আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

ওয়ালটনের একক বৃহৎ আন্তর্জাতিক শিল্প মেলা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন দেশে উৎপাদন করছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ, টিভি, এসি, কম্প্রেসর, ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, ফ্যান, রাইস কুকার, ব্লেন্ডার, এলইডি লাইট, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনসহ অসংখ্য ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য। এসব পণ্যের আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশের পাশাপাশি পিসিবি, মাদারবোর্ড, মোল্ড অ্যান্ড ডাই, নাট-বোল্ট, স্ক্রুসহ ৫০ হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস উৎপাদন করছে ওয়ালটন।

যার বেশিরভাগই শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধাপে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে এসব পণ্য রফতানি করছে ওয়ালটন। বিশ্ববাজারে এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকায় রফতানি আরো বৃদ্ধির অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

তাই বিশ্বের সকল শিল্পোদ্যাক্তা ও ক্রেতাদের কাছে ওয়ালটন উৎপাদিত ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, প্রযুক্তিপণ্য, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনস, ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টসসমূহ তুলে ধরার মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করে বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি রফতানি আয় আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস অ্যান্ড টেকনোলজি এক্সপো-২০২৩ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী এক বৃহৎ আন্তর্জাতিক শিল্প মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।

ওয়ালটনের অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সলিউশনস বিভাগ আন্তর্জাতিক এই বৃহৎ শিল্প মেলা আয়োজন করছে। রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরা হল-১-এ আগামী ১০ আগস্ট শুরু হয়ে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস অ্যান্ড টেকনোলজি এক্সপো-২০২৩ চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। মেলায় অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী শিল্পোদ্যাক্তা, ক্রেতা, দর্শণার্থীদের জন্য চলছে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। আগ্রহীরা https://ats.waltonbd.com ওয়েব পেজে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

আন্তর্জাতিক এই মেগা শিল্প মেলা আয়োজন প্রসঙ্গে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সলিউশন এক্সপো আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে আমদানি বিকল্প গুণগতমানের কম্পোনেন্টস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও টেস্টিং সলিউশনস প্রদানের মাধ্যমে দেশীয় শিল্পের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি, শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী করা, দেশের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি রফতানি আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে আরো সুসংহত করা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের অগ্রগতিকে বেগবান করা।

তিনি আরো জানান, এটিএস এক্সপো হবে বাংলাদেশে একক কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রথম সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক শিল্প মেলা। এতে একই ছাদের নিচে সমাহার ঘটবে পরিবেশবান্ধব গ্রিন প্রযুক্তির অ্যানার্জি সেভিং সকল ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যসামগ্রী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, টেস্টিং ল্যাব, ফ্যাসিলিটি ও মেশিনারিজসহ অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সলিউশন। দেশী-বিদেশী সম্মানিত ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে এই মেলা প্রতিবছর আয়োজন করা হবে। দেশের বাইরেও এ ধরনের প্রদর্শনী আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

জানা গেছে, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের পাশাপাশি উৎপাদিত হচ্ছে মোল্ড অ্যান্ড ডাই, ফাসেনার, পিসিবি, মাদারবোর্ড, মাস্টারব্যাচ ইত্যাদি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস। এসব ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস প্রায় সকল প্রকার ছোট, মাঝারি ও ভারী শিল্পে প্রধান কাঁচামাল হিসেবে বিভিন্ন ধাপে ব্যবহৃত হয়। ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টসের পাশাপাশি ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে গড়ে তোলা হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার, নাসদাত-ইউটিএসসহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক মানের টেস্টিং ল্যাব। যা দেশের অন্য শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের উৎপাদিত পণ্যের টেস্টিং সলিউশনসকে আরো সহজতর করবে।

দেশের বাজারে শীর্ষস্থান বজায় রাখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও ওয়ালটন একটি সুদূঢ় অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে ওয়ালটন পণ্যসামগ্রী এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার ৪০টিরও বেশি দেশে রফতানি হচ্ছে।

ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে স্থাপিত আন্তর্জাতিক মানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস (ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব) বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড (বিএবি) কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত। বিএবির অ্যাক্রিডিটেশনপ্রাপ্ত টেস্টিং প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পণ্যের গুণগতমান সম্পর্কে যে রিপোর্ট দেয়া হয় তা ইন্টারন্যাশনাল ল্যাবরেটরি অ্যাক্রিডিটেশন কোঅপারেশন (আইলাক) ও এশিয়া-প্যাসিফিক ল্যাবরেটরি অ্যাক্রিডিটেশন কোঅপারেশনের (অ্যাপলাক) সদস্য দেশগুলোতে সরাসরি গ্রহণযোগ্য। তাই নাসদাত-ইউটিএস ল্যাবে পরীক্ষাকৃত পণ্যের টেস্টিং রিপোর্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টেস্টিং সরকারি মান যাচাই সংস্থা কর্তৃক সরাসরি গৃহীত হচ্ছে। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নাসদাত-ইউটিএস থেকে তাদের পণ্যের মান যাচাই করতে পারছে।

সূত্রমতে, এটিএস এক্সপোতে পণ্য প্রদর্শিত হবে চারটি ক্যাটাগরিতে। টেস্টিং সলিউশনস, সার্ভিসেস, প্রোডাক্ট ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস। টেস্টিং সলিউশনস এ থাকবে আন্তুর্জাতিক মানের বেশকিছু টেস্টিং ল্যাব। ক্যাবল ও ওয়্যার ল্যাব, নয়েজ টেস্টিং ল্যাব, এলইডি ল্যাব, নাসদাত-ইউটিএস, প্রেসিসং ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরি, প্রোডাক্ট কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাব, ওয়ালটন সাইন্স রিসার্চ ল্যাব ও ওয়ালটন ম্যাটালারজিক্যাল এনালাইসিস ও রিসার্চ ল্যাব।

মেলায় সার্ভিসেস ক্যাটাগরিতে থাকবে কন্সট্র্যাকশন সার্ভিস, মোল্ড অ্যান্ড ডাই, পাওয়ার-প্রেস, রেফ্রিজারেটর ও এসএমটি (সারফেস মাউন্টিং টেকনোলজি)। প্রোডাক্ট ক্যাটাগরিতে প্রদর্শিত হবে ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, ফাসেনার, পিসিবি, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস, কেমিক্যাল, মাস্টারব্যাচেস, মোল্ড অ্যান্ড ডাই, আইটি প্রোডাক্ট।

এটিএস মেলায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাটাগরিতে থাকবে দেশের বিভিন্ন ফরওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পখাতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত প্রধান কম্পোনেন্টস। যা অ্যাগ্রো, অটোমোবাইলস, সিমেন্ট, সিরামিকস, কেমিক্যাল, কসমেটিকস, ডিজিটাল, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স, ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্লাস, হেভি-ভেহিক্যালস অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং, আইওটি, আইটি, লেদার, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক, প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশনস, গার্মেন্টস, পাইকারি ও ট্রেডিং বিজনেস ইত্যাদি শিল্পখাতে ব্যবহৃত হয়।


আরও খবর



ফের উত্তপ্ত টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাত আবারও তীব্র হয়েছে। সেখান থেকে একের পর এক মর্টার শেল ও ভারী গোলা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে।

কয়েকদিন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) ভোর থেকে টেকনাফ পৌরসভা, সেন্টমার্টিন, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং সীমান্তজুড়ে থেমে থেমে শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ।

হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা রশিদ আহমেদ বলেন, সেহেরির পর থেকে বাড়িতে আর ঘুমাতে পারিনি। মিয়ানমারের ভেতর থেকে একের পর এক যেভাবে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে, মনে হচ্ছে আমার বাড়িতে মর্টারশেল পড়ছে। ভোর থেকে এখনো পর্যন্ত থেমে থেমে বিকট শব্দে কাঁপছে এপারে বাড়ি-ঘর।

হ্নীলার বাসিন্দা জেলে সৈয়দ হোসাইন বলেন, সকালে চিংড়ি ঘেরে মাছ ধরতে গিয়েও ফিরে আসলাম। মিয়ানমারের রাখাইন থেকে যে হারে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে, আতঙ্কে চলে এসেছি।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা নুরুল আমিন বলেন, রাখাইনের মংডু ও বলি বাজার শহরের কাছাকাছি আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। এ কারণে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ সীমান্তের এপারে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে।

জানা গেছে, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠি আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্য দখল করতে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে গত আড়াই মাস ধরে সীমান্তের এপারে একের পর এক বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে। এর আগে আরাকান আর্মিসহ আরও কয়েকটি বিদ্রোহী গ্রুপ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজিপির ক্যাম্প ও সীমান্ত চৌকিসহ অধিকাংশ অঞ্চল দখল করেছিল। সম্প্রতি নতুন করে আবারও রাখাইনের আকিয়াব জেলার মংডু ও বলি বাজার শহরসহ সেনা ক্যাম্প দখল করতে হামলা অব্যাহত রেখেছেন বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী।

টেকনাফ (২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সব সময় সর্তক রয়েছে।


আরও খবর



দেশের সব আদালতে চালু হচ্ছে ওয়ান স্টপ সার্ভিস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উচ্চ আদালতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়িত হয়েছে। আগে জামিন আদেশের কপি পেতে অনেক সময় ব্যয় হত। এখন তা সঙ্গে সঙ্গেই আপলোড হয় এবং আদেশ যথাস্থানে পৌঁছে যায়। উচ্চ আদালতের এই সুবিধা দেশের সব পর্যায়ের আদালতে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। বাংলাদেশ বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরো শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বুধবার (১ মে) দুপুরে সিলেটে আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে তিনি সিলেট সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

তিনি বলেন, আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের সুবিধাজনক বসার স্থান হিসেবে সিলেটে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করা হলেও আদালতে আসা সব মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সম্মিলিতভাবে কাজ করলে বিচার বিভাগ পূর্ণতা লাভ করে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চান তিনি।


আরও খবর



ভোলায় ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ২, শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভোলা প্রতিনিধি

Image

ভোলা জেলার লালমোহন, মনপুরা ও তজুমদ্দিন উপজেলায়  আজ সকালে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শতাধিক বাড়ি-ঘর, গাছপালা, বিদ্যুৎ লাইন, মাঠের ফসল  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ আকস্মিক ঝড়ে লালমোহন উপজেলায় ঘর চাপা পড়ে হারিস (৬৮) ও বজ্রপাতে বাচ্চু (৪০) নিহত হন।

নিহত দুজনের পরিবারকে সরকারিভাবে ২৫ হাজার করে  মোট ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, আজকের ঝড়ে লালমোহন উপজেলায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বদরপুর ইউনিয়নে হারিস ঘর চাপা পড়ে মারা গেছেন। তার বাড়ি ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নে। তিনি ভিক্ষা করতেন। এছাড়া  চরভুতা ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া গ্রামে বজ্রপাতে বাচ্চু নামে একজন নিহত হয়েছেন।

তিনি জানান, লালমোহন উপজেলায় বেশ কিছু বাড়িঘর আংশিক ও সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের তারে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি হয়েছে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, ঝড়ে লালমোহন উপজেলায় নিহত দুজনের পরিবারকে জনপ্রতি ২৫ হাজার করে মোট ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। প্রাথমিকভাবে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রচুর গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে তজুমদ্দিন, মনপুরা ও লালমোহন উপজেলায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তিনি জানান,  ইতোমধ্যে প্রাথমিকভাবে লালমোহন উপজেলায় ৮ মেট্রিক টন চাল, মনপুরায় ৫ মেট্রিক টন চাল ও তজুমদ্দিনে ৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে।


আরও খবর



তিন বিভাগে শিলাবৃষ্টিসহ ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আবহাওয়া হঠাৎ করেই চরমভাবাপন্ন আচরণ শুরু করেছে। বসন্তের শেষ সময়ে ঝড়-বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমছে না। উল্টো তীব্র তাপপ্রবাহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টিসহ ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়বে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এ অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় ঝড়, বজ্র ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ঝড়বৃষ্টির প্রভাবে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

এ সময়ে পাবনা এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বরিশাল, পটুয়াখালী ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্ঠাংশ, রংপুর ও ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। আবার কিছু জায়গায় তা প্রশমিত হতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।


আরও খবর
আজ ঢাকায় কখন বৃষ্টি হবে

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




দেশে বাড়ল সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির কারণে এই দাম বেড়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১০৬ টাকা থেকে এক টাকা বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা, পেট্রলের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১২২ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বেড়ে ১২৪.৫০ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৬.০০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১২৮.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুনঃনির্ধারিত এ মূল্য আজ রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৩১ মার্চ বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে বহুল ব্যবহৃত ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হয়েছিল। ওই সময় এই দুটি জ্বালানির পণ্যের দাম লিটারপ্রতি কমানো হয়েছিল ২ টাকা ২৫ পয়সা। লিটারপ্রতি ডিজেল ও কোরোসিনের দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০৬ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রল আগের মতোই ১২২ এবং প্রতি লিটার অকটেন ১২৬ টাকায় বিক্রি হবে। তবে পেট্রল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল।

এর আগে গত ৭ মার্চ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করায় দেশে ব্যবহৃত অকটেন, পেট্রল, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমেছে, যা ৮ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা কমে ১০৮ টাকা ২৫ টাকা পয়সা নির্ধারণ করা হয়। অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ১৩০ থেকে ৪ টাকা কমে ১২৬ টাকা এবং পেট্রলের দাম ১২৫ থেকে ৩ টাকা কমে ১২২ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানি তেলের ৭৩ দশমিক ১১ শতাংশ ডিজেল, পেট্রল ৫ দশমিক ৮৬ এবং অকটেন ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৭২ লাখ টন। এর মধ্যে ডিজেলের চাহিদা ৪৮ থেকে ৪৯ লাখ টন, যার ৮০ শতাংশ সরকার আমদানি করে। বর্তমানে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি হচ্ছে। আর পরিশোধিত তেল আমদানি হয় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, কুয়েত, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সাশ্রয়ী দামে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে ডিজেল আমদানি নিয়ে আলোচনা চলছে। বেসরকারি খাতের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি তেল ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হয়। এই তেল নিজ বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহারের অনুমোদন নেই।

অকটেন ও পেট্রল ব্যবহার করা হয় গাড়ি ও মোটরসাইকেলে। আর বাস, ট্রাক, নৌযান এবং কিছু ক্ষেত্রে সেচ পাম্পে ডিজেল ব্যবহার করা হয়।


আরও খবর