আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ভিসা নীতি আমেরিকার নিজস্ব ব্যাপার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভিসা নীতি আমেরিকার নিজস্ব ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, ভিসা কাকে দেবে বা না দেবে সেটি একান্তই সে দেশের সিদ্ধান্ত। আমেরিকা সরকার কাউকে উদ্দেশ্য করে ভিসা নীতি ঘোষণা করেনি। তারা বলেছে, আগামী নির্বাচনে যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করবে বা নির্বাচন ভন্ডুল করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হবে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে ইনডোর প্লে গ্রাউন্ড উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির চলমান রোডমার্চ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে সরকার ভীত নয়। বিএনপির আন্দোলন সরকার যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করে যথাসময়ে দেশে নির্বাচনের আয়োজন করবে।

দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফ্রিকার কোনো একটি দেশে গিয়ে বলেছেন, কোনো দেশের উন্নয়ন দেখতে হলে বাংলাদেশে ঘুরে আসুন। কোনো নেতা দেখতে চাইলে শেখ হাসিনাকে দেখে আসুন। বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি গোলাম মঈন উদ্দীন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক হুমায়ূন কবির, পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


আরও খবর



ড. ইউনূসকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি, যেতে পারবেন বিদেশে

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অব্যাহতি ও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনার পরবর্তী তারিখ আগামী ১৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।  বুধবার ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা এ আদেশ দেন।

ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটিতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মো. ইউনূসকে অব্যাহতি ও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। বিচারক তার আবেদন মঞ্জুর করেছেন। তবে আইনজীবীর মাধ্যমে তাকে হাজিরা দিতে হবে। এছাড়া যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ না হওয়া পরবর্তী তারিখ আগামী ১৪ ডিসেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। 

গত ৬ জুন ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অন্যরা হলেন-এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও শাহজাহান।

৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

গত বছরের ১৭ আগস্ট বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা বাতিলে ইউনূসের আবেদনে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেন। এরপর ড. ইউনূস আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়। এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।


আরও খবর
জামিন পেলেন না মির্জা ফখরুল

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ভারতের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের পিচ বদলের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে শুরু হয়েছে পিচ নিয়ে বিতর্ক। আইসিসির বেছে নেওয়া পিচ বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতের বিরুদ্ধে। ফলে আগে যে পিচে ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল হওয়ার কথা ছিল সেই পিচে খেলা হবে না। পিচ বদল নিয়ে নাকি আইসিসিকে চিঠি লিখেছেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার পিচ প্রস্তুতকারক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন।

আজ প্রথম সেমিফাইনালে মুম্বাইয়ে মুখোমুখি হবে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। আর সব ক্রিকেটপ্রেমীর এই ম্যাচে আলাদা নজর থাকবে। শক্তির বিচারে রোহিত শর্মার দল এগিয়ে থাকলেও সেমিতে চমক দেখাতে চায় কিউইরা। তবে সেমিফাইনালে নামার আগে পিচ পাল্টানোর গুরুতর অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন>> সেমিফাইনালে ভারত-নিউজিল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওয়াংখেড়ের ৭ নম্বর পিচে সেমিফাইনাল হওয়ার কথা ছিল প্রাথমিকভাবে। তবে পরে নাকি আইসিসির তরফ থেকে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের দলকে হোয়াটসঅ্যাপ মারফত জানানো হয়, ৭ নয় বরং ৬ নম্বর পিচে হবে সেমিফাইনালের খেলা। এই পিচেই হয়েছিল গ্রুপ পর্বের দু'টি ম্যাচ - ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা।

সেমিফাইনালের উইকেট পাল্টানোয় ফাইনালেও একই কাজ হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনে। আগামী রোববার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ ফাইনাল। এই মাঠে লিগ পর্বে অনুষ্ঠিত চার ম্যাচের তিনটিতে ভিন্ন ভিন্ন উইকেটে খেলা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি আরও দাবি করেছে, নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অ্যাটকিনসনকে আইসিসির সিনিয়র ইভেন্টস ম্যানেজার জানিয়েছিলেন, ভারত-পাকিস্তান (১৪ অক্টোবর) ম্যাচটি পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ৭ নম্বর উইকেটে খেলার কথা। কিন্তু আসলে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ৫ নম্বর উইকেটে।

অ্যাটকিনসন বিসিসিআইয়ের কাছে জানতে চান, এসব সিদ্ধান্ত কার? বিসিসিআই আঙুল তোলে গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (জিসিএ) দিকে। এদিকে গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, তারা বিসিসিআইয়ের কথামতোই সব করছে এবং এসব অনুরোধ এসেছে সরাসরি ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে। জিসিএ'র কাছে তার পাঠানো মেইলের কিছু অংশ ছেপেছে মেইল অনলাইন।


আরও খবর



এবার সব ইউএনওকে বদলির নির্দেশ ইসির

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) বদলির নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। 

আরও পড়ুন>> দেশের সব থানার ওসি বদলির নির্দেশ ইসির

এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বর্তমান কর্মস্থলে ১ (এক) বছরের বেশি চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে, তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে কমিশনে পাঠানো প্রয়োজন।

এর আগে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও (ওসি) বদলি করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে নির্দেশনা দেয় ইসি।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এ রকম সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন দিয়েছে। তবে নির্দেশনা সংক্রান্ত চিঠি তারা পেয়েছেন কি না, তা বলতে পারছি না।


আরও খবর



নির্বাচনবিরোধীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত: কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, আমাদের নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের যৌক্তিক কারণ দেখছি না। যারা নির্বাচনের বিরুদ্ধে নাশকতা করছে, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন আইন করেছেন। বর্তমানে দেশে মানবাধিকার কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছে। জন্ম থেকে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, জেলের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সারির চারজন সংগঠককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন অনেকেই কিন্তু ২১ আগস্টের সমাবেশে শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে যে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। আইভি রহমানসহ ২৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন, তারা এ নিয়ে কথা বলেন না।

নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিভিন্ন রকম চাপ আসতে পারে, বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসব মোকাবিলা করার জন্য রাজনৈতিক ও মানসিক শক্তি আমাদের আছে। আওয়ামী লীগ বারবার ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই আজকের এই অবস্থানে রয়েছে। ষড়যন্ত্র মোকবিলা করেই আমরা গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে এসেছি। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ায় যত বাধায় আসুক আমরা এই লড়াইয়ে অবিচল।

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন, মেরিনা জাহান কবিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
বাহাউদ্দিন নাছিমকে শোকজ

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




গাজায় ব্যবহারে ইসরায়েলকে বাঙ্কার বাস্টার বোমা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলকে বাঙ্কার বাস্টার বোমাসহ অসংখ্য অস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বোমা ও অস্ত্র অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ব্যবহার করা হচ্ছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।

বিএলইউ-১০৯ নামের এই বাঙ্কার বাস্টার বোমাগুলো শক্ত কাঠামো ছেদ করতে সক্ষম। শক্ত কাঠামো ছেদ করার পর এটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে নাম গোপন রাখার শর্তে এক সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে এ ধরনের ১০০টি বোমা দিয়েছে। এই বোমা ৯০০ কেজির ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। এসব বোমা এর আগে আফগানিস্তানে ব্যবহার করেছিল মার্কিন সেনারা।

তবে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র এই বোমাই দেয়নি সঙ্গে আরও শক্তিশালী ও আধুনিক মারণাস্ত্র দিয়েছে। যেগুলোর আঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে শিশুই হলো ৬ হাজার ১১৫ জন।

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলকে নিয়মিত অস্ত্র সরবরাহ করে আসলেও; সেগুলোর তথ্য গোপন রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলের নিন্দা জানানোয় তারা চুপিচুপি ইসরায়েলের কাছে বোমা পৌঁছে দিচ্ছে।

ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে গাজায় ব্যবহারের জন্য ১৫ হাজার বোমা এবং ১৫৫ মিলিমিটারের ৫৭ হাজার শেল পাঠিয়েছে। যেগুলো সি-১৭ মিলিটারি কার্গো বিমানে করে ইসরায়েলে পৌঁছে দিয়েছে মার্কিনিরা।

ইসরায়েলে পাঠানো ১৫ হাজার বোমার মধ্যে রয়েছে ৫ হাজার এমকে৮২ বোমা, ৫ হাজার ৪০০ এমকে৮৪ বোমা, প্রায় এক হাজার জিবিউ-৩৯ স্মল-ডায়ামিটার বোমা এবং প্রায় তিন হাজার জেডিএএমস। প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে কয়েক বিলিয়ন ডলার সাহায্য করে থাকে। হামাসের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য যেসব বোমা দেওয়া হয়েছে সেগুলো এ সাহায্যের বাইরে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো বোমা দিয়ে গাজায় সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলাগুলো চালানো হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের একটি ভবনে ভয়াবহ হামলা। ওই হামলায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন। ইসরায়েল দাবি করেছিল এটি ন্যায়সঙ্গত হামলা ছিল। কারণ এতে হামাসের এক কমান্ডার নিহত হয়েছিলেন।


আরও খবর