আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

টেক জায়ান্টদের বড় সমস্যা মালিকানায় একক আধিপত্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

১৯৯৭ সালে অংশীদারদের কাছে পাঠানো প্রথম চিঠিতে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস লিখেছিলেন, এটি এখনো তার প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রথম দিন। পরে তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন, দ্বিতীয় দিনের অর্থ হবে স্থবিরতা, তারপরে অপ্রাসঙ্গিকতা। আত্মতুষ্টি এড়াতে বেজোসের সেই উচ্ছ্বসিত আহ্বান আজ যথার্থ বলেই মনে হয়। সিলিকন ভ্যালির পাঁচ টেক জায়ান্ট অ্যালফাবেট, অ্যামাজন, অ্যাপল, মেটা এবং মাইক্রোসফট। অনেকদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজার ও অর্থনীতির মূল ভিত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা। আশ্চর্যজনকভাবে নির্ভরযোগ্য প্রবৃদ্ধি ও মুনাফার সমন্বয় ঘটিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু একটি ঝঞ্ঝাটপূর্ণ তৃতীয় প্রান্তিকের পরে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সম্মিলিতভাবে তাদের বাজার মূলধন ৩৭ শতাংশ কমে গেছে। সংখ্যায় হিসাব করলে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় ৩ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার উধাও হয়েছে।

জ অব লার্জ নাম্বার বা বৃহৎ সংখ্যার আইন বলছে, টেক জায়ান্টরা পরিপক্ব হবে, তা অবধারিত। গত প্রান্তিকে তাদের বিক্রয় বৃদ্ধির হার কমে নয় শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে সামান্য বেশি। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠান একটি অর্থনৈতিক চক্রে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। স্মার্টফোন, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ও স্ট্রিমিং দুনিয়ায় অনুপ্রবেশের হার বেড়েছে। অর্থাৎ, মূল ব্যবসায় ধীরগতির পাশাপাশি টেক জায়ান্টরা একে অপরের ব্যবসায় অনুপ্রবেশ করছে এবং প্রতিযোগিতা বাড়াচ্ছে। বলা যায়, তারা কংলোমেরাইটিস-এর হুমকির সম্মুখীন। এই রোগের উপসর্গ হলো স্ফীতি ও ইগোম্যানিয়া (মাত্রাতিরিক্ত অহমিকা)। টেক জায়ান্টদের নিয়োগ, পরীক্ষামূলক উদ্যোগ, অন্তঃসারশূন্য প্রকল্প এবং ডেটা সেন্টার তৈরিতে ব্যয়ের সাম্প্রতিক প্রবণতা বিবেচনা করুন। গত মার্চ মাসে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত বার্ষিক ব্যয় প্রথমবারের মতো এক ট্রিলিয়ন ডলার এবং কথিত হালকা ব্যবসার বস্তুগত কারখানাগুলোর মূল্য ৬০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা পাঁচ বছর আগের তুলনায় তিনগুণ বেশি। বর্ধিত খরচের ফলে মূলধনের ওপর রিটার্ন পাঁচ বছর আগের ৬০ শতাংশ থেকে কমে মাত্র ২৬ হয়েছে।

সফল প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য মনোযোগ হারানো বা খরচ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার নজির খুব কমই দেখা যায়। ১৯৮০র দশকে আরজেআর নাবিস্কোর নির্বাহীরা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে জেট প্লেন ও গলফে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। টানাটানিতে পড়েছিল জেনারেল ইলেকট্রিকও। ২০০৮-০৯ সালের অর্থনৈতিক মন্দার সময় সরকারি সহায়তা নিতে হয়েছিল তাদের। এ ধরনের বিশৃঙ্খলা আটকানোর সর্বোত্তম উপায় হলো পর্ষদ ও বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা। যখন সফল পরিচালকরা বিশ্বাস করতে শুরু করেন, তারা সবার চেয়ে ভালো বোঝেন, তখন তাদের লাগাম টেনে ধরা পর্ষদের কাজ। কিন্তু এখানে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি ঝামেলা রয়েছে। প্রায়ই সেগুলো প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও প্রতিষ্ঠাতাদের কাছে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ক্ষমতা অর্পণ করে থাকে। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিশেষ ভোটাধিকার ভোগ করেন, যা তাদের প্রায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেয়। এ ধরনের কর্মকর্তারা প্রায়ই স্বপ্নদর্শী হিসেবে একটি ইমেজ তৈরির চেষ্টা করেন, যা বহিরাগত বিনিয়োগকারীদের ভীত করে তোলে।

এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটায়। এই টেক জায়ান্টের মূল্যমান এ বছর ৭৪ শতাংশ কমে গেছে। তাদের মূল ব্যবসা টালমাটাল। এতে অনেক বেশি তিক্ততা ছড়িয়ে পড়েছে, খুব কম তরুণ গ্রাহক ও বিজ্ঞাপন আকর্ষণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। এটি এরই মধ্যে স্পষ্ট যে, মেটার প্রধান মার্ক জাকারবার্গ প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ হিসেবে মেটাভার্সের ওপর বাজি ধরেছেন। ব্যবসায় সোশ্যাল মিডিয়া-নির্ভরতা থেকে বৈচিত্র্য আনার এই প্রচেষ্টায় অ্যাপল প্রথম আইফোন তৈরি করতে যা খরচ করেছিল, তার চেয়ে ২০ গুণ বেশি ব্যয়ের পরিকল্পনা করছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা। আর এসবই সম্ভব হচ্ছে জুকারবার্গের দ্বৈত শেয়ারের কারণে। এটি তাকে ৫৪ শতাংশ ভোটাধিকার দেওয়ায় বাইরের বিনিয়োগকারীদের অনুরোধ উপেক্ষা করতে সক্ষম হয়েছেন মেটা প্রধান।

গুগলের মালিক অ্যালফাবেট এ বছর ভালো পারফরম্যান্স করলেও তা পুরোপুরি সন্তোষজনক নয়। এর প্রতিষ্ঠাতারা ৫১ শতাংশ ভোটাধিকার ধরে রেখেছেন, যা তাদের অন্য অংশীদারদের ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করার অনুমতি দেয়। এর মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে অ্যামাজন। এখনো এর নির্বাহী চেয়ারম্যান থাকা জেফ বেজোসের কাছে ভোটাধিকার রয়েছে ১৫ শতাংশেরও কম। তাই তাকে বিনিয়োগকারীদের কাছে কিছুটা হলেও প্রতিক্রিয়াশীল হতে হয়। এই প্রবণতার সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে অ্যাপল ও মাইক্রোসফট। উভয় প্রতিষ্ঠানই বেশ পুরোনো এবং নিয়ন্ত্রণকারী অংশগুলোতে আর কোনো প্রতিষ্ঠাতা নেই। জায়ান্ট দুটি এক শেয়ার এক ভোট নীতিতে পরিচালিত হয়। উভয়ই বাইরের বিনিয়োগকারীদের কথা শোনে। এ বছর পাঁচ জায়ান্টের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পারফর্ম করেছে এ দুটি প্রতিষ্ঠান। আপনি যখন শিল্পে প্রভাব বিস্তার করছেন এবং শত শত কোটি ডলারের সম্পদ তৈরি করেছেন, তখন আর্থিক সীমাবদ্ধতা ও বাইরের সমালোচনা মেনে নেওয়া কঠিন। তা সত্ত্বেও বড় প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের আরও নম্রতা ও আরও ভালো পারফরম্যান্স দেখানো প্রয়োজন। অন্যথায় তৃতীয় দিনে তাদের ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বড় দ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে।


আরও খবর



বৃষ্টিতে বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ভারতের নারীদের দেখেশুনে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ম্যাচের মাঝখানে হঠাৎ হানা দেয় বৃষ্টি। বৃষ্টিতে বন্ধ রয়েছে ম্যাচটি। বন্ধ হওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান।

ব্যাট হাতে বাংলাদেশের হয়ে অপরাজিত আছেন মুর্শিদা খাতুন। ২৮ বলে ২৫ রান করেছেন এই ওপেনার। তার সঙ্গে আছেন সদ্য ক্রিজে নামা রিতু মনি। দুই বল খেললেও এখনও রানের খাতা খোলেননি রিতু।

ওপেনিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ১৪ রানে দিলারা আক্তারের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৬ বলে ১০ রান করে দীপ্তি শর্মার বলে রেনুকা সিংয়ের ক্যাচে পরিণত হন দিলারা। আগের ম্যাচে একাই বাংলাদেশকে টেনে নেওয়া জ্যোতি এদিন ব্যর্থ হন ভালো ইনিংস খেলতে। ১১ বলে ছয় রান করে রাধা যাদবের বলে লেগবিফোর হন তিনি।

টসের পর অধিনায়ক জ্যোতি বলেছিলেন, প্রথম ম্যাচে আমাদের বোলাররা ভালো করেছেন। ব্যাটিংটা ঠিকঠাক হয়নি। আজ আশা করি ব্যাটাররা নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে ঠিকঠাক। সবাই সবার জায়গা থেকে ইফোর্ট দিলে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা থাকে।


আরও খবর



‘কোক স্টুডিও বাংলা’ তৃতীয় সিজনের প্রথম গান ‘তাঁতি’

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

তাঁতী শিরোনামের গানের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করল কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজন। প্রথম গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব, গঞ্জের আলী ও ওলি বয়। চমক হিসেবে পাওয়া গেল দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানকে।

ব্যাকগ্রাউন্ড শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। গানের ভিডিওতে মাইক্রোফোন হাতে পর্দায় এসেছেন জয়া। শতরূপা ঠাকুরতা রায়, গঞ্জের আলী ও লুইস অ্যান্থনির লেখা এই গান প্রযোজনা করেছেন তৃতীয় সিজনের মিউজিক কিউরেটর শায়ান চৌধুরী অর্ণব।

তৃতীয় সিজনের প্রথম গান নিয়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোক স্টুডিও জানিয়েছে, তাঁতী একজন শিল্পী, কাপড়ের বুননে যিনি ফুটিয়ে তোলেন আমাদের সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ইতিহাস। কাপড় বোনার সময় একধরনের ছন্দ তৈরি হয়। তাঁতের শব্দের সঙ্গে প্রতিটি সুতা যেন হয়ে ওঠে গানের এক একটি চরণ। আর প্রতিটি চরণ এই ঐতিহ্যকে বহন করে নিয়ে চলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।

এই শব্দ, এ বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে কোক স্টুডিও বাংলার নতুন গানটিতে। তাঁতি গঞ্জের আলীর সঙ্গে অর্ণবের সুর মিলে গানটি এই শৈল্পিকতাকে প্রকাশ করেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ওলি বয়ের অ্যাফ্রোবিটের ফিউশন। বাংলাদেশে বসবাসকারী নাইজেরিয়ান এই শিল্পীর পরিবেশনা গানটিতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।

তৃতীয় সিজনে থাকবে বিভিন্ন ধারার শিল্পীদের পরিবেশিত নানা ধরনের মোট ১১টি গান। প্রথম দুই সিজনের মতোই এই সিজনেও মিউজিক কিউরেটর হিসেবে আছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব। সংগীত প্রযোজক হিসেবে তাঁর সঙ্গে আরও থাকবেন প্রীতম হাসান, ইমন চৌধুরী, শুভেন্দু দাশ শুভ এবং অন্যরা।


আরও খবর



রাশিয়ায় সেতু থেকে নদীতে বাস পড়ে নিহত ৭

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে সেতু থেকে যাত্রীবাহী একটি বাস নদীতে পড়ে অন্তত সতজন নিহত হয়েছেন। এতে আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১০ মে) জরুরি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

রুশ তদন্তকারী কমিটি জানিয়েছে, বাস দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে ছয় জন। ওই বাসে ২০ জনের মতো যাত্রী ছিল।

সেতু ভেঙে বাসটি নদীতে পড়ে যাওয়ার পরই ডুবে যায়। এরপরই উদ্ধারকর্মীরা এটিকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালায়। ওই সেতুর পাশে উদ্ধারকারীদের নৌকা এবং অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে স্থানীয়রা ওই নদীতে নেমে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ বাস দুর্ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে এতে দেখা যাচ্ছে সেতুর রেলিং ভেঙে বাসটি নদীতে পড়েই ডুবে যায়।

রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা রিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বাসের চালককে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



প্রেম ও বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন ইশা সাহা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন ইশা সাহা। সোয়েটার সিনেমার প্রেমে পড়া বারণ গানটির মাধ্যমে দর্শকের নজর কেড়েছিলেন এই অভিনেত্রী। একের পর সিনেমা এবং ওয়েব কনটেন্টে কাজ করছেন তিনি। এবারে এই অভিনেত্রী প্রেম এবং বিয়ে প্রসঙ্গে কথা বলেছেন একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে।

কিছুটা বিরতি নিয়ে ওয়েবের কাজে ফিরলেন ইশা সাহা। পাশবালিশ নামে একটি সিরিজে অভিনয় করেছেন। সঙ্গে সৌরভ দাস ও সুহোত্র মুখার্জি। আগামীকাল (১০ মে) সিরিজটি মুক্তি পাচ্ছে জি-ফাইভে। এই কাজের সূত্র ধরেই  গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন ইশা। 

বছর দুয়েক আগে গুঞ্জন ছড়ায় যে, অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের সঙ্গে প্রেম করছেন ইশা। এ কারণেই ইন্দ্রনীলের এক যুগের সংসারে ভাঙন ধরছে। সম্পর্ক কি এখনও আছে এই প্রশ্নের জবাবে ইশা বলেন, সম্পর্ক আছে না নেই সেটা দূর থেকে অনুমান করে লোকে। বিনোদন দুনিয়ার মানুষদের কথা বাদ দিন, পাশের বাড়ির কাউকে নিয়েও এই আলোচনা হয়। অনুমান, মুখরোচক আলোচনা ঠিক আছে, কিন্তু আপনি আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বিবৃতি দিতে পারেন না। বিবৃতি আমি দেবো বা আমার যার সঙ্গে নাম জড়াবে, তিনি দেবেন। আপনি তো তৃতীয় ব্যক্তি।

সম্পর্ক নিয়ে ধোঁয়াশা কাটাননি অভিনেত্রী। প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেন নি। অভিনেত্রীর ভাষ্য, যার সঙ্গে আমার নাম জড়ানো হয়েছিল, তার সঙ্গে আমার কিছু থাকতেও পারে, আবার না-ও থাকতে পারে। বলার আগে সত্যতা যাচাই করে নিতে হবে তাদের। আন্দাজে ঢিল ছুড়লে ভিমরুলের কামড় খেতে হবে।

তবে প্রেম ও বিয়ে নিয়ে ইশার মনোভাব স্পষ্ট। তিনি মনে করেন, এই সময়ে কেউ প্রেম করলে সেটা আর গোপন রাখা সম্ভব হয় না। নিজ থেকে সম্পর্কের কথা সময় নিয়ে, ভেবে-চিন্তে জানাবেন বলেন তিনি। ইশা বলেন, আমি চিরাচরিত চিন্তাধারায় বিশ্বাসী নই। ভালোবাসাটাই মূল বিষয়। সেটা না থাকলে বিয়েটার কোনও দাম নেই। বিয়ে আছে, প্রেম নেই, এ রকম জীবনের কোনও মানে হয় না। বিয়ে টিকিয়ে রেখেছি বলে চিৎকার করে কোনও লাভ নেই।প্রেমটা থাকুক, বিয়ে কোনও এক সময়ে হয়েই যাবে। দুটো সই করার ব্যাপার।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রজাপতি বিস্কুট দিয়ে সিনেমায় অভিষেক হয় ইশার। এরপর তাকে দেখা গেছে গুপ্তধনের সন্ধানে, সোয়েটার, দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন সহ একাধিক সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছেন তিনি। ওয়েব দুনিয়াতেও সমাদর আছে এই অভিনেত্রীর। 

নিউজ ট্যাগ: ইশা সাহা

আরও খবর



তরমুজের বীজ খেয়ে নিজের ক্ষতি করছেন না তো?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পরলেও এই মৌসুমেই কিন্তু বিভিন্ন রসালো স্বাদের ফল পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ফল তরমুজ। গোটা কিংবা জুস যেভাবেই হোক তরমুজ পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া দায়। তবে তরমুজ খাওয়ার বাধ সাধে তরমুজের বীজ।

একদম সাবধানভাবে বীজ ছাড়া তরমুজ খাওয়া বেশিরভাগ সময় সম্ভব হয় না। তাই দেখা যায় অনেকেই তরমুজের বীজ খেয়ে ফেলেন। বিশেষ করে শিশুরা। এখন প্রশ্ন আসে তরমুজের বীজ কী মানবশরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এর জবাব হচ্ছে একেবারেই না। 

অনেকেই ভাবেন, তরমুজের বীজ খেলে বোধ হয় পেটে সমস্যা হতে পারে। পুষ্টিবিদের মতে, তরমুজের বীজের ক্ষতিকর তো নয়ই উল্টো এটা স্বাস্থ্যকর। এই বীজে প্রোটিনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। সুস্থ থাকতে সারা দিনে যে পরিমাণে প্রোটিনের প্রয়োজন হয় তার ৬০ শতাংশই মিলতে পারে এক কাপ তরমুজের বীজ থেকে।

পুষ্টিবিদের থেকে জানা যায়, তরমুজের বীজে আছে আয়রন, ফোলেট, লাইকোপেন এবং নিয়াসিনের মতো উপাদান। তবে যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের কারও কারও ক্ষেত্রে এটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতেই পারে। কারও আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হয়ে থাকে।

তরমুজের বীজ খেলে শরীরে নানান উপকার হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এক নজরে দেখে নিন সেগুলো।

১. প্রোটিনের পাশাপাশি তরমুজের বীজে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ত্বকে কোনও প্রদাহ হলে তা-ও কমাতে সাহায্য করে। তাই ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন তরমুজের বীজ।

২. রক্তে থাকা এলডিএল কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ার কারণ। অন্যদিকে তরমুজের বীজে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রক্তে এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য কিন্তু বেশ উপকারী ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ তরমুজের বীজ।

৩. হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গেলে ক্যালসিয়াম ছাড়াও বেশ কিছু খনিজের প্রয়োজন হয়, এই খনিজগুলি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে তরমুজের বীজে। এ ছাড়াও তরমুজের বীজ পেশির গঠনের প্রয়োজনীয় এই খনিজগুলোর অন্যতম উৎসব ।


আরও খবর