আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

স্বাভাবিক জীবনে কর্মঠ করা হচ্ছে কারাগারে বন্দীদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুর জেলায় ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক জেলকারাগারে কয়েদী ও হাজতি আসামীদের কারা কর্তৃপক্ষ ধর্মীয় শিক্ষাসহ বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা দিয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবনে কর্মঠ করে গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

দিনাজপুর জেল কারাগারের জেল সুপার নুরশেদ আহমেদ ভূঁইয়া সাথে আলোচনা করা হলে তিনি এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দিনাজপুর জেলা শহরে সেই পুরাতন জেল খানাটিকে আধুনিক যুগ-উপযোগী নতুন ভবনসহ নিরাপত্তা বেষ্টুনি নির্মাণে কারাগারটিকে অপরাধীদের সংশোধনাগার হিসেবে রুপান্তরিত করেছেন। এই কারাগারে দন্ডিত আসামীদের ধর্মীয় শিক্ষাসহ তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে কারিগারি শিক্ষায় বিভিন্ন হাতের কাজ শিখানো হচ্ছে। তারা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে যাতে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে সে বিষয়ে প্রতিদিন দন্ডিত শিশু, কিশোর ও যুবক দন্ডিত আসামীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আকৃষ্ট করা হচ্ছে। এভাবে যে সব কিশোর মাদক সেবনসহ মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়ে ভ্রাম্যমান আদালতে বা নিয়োমিত বিচার সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেল কারাগারে আসছে তাদেরকে কারা কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত সময় দিয়ে মাদক সেবন ও ব্যবসা থেকে বিরত করতে বিভিন্ন উদ্বুদ্ধ করণ কর্মসূচী মাধ্যমে নিয়োমিত কাজ করা হচ্ছে। ফলে অনেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন। এভাবে জেলখানার বাহিরে এই কাজগুলো পারাবারিকভাবে করা গেলে নতুন শিশু কিশোর ও যুবকেরা মাদক সেবন থেকে বিরত করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, আজ সোমবার পর্যন্ত এই কারাগারে ২ হাজার ৬৩৮ জন পুরুষ-মহিলা কয়েদী ও হাজতি বন্দী রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৪৩৯ জন ও মহিলা ২৯৯ জন। পুরুষ হাজতির মধ্যে ২ হাজার ১২১ জন হাজতি ও ৩১৮ জন কয়েদী রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে ১৭১ জন হাজতী ও ২৮ জন কয়েদী রয়েছে। সরকারের বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও ধর্মীয় উৎসবে কয়েদীদের সদাচারণের জন্য মুক্তি দেয়া হয়ে থাকে।

তিনি জানান, দিনাজপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে ঐতিহ্যবাহী লোক ভবনের বিপরীতে জেল রোডসংলগ্নে প্রায় ২৯ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এ কারাগারটি উত্তরবঙ্গের অন্যতম একটি বৃহৎ জেলা কারাগার হিসাবে ১৮৫৪ খ্রীষ্টাব্দে স্থাপিত হয়। তখন এটির ধারণ ক্ষমতা ছিল ৫৯০ জন বন্দির। ঐ সময় গড়ে প্রায় ১০০০ এর বেশী বন্দি এ কারাগারে অবস্থান করত। সম্প্রতি  দিনাজপুর জেলা কারাগার পুন:নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কারা কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জন্য ৫ তলা বিশিষ্ট ১০টি আবাসিক ভবন, ৩ তলা বিশিষ্ট জেল সুপারের বাসভবন এবং কারাভ্যন্তরে বন্দিদের জন্য ৬ তলা বিশিষ্ট ৬টি হাজতি ভবন, ৬ তলা বিশিষ্ট ৩টি কয়েদি ভবন, ১ তলা বিশিষ্ট ১টি ওয়ার্ক সেড, ১তলা বিশিষ্ট ১টি কিশোর বন্দী ভবন, মহিলা বন্দিদের জন্য সেফ কাস্টডি ২ তলা বিশিষ্ট ১টি ভবন, ১ তলা বিশিষ্ট ১টি ডিভিশন ভবন, ফাঁসির গ্যালোজ, ১ তলা বিশিষ্ট ২টি রান্নাঘর, ১ তলা বিশিষ্ট ১টি কেস টেবিল, প্রশাসনিক ভবনের উপরে জেলারের বাসভবনসহ ২তলা বিশিষ্ট রেষ্ট হাউজ, ১ তলা বিশিষ্ট রিজার্ভ গার্ড হাউজ, প্যারেড গ্রাউন্ড, গ্যারেজ, ২ তলা বিশিষ্ট মাল্টিপারপাস হল ও আধুনিক কনফারেন্স রুম এবং বিদ্যামান মসজিদের আধুনিকীকরণ ও পার্শ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি জানান, নব-নির্মিত কারাগারটি গত ২০১৬ সালে ২০ শে জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। কারাগারটি পুন:নির্মাণের ফলে বর্তমানে এটি একটি আধুনিক কারাগারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এর বর্তমান ধারণ ক্ষমতা ৩ হাজার ১৫৩ জন। অন্তরীন বন্দির সংখ্যা গড়ে ১০০০ থেকে ১ হাজার ২০০ জন। এক জন জেল সুপার এবং তার কাজে সহযোগীতা করার জন্য নির্বাহী অফিসার হিসাবে ১ জন জেলার, ২ জন ডেপুটি জেলার, ২ জন কারা সহকারী, ২ জন সর্বপ্রধান কারারক্ষী, ১১ জন প্রধান কারারক্ষী, ১৭৫ জন কারারক্ষী, ১০ জন মহিলা কারারক্ষী ও ১ জন গাড়ী চালক কর্মরত রয়েছেন।

অন্যদিকে এ কারাগারে বন্দিদের চিকিৎসার জন্য রয়েছে একটি ৭৫ শয্যা বিশিষ্ট কারা হাসপাতাল। চিকিৎসার জন্য ১ জন মেডিকেল অফিসার ও ১ জন ফার্মাসিস্ট নিয়োজিত রয়েছে। বন্দি চিকিৎসার বিষয়টি সার্বিকভাবে তদারকির জন্য কারাবিধি মতে সিভিল সার্জন দায়িত্ব পালন করে থাকেন। প্রতিষ্ঠানের মিশন ও ভিশন-রাখিব নিরাপদ দেখাব আলোর পথ।


আরও খবর



মাদারীপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩০

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মীর ইমরান, মাদারীপুর

Image

মাদারীপুরের রাজৈরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন যাত্রী।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজৈর উপজেলার আলমদস্তা বড় ব্রিজ এলাকার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি রাজৈর উপজেলার আলমদস্তা বড় ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা বরিশালগামী কাজী পরিবহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় বাসের কমপেক্ষ ৩০ জন যাত্রী আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস দুটির চালক আটকা পড়ে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বেশি কিছু যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। বাস দুটির চালক ভেতরে আটকা পড়েছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আমরা তাদের উদ্ধার করি।

নিউজ ট্যাগ: সড়ক দুর্ঘটনা

আরও খবর



পাথরঘাটায় ২৫ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় ২৫ কেজি হরিণের মাংসসহ ৪টি পা উদ্ধার করেছে পাথরঘাটা দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড। বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা সদর ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড চরলাঠিমারা এলাকা থেকে হরিণের পা ও মাংস উদ্ধার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোস্টগার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামে হরিণের মাংস পাচার হচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় অবস্থান নেয় কোস্টগার্ড সদস্যরা। তখন কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে মাংস ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা।

এসময় ৪টি হরিণের পা সহ ২৫ কেজি মাংস উদ্ধার করে। পরে হরিণের মাংস পাথরঘাটা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এসময় পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে সক্ষম হয়নি কোস্টগার্ড।


আরও খবর



৫ ড্রিংকস নিষিদ্ধ চেয়ে মামলা, মালিকদের তলব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিককে তলব করেছেন আদালত।ড্রিংকগুলো হলো- এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো।

আজ মঙ্গলবার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ এবং ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন।

এর আগে সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এ সময় নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই।

তিনি আরও বলেন, ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারেনা এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামীম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি, শোনেনি কোনো কোম্পানি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।


আরও খবর



ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি শিক্ষার্থীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আবু মুসা রিফাত নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ বলা হয়, আসামি তিথি সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। তিনি ১৬ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেন। যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।

আসামি তিথি সরকার বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের (জ.বি) শাখার দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কারণে তাকে সংগঠন থেকে বরখাস্ত করা হয়। একই অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত আদেশে তিথি সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।


আরও খবর



পুলিশের অভিযানে অপহৃত পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়ার শিলখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

তিনি জানান, পাহাড়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  (উখিয়া-টেকনাফ) সার্কেল মো রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযানের মুখে পল্লী চিকিৎসকসহ অপহৃত দুই জনকে রেখে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর হোয়াইক্যং সড়ক (ঢালা) দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পল্লী চিকিৎসকসহ ওই দুজনকে অপহরণ করেন দুর্বৃত্তরা।

অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন (৫১) উখিয়া পালংখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের ছেলে। টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর, নয়াপাড়ার মৃত মোঃ শফি মোহাম্মদ রফিক (৩২)।

অপহরণের শিকার জহির উদ্দিনের ছোট ভাই কমরুদ্দিন মুকুল জানান, তার ভাই শাপলাপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো চেম্বার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একজন যাত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কের ঢালার নামক স্থানে আসলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিএনজি (অটোরিকশা) চালক বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে মোবাইলে ফোন করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকেন অপহরণকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা বন্ধ ছিল। এর আগে গত ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক।


আরও খবর