গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাফেলো পুলিশ বলছে, হামলাকারীকে ধরতে অভিযান চলছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।


আরও খবর



ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: আইএইএ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে দেশটির ইসফাহানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এখানে একটি বড় বিমান ঘাঁটির পাশাপাশি রয়েছে পারমাণবিক স্থাপনাও।

তবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। এছাড়া ইসফাহানের কাছে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনাটি স্বাভাবিক ভাবে’ কাজ করছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বলেছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো ক্ষতি হয়নি বলে তারা নিশ্চিত করতে পারে।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সবার কাছ থেকে সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, পারমাণবিক স্থাপনাগুলো কখনোই সামরিক সংঘাতের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।’

এদিকে ইসফাহানের কাছে পারমাণবিক স্থাপনাটি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে’ কাজ করছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টিভি। ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিউজ নেটওয়ার্ক প্রেস টিভি জানিয়েছে, ইসফাহান শহরের কাছে অবস্থিত ওই পারমাণবিক স্থাপনায় বিস্ফোরণ বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো চিহ্ন’ নেই।

প্রেস টিভির এই প্রতিবেদনে পারমাণবিক স্থাপনাটি চিহ্নিত করা হয়নি, তবে ইরানের প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্রটি ইসফাহানের উত্তরে নাতাঞ্জ শহরে অবস্থিত। এই শহরটি আবার ইসফাহান প্রদেশের মধ্যে অবস্থিত।

এর আগে ইরানের আধা-সরকারি ফারস নিউজ এজেন্সি জানায়, শুক্রবার ভোরে ইরানের ইসফাহান শহরের উত্তর-পশ্চিমে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ফারস জানিয়েছে, শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। তবে বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি এই নিউজ এজেন্সি।

ইরানের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এই ইসফাহান প্রদেশে একটি বড় বিমান ঘাঁটি, বড় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কমপ্লেক্স এবং বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে।

এছাড়া ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা নিরাপদে’ রয়েছে বলে আগেই জানায় ইরানের আরেক রাষ্ট্রীয় টিভি ও সম্প্রচারকারী আইআরআইবি। নির্ভরযোগ্য সূত্র’কে উদ্ধৃত করে সংস্থাটি বলেছে, ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা সম্পূর্ণ নিরাপদ’।

অন্যদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির সংবাদদাতা বলেছেন, ইসফাহান শহরও নিরাপদ’ রয়েছে।

নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রটি এর আগেও অবশ্য নাশকতামূলক হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। ২০২১ সালে একই অবকাঠামোতে একটি নিয়ন্ত্রিত’ বিস্ফোরণের খবরও রিপোর্ট করা হয়েছিল।


আরও খবর