আর্জেন্টিনার ফুটবলপ্রধান বোধ হয় অতীতটা
ভুলে গেছেন। নাকি সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় স্বর বদলে নিয়েছেন। এত দ্রুত তো ভোলার কথা নয়
আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ক্লদিও তাপিয়ার। গত বছরের ডিসেম্বরে
এই আর্জেন্টিনাকে যেভাবে ডাগআউট থেকে বুদ্ধি দিয়ে, পরামর্শ দিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিলেন
লিওনেল স্কালোনি, তাতে দেশটির ইতিহাসের সেরা একজন হয়ে থাকবেন তিনি।
কিন্তু হঠাৎ কী এমন হলো নিজ থেকেই তিনি
পদ ছাড়তে চাচ্ছেন। তাও ব্রাজিলের মাটিতে তাদের হারানোর পর। আর্জেন্টিনার জনপ্রিয় গণমাধ্যম
ওলে, টিওয়াইসি স্পোর্টসসহ আরও কয়েকটি পত্রিকায় এ নিয়ে অসংখ্য খবর। তাদের বেশির ভাগেরই
দাবি, এই তাপিয়ার সঙ্গে নানা কারণে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে স্কালোনির। তাই তিনি কোচের
চেয়ারে আর থাকতে চাচ্ছেন না।
মূলত সর্ব ক্ষেত্রে খবরদারি করছেন তাপিয়া।
যেটা এর আগেও ছিল, তবে এতটা ছিল না। আর কম থাকায় স্কালোনিরও পরিকল্পনা সাজাতে সহজ হয়।
কিন্তু বিশ্বকাপ জেতার পর যখন সব আলো মেসি এবং স্কালোনির স্টাফদের দিকে চলে যায়, তখন
নিজেকে লাইমলাইটে আনতে তাদের কাজে হস্তক্ষেপ শুরু করেন তাপিয়া। এমনকি বেতন-ভাতা বাড়িয়ে
দেওয়ার কথা বলেও কিছুই করেননি।
সর্বশেষ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের সঙ্গে
হারের পর ড্রেসিংরুমে স্কালোনির সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান। তাঁর কাঁধে দায় চাপিয়ে দেওয়ার
চেষ্টাও করেন তাপিয়া। যদিও স্কালোনি এসব নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। কেবল এতটুকু বলেছেন,
তাঁর এখন বল রেখে ভাবার সময় হয়েছে। আর এই দলটির এমন একজন কোচ প্রয়োজন, যে কিনা তাদের
সব রকম প্রেরণা দিতে পারে। তবে কি স্কালোনি মেসিদের প্রেরণা দিতে পারছেন না?
আর্জেন্টিনা কোচের কথায় এমন কিছুরও আভাস
মিলেছে। তবে তিনি সরাসরি চাকরি ছাড়ার ব্যাপারে এখনও কিছু বলেননি, ‘আমাকে এখন ভাবতে
হবে। পরে আমি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলব। আমার মনে হয়,
আর্জেন্টিনার এমন এক কোচ দরকার যার সম্ভাব্য সব রকম প্রেরণা আছে এবং তিনি ... আমার
এখন বলটা থামিয়ে ভাবতে হবে। কারণ, এ সময়ে আমার অনেক কিছুই ভাবার আছে। এই খেলোয়াড়রা
কোচিং স্টাফদের অনেক কিছু দিয়েছে। এখন আমি কী করব, সেটা নিয়ে ভাবা প্রয়োজন। বিদায় বা
এমন কিছু বলছি না। তবে আমাকে ভাবতে হবে। কারণ, প্রত্যাশার মাত্রাটা অনেক উঁচুতে, আর
এভাবে চালিয়ে যাওয়া এবং জয়ের পথে থাকাও বেশ জটিল কাজ।’
এর পর সব স্টাফকে নিয়ে একটি ছবিও তোলেন
স্কালোনি, যা ঘিরে এই গুঞ্জন আরও গাঢ় হলো।