আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম
উপজেলা নির্বাচন ২০২৪:

তৎপর হয়ে উঠেছেনে সিলেটের সম্ভাব্য প্রার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

আগামী এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে সারা দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। এমন ঘোষণার পর সিলেটের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নড়েচড়ে বসেছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নির্বাচনকে ঘিরে বেশ আগ্রহী দেখা যাচ্ছে। প্রার্থী থেকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরেও ব্যাপক তোড়জোড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জেলার ১২টি উপজেলার অর্ধশতাধিক প্রার্থী মাঠে নামছেন। প্রাথমিকভাবে দলীয় মনোনয়নের জন্য তাদের লড়াই শুরু হচ্ছে। দল থেকে মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন অনেকেই।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আসন্ন উপজেলা নির্বাচনেও প্রার্থী দেবে না বিএনপি। বর্তমান সরকারের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। আর যারা প্রার্থী হবেন তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন দলটির সিলেটের নেতাকর্মীরা।

সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবেন তাদের মধ্যে থেকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের পর দলীয় মনোনয়ন দেয়ার চেষ্টা করা হবে। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে বর্ধিত সভা করে সভার মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী দেয়া হবে। স্বতন্ত্রদের নিয়ে দলের অবস্থান পরবর্তীতে জানা যাবে।

সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ এবারও নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে চাইবেন। তার সঙ্গে টক্কর দিতে মাঠে নেমেছে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, আওয়ামী লীগ নেতা নুরে আলম সিরাজী।

বিশ্বনাথ উপজেলায় বিএনপি'র নেতারাও প্রচারণায় থাকলেও দল নির্বাচনে অংশ না নিলে প্রার্থী হবেন না বলে জানিয়েছেন তারা। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইছেন বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া। তার বিপরীতে প্রার্থী হতে পারেন পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান। এছাড়া পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলতাব হোসেন, জেলা যুবলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী মজনু, যুক্তরাজ্য ডরসেট আওয়ামী লীগের সভাপতি চেরাগ আলী, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহ-সভাপতি সামসাদুর রহমান রাহীম, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাহবুব মিয়া, চেয়ারম্যান আরশ আলী গনি, কাউন্সিলর ফজর আলী নৌকার মনোনয়নের জন্য মাঠে রয়েছেন। বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল আহমদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া, উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক জয়নাল আহমদ মিয়া, প্রবাসী জাপা নেতা জয়নাল আবেদীন, খেলাফত মজলিস জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদের নামও শোনা যাচ্ছে।

ফেঞ্চুগঞ্জ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক শাহ মুজিবুর রহমান জকন এবারো নৌকার টিকিট চাইবেন। গত বার তিনি নৌকা নিয়ে এ উপজেলা নির্বাচন করেন। তার সঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শহীদুর রহমান নোমান।

দক্ষিণ সুরমার একাধিকবারের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাহিদ। এবারো তিনি প্রার্থী হতে চাচ্ছেন। তার সঙ্গে দলীয় ফোরামে নৌকার জন্য মনোনয়ন চাইছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আহমদ, যগ্ম সম্পাদক বদরুল ইসলাম, জেলার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সালেহ আহম হীরা, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমদ,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা কফিল আহমদ চৌধুরী। জাতীয় পার্টি থেকে সাবেক ছাত্রনেতা তাজ উদ্দিন এপলু, জামায়াত থেকে খায়রুল আফিয়ান চৌধুরীর নাম শোনা যাচ্ছে। বিএনপি দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে সাবেক ছাত্রনেতা লোকমান আহমদের নাম রয়েছে আলোচনার শীর্ষে।

গোলাপগঞ্জ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী। তিনি এবারো নৌকার টিকিট চাইবেন। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুুর রহমান, প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল ও ভাইস চেয়ারম্যান নাজিরা বেগম শিলা দলীয় ফোরামে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন।

বিয়ানীবাজারের বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম পল্লব মাঠে আছেন। তার সঙ্গে মাঠে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান জামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাকির হোসেন, আব্দুল বারী ও সাবেক ভিপি সাইফুল ইসলাম নীপু।

জকিগঞ্জের বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান আহমদ চৌধুরী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। এছাড়া ভোটের মাঠে নেমেছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুদ্দিন খালেদ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী জাবেদ, বর্তমান মেয়র আব্দুল আহাদ, স্বতন্ত্র হিসেবে মাওলানা মুফতি আবুল হাসান মাঠে রয়েছেন।

কানাইঘাটের বর্তমান চেয়ারম্যান ও নগর কৃষক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল মুমিন চৌধুরী এবারো নৌকার প্রার্থী হতে মাঠে সরব রয়েছেন। তার সঙ্গে মাঠে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ পলাশ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য শামসুজ্জামান বাহার, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খয়ের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন। প্রার্থী হতে মাঠে সরব রয়েছেন জেলা বিএনপি নেতা আশিক উদ্দিন চৌধুরী, স্থানীয় সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ, জাপা নেতা শাহাবউদ্দিন।

জৈন্তাপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমদ মাঠে রয়েছেন। নৌকার টিকিটি চেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী, প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফ্ফারও মাঠে। এছাড়া সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল, এবিএম জাকারিয়া, বর্তমান চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলাম বাহার, প্রবাসী নেতা জামাল আবু নাসের, জাতীয় পার্টি নেতা ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান বশির উদ্দিনের নামও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী তালিকায় রয়েছে।

গোয়াইনঘাটের বর্তমান চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ফারুক আহমদ নৌকার মনোনয়ন এবারো চাইবেন। তাকে পাল্লা দিতে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাপ মিয়া। এছাড়া সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হক, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফারুক আহমদ, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাবউদ্দিন, সদস্য গোলাম কিবরিয়া রাসেল, জেলা পরিষদ সদস্য সুভাস দাস প্রার্থী হতে মাঠে রয়েছেন। এছাড়া বিএনপি নেতা শাহ আলম স্বপন ও জসিম উদ্দিন দল নির্বাচনে গেলে প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন।

কোম্পানীগঞ্জের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবেন দুই বারের চেয়ারম্যান শামীম আহমদ। এছাড়া নৌকার জন্য লড়াইয়ে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন, উপজেলা সভাপতি আলী আমজদ, সহ-সভাপতি কাজী আব্দুল ওয়াদুদ আলফু চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হতে পারেন মুক্তার হোসেন ও বর্তমান চেয়ারম্যান লাল মিয়া।


আরও খবর



ডেঙ্গু প্রতিরোধে জোরালো উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার জোরালো ভূমিকা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের মিটিং হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কাজ চলছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধের ঘাটতি যেন না থাকে, তা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে এবার স্যালাইনের কোনো অভাব হবে না। পাশাপাশি কেউ যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল জনবল সংকটে ভুগছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে জনবল সংকটের সমস্যা অতি দ্রুত সমাধানের জন্য কাজ করা হবে। এতে ঢাকা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালের চাপ কমবে।


আরও খবর



চোখ রাঙাচ্ছে ফ্লু ভাইরাস, রূপ নিতে পারে মহামারীতে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

অদূর ভবিষ্যতে মহামারীতে রূপ নিতে পারে ফ্লু ভাইরাস, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হতে যাওয়া একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, অভিজ্ঞ রোগ বিশেষজ্ঞদের প্রায় ৫৭ শতাংশই মনে করছেন ফ্লু ভাইরাসের একটি স্ট্রেইন আগামীতে বিশ্বজুড়ে মহামারীর কারণ হতে পারে।

কলোগনি ইউনিভার্সিটির সালম্যানটন গার্সিয়া দীর্ঘ সময় ধরে তার করা সমীক্ষায় দেখান যে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিনিয়ত বিবর্তিত হচ্ছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ভাইরাসের ধরনে নানা পরিবর্তন আসছে।

তিনি বলেন, প্রতি শীতেই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দেখা দেয়। এটাকে ছোটখাটো মহামারীই বলা চলে। ইনফ্লুয়েঞ্জা কম-বেশি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, কারণ বেশিরভাগ ধরন তুলনামূলক কম ক্ষতিকারক। তবে আগামীতেও যে এটি এমনই থাকবে তা তো নিশ্চিত নয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ফ্লুর পরে বড় মহামারীটি ডিজিজ এক্স নামক ভাইরাস থেকে আসতে পারে। তবে ভাইরাসটি বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও অজানা। গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ২১ শতাংশ বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন পরবর্তী মহামারী একটি নতুন অণুজীবের কারণে ঘটবে, যা এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। এটা সেভাবেই পৃথিবীকে আক্রমণ করবে, যেভাবে হুট করেই ঠিক সার্স-কোভ-২ ভাইরাস ২০১৯ সালে আক্রমণ করেছিল।

অন্যদিকে, প্রায় ১৫ শতাংশ বিজ্ঞানী মনে করেন কোভিড-১৯ ভাইরাসই এখন পর্যন্ত আগামী মহামারীর হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে।

গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচফাইভএনওয়ান (H5N1) স্ট্রেইনের উদ্বেগজনক বিস্তার সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ এভিয়ান ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছে। ২০২০ সালে শুরু হওয়া এ প্রাদুর্ভাবে এরই মধ্যে লাখ লাখ হাঁস-মুরগির মৃত্যু হয়েছে এবং লাখ লাখ বন্যপাখি নিশ্চিহ্ন হয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি রাজ্যে ভাইরাসটি স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে গৃহপালিত গবাদিপশুও রয়েছে। এটি মানুষকেও আক্রান্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

হ্যাটফিল্ডের রয়্যাল ভেটেরিনারি কলেজের ড্যানিয়েল গোল্ডহিল গত সপ্তাহে নেচার জার্নালে বলেন, ভাইরাসটি যত বেশি স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতিকে সংক্রমিত করে, ততই এটি মানুষের জন্য বিপজ্জনক স্ট্রেইনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয়।’

গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্ট এড হাচিনসন বলেন, এইচফাইভএনওয়ান ভাইরাসের উপস্থিতি বিস্ময়কর ছিল। এর আগে প্রাণীদের মধ্যে শূকর এতে আক্রান্ত হলেও গবাদিপশুর ওপর এভিয়ান ফ্লুর আক্রমণ একেবারেই নতুন ছিল। তারা এ রোগের নিজস্ব স্ট্রেইনে আক্রান্ত হয়েছিল। তাই গরুতে এইচফাইভএনওয়ানের উপস্থিতি একটি বিরাট ধাক্কা হিসেবে এসেছে।’

এর মানে হলো- ভাইরাসটি আরও বেশিসংখ্যক খামারের প্রাণীতে এবং তারপর খামারের প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে প্রবেশের ঝুঁকি বেড়েছে। ভাইরাসটি যত বেশি ছড়াবে, ততই এটির পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফলে এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তবে এইচফাইভএনওয়ান মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। কিন্তু যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে এর প্রভাব মারাত্মক হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ দুই দশকে শত শত ক্ষেত্রে মানুষ প্রাণীদের সংস্পর্শে এসে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী জেরেমি ফারার বলেছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক বেশি, কারণ মানুষের এই ভাইরাস প্রতিরোধ করার প্রাকৃতিক ক্ষমতা নেই।


আরও খবর



চৈত্র সংক্রান্তি আজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চৈত্র সংক্রান্তি বা চৈত্র মাসের শেষদিন আজ শনিবার। বাংলা মাসের সর্বশেষ দিনটিকে সংক্রান্তির দিন বলা হয়। এছাড়া আগামীকাল রোববার পহেলা বৈশাখ, নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১।

আবহমান বাংলার চিরায়িত বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। মনে করা হয়, চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব।

চৈত্র সংক্রান্তির দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শাস্ত্র মেনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস করে থাকেন। নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন।

এছাড়াও চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে নানা ধরনের মেলা ও উৎসব হয়। হালখাতার জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, সংযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয় চৈত্র সংক্রান্তি।

চৈত্র সংক্রান্তির প্রধান উৎসব চড়ক। চড়ক গাজন উৎসবের একটি প্রধান অঙ্গ। এ উপলক্ষে গ্রামের শিবতলা থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে অন্য গ্রামের শিবতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। একজন শিব ও একজন গৌরী সেজে নৃত্য করে এবং অন্য ভক্তরা নন্দি, ভৃঙ্গী, ভূত-প্রেত, দৈত্য-দানব সেজে শিব-গৌরীর সঙ্গে নেচে চলে।

চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে আগামী রোববার সফলতা ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় দেখা দেবে নতুন ভোর। পুরোনো বছরের সব জরাজীর্ণতা মুছে ফেলে রোববার বাঙালি মিলিত হবে পহেলা বৈশাখের সর্বজনীন উৎসবে। জরাজীর্ণতা, ক্লেশ ও বেদনার সব কিছুকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি সব অন্ধকারকে বিদায় জানিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার থাকবে গোটা জাতির।


আরও খবর
লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




‘মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেত মিল্টন’

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জালিয়াতি ও প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে গ্রেপ্তার চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন বলে জানিয়েছে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। আজ রবিবার (০৫ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, মিল্টন সমাদ্দার সাইকোতে (মানসিক রোগী) আক্রান্ত। তিনি কীভাবে মানবতার ফেরিওয়ালা’ হলেন, তা বোধগম্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, মিল্টন কিন্তু স্বীকার করেছেন, তার অপারেশন থিয়েটারে ব্লেড-ছুরি আছে। এগুলো দিয়েই তিনি অপারেশন করতেন।’

ডিবির হারুন বলেন, তার স্ত্রী মিতু হালদার ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বানাতে কারা সাহায্য করতেন, তার ব্যাংক হিসাবে কারা টাকা পাঠাতেন, কীভাবে তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা’ হলেন, সবকিছুর তদন্ত করা হচ্ছে।’

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

এদিকে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব।’


আরও খবর



ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ১১

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ১১ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ঝালকাঠির গাবখান সেতুর ঢালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সিমেন্টবাহী একটি ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে চলে যায়। এতে ইজিবাইকের ৭ আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া ওই ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে একটি প্রাইভেট কার। যাতে শিশুসহ ৬ জন আরোহী ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

এ ঘটনায় হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরওএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬ জনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, টোল প্লাজায় টাকা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল ইজিবাইক, প্রাইভেট কারসহ একাধিক গাড়ি। সিমেন্টবাহী ট্রাকটি সামনে থাকা সব গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে প্রতিবন্ধক ভেঙে রাস্তার পাশে চলে যায়।


আরও খবর