আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

স্বজনদের ঠিকানা ভুল: বাড়ি যেতে পারছে না ৯ মানসিক রোগী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাবনা প্রতিনিধি:

চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েও বাড়ি যেতে পারছে না ৯ জন অনেক বছর ধরেই আছেন পাবনার মানসিক হাসপাতালে। এদের মধ্যে কেউ ৩১ বছর কেউ ২১ বছর কেউ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মানসিক হাসপাতালে আছে। ভুল ঠিকানায় ভর্তি করার পর এসব রোগীদের আর কোন খোঁজ রাখেনি পরিবার। তাই তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকায় হাসপাতালেই রয়ে গেছেন তারা । 

পাবনার মানসিক হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা. রতন কুমার রায় এমন তথ্যে নিশ্চিত করেছেন। এসব রোগীকে যখন ভর্তি করা হয়েছিল সে সময় জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল না। ফলে রোগীর  স্বজনদের দেয়া তথ্যের উপর ভরসা করেই রোগী ভর্তি করা হতো যার কারণে কিছু রোগীর স্বজন প্রতারণা করে ভুল ঠিকানা দিয়েছে হাসপাতালকে। যদিও এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে বর্তমানে রোগী এবং রোগীর স্বজনদের জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কোন ভর্তি নেওয়া হয় না। এদিকে সুস্থ হয়ে ওঠা ৯ জনের স্বজনরা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় হতাশায় ভুগছেন তারা। বর্তমানে আবারও মানসিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এদের বেশিরভাগই এখন বাড়ি ফিরতে চান। সুস্থ হয়েও হাসপাতালে অনেকটা বন্দি জীবন কাটাতে হচ্ছে এসব নারী ও পুরুষদের। কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাদের। এদের মধ্যে অনেকেই এখন বয়সের ভাড়ে নুয়ে পড়েছেন। শেষ জীবনে পরিবারের সদস্য ছাড়া একাকিত্ব জীবন তাদের কাছে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।

এদের একজন বদিউল আলম। মানসিক সমস্যার চিকিৎসার জন্য স্বজনরা ২০০৫ সালে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রথম দিকে পরিবারের লোকজন খোঁজ খবর রাখলেও পরে আর কোন খবর রাখেনি। দীর্ঘদিন ডাক্তারের নিয়মিত চিকিৎসায় এক সময় বদিউল আলম সুস্থ হয়ে ওঠেন। ভর্তির সময় তার বাড়ির ঠিকানা অনুযায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করলে সেই ঠিকানা অনুযায়ী বদিউল আলমের পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। ভর্তির সময় বদিউল আলম এর পরিবার থেকে ভুল ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল। ভর্তির সময় বদিউল আলমের বয়স ছিলো ৩০ বছর। এখন তার বয়স চলছে ৪৪ বছর। পাবনা মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে বদিউল আলম অনেক আগেই ছাড়পত্রের জন্য উপযুক্ত ঘোষিত হয়েছে। স্বজনরা কেউ না আসায় তিনি এখন হাসপাতালেই জীবনের শেষ সময় পার করছেন। হাসপাতালের রেজিষ্ট্রেশন বই অনুযায়ী ভর্তির সময় পিতার নাম দেয়া ছিল, মৃত আঃ ওয়াদুদ সিকদার, ভাইয়ের নাম মো. জিয়াউল আলম (উজ্জল)। ২৪৩ মধ্য বাসাব সবুজবাগ ঢাকা। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ৫নং ওর্য়াডে আছেন।

সাঈদ হোসেন ১৯৯৬ সালের ২২ জুলাই পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ভর্তির সময় তার বাবার নাম লেখা ছিল আবুল হাসেম মিয়া। মায়ের নাম লেখা ছিল হেলেনা বেগম। স্থানীয় ঠিকানা ছিল পাবনার দক্ষিণ রাঘবপুর এলাকা। ভর্তির সময় সাঈদের বয়স ছিল ৩৬ বছর। বর্তমান তার বয়স হয়েছে ৫৯ বছর। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে মেডিকেল বোর্ড তাকেও ছাড়পত্রের জন্য উপযুক্ত বলে সুপারিশ করেছে। কিন্তু পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই ঠিকানায় পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কেউ আর যোগাযোগ করেনি। ফলে তিনিও অনেকদিন যাবত হাসপাতালের ৯ নং ওর্য়াডের বাসিন্দা হয়ে আছেন।

জাকিয়া সুলতানা মাত্র ২১ বছর বয়সে ২০০৯ সালের ১৭ জুলাই মানসিক রোগী হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বাবার নাম দেয়া ছিল মৃত বজলুর রশিদ, মায়ের নাম শাহনাজ। ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল পাবনার রাধানগর এলাকার। জাকিয়া সুলতানার পরিবার প্রথম দিকে খোঁজ নিলেও পরে আর কোন খোঁজ খবর নেয়নি। সময়ের ব্যবধানে তার পরিবার খোঁজ নেওয়া বন্ধ করে দেয়। এখন ভালো হয়ে গেলেও পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারছেন না তিনি। বর্তমানে তার বয়স ৩১ বছর। বর্তমান হাসপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডে আছেন। একই পরিণতি সিপ্রা রাণী রায়, নাজমা নিলুফার, নাইমা চৌধুরী, গোলজার বিবি, শাহানারা আক্তার, অনামিকা (বুবি)। এদের মধ্যে সিপ্রা রাণী রায় ছাড়া বাকি সবাই পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে উঠেছেন। মেডিকেল বোর্ড তাদেরকে সুস্থ বলে ছাড় পত্রের জন্য সুপারিশ করেছে। শিপ্রা রাণী রায় এখনও সুস্থ হয়ে ওঠেনি। তার চিকিৎসা এখনও চলমান। এখন তারা কোথায় যাবে কোন ঠিকানা জানা নেই। চিকিৎসায় সেরে ওঠার পর যখন বুঝতে পারছে যে তাদের পরিবার তাদেরকে নিতে চাচ্ছে না তখন তাড়া হতাশ হয়ে পড়ছে। মানসিক রোগীর সাথেই জীবন কাটছে সেরে ওঠা এসব মানুষের। মানসিক কষ্ট বুকে চেপেই তারা চুপচাপ অন্যর স্বজনদের আসা যাওয়ার দৃশ্য দেখে। প্রতিনিয়তই তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের অপেক্ষায় থাকে। এই বন্দি পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে চায় তারা।

পাবনা মানসিক হাসপাতালের (ভারপ্রাপ্ত) পরিচালক ডা. রতন কুমার রায় আজকের দর্পণকে বলেন, আগে একসময় জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল না। ফলে রোগীর স্বজনদের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই রোগী ভর্তি করা হতো। পরবর্তীতে দেখা গেছে কিছু রোগীর ঠিকানায় ভুল তথ্যে দিয়েছে স্বজনরা। সুস্থ হয়ে ওঠা এসব রোগীদের ঠিকানা অনুযায়ী আমরা খোঁজ নিয়ে তাদের কোন আত্মীয় স্বজনকে পাইনি। ফলে তারা এখন হাসপাতালেই রয়েছে। পরিবার থেকে খোঁজ খবর নেয় না এমন রোগীদের বেশির ভাগই নারী। রোগীদের কেউ চিনতে পারলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার অনুরোধ জানান ডা. রতন কুমার রায়।


আরও খবর



বিয়ে করছেন শাকিব, পাত্রী ডাক্তার

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সিনেমায় অনিয়মিত হলেও অপু বিশ্বাস বুবলীর সঙ্গে নিয়মিত ঝগড়া করেন। তাদের ঝগড়ার মূল কারণ শাকিব খান। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন এই অভিনেতা।

নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, সেই পার্শ্ববর্তী জেলাটি হলো মুন্সিগঞ্জ। এখন অবধি ২-৩ পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এরমধ্যে মুন্সিগঞ্জের ডাক্তার মেয়েই এগিয়ে আছেন। ইতোমধ্যেই শাকিবের মত নিয়ে তার মা, বাবা, বোন, বোনজামাই মিলে পাত্রী দেখছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।

শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।

এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।

শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি।


আরও খবর



সবসময় আস্থা রাখায় ধোনিকে ধন্যবাদ জানালেন মোস্তাফিজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। যেখানে তার সতীর্থ ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণেই মাঝপথে আইপিএলকে বিদায় জানাতে হয়েছে এ টাইগার পেসারকে।

বিদায় বেলায় মুস্তাফিজকে নিজের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি জার্সি উপহার দেন ধোনি। যেখানে লেখা ছিল, ফিজের প্রতি ভালোবাসা। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাটার মাস্টার।

নিজের অফিশিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঁহাতি এই পেসার লিখেছেন, সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ মাহি (ধোনি) ভাই। আপনার মতো কিংবদন্তির সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে নেয়াটা ছিল বিশেষ এক অনুভূতি। সবসময় আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, আমি সেগুলো মনে রাখব। আপনার সঙ্গে শিগগিরই আবারও খেলতে এবং দেখা করতে মুখিয়ে আছি।

বিসিবির দেওয়া অনাপত্তিপত্র অনুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। এই আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি।

মুস্তাফিজের বিদায় নিয়ে আগেই মন খারাপের কথা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ও ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।


আরও খবর



হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

তরুণদের আস্থা আর বয়োজ্যেষ্ঠদের নির্ভরতার প্রতীক সাদ্দাম হোসেন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে হাটবাজারে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে তরুণ প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। 

হরিরামপুর উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে তরুণ থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সবারই আলোচনার বিষয়ে এখন মো. সাদ্দাম হোসেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিপদে-আপদে যখন কোন প্রয়োজন হয়েছে ঘরের ছেলের মতে এগিয়ে এসেছে সাদ্দাম হোসেন। 

বয়োজ্যেষ্ঠ বাদল মন্ডল জানান, যখনই কোন প্রয়োজনে সাদ্দাম হোসেনের কাছে গিয়েছি সে তার সাধ্যমত উপকার করার চেষ্টা করছে। আমাদের মত বয়স্ক মানুষ যারাই সাদ্দামের কাছে গেছে তারাই ভালো ব্যবহার পেয়েছে। এই নির্বাচনে জয়-টা তার প্রাপ্য, আমি চাই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাদ্দাম যেন এই এলাকার সেবা করতে পারে।

চায়ের দোকানে বসে কথা হয় আসিকুজ্জামান নামে একজনের সাথে। আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা খেলাধুলা করতে পছন্দ করি, একারণে একবার সাদ্দাম ভাইয়ের কাছে ক্রীড়া সামগ্রী চেয়েছিলাম, তিনি আমাদের যা দিয়েছিলেন তা ছিল চাহিদারও বেশি। আমার মত তরুণরা চায় সাদ্দাম ভাই উপজেলা পরিষদে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করুক। তরুণ সমাজ জোট বেঁধেছে তারা সাদ্দাম ভাইকেই ভোট দিবে।

কলেজ পড়ুয়া সাথী আক্তার জানান, সাদ্দাম ভাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক, দীর্ঘদিন ধরে বিপধগামী জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। এবার প্রথমবারের মত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিব, আর সেটা হবে সাদ্দাম ভাইয়ের জন্য।


নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, আমি খুব ছোটবেলা থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। স্কুল কলেজের মাঠ চুকিয়ে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ভর্তি হই, তখন থেকেই সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেন, সেখানে আমি কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পাই। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পাই।

তিনি বলেন, আসলে রাজনীতি মানেই হলো মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে পথ চলতে হবে। আমি নিজে ভাল থাকব আর আমার পাশের মানুষেরা কষ্টে থাকবে, আমি আসলে সেই ধারায় বিশ্বাসী না। মানুষের সেবা করার সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম হলো রাজনীতি। আর রাজনীতির পরিপূর্ণতাই হলো জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করা। সেই লক্ষেই আমার এই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করা। আমি আশা করি, আপামর সাধারণ জনগণ ও তরুণ সমাজ আমার পাশে থাকবে এবং আমাকে জনগণ তাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।


প্রসঙ্গত, এ উপজেলার ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও ১৭ এপ্রিল যাচাই বাছাইয়ে বৈধতা পান ৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে এবারের নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থীদের তালিকার মধ্যে নির্বাচনী মাঠে প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে প্রার্থীতা বৈধতা পেয়েই পুরোদমে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন সাদ্দাম হোসেন। তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে গণসংযোগ শুরু করেছেন।

এছাড়াও বৈধতা পাওয়া অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হাসান রাজিব, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সামছুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আজিম খাঁন, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তামজিদ উল্লা প্রধান লিল্টু, বিএনপি পন্থি একমাত্র প্রার্থী উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ও বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার ও নির্দলীয় প্রার্থী রাকিব হাসান। মনোনয়ন বাতিল হওয়া একমাত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিম মোল্লা আপিল করেছেন বলেও জানা যায়।


আরও খবর



নববর্ষ ঘিরে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে আয়োজিত উৎসবে নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রাজধানীতে যাতায়াত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক নির্দেশনাও দিয়েছে ডিএমপি। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগের মিডিয়া শাখা থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রবিবার ভোর ৫টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রমনা বটমূল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কিছু রাস্তা বন্ধ বা রোড ডাইভারশন করে দেওয়া হবে।

সম্ভাব্য ডাইভারশন পয়েন্টগুলো হলো:

বাংলামোটর ক্রসিং, মিন্টোরোড ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, কদমফোয়ারা ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ক্রসিং, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ভাস্কর্য ক্রসিং, নীলক্ষেত ক্রসিং এবং কাঁটাবন ক্রসিং।

যানবাহন চলাচলের বিকল্প রাস্তা:

মিরপুর-ফার্মগেট থেকে শাহবাগ অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন বাংলামোটর-মগবাজার ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। বঙ্গবাজার-হাইকোর্ট থেকে মৎস্য ভবন অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন কদম ফোয়ারা-ইউবিএল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। জিরো পয়েন্ট-কদম ফোয়ারা থেকে মৎস্য ভবন অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন ইউবিএল-নাইটিংগেল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। শান্তিনগর-রাজমনি থেকে গুলিস্থান ও সদরঘাট অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন নাইটিংগেল-ইউবিএল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে।

নববর্ষের দিনে উপযুক্ত এলাকা অথবা রোডগুলো পরিহার করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য নগরবাসীকে ডিএমপির পক্ষ থকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



তাপমাত্রার মতোই বেড়েছে সবজি ও মাছ-মাংসের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। যার প্রভাব পড়ছে নিত্যপণ্যের বাজারেও। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দাম বেড়েছে মাছ-মাংস, সবজিসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, হাতিরপুল কাঁচা বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বিক্রেতারা জানান, তীব্র গরমে দাম বেড়েছে প্রায় সব পণ্যেরই। পাশাপাশি বাজারে কমেছে ক্রেতা উপস্থিতি।

বাজারে প্রতিকেজি শসা ৪০ টাকা, মরিচ ৬০ টাকা কেজি, টমেটো কেজি ৪০ টাকা, পটল ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বরবটি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও পেঁপে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম চড়েছে আলু ও বেগুনের। প্রতি কেজি আলু ৫৫ টাকা ও বেগুন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, তীব্র গরমে ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে সবজি। পাশাপাশি সেচ বাবদ বেড়েছে খরচ। যার প্রভাবে গ্রাম পর্যায়ে সবজির দাম বাড়ায়, রাজধানীর বাজারগুলোতেও বেড়েছে দাম।

আর ক্রেতারা বলছেন, বাজার আগে থেকেই চড়া। তার ওপর তীব্র গরমের সুযোগ লুফে নিয়ে আরও দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

তীব্র গরমে যখন গরম সবজির বাজার, ঠিক তখন উত্তাপ ঝরছে মাংসের বাজারেও। কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত সোনালি মুরগি ৩৮০-৩৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিকেজি ব্রয়লার ২২০-২৩০ টাকা, লাল লেয়ার ৩০০-৩২০ টাকা, ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়।

ব্যবসায়ীদের দাবি, গরমে খামারে প্রচুর মুরগি মারা যাচ্ছে। এতে লোকসান থেকে বাঁচতে খামার পর্যায়ে বেড়েছে দাম। ফলে প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও।

অন্যদিকে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

গরমেরও উত্তাপ ছড়িয়েছে মাছের বাজারেও। চড়া বেশিরভাগ চাষের ও দেশি মাছের দাম। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে।

এ ছাড়া বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আর কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ১৬০-১৭০ টাকায় ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২০০ থেকে ২২০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

নিত্যপণ্যের অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।

আর বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।


আরও খবর