আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

তাসকিনের তোপের পর বৃষ্টিতে বন্ধ খেলা

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। ৭ ওভার ২ বলে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান তোলার পরই শুরু হয় বৃষ্টি। খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়ার।

দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেওয়া বাংলাদেশকে প্রথমেই সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ উঠিয়ে দেন আফগান ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরে করা শর্ট লেংথের ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে টাইমিং মিস করেন তিনি। বল আকাশে উঠে গেলে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন তাসকিন। এর মাধ্যমে টি-টোয়েন্টিতে নিজের ৫০ উইকেট পূরণ করেন এই পেসার।

নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও তাসকিনের আঘাত। দলীয় তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে এবার তিনি ফেরান হজরতউল্লাহ জাজাইকে। স্লিপ দিয়ে বল সীমানাছাড়া করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জাজাই।

১৬ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারানো দলকে বিপর্যয় থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন ইব্রাহিম জাদরান এবং মোহাম্মদ নবী। বৃষ্টি নামার আগ পর্যন্ত আফগানিস্তানের রান ২ উইকেট হারিয়ে ৩৯। সমান ১১ রানে অপরাজিত আছেন এই দুই ব্যাটার।

এই ম্যাচে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। খেলছেন না রনি তালুকদার এবং শরীফুল ইসলাম। ফিরেছেন আফিফ হোসেন এবং হাসান মাহমুদ।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে সহজ জয় আসলেও ওয়ানডে সিরিজ হারতে হয় ২-১ ব্যবধানে। তবে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে জয় দিয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। গত শুক্রবার আফগানদের ১৫৪/৭ রানে আটকে ফেলার পর তাওহীদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারীদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে অনায়াস জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ার কথা ছিল স্বাগতিকদের। তবে শেষ ওভারে করিম জান্নাত হ্যাটট্রিক করলে ম্যাচ কিছুটা কঠিন হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত নাটকীয় ম্যাচে ১ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে জয় তুলে নেন তারা।

বাংলাদেশ সবশেষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে। এর আগে ইংল্যান্ডকে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে। এবার আফগানদের সবকটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই হারানোর আশা টাইগারদের। আজকের ম্যাচটি জিতলে প্রথমবার আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবেন সাকিবরা। হারলে গত বছরের মতো ১-১ ড্রয়ে তুষ্ট থাকতে হবে তাদের।


আরও খবর



পাঁচ বছরে তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদ বেড়েছে ১৫৯ গুণ, স্ত্রীর ৪৮গুণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের ৫ বছর ব্যবধানে স্থাবর, অস্থাবর, ব্যাংক আমানতসহ বিভিন্ন সম্পত্তি বেড়েছে ১৫৯ গুন। এছাড়া তার স্ত্রী সুমি আক্তার এইবার প্রার্থী হয়েছেন।

সেখানে স্ত্রীর ব্যাংকে জমা ব্যবসাসহ সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৪৮ গুণ। রেজবি উল কবির উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হলফনামা জমা দিয়েছেন। জমা দেওয়া সেই হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান রেজবি উল কবিরের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর ও পেশা ব্যবসায়ী দেখানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২টি মামলা থাকলেও সেগুলো নিস্পত্তি হয়েছে। গত ৫ বছরে তার নিজের নির্ভরশীল উৎস থেকে আয়, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, ব্যবসায় পুঁজি বেড়েছে। তবে ব্যাংক ঋণ কমেছে। পাঁচ বছর আগে তাঁর ব্যবসায় বাৎসরিক আয় ছিল ৫ লাখ ২৮ হাজার ৮৯ টাকা। বর্তমানে ৯৭ গুণের বেশি বেড়ে হয়েছে ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৮ টাকা। গত ৫ বছর আগে অস্থাবর সম্পদ ছিলো ৫৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।

বর্তমানে ব্যাংকের পরিশোধিত ঋণসহ অস্থাবর সম্পত্তির পরিমান দাড়িয়েছে ৬ কোটি ৮ লাখ ২৫ হাজার ৫৪২ টাকা। যা আগের থেকে ১০০ গুন বেড়েছে। স্থাবর সম্পত্তি গত ৫ বছর আগে ছিলো ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। যা বর্তমানে ২৮০ গুণ বেড়ে দাড়িয়েছে ৪ কোটি ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৪০৮ টাকা।

বর্তমানে তিনটি ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৬ টাকা। ঋণের চাপ কমেছে ৪৩ শতাংশ। বার্ষিক আয়, স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে গড়ে তার সম্পাদ বেড়েছে ১৫৯ গুণ। গত ২০১৯ সালের হলফনামায় ২ কোটি ৮৩ লাখ ৬৭ হাজার ৯৬৫ টাকা ঋণ ছিলো। গত ৫ বছর আগে তার মেসার্স পায়রা ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করলেও এই বার সাথে যুক্ত করেছেন মেসার্স ফাতেমা রাইস মিল ও মেসার্স পায়রা স্বমিল এন্ড টিম্বার। তবে নগদ টাকা,নিজের নামের বাড়ি ও গাড়ি নেই।

গত ৫ বছর আগে যে সব খাত থেকে কোনো আয় ছিলোই না। শূণ্য থেকে সেই সব খাতে বর্তমানে ব্যবসায় পুঁজি ২ কোটি ৮২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪২ টাকা দেখানো হয়েছে। কৃষি খাতে বছরে আয় ১ লাখ ১৫ হাজার ২শ টাকা। শেয়ার ও ব্যাংক আমানত ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৬৫ টাকা। পেশা থেকে আয় হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ব্যাংক সুদ থেকে বাৎসরিক আয় ৮১ হাজার ৫০৩ টাকা।

এদিকে স্ত্রী সুমি আক্তার চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন,তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই ও স্ব-শিক্ষিত উল্লেখ করেন। একই সাথে তিনি ব্যবসায়ী। রৈশি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায় বার্ষিক আয় ৬ লাখ টাকা, নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ২৭ লাখ টাকা, ব্যবসায় পুঁজি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা,কৃষি জমি ২.৫০ একর যার মূল্য ২০ লাখ টাকা,অন্যান্য পরিসম্পদ ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা উল্লেখ করেন হলফনামায়। ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় রেজবি উল কবির জোমাদ্দার তার স্ত্রীর নামে শুধু মাত্র নগদ ২ লাখ টাকা উল্লেখ করেন। স্ত্রীর গত ৫ বছর আগে কোনো আয় না থাকলেও গড়ে সব সম্পত্তি মিলিয়ে বেড়েছে ৪৮ গুন।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন,আমার বাবা ও মা মৃত্যুর পরে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পদের কারণে সম্পত্তি বেড়েছে। এছাড়া বৈধভাবে ব্যবসা করে এ সম্পদের মালিক হয়েছি। আমার হলফনামায় সব কিছু উল্লেখ করা আছে।


আরও খবর



সমুদ্রে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা, তীরে ফিরেছেন জেলেরা

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সমুদ্রে মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাছ শিকারের ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই গভীর সমুদ্রে সকল ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। ইতোমধ্যে নোয়াখালীর হাতিয়ায় তীরে ফিরেছেন জেলেরা।

হাতিয়ার সূর্যমূখী ঘাটের মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, হাতিয়ার ৪০টি ঘাটের প্রায় ৫ শতাধিক বড় বড় ফিশিং ট্রলার গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করে। নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব ট্রলার রাতেই ঘাটে ফিরে এসেছে। ইতোমধ্যে ট্রলার শনিবার ও রোববার ঘাটে ফিরে এসেছে। এ বছর ইলিশ মৌসুমের প্রথমে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলেরা। ৬৫ দিন সবাইকে তীরে থাকতে হবে। অনেকে বেকার সময় পার করবেন।’

সূর্যমূখী ঘাটের কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, রাত ১২টার পর থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। তাই আর সাগরে যাবেন না। আগামী কয়েক দিন জাল বোনার শ্রমিক হিসাবে ঘাটে থেকে উপার্জন করতে হবে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর তারা আবার সাগরে যাবেন।

জেলেরা আক্ষেপ করে জানান, ইলিশ মৌসুমে ৬৫ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা তাদের জন্য আর্থিক বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে।

এ বিষয়ে হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন বলেন, হাতিয়াতে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করার মতো ট্রলার রয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক। এসব ট্রলারে ২০ জন করে হলেও ১০ হাজার জেলে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন। এতে ১০ হাজার জেলে সবাই বেকার হয়ে পড়েছেন। তাদের পরিবার নিয়ে চলা অনেকটা কঠিন হবে। আবার এসব জেলের অনেকের নিবন্ধন না থাকায় সরকারি সুবিধাও পাবেন না।’

যদিও জেলেদের আগেই সতর্ক করা হয়েছে দাবি করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান বলেন, হাতিয়ার অনেক ট্রলার গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করে। এই ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ থাকবে যা আগেই জেলেদের অবহিত করা হয়েছে। গত কয়েক দিন ঘাটে গিয়ে জেলে ও ট্রলার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, হাতিয়ায় প্রায় ১ লাখ ব্যক্তি জেলে পেশার সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে নিবন্ধিত জেলে সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার।


আরও খবর



সাবেক ভূমিমন্ত্রীর দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন এক আইনজীবী।

বুধবার (১ মে) এমন একটি চিঠি গণমাধ্যম এর হাতে আসে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, যাচাই বাছাইয়ের পর দুদক সিদ্ধান্ত নেবে।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান এই আবেদনটি করেন। চিঠিতে তিনি বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সমকাল পত্রিকায় সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে শিরোনামে এবং মানবজমিন পত্রিকায় ব্রিটেনে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদের ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সাম্রাজ্য" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ব্লুমবার্গের অনুসন্ধান প্রতিবেদন থেকে এ দুটি সংবাদ প্রকাশিত হবার পরেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এর ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশনের উপর সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ণ করে।

এ কারণে চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দুদককে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন এই আইনজীবী।


আরও খবর



মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে ৬ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ মার্চ মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। এর আগের মাস অর্থাৎ, ফেব্রুয়ারিতে এ তালিকায় দেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম। একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও এক ধাপ পিছিয়ে ১০৭তম থেকে ১০৮-এ নেমে গেছে বাংলাদেশ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের গতি কেমন, তা তুলে ধরে প্রতি মাসে স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওকলা। প্রতিষ্ঠানটির সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ওকলার তথ্যানুযায়ী মার্চ মাসে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে গড় ডাউনলোড স্পিড ছিল ২৪ দশমিক ৫৯ এমবিপিএস। আর আপলোড স্পিড ছিল ১১ দশমিক ৫৩ এমবিপিএস। এ সময়ে দেশে মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল ২৫ মিলি সেকেন্ড।

মোবাইল ইন্টারনেটের মানের সূচকে গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে অবনতি হয়েছে চলতি বছরের মার্চে। এ মাসে অবস্থান ঠেকেছে ১১২-তে। এর আগে গত বছরের অর্থাৎ, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ১১১তম অবস্থানে নেমে যায় বাংলাদেশ। এর পরের মাসেই অবস্থান উন্নতি হয়। ৬ ধাপ এগিয়ে নভেম্বর ১০৫তম স্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ।

ডিসেম্বরে আরও ৪ ধাপ এগিয়ে ১০১তম অবস্থানে উঠে এলেও চলতি বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ, জানুয়ারিতে ফের ১০৮তম অবস্থানে নেমে যায়। এরপর ফেব্রুয়ারিতে ১০৬তম অবস্থানে উঠে আবারও মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে পেছনের দিকে হাঁটছে বাংলাদেশ।

একই সময়ে ব্রডব্যান্ড সেগমেন্টে মেডিয়ান ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৪ দশমিক ২৫ এমবিপিএস। আপলোড গতি ছিল ৪৩ দশমিক ৬১ এমবিপিএস। আর মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল ৫ মিলিসেকেন্ড।

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে যেমন উত্থান-পতন হয়েছে, সেই তুলনায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির র‌্যাংকিংয়ে কিছুটা স্থিতিশীল বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ১০৮তম, নভেম্বর ১০৭তম, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ১০৮তম, ফেব্রুয়ারিতে ১০৭তম অবস্থান ছিল বাংলাদেশের।

আশপাশের দেশগুলোর অবস্থান কেমন?

ওকলার ইনডেক্স অনুযায়ী প্রতিবেশী দেশ ভারত মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে। বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে দেশটির অবস্থান ১৬তম। ডাউনলোড স্পিড ১০৫ দশমিক ৮৫। আর আপলোড স্পিড ৯ দশমিক শূন্য ৮।

পাকিস্তান অবশ্য মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ পিছিয়ে। দেশটির অবস্থান ১২৭তম। আর গড় ডাউনলোড স্পিড ১৮ দশমিক ১৮ এমবিপিএস। আপলোড স্পিড ৮ দশমিক ৭২ এমবিপিএস।

ইনডেক্সে ভালো অবস্থানে রয়েছে সার্কভুক্ত দেশ মালদ্বীপ। মোবাইল ইন্টারনেটের বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে দেশটির অবস্থান ৩২তম। মালদ্বীপে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতি ৮৫ দশমিক ৯৪ এমবিপিএস। আপলোড স্পিড ২০ দশমিক ৪৭ এমবিপিএস।

মোবাইল ইন্টারনেটের গতির সূচকে অবনতি নিয়ে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ নিয়ে তারা হুট করেই মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অন্যদিকে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিয়ে কিছু কাজ করলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি আরও বাড়িয়ে র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক।

তিনি বলেন, গতি বাড়ানো বলেন আর র‌্যাংকিংয়ে উন্নতির কথা বলেন, এটা এগিয়ে নিতে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিয়ে কিছু কাজ করতে হবে। শহরভিত্তিক ব্যান্ডউইথগুলো থেকে কিন্তু আমরা গ্রাহকের চাহিদামতো এমবিপিএস গতি দিতে পারছি। কেউ যদি ১০ এমবিপিএসের জায়গায় ২০ এমবিপিএসও চান, তবুও দেওয়া সম্ভব। সামান্য দাম বাড়িয়ে এটা দেওয়া সম্ভব হয়। এটা ঢাকার বাইরের গ্রাহকদের দিতে গেলে খরচটা বেড়ে যায়। সেটা নিয়ে এখন কাজ করা উচিত।

ঢাকাকেন্দ্রিক ক্যাশ সার্ভিস সেন্টার থাকাটাও গতি বাড়ানোর পথে বাধা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, আমাদের ক্যাশ সার্ভিসটা ঢাকাকেন্দ্রিক। বিটিআরসির নিরাপত্তা পলিসির কারণে এটা বিকেন্দ্রীকরণ করা সম্ভব হয়নি। ক্যাশ সার্ভিসটা ঢাকার বাইরেও বড় শহরগুলোতে বসানো গেলে এবং সব আইএসপির কাছে এটা রাখা গেলে গতি আরও বাড়ানো যেতো। তারপরও আমরা সাধ্যের মধ্যে গ্রাহককে ভালো গতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়া চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক মো. গোলাম রাজ্জাক বলেন, ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। সরকারের দায়িত্বশীলদের নির্দেশনায় কাজ করছি। ওকলার ইনডেক্স আমরা দেখে থাকি। সেখানে অনেক বিষয় বা ইনডিকেটর থাকে। সম্প্রতি ইনডেক্স খেয়াল করা হয়নি। সেটা দেখার আগে আমরা কতটা এগিয়েছে বা পিছিয়েছে, তা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহে স্বস্তির খবর জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এপ্রিলের টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, যা অব্যাহত থাকবে আজও। তবে এর মাঝে স্বস্তির খবর জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (১ মে) সকালে ব্রিফিংয়ে আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, আগামীকাল দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে কমতে পারে তাপমাত্রা।

তিনি আরও বলেন, আগামীকাল দেশের উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে হতে পারে বৃষ্টিপাত। আর পরবর্তী ৫ থেকে ৬ দিন দমকা হাওয়া, ঝড়ো বাতাস ও বজ্র ঝড়সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আবারো আসতে পারে তাপপ্রবাহ।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। ফলে যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলা সমূহের উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এ সময় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪